![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখক, দ্বায়ী, এক্টিভিস্ট
প্রিয় সূধীবৃন্দ!
সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকে এই নিয়ম চলে আসছে যে, বিপরীত শক্তির মোকাবিলা শক্তির দ্বারাই করতে হয়। মহান রাব্বুল আলামীনও তাঁর সৃষ্টজগত চালানোর জন্য এই নিয়মই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এই নিয়ম মুসলিম ও ক|ফি'র সকলের জন্যই প্রযোজ্য। তাছাড়া কু"ফু/রী বিশ্বে যেসব বড় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তারও মৌলিক কারণ হচ্ছে এটা। আর এটা কখনো সাধারণ চিন্তা-ভাবনা বা শান্তিপূর্ণ সং-গ্র|ম করার দ্বারা অর্জিত হয়নি। বরং চিন্তা-ভাবনা করার সাথে সাথে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়েছে, তখনিই গিয়ে সকল বাঁধা-বিপত্তি দূর হয়েছে এবং পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। ফান্সের বিপ্লবের দিকে একটু লক্ষ্য করুন! এটা হচ্ছে সেই বিপ্লব যার মাধ্যমে সেখানে গ-ণ/ত'ন্ত্র সিস্টেম প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিল। কিন্তু সেই গণতান্ত্রিক সিস্টেমও কি ভোটের গণনা দ্বারা আনা হয়েছিল? অহিংস নীতির কারণে কি এই পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল? না, কক্ষনো না। বরং চেপে বসা শ|স"কশ্রেণীর সাথে সংঘাতে যেতে হয়েছে, জীবন দিতে হয়েছে, তখন গিয়ে কোথাও কোন নতুন সিস্টেম প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পেরেছে। আমাদের আশে পাশে রাফেযী বিপ্লবের ইতিহাসও আপনাদের সামনে রয়েছে। সেখানেও ভোটের গণনা দ্বারা পুরোনো সিস্টেম রহিত হয়ে যায়নি, বরং তা শক্তিমত্তার বহির্প্রকাশ ছিল। পাশাপাশি তা একটি বিপ্লব ছিল, ফলশ্রুতিতে পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল।
.
যদি আমাদের পাকিস্তানী সিস্টেমটি অস্তিত্ব লাভ করে থাকে, তবে তা এখানে ১৯47 সালের ভোট গণনা করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আসল কথা হচ্ছে: ১৯৪৭ সালে সিস্টেম একটুও পাল্টায়নি বরং পূর্ব থেকে প্রতিষ্ঠিত সিস্টেমের মাঝে ক্ষমতার স্থানান্তর হয়েছে মাত্র। যার কারণে চেহারা পাল্টিয়েছে, কিন্তু সিস্টেম আগের সিস্টেম হিসাবেই অক্ষুন্ন রয়েছে। সেনাবাহিনী, শিক্ষাব্যবস্থা, রাজনীতি এবং সংবিধানসহ পুরো সিস্টেম ইংরেজদের সিস্টেম হিসাবেই অবশিষ্ট ছিল। নতুন সিস্টেম যদি ভারতবর্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে, তাহলে তা ইংরেজরা প্রতিষ্ঠা করেছে। ইংরেজরা জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভা-সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ উৎসগুলির দ্বারা নিজেদের সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করে নাই। বরং তারা শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে, বন্দুক ও বারুদ দ্বারা নিজেদের রাস্তার সকল বাঁধা-বিপত্তি দূর করেছে। তখন গিয়ে তারা কোন স্থানে কোন সিস্টেম আমাদের উপর চাপিয়ে দিতে পেরেছে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো: যুক্তি, ইতিহাস ও ইসলামসহ সকল কষ্টিপাথর দ্বারা একথা সম্পূর্ণরূপে ভুল প্রমাণিত হয়েছে যে, শক্তি ও ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কোন বাতিল সিস্টেম বিজয়ী হবে, অতঃপর তা গ-ণ/ত'ন্ত্র াতিক সং-গ্র|মের মাধ্যমে পরিবর্তন করে ফেলা হবে! এবং তদস্থলে তার সম্পূর্ণ বিপরীত-উল্টো আসমানের রবের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত ন্যায়-ইনসাফের উপর ভিত্তিকৃত ইসলামী সিস্টেম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে।
.
প্রিয় ভাইয়েরা আমার!
এমতাবস্থায় যদি আপনার কোন হিতাকাঙ্খী আপনাকে বাতিল সিস্টেমের পক্ষ থেকে চিহ্নিত রেখার উপর চলতে প্ররোচিত করে, গ-ণ/ত'ন্ত্র ের সাথেই সংশ্লিষ্ট হওয়ার ও তার প্রতি বিশ্বস্ত হওয়ার প্রতি প্ররোচিত করে; তাহলে আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে চাই যে, এমন হিতাকাঙ্খীরা এই বাতিল সিস্টেমের সম্মান ও বিজয়কে একটি স্বীকৃত বাস্তবতা হিসাবে মেনে নিয়েছে এবং আমাদের শংকা আছে যে, সম্ভবত তাদের অন্তরে ভালকাজের প্রচার এবং মন্দকাজের প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতিও অদ্যবধি বাকি নেই। যদি এই প্রতিশ্রুতি এবং অভিপ্রায় থাকত, তাহলে তার বাস্তবতা স্বীকার করে নিত এবং অন্তর্দৃষ্টি এবং পরিকল্পনা অনুসারে সঠিক পথ গ্রহন করে নিত।
.
সুপ্রিয় ভাইয়েরা আমার!
তো এখন কথা হলো: এর সমাধান কিসে? শ;রী:য়াহর উদ্দেশ্য কি এবং তার কর্ম প্রদ্ধতি কি হতে পারে? যার উপর আমল করার মাধ্যমে আমরা নিজেরাও বদদ্বীনি থেকে বাঁচতে পারব এবং আমাদের জাতিকেও শ;রী:য়াহর বরকতসমূহের দ্বারা ভরপুর করে দিতে পারব। এই বিষয়ের উপর আগামী পর্বে ও শেষ পর্বে আলোচনা করা হবে, ইনশা আল্লাহ।
وآخر دعوانا أنِ الحمدُ للهِ ربِ العالمين .والسلامُ عليكم ورحمةُ اللهِ وبركاتُه.
.
.
টিকা –
.
.
ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সমীপে দরদমাখা আহবান
তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও
©somewhere in