![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট
بِسْمِ اللّہِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
الحمد لله رب العالمين. والصلوة والسلام على رسوله الكريم. أما بعد...
হামদ ও সালাতের পর-
পাকিস্তানে বসবাসরত আমার দ্বীন প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
প্রথম পর্বে আলোচনা করা হয়েছিল যে, বর্তমানে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে (পাকিস্তানে) আল্লাহর দ্বীন চূড়ান্ত সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া এখানকার ধর্মীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আমাদের দ্বীনি ভাইয়েরা ধর্মহীনতার বিরুদ্ধে বাঁধ হওয়ার পরিবর্তে স্বয়ং তারাই তার স্রোতে ভেসে চলেছেন এবং দ্বীনি রাজনৈতিক দলগুলো বাতিলদের বিজয় ও ক্ষমতায়নকে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, জেনে বা না জেনে গ্রহন করে নিয়েছেন। পাশাপাশি এ বিষয়টিও আরজ করেছিলাম যে, এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণগুলো বহিরাগত নয় বরং অভ্যন্তরীণ। বর্তমান পর্বে সেই কারণগুলোর মধ্য থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক কারণ ‘গণতন্ত্র’ নিয়ে আজ আপনাদের সামনে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ!
হায় আফসোস! গণতন্ত্রের অনিষ্টতা যদি শুধু এটাই হত যে, এর দ্বারা ইসলামের বিজয় অর্জন করা সম্ভব না, তাহলে এই বিষয় নিয়ে আমরা এত মাথা ঘামাতাম না। কিন্তু বিষয়টি এমন নয়! বরং বাস্তবতা হচ্ছে: গণতান্ত্রিক পন্থায় ইসলাম কখনোই বিজয় লাভ করতে পারবে না। আর এই বাস্তবতাকে কেবল কোন অন্ধ লোকের পক্ষেই অস্বীকার করা সম্ভব। পাকিস্তান, মিসর, আল-জাযায়ের, তুরস্ক, তিউনিসিয়া প্রভৃতি দেশগুলোই নয় বরং পুরো ইসলামী বিশ্ব এর বাস্তব সাক্ষী। তবে যে কথা বলা প্রয়োজন, অনুভূতি জাগানোর জন্য যে কথা বলা উচিত এবং যার জন্য আমরা আপনাদের নিকট হাত জোড় করে নিবেদন করি; তা হলো- আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা এই পথ(গণতন্ত্র)পরিহার করুন। কেননা, দ্বীনের ধারক-বাহকরা যখন এই পথে পা বাড়ান, তখন দ্বীনকে বিজয়ী করা তো অনেক পরের কথা, স্বয়ং তাদের দ্বীন শংকার মধ্যে পড়ে যায়। এই পথে চলার দ্বারা দ্বীনের উন্নতি সাধন করা তো অসম্ভব, কিন্তু এর দ্বারা স্বয়ং দ্বীনের ধারক-বাহকরা ধর্মহীনতা প্রচার-প্রসারের উল্লেখযোগ্য কারণ হিসাবে পরিগণিত হন। তাদের কারণে কাফিরদের শক্তি-সামর্থ বেড়ে যায় এবং অসৎ কর্মকান্ডের উন্নতি সাধিত হয়।
এই গণতান্ত্রিক রাজনীতির শয়তানী দিকটা হলো: শরয়ীভাবে পালনীয় আবশ্যকীয় আমল এবং দ্বীনি দায়িত্ব পালন করাটা তাদের(ধর্মীয় রাজনীতিবিদদের) জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। যা থেকে মুক্ত হতে পারার মধ্যেই দ্বীনের ধারক-বাহকরা তাদের রাজনৈতিক সফলতা দেখতে পায়!
আমার প্রিয় ভাইয়েরা!
বাতিলকে পরিহার করা, বাতিলকে বাতিল বলা এবং বাতিলদের বিরোধিতা করা সেইসাথে অসৎকাজকে প্রকাশ্যভাবে অসৎ বলা, যারা এই সমস্ত অসৎকাজের প্রচার-প্রসার করে,তাদের থেকে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া এবং তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো এসব কাজ সকল মুসলমানের উপর শরয়ীভাবে অপরিহার্য। পাশাপাশি তা সকল দ্বীনী জামা’আত প্রতিষ্ঠার প্রকৃত উদ্দেশ্যও বটে। কিন্তু আপনি নির্বাচনভিত্তিক রাজনীতির ফলাফল দেখুন। এর পুরো ইতিহাস সাক্ষী যে, গণতন্ত্র কল্যাণ বা অকল্যাণ, সত্য বা মিথ্যা, বন্ধুত্ব বা শক্রতার মাপকাঠি নয়। বরং গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বন্ধুত্ব ও শক্রতার মাপকাঠি ঠিক করে দেয় স্বার্থ। এ কারণেই দ্বীনের ধারক-বাহকরা যখন এই ময়দানে অবতীর্ণ হন, তখন জুলুম, নির্লজ্জতা, অসৎকাজ এবং কুফরী মতবাদের মত অনিষ্টতা প্রচার-প্রসারকারীদেরকে প্রতিহত করা তো পরের কথা, সেই অবস্থার প্রেক্ষিতে এ সকল ফ্যাসাদকে ফ্যাসাদ বলে আখ্যায়িত করাটাও তাদের আয়ত্বে থাকে না। বরং এই ফ্যাসাদগুলো রক্ষা করা যেহেতু তাদের রাজনীতির ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়, তাই তারা তাদের(অনিষ্টতা প্রচার-প্রসারকারীগণ)কে সন্তুষ্ট রাখা নিজেদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হিসাবে স্থির করে নেয়।
চলমান...
টিকা –
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও
©somewhere in net ltd.