![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনে হয় আর পারছি না.....কিন্তু পারতে যে হবেই....
ভাষার ব্যাবহারের মারপ্যাচ বড় কঠিন জিনিস....এই ভাষার ব্যাবহারিক প্রয়োগেই কত সোজা জিনিসরে বাকা আর বাকা জিনিসরে সোজা দেখনো হয়। বিশেষ করে সাম্বাদিকরা আর আইনজীবিরা এই কাজে দারূন পারদর্শি।
বিলাতে আর যাই হোক আইনের শাসন (...আইনের শাসন কথাটার মানে অনেক ব্যাপক, লম্বা-চওড়া বিশ্লেষনে আপাতত যাচ্ছি না) ব্যাপারটা আছে। এখানে মাঝে মাঝেই পত্রিকায় হত্যাকান্ডের দায়ে অপরাধীকে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তি দেয়ার খবর দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অপরাধী 'মার্ডার' এর দায় অশ্বীকার করেছে কিন্তু তার দ্বারা 'ম্যান-স্লটারিং' (!) প্রমানিত হওয়ায় কম্পারেটিভলি লঘু শাস্তি দেয়া হয়েছে। প্রথম প্রথম ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই কনফিউজিং মনে হতো.....কিন্তু মামা ধীরে ধীরে সবই বুঝে আসিলো। । । ভাষার ব্যবহার মামা সবই ভাষার ব্যবহার। একই হত্যাকান্ড কিন্তু খুন নয়!!!
অনেকটা আমাদের এক বন্ধুর মতো। এই পোলা একটু কিপ্টা টাইপ দেখে তারে আমরা কিপ্টা বললে সে খুব মাইন্ড খাইতো!!! তার ভাষায় (...ভাষার ব্যাবহার!) সে কোনমতেই কিপ্টা নয়, কিছুটা সঞ্চয়ী এই আর কি!!!! কিপ্টার চাইতে সঞ্চয়ী শুনতে ভাল লাগে....।
সোজাসাপ্টা কথায় কিছু লোক (....কে বা কাহারা সেই নাম নাইবা নিলাম!) আমার দেশের ভান্ডার লুট করেছে আর এটাকে হ্যাকিং নাম দিয়ে বাঙালকে হাই কোর্ট দেখানো হচ্ছে। সরকার বা মিডিয়া পাবলিকরে কেন যে এত বেকুব ভাবে সেইটাই বুঝি না?? আকলওয়ালা মাত্রই বুঝতে পারে অতি উপরওয়ালার (!) প্রচ্ছন্ন সায় আর ভেতরের লোকজনের হাত ছাড়া কোনভাবেই একটা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এভাবে লুট (!) করা যায় না।।।।
এনিওয়ে আসুন আমরা ছাম্বাদিক ভাই বেরাদরদের কাছ থেকে হ্যাকিং এর উপ্রে আগামী কয়দিন বিস্তর গিয়ান লাভ করে দো-জাহানের অছেছ নেকী হাসিল করি আর 'হ্যাকিং' কিচ্ছার আডালে 'লুট' হওয়া আমার/আপনার টাকা আর 'লুটেরা'দের নাম নিশানা ভুলে যাই।।।
......বলে আগে বাডো বাঙাল।।।।
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৬
বিজন রয় বলেছেন: আমি বাঙাল তাতে বরং আমার গর্ব হয়।
++++
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
বাবু>বাবুয়া>বাবুই বলেছেন: ফেবু থেকে কপি/পেস্ট করলাম
প্রশ্ন ছোট, তাৎপর্য অনেক!
