নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী আমি ইসলামী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা লেখি করি

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী

লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট

আবু উবাইদাহ আল হিন্দী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিহাদের দাঈদের খেদমতে কিছু কথা পর্ব - ৫,৬

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪০

১৯. একটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, তা হলো: দাওয়াতের মধ্যে আমাদের শঃত্রু হিসেবে শুধু কু%ফু"রি শ|স"নব্যবস্থা ও তার নেতৃত্ব এবং সশস্ত্র বাহিনীকে বর্ণনা করা। তাদের বিরুদ্ধে জি@হা/দের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হবে। তেমনিভাবে সেক্যুলারিজমও আমাদের আসল প্রতিপক্ষ। আর যেই দ্বীনদার শ্রেণি আমাদের বিরোধিতা করে তারা আমাদের শঃত্রু নয়, তাদেরকে আমরা দাওয়াত দেব।
.
২০. দাওয়াতের মধ্যে জি@হা/দ দ্বারা আমাদের আসল উদ্দেশ্য ই’লায়ে কালেমাতুল্লাহ বর্ণনা করা। অর্থাৎ ব্যক্তিজীবন, সামাজিকজীবন, রাষ্ট্রীয়জীবনে শ*রি*য়ত বাস্তবায়ন করা। মাজলুমদের সাহায্য করা এবং ক|ফে"রদের হাত থেকে মুসলিমদের ভূমিগুলো উদ্ধার করাও জি@হা/দের উদ্দেশ্য। তবে এগুলো সব মূল উদ্দেশ্যের (দ্বীনের বিজয়) অধীন।
.
২১. ইসলামি অধিকৃত ভূমি, বিশেষ করে বাইতুল মাকদিস ও হারামাইনকে মুক্ত করার কথা বলতে থাকা। তেমনিভাবে ফিলিস্তিনের ওপর ইহুদিদের দখলদারিত্বে আমেরিকা ও আরব ত|গু'তদের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা বারবার স্পষ্ট করতে থাকা। এ কারণে আমেরিকার প্রতি শঃত্রুতা পোষণ ও সারা দুনিয়ার মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে হামলার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা। কাশ্মীর উম্মতে মুসলিমার তাজা যখম। কাশ্মীরের জি@হা/দেরও দাওয়াত দেয়া হবে এবং তাতে এজেন্সিগুলোর অধীনস্থতার থেকে বের হওয়া এবং শ;রী:য়তের মাকসাদের অনুগামী করার চেষ্টা করা। ইমারাতে ইসলামিয়া আ-ফ/গা/নি/স্তা-নের সাহায্য সহযোগিতার কথা বলা দাওয়াতের বুনিয়াদি বিষয়।
.
২২. দাওয়াতের মধ্যে জি@হা/দি অ|ন্দো;লনের শঃত্রু কমানো এবং বড় শঃত্রু (কু%ফু"রি শ|স"ন ব্যবস্থার লিডার ও রক্ষকদের) বিরুদ্ধে উম্মতকে এক করা।
.

