![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাই খ্যাতিমান নন,কেউ কেউ খ্যাতিমান।আবার,সবাই কোন না কোন খ্যাতিমানের ভক্ত।কেউ কেউ আবার অন্ধভক্ত।
.
মানুষের হৃদয় ভালোবাসা সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল।এটা স্বাভাবিকতা।ভক্তদের হৃদয় ভালোবাসা বহন করে বহুগুন।সম্প্রতি প্রিয় তারকা মাশরাফির জন্য মেহেদী হাসান নামের এক তরুনের স্টেডিয়ামে অবৈধ অনুপ্রবেশ একটি দৃষ্টান্ত।
.
খ্যাতিমানদের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে দেখাতে সেটা এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে কিছু অন্ধভক্তের কাছে নিজ পরিবার-প্রেম তখন একদমই তুচ্ছ হয়ে যায়।অথচ ওই ভক্তের পরিবারের জন্য পরে থাকে অনেক গুরু দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য।।
.
বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর এমনই অনেক অন্ধভক্ত ছিলেন।যারা প্রিয় নেতার জন্য সড়ক অবরোধ এবং সশস্ত্র পুলিশের সঙ্গে নিরস্ত্রতায় মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিলেন।হ্যাঁ,এটাকেই হয়তো অনেকে ভালোবাসা বলে থাকবেন।আর এই ভালোবাসা তিন মায়ের বুক শূন্যতার পেছনের প্রধান নেয়ামক।
.
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে হরতাল পালনে রাজপথে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন আজ তাদের অনেকেরই সূর্য ডুবে গেছে কবরে।অনেকে পঙ্গু,অসহায় এবং নানাভাবে পরিবারের বোঝা।যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের শূন্যতা এখনো খা খা করছে,সন্তানরা বাবা বলে ডাকতে পারছেন না,বাবার কোমল হাতের ছোঁয়া মিস করছেন।যারা পরিবারের বোঝা টেনে নিত,তারাই এখন পরিবারের বোঝা।
.
সবচেয়ে ভয়ানক দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ভক্তগণ।তার রায় ঘোষনার দুদিনে অন্তত দুশত ভক্ত গুলিবিদ্ধ পাখির মত তড়পাতে তড়পাতে মারা যান (না,মোটেও শহিদ হন নি)।অনেক পরিবার একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিদের হারিয়ে পথে বসে গেছেন,অনেকের জীবনযাপন চলে গেছে নিম্নশ্রেণীতে।সুশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক সন্তান।তারা পরিবারের ছোট শিশুটির কথা ভাবলেন না,অসুস্থ বৃদ্ধ বাবার কথাও ভাবেন নি।সদ্য বিয়ে করে নিয়ে আসা বউটার কথাও ভাবেন নি।
.
যারা পরিবারের কথা ভাবেন নি,তাদের এমন ভালোবাসা,এমন আত্মত্যাগ তিরস্কারযোগ্য।পরিবারের প্রতি দ্বায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকা মানুষই নন্দিত।।
©somewhere in net ltd.