১৯৯৫'র ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৯৯'র জানুয়ারী পর্যন্ত আরব বাংলাদেশ ব্যাংকের ইলেক্ট্রনিক ডাটা প্রসেসিং ডিপার্টমেন্টে (EDPD) এসিস্টেন্ট প্রোগ্রামার ও প্রোগ্রামার হিসেবে চাকরী করেছি। ব্যাংকটা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অনলাইন ব্যাংকিং করতো। প্রথমে সার্ভার হিসেবে ব্যবহার করতো আইবিএম সিস্টেম-৩৪, তারপর সিস্টেম-৩৬ এবং আমরা কাজ করেছি এএস-৪০০ মিনি কম্পিউটারে। ব্যাংকিং সফটওয়ার ব্যবহার করতাম প্রথমে কিবস, পরে ইক্যুয়েশন।
বাংলাদেশের প্রথম অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেমে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং আরপিজি-২ ও আরপিজি-৪০০ এডভান্সড লেবেল ল্যাংগুয়েজে (কোবলে যে প্রোগ্রাম লিখতে আপনার ১০০ লাইন কোডিং করতে হবে, আরপিজি-৪০০ তে সেটার জন্য লাগবে বড়জোর ১০ লাইন।) প্রোগ্রামিং করার পর আমার একটা জ্ঞান হয়েছে- প্রোগ্রামারদের আর যে জ্ঞানই লাগুক না কেন 'ইংরেজি' এবং 'গনিত' বিষয়ে ব্যাপক জ্ঞান থাকতে হবে; নো ম্যাটার সে চাইনিজ বা ভুটানিজ।
আর প্রোগামারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রতিভাবানরা হয় 'হ্যাকার'রা।
কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন ব্যক্তি যদি দাবী করে থাকে হ্যাকার'রা "foundation" বানান জানতো না, তাইলে বুঝতে হবে ঐটা হ্যাকার ছিল না, ঐটা ছিল কোন বিশেষ কোটায় বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরী পাওয়া ছ্যাকার, যে কিনা আরো অনেক বড় কোন নেতার নির্দেশে কাজটি করেছিল।
এর প্রমান পাওয়া যায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধির কর্মকাণ্ড এবং বক্তব্যে। তারা ৫টা অনুমোদিত ফান্ড ট্রান্সফারের পর সেগুলোর কনফারমেশন ইন্সট্রুমেট পেয়েও চুপ ছিলেন কেন? কেন তারা ফিলিপাইনে মানি লন্ডারিং এর টাকা ধরা পরার আগ পর্যন্ত চুপ ছিলেন? তারা স্বীকার করেছেন, টাকা পাচারের ঘটনা অর্থমন্ত্রীকে না জানালেও তারচেয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন! এর মানে কী?
প্রথমত: ব্যাংকে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি- ১৯৯৯ সালে আমার থাকার সময়েই আরব বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি আন্তর্জাতিক মানের ছিল। সেখানে বাইরে থেকে সিস্টেম হ্যাক করা সম্ভব না। অন্যদিকে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভের সাইবার সিক্যুরিটি সিস্টেম পেন্টাগনের চেয়েও উন্নত। সেখানেও অনুমোদিত এক্সেস পয়েন্ট ছাড়া সুইফট-কোড এন্ট্রি করা সম্ভব না। এবার আসুন সুইফট প্রসঙ্গে। সুইফটের আঞ্চলিক অফিস ভারতে থাকুক আর গোপালগঞ্জেই থাকুক, তাদের সাইবার সিকিউরিটিও যথেষ্ট শক্ত। সবচেয়ে বড় কথা আপনি সুইফট-কোড জানলেও তো লাভ হচ্ছে না, আপনাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের টার্মিনালে বসেই ঐ পেমেন্ট অর্ডার পাঠাতে হবে।
কাজেই ফেডারেল রিজার্ভ যেটা দাবী করেছে, সেটাই সঠিক। এটা হ্যাকিং এর কোন ঘটনা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকে বসেই এই মানি লন্ডারিং এর ঘটনা ঘটানো হয়েছে; এর সাথে ফেডারেল রিজার্ভ বা সুইফট এর কোন সম্পর্ক নেই। আর ইংরেজি বানানের যে মান দেখলাম, তাতে আমি ১০০% নিশ্চিত যে, হ্যাকার তো দূরের কথা কোন শিক্ষানবীশ প্রোগ্রামারও এই ঘটনার সাথে জড়িত নয়।
এই মানি লন্ডারিং এর সাথে জড়িত বাংলাদেশ ব্যাংকেরই কোন কর্মকর্তা, যে বিশেষ কোটায় নিয়োগ পাবার কারণে ইংরেজিতে দুর্বল।
আমরা তো আবার গর্ব করার জাতি। আসুন, বিশ্বের প্রথম মানি লন্ডারার কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক যে স্বীকৃতি অর্জন করলো, সেটা সেলিব্রেট করি।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৭
ভাইটামিন বদি বলেছেন: প্রচুর হ্যাকিং হপে.....
হ্যাকিং নিয়া মেলা গ্যিয়ান বিতরন হইতাছে দেখা যায়.....
৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
রিফাত হোসেন বলেছেন: Click This Link --- প্রশ্নের উত্তর হুম বাহির থেকেও শেয়ার বাজার এর লেনদেন করতে পারবেন। তবে সব ব্রোকার হাউজ করে কিনা জানি না। কথা বলে নিবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৪
হোসেন আরিফ বলেছেন: আমার আর লিখার প্রয়োজন নেই। আমার মনের কথাই লিখেছেন। ধন্যবাদ।