![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট
সুপ্রিয় ভাইয়েরা আমার!
আফসোসের কথা হচ্ছে এই যে – যখন দ্বীনের ধারক-বাহকরা ইসলামী আন্দোলন ও শরীয়াহ প্রতিষ্ঠা করার দাওয়াত দেন, তখন এই মুবারক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নিজেদের কর্মীদেরকে এবং সাধারণ জনগণকে লাঠি ও গুলির সামনাসামনি হওয়ার জন্য প্রস্তুত করেন। চাই তাদের এই মানযিল লাভ হোক বা না হোক। কিন্তু আজ তারা তো এই মানযিলের দাওয়াত প্রদান করার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয়ে গেছেন!
মোদ্দাকথা: যারা বাতিলদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল, কালের পরিক্রমায় তারাই আজ বাতিলদের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করার মত অবস্থায় পৌঁছে
হে পাকিস্তানের দ্বীনি ভাইয়েরা!
আজ একটি বাস্তবতা সূর্যের আলোর ন্যায় আমাদের সামনে প্রকাশমান। বাস্তবতাটা হচ্ছে – ইসলামকে বিজয়ীকরনের এই যুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ব্যর্থতা পূর্ণাঙ্গরূপে স্বীকার করে নিয়েছেন। ধর্মহীনদের বিজয় মনে-প্রাণে মেনে নিয়েছেন। বাতিলদের ক্রমাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে রেখেছেন। এই প্লাবনের মোকাবেলায় শান্তি ও সন্ধির স্রোতে ভাসছেন। আর এভাবে ভেসে ভেসে চলাকেই ভাল মনে করে নিচ্ছেন। আপনি এখন রাজনৈতিক নেতাদের কথা-বার্তা ও কর্মকান্ডে এক প্রকার নিরাশা দেখতে পাবেন। যা তাদের বাক-ভঙ্গি থেকে ঝড়ে পড়ছে! তাছাড়া আপনি তাদের মাঝে এক প্রকার চাটুকারিতা দেখতে পাবেন, যা তাদের কথা-বার্তাতে সুষ্পষ্টরূপে বিদ্যমান। যারা বাতিলকে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেছিল, আজ তারাই বাতিলদের তত্ত্বাবধানে জীবন-যাপন করছে। বাতিলকে সন্তুষ্ট করার এবং তাদের থেকে ফায়েদা হাসিল করার জন্য ভিক্ষা চাওয়ার মত দৃশ্যও দৃষ্টিগোচর হচ্ছে!
এই দেশে উদারবাদী, পুঁজিবাদী ও ধর্মহীন দলগুলোর প্রত্যেকেরই দিক নির্দিষ্ট করা আছে। তাদের দাবী-দাওয়া, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এবং চলার পথ সুষ্পষ্টরূপে তাদের সামনে বিদ্যমান আছে। আর তারা তা প্রকাশ্যভাবেই ঘোষণা করে থাকে এবং ক্রমান্বয়ে উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। কিন্তু কারো যদি দিক নির্দিষ্ট না থাকে, কেউ যদি স্বীয় লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও সঠিক রাস্তা থেকে বঞ্চিত থাকে; তাহলে তারা হলেন আমাদের দ্বীনদার রাজনৈতিক ভাইয়েরা। এ সকল পরিস্থিতির অনিবার্য পরিণতি হলো: আজ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাকসাদ খোয়া যাচ্ছে। জাতির দুনিয়া ও আখিরাত ধ্বংস হচ্ছে। অস্থিরতা, অশান্ত ভাব, উদ্দেশ্যহীনভাবে চলাফেরার মাত্রা বেড়ে চলেছে। এরফলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম পর্যন্ত জাহিলিয়্যাতের ও ধর্মহীনতার এই সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে সেখানে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হওয়ার পরিবর্তে সেই মহান সত্ত্বার অসন্তুষ্টি অবতীর্ণ হচ্ছে এবং পুরো জাতি গোনাহগারে পরিণত হচ্ছে।
পরিশেষে প্রিয় ভাইয়েরা আমার!
একটি সত্য বিষয় হচ্ছে -এই অন্ধকারাচ্ছন্নতার উপাদানগুলো বহিরাগত নয়, বরং অভ্যন্তরীণ। আর এটাই হচ্ছে লাঞ্ছনার ও পরাজয়ের মৌলিক কারণ। এই সকল বিষয়াবলীর উপর ভ্রুক্ষেপ করা ব্যতীত কোন একজন লোকের পক্ষে এক কদম সামনেও বাড়তে পারার কথা না!মুহতারাম ভাই ও বন্ধুগণ!
আমাদেরকে আজ বলতেই হবে যে, এ সকল পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার কারণগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে: দ্বীনের ধারক-বাহকদের এই গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে অংশগ্রহন। এখন কথা হচ্ছে – এই গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কী ধরণের অনিষ্ট আছে, যার কারণে দ্বীনের ধারক-বাহকরা তাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থেকে পর্যন্ত বঞ্চিত হচ্ছে? এ ব্যাপারে আগামী বৈঠকে আলোচনা করা হবে, ইনশা আল্লাহ।
وآخر دعوانا أنِ الحمدُ للهِ ربِ العالمين .والسلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه.
টিকা –
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও
©somewhere in net ltd.