![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট
প্রিয় ভাই ও বন্ধুগণ!
অতঃপর গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক কথা হচ্ছে: গণতন্ত্র পাশ্চাত্যের হোক বা প্রাচ্যের হোক, পাকিস্তানের হোক বা হিন্দুস্থানের হোক; তার মেরুদন্ড ও কেন্দ্র কিন্তু কখনো আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত-বন্দেগী করা নয়, নয় আল্লাহ তা‘আলার গোলামী করাও। বরং তা হচ্ছে: তাঁর পবিত্র সত্ত্বার গোলামীর স্থলে মানুষের গোলামী করা। এখানে সকল চেষ্টা-প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হয়ে থাকে প্রতাপশালী শ্রেনীর অভিলাষগুলো পূরণ করা। এক কথায় গণতন্ত্র হলো: لا إله إلا الإنسان অর্থাৎ ‘মানুষ ছাড়া কোন মাবুদ নাই’ এর বাস্তব নমুনা। কেননা, এখানে মানুষরূপী শয়তানদের অভিলাষ ও কামনার ইবাদত করা হয়। অথচ ইসলামের মূল মর্মবাণীই হচ্ছে: মানুষ সম্পূর্ণভাবে মহান আল্লাহ তা‘আলার সামনে ঝুঁকে যাবে, আত্মসমর্পন করবে। এই কালিমা لا إله إلا الله সেই সকল ইচ্ছা এবং সেই সকল অভিলাষ থেকে বিরত থাকার ওয়াদা, যা আল্লাহ সুবহানাহু তা‘আলার অপছন্দ।
.
মহান আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেছেন-
وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ.
“আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুযায়ী তাদের মাঝে বিচার নিষ্পত্তি কর। তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না(অর্থাৎ তাদের অভিলাষ এবং নাজায়েজ আকর্ষণের প্রতি ঝুঁকে যেও না)এবং তাদের সম্বন্ধে সতর্ক হও, যাতে আল্লাহ যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন, তারা তার কিছু হতে তোমাকে বিচ্যুত না করে।”(সূরা মায়েদা-৪৯)
.
মুহতারাম ভাইয়েরা আমার!
এটাই হচ্ছে ইসলামের আসলরূপ। এটাই হচ্ছে আল্লাহর দ্বীনের প্রকৃত স্বরূপ। যেখানে আল্লাহ তা‘য়ালার বিধানাবলীর ক্ষেত্রে অজ্ঞ লোক ও সংকীর্ণমনা মানুষদের নাজায়েজ অভিলাষের উপর উৎসর্গিত হওয়া যায় না বরং সকল অভিলাষ মানুষের খালিক-সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘য়ালার সেই পবিত্র দ্বীনের অনুগামী হয়ে থাকে; যে দ্বীন শুধুমাত্র প্রজ্ঞা ও উপকার দান করে থাকে। এ সকল আসমানী হিদায়াতের বিপরীতে গণতন্ত্র ঘোষণা করে থাকে যে, মানুষদের বিষয়াবলী তাদের মর্জি মোতাবেক পরিচালনা কর। তাদের সকল বৈধ-অবৈধ অভিলাষের অনুগামী হও এবং সর্বদা সতর্কতার সাথে খেয়াল রাখ যাতে তাদের কোন চাহিদার বিরোধিতা করা না হয়, যার কারণে তারা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়! বিষয়টা কেমন জানি এমন হয়ে গেল যে, আল্লাহ তা‘আলা অসন্তুষ্ট হলে হোক কিন্তু তারা(জনগণ) যাতে অসন্তুষ্ট না হয়!! (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)
প্রিয় ভাইয়েরা আমার!
আপনারা নির্বাচনে দেখেছেন যে, তার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও টার্গেট কি ছিল? সাধারণ জনগণকে অসৎকাজ থেকে বিরত রাখা কি তার উদ্দেশ্য ছিল? তাদেরকে সৎকাজের দিকে আহবান করা এবং সৎকাজের রক্ষনাবেক্ষনের নিমিত্তে উৎসর্গিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত করা কি উদ্দেশ্য ছিল? নাকি ভাল-মন্দ পার্থক্য করা ব্যতিরেকেই ভাল-মন্দ সকল ধরনের লোকদেরকে সন্তুষ্ট করা এবং তাদের সহযোগিতা হাসিল করার জন্যই এখানে সকল প্রয়াস ব্যয় করা হয়েছে?
.
.
চলমান...
টিকা –
.
.
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও
©somewhere in net ltd.