![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে হয় আর পারছি না.....কিন্তু পারতে যে হবেই....
ছোটবেলাটা যেখানে কেটেছে সেটা একটা সাধারন মধ্যবিত্ত এলাকা যেখানে পাশের বাড়ি থেকে এক কাপ লবন বা চিনি ধার করা ছিল খুবই সাধারন ব্যাপার। সবার মাঝেই ছিল মোটামুটি মাখামাখি রকম হৃদ্যতা। প্রত্যেক ফ্যামেলির ভাল-মন্দের সাথে জড়িয়ে যেত আশ-পাশের সবাই পরম মমতা নিয়ে। হয়তো পাশের বা সামনের বাসায় হঠাৎ রাতে মেহমান এসেছে কিন্তু ভাল কিছু রান্না নেই.....অনায়াসেই আশ-পাশের কোন বাসা থেকে তরকারি চেয়ে আনা যেত। খুব স্বাভাবিক একটি লোকাল সামাজিক মিতস্ক্রিয়া। জানিনা আজকাল আর এতটা আছে কিনা?
সামনের বাসার নানু'টার কথা মাঝে মাঝেই খুব মনে পড়ে। যিনি সন্ধ্যার পর প্রায়ই বাসায় এসে মা'র সাথে এটা-সেটা নিয়ে গুটুর গুটুর গল্প করতেন। দিনের বেলা অাবার এই নানুকেই দেখতাম ভেতরের উঠোনের মতো জায়গাটাতে মায়ের জন্য লাকড়ির চুলা বানিয়ে দিচ্ছে।
সম্ভবত যখন ক্লাস এইট-নাইনে পড়ি তখন থেকেই শুরু, প্রতিবছর একটা পিকনিকের আয়োজন করা হতো আমাদের রোড়ে/মহল্লায়। প্রতিটা বাড়ির বাচ্চা-কাচ্চাদেরই যেতে হতো। কোন ফ্যামিলির বাচ্চাদের যেতে দিতে না চাইলে সবাই মিলে মুরব্বীদের রাজি করাতাম। কারো যদি পয়সাকড়ির সমস্যা থাকতো তাহলে বাকিরা সবাই মিলে সেটা ম্যানেজ করতাম। মুল কথা হচ্ছে সবাইকে থাকতে হবে আনন্দ-বেদনায়।
ক'দিন আগে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সদলবলে ১৪০ জন সঙ্গীসাথী নিয়ে নিউইয়র্ক এ জাতিসংঘের সদর দফতরে গিয়েছিলেন অনেকটা পিকনিকের আমেজে। প্রত্রিকান্তে জানা যায় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে মোট ডেলিগেট গিয়েছিল ১২ জন এবং আমাদের এই ১৪০ জনের বহরটি ছিল বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মোট ডেলিগেট এর এক পঞ্চমাংশেরও বেশী। এছাড়া ২৮শে সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনে বেশ ঘটা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনও পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে থাকা মেহমানরা ছাড়াও এতে আমেরিকাস্থ আওয়ামিলীগের নেতা-কর্মী, বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রধানমন্ত্রীর আত্বীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবরাও উপস্থিত ছিলেন।
গত কিছুদিন ধরে এই ব্যাপারটা নিয়ে পত্র-পত্রিকা এবং অনলাইনের বিভিন্ন ফোরামে বেশ সমালোচনা চলছে।
এত্ত এত্ত সমালোচনা দেখে আমার ছোটবেলার সেই পিকনিকের কথাই মনে হচ্ছিল। আচ্ছা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উনার সাথে মাত্র কয়েকজনকে নিয়ে ক্যামনে যাবেন? আশ-পাশের অন্যান্যরা মন খারাপ করবে তো! আর প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশের সব্বাই যে স্বচ্ছল এমন তো না! এক্ষেত্রে আমরা সবাই মিলেই নাহয় খরচটা বহন করলাম.....কি এমন ...... (!) অশুদ্ধ হয় তাতে। উনি তো মাত্র ১৪০ জনই নিয়েছেন, প্রতিটা সংসদীয় এলাকা থেকে মাত্র একজন করে নিলেও তো ৩০০ জনের বেশী হওয়ার কথা! যত্তোসব সমালোচকের দল!
আমার বরং খারাপ লাগছে বিটিবি'র জন্য! জনগনের আমানত রাষ্ট্রীয় ভান্ডারের কথা ভেবে বিটিবি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি সম্প্রচার করেনি। এ ভারি অন্যায়!
বিটিবি'র উচিৎ ছিল যেভাবেই হোক অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা। এতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেহমানদের পাশাপাশি আমরা পোকা-মাকড় তুল্য (নাসিম/শামিম ওসমান দ্রষ্টব্য) আমজনতাও আনন্দে শরীক হতে পারতাম।।।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
ভাইটামিন বদি বলেছেন: আপনে মজা নেন আর আমি ডরে আছি!!!!
যদিও আমি প্রশংসা করছি.......তবুও লুকজনে বলতেছে প্রশংসা কইরা লেখলেও নাকি 'ধারা ৫২' তে ফালাইয়া 'অন্দর' কর্তে পারে!!!!
২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার বরং খারাপ লাগছে বিটিবি'র জন্য! জনগনের আমানত রাষ্ট্রীয় ভান্ডারের কথা ভেবে বিটিবি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি নিউইয়র্ক থেকে সরাসরি সম্প্রচার করেনি। এ ভারি অন্যায়!
চু চু চু..
দেখেনতো শুধু চামচামিউ করে গেল সময় মত, আসল কাজটিউ করতে পারল না!!!!
পুরা জাতি বঞ্চিত হল...
কয় জন আর ডিভি পায়- আম্রিকা দেখতে পারে- তিনার উসিলায় আম্রিকারও না না জায়গা ফ্রি দেখা যাইত
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২
ভাইটামিন বদি বলেছেন: আজকের পত্রিকায় দেক্লাম মুদি দোকানিও নাকি গেছিল আম্রিকা পিকনিক এ শরীক হইতে!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৬
আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: হেহেহে............... মজাক লুল