![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম প্রকৃতই যে জীবনের সকল ক্ষেত্রে শান্তির নিশ্চয়তা দেয়, তা-ও মহানবী (সা.) নিজ আদর্শের মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। এই শান্তির ধর্মে কোনো ধরণের নৈরাজ্যের অনুমতি নেই। এছাড়া ইসলাম কাউকে হত্যা করার শিক্ষাও দেয় না। সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, যার যার ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করবে এটাই ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা। কাউকে হত্যার ব্যাপারে ইসলামের শিক্ষা হল, ‘আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মুমিনকে হত্যা করলে এর প্রতিফল হবে জাহান্নাম। সেখান সে দীর্ঘকাল থাকবে। আর আল্লাহ্ তার প্রতি রাগান্বিত। তিনি তাকে অভিসম্পাত করেছেন এবং তার জন্য এক মহা আযাব প্রস্তুত করে রেখেছেন’ (সুরা আন নেসা, আয়াত : ৯৩)।
কাউকে হত্যার ব্যাপারে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সর্বপ্রথম যে মোকদ্দমার ফয়সালা করা হবে, তা হবে রক্তপাত (হত্যা) সম্পর্কিত’ (বোখারি)। কাউকে হত্যা করাকে ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে, শুধু নিষেধ করেই ক্ষ্যান্ত হয় নাই, বরং যারা এসব কাজ করে, তাদের শাস্তি কত ভয়াবহ, সে-সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছে। আমরা যদি ইসলাম ও রাসুল করিম (সা.)-এর জীবনাদর্শ পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখতে পাই, কতই না উন্নত শিক্ষা আমাদের নবী করিম (সা.)-এর। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করা হয়েছে, কিন্তু তিনি পাল্টা প্রতিশোধ না নিয়ে করেছেন ক্ষমা। দু’হাত তুলে শত্রুদের সংশোধনের জন্য দোয়া করেছেন। মুসলমান ভাই ভাই। এ বিষয়ে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
হজরত উমর (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, হজরত রাসুল করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমান আর এক মুসলমানের ভাই। সে অন্যের প্রতি যুলুম করে না এবং তাকে অন্যের হস্তে (যুলুমের উদ্দেশ্যে) সমর্পণ করে না, যে তার ভাইয়ের সাহায্যে এগিয়ে আসে, আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন। যে কেউ মুসলমানের কষ্ট দূর করে, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার কষ্ট দূর করবেন। যে কেউ মুসলমানের দোষ-ত্রুটি ঢেকে রাখে, আল্লাহ কেয়ামতের দিনে তার দোষত্রুটি ঢেকে রাখবেন’ (বোখারি ও মুসলিম)।
ওপর এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুল করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমান আর এক মুলমানের ভাই। সে তার প্রতি যুলুম করে না। তাকে লাঞ্ছিত করে না এবং তাকে ঘৃণা করে না। (বুকের দিকে তিনবার অঙ্গুলি নির্দেশ করে তিনি বললেন) তাকওয়া (খোদা-ভীতি) এখানে। এক মুসলমান ভাইকে ঘৃণা করা যথেষ্ট অন্যায়। প্রত্যেক মুসলমানের রক্ত, সম্পত্তি এবং সম্মান অন্য একজন মুসলমানের নিকট পবিত্র’ (মুসলিম)।
আরেক হাদিসে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অপর এক মুসলমানের গ্রাস আত্মসাৎ করে, আল্লাহ নিশ্চয় তার অনুরূপ তাকে দোযখ হতে আহার করাবেন। যে কেউ এক মুসলমানের কাপড় ছিনিয়ে নিয়ে নিজে পড়ে, আল্লাহ নিশ্চয় তাকে তার অনুরূপ দোযখ হতে পড়াবেন, এবং যে কেউ অন্যের সম্মানহানি করে, কেয়ামতের দিনে আল্লাহ তার সম্মানহানি করবেন’ (আবুদাউদ)। ওপর এক হাদিসে হজরত আব্দুল্লাহ বিন আমের (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসুল করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন মুসলমানের হত্যা অপেক্ষা পৃথিবীর বিলোপ সাধন আল্লাহর দৃষ্টিতে অবশ্যই সহজ’।
ছবি: গুগল
০১ লা মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২১
আবু আফিয়া বলেছেন: লেখাটি পড়ার ও সহমত প্রকাশ করায় কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি
২| ০১ লা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
সুইসাইড বিশেষজ্ঞ মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
০১ লা মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯
আবু আফিয়া বলেছেন: লেখাটি পড়ার জন্য আপনার প্রতি রইল কৃতজ্ঞতা
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:১৯
পবন সরকার বলেছেন: কথা ঠিক