![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের চেহারার কথা বললে আমাদের মনে পড়ে মানুষের দৃশ্যগত অবয়বের কথা। বিশেষত মানুষের মুখের গড়নের কথা। জগতে শত শত কোটি মানুষ, আর সব মানুষের মুখের গড়ন অন্য সবার মুখের গড়নের থেকে আলাদা। চেহারাগুলো এত বেশি আলাদা যে আমরা সবাইকে আলাদা আলাদা করে চিনতে পারি। কিন্তু মুখের গড়নই কি সব? আমরা কি কেবল মানুষের মুখের গড়নকেই গুরুত্ব দিই? আমরা জানি, কারও কারও সাথে কথা বলে আমরা লাভ করি অফুরান আনন্দ। আবার কারও কারও সঙ্গ আমাদের জন্য হয়ে ওঠে ভীতিকর- এমন মানুষদের আমরা এড়াতে চাই।
আবার অনেক সময় আমরা বলি, মানুষটা দেখতে কী সুন্দর অথচ মনটা? অথবা, মানুষটা দেখতে হয়ত অত ভালো নয় কিন্তু তার আচরণটা?¬¬¬ একেবারে মুগ্ধ করে। অর্থাৎ, আমরা মানুষেরা মনের চেহারাকেও গুরুত্ব দিই এবং যে মানুষের সাথে যত বেশী সময় কাটাই সেই বিশেষ মানুষটির মুখের গড়নের থেকে মনের গড়নই হয়ে ওঠে বেশি ও বিশেষ তাৎপর্যময়। কোন সঙ্গী বা সঙ্গীনীর গড়ন সুদর্শন হলে আমরা তাকে পছন্দই করব। চোখ হয়ত মুগ্ধ হলো শারীরিক সৌন্দর্য্যে কিন্তু মনোগত অসৌন্দর্য্যে মনটাই যায় বিষিয়ে। যেমন হয়েছিল এক কালের মার্কিন রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিঙ্কনের (১৮০৯-১৮৬৫) জীবনে। স্ত্রীর আচরণে মন তার এতটাই বিষিয়ে গিয়েছিল যে অফিস শেষে ক্লান্ত শরীরেও তিনি ঘরে না ফিরে পথে পথে হেঁটে ফিরতেন। বলতেন, ঘরে যাওযা মানে তো নরকে প্রবেশ করা! আবার একালের প্রতিভাবান রুশ গণিতবিদ গ্রিগরি পেরেলমান (এৎরমড়ৎু চবৎবষসধহ, জন্ম ১৯৬৬) নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। তার গানিতিক আবিষ্কার তার এক শিক্ষক ও কিছু বুদ্ধিবৃত্তিক মাস্তান হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি তার সময় ও সমাজের আচরণে এতটাই বেদনার্ত যে যেকোন সঙ্গ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান থেকে, এমনকি মানুষের থেকে দূরে থাকাটা শান্তির বলে মনে করেন।
আমাদের অনুভূত সত্যকে অনেক সময় আমরা উপেক্ষা করে যাই। সুন্দর চোখ নাক আর পোশাকের পিছু ধাওয়া করি আর বলি, মাইরি! কী সুন্দরই না দেখতে! কিন্তু আমরা ভাবলে দেখব যে একজন মানুষের সামাগ্রিক চেহারা হচ্ছে তার মুখের গড়ন, আচার আচরণ ও সবকিছুর এক সু-সমন্বয়। তা ডাল চাল আর আনাজ মিলিয়ে নিজের খুশী মতো রান্না করা কোন জগাখিচুড়ি নয়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৬
আবু সিদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নচারী গ্রানমা । পেরেলম্যানের পুরো ঘটনাটা জানলে সমাজের চেহারা কী জিনিস তা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। নিচের লিংকে পাবেন।
http://www.newyorker.com/magazine/2006/08/28/manifold-destiny
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০
স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
স্ত্রীর আচরণে মন তার এতটাই বিষিয়ে গিয়েছিল যে অফিস শেষে ক্লান্ত শরীরেও তিনি ঘরে না ফিরে পথে পথে হেঁটে ফিরতেন। বলতেন, ঘরে যাওযা মানে তো নরকে প্রবেশ করা!
এমন নরকে যেন কাউকে পরতে না হয় !
চেহারা নয়, মন/মননই হোক মানুষের আসল পরিচয় !
লেখাটি অনেক ভালো লাগলো, ভালো থাকুন সিদ ।