২৩. পাকিস্তানে জি@হা/দের দাওয়াত শুধু দেশীয় ত|গু'তদের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ নয়। তাদের বিরুদ্ধেও হবে এবং এটা বর্তমানে জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শুধু তাদের বিরুদ্ধেই হবে না। প্রথমত তাদের বিরুদ্ধে করতে হবে, যাদের যুলম, কু%ফু"র এবং মুসলমানদের দুশমন হওয়ার ব্যাপারে মুসলমান জনসাধারণ সবাই একমত। শায়খ উসমা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ’র মতে যেই ক|ফে"রের কু%ফু"রি স্পষ্ট সাধারণ মুসলমান তাদের বিরুদ্ধে জি@হা/দের দাওয়াতকে সহজে কবুল করে। কিন্তু যদি কোন ক|ফে"র ইসলামের পোশাক পরে এবং ধোকা-জালিয়াতির মাধ্যমে কাজ করে তাহলে এই লোকের কু%ফু"রি আসল ক|ফে"র থেকেও ভয়ঙ্কর হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে জি@হা/দ করাকে অত সহজে মেনে নেয় না। আমেরিকা ও ভারত এমন ক|ফে"র রাষ্ট্রের মাঝে এমন যে, যাদের কু%ফু"র, যু-লু*ম, অ|গ্র|স&ন এবং মুসলমানদের শঃত্রু হওয়ার ব্যাপারে কোন সাধারণ মানুষেরও মতবিরোধ নেই। এই দুই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জি@হা/দ করা আসল উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত এবং খুবই জরুরি। সাথে সাথে এই জি@হা/দি অ|ন্দো;লনকে শক্তিশালি করা, আঞ্চলিকভাবে ব|তি"ল শ|স"নব্যবস্থাকে বোঝানো এবং তার বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে দাঁড় করানোর জন্যও জরুরি। আমেরিকা ও ভারতের বিরুদ্ধে জি@হা/দ স্থানীয় ত|গু'তদের নেফাকি প্রকাশ করে দেয়। এর মাধ্যমে তাদের দ্বীনের সাথে শঃত্রুতাও প্রকাশ পেয়ে যায়।
.
২৪. আমাদের সব কথা ও কাজ যেন জি@হা/দের সুউচ্চ উদ্দেশ্য ও দাবির বিশ্লেষণ করে হয়। দাওয়াতের মধ্যে এমন কোন কথা ও জি@হা/দের মধ্যে এমন কোন কাজ করা যাবে না, যার দ্বারা জনসাধারণের মনে আমাদের জি@হা/দের উদ্দেশ্য সম্পর্কে অস্পষ্টতা তৈরি হয় এবং সেই কথা ও কাজ না বোঝার কারণে ফেতনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু তাআলা আনহু বলেন: “…… লোকদের সামনে যদি এমন কথা বল যা তারা বোঝে না, তাহলে ঐ কথা তাদের জন্য ফেতনার (হক থেকে দূরে সরার) কারণ হতে পারে।”
এজন্য এমন কোন কথা যা সম্বোধিত ব্যক্তি বুঝবে না তা বলা উচিৎ নয়। তেমনিভাবে যে কাজ সাধারণ মানুষের মনে জি@হা/দের উদ্দেশ্যের বিপরীত ধারণার সৃষ্টি করে তা করা থেকে দূরে থাকা উচিৎ, যদিও তা সঠিক হয়।
.
২৫. কাজের যিম্মাদার আসলে দাওয়াত। দাওয়াত একদিকে জি@হা/দ ও মু-জ|/হি"দদের উপকার করে, তেমনিভাবে তা অপূরণীয় ক্ষ%তিও করতে পারে। যদি দাওয়াত মু-জ|/হি"দদের ইনসাফকারী হিসেবে পেশ করে, যেমন, তাদের জি@হা/দ ভালো উদ্দেশ্যে, তারা নিরপরাধ মানুষের র?ক্ত প্রবাহিত করে না। শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের শঃত্রুদের হত্যা করে। তাহলে জি@হা/দের সমর্থক বাড়বে। আর যদি দাওয়াত মু-জ|/হি"দদের ঘোষণাকৃত বিষয়ের বিপরীত দেখায় তাহলে তা ইসলামের শঃত্রুদের উপকার করে। কার্যক্রমের জিম্মাদারি নেয়া যেহেতু খুবই সংবেদনশীল ও খুবই দায়িত্বপূর্ণ কাজ, এজন্য দাওয়াতের দায়িত্ব যদি দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের হাতে না থাকে তাহলে এই একটি কাজই জি@হা/দের দাওয়াত নষ্ট হওয়ার কারণ হতে পারে।
.
২৬. দাওয়াত ও জি@হা/দের ক্ষেত্রে এমন বাক্য, দৃশ্যই দেখানো হবে, যা দাওয়াতের ক্ষেত্রে উপকারী প্রমাণিত হওয়াটা নিশ্চিত। যেক্ষেত্রে একটু সন্দেহ হবে, তা থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাকে যা সন্দেহে ফেলে তা তুমি ছেড়ে যে বিষয় (নিশ্চিতভাবে *রি*য়ত সম্মত হওয়ার কারণে) তোমাকে সন্দেহে ফেলেনা, সে বিষয় গ্রহণ কর।”
তাছাড়া এমন দাওয়াতের ক্ষেত্রে এমন কোন কথা বা দৃশ্য দেখানো যাবে না, যার দুই অর্থ হয়, আপনি তো ভালো অর্থ নিলেন কিন্তু অন্যরা খারাপ অর্থ নিল, আর এর দ্বারা প্রতিপক্ষ প্রোপাগান্ডার সুযোগ পেল। দাওয়াত ও জি@হা/দি মিডিয়ায় সাধারণত শুধু ওই অর্থ উদ্দেশ্য নেয়া হয়, যা সাধারণ মানুষ বোঝে। হতে পারে এটা আপনার বুঝের বিপরীত। এজন্য আপনার কথা দ্বারা মানুষ কি বার্তা পায় সেটাই হলো আসল। আর এটাকেই সঠিক ও উপকারী রাখার গুরুত্ব দিতে হবে। এর একটি উদাহরণ হলো গোয়েন্দা ও সৈন্যদের জবাই করার দৃশ্য, এমন ছবি প্রকাশ করার দ্বারা জি@হা/দি মিডিয়ার ক্ষ%তি হয় এবং মু-জ|/হি"দদেরকে নির্দয় প্রমাণকারীরা একটি সুযোগ পেয়ে যায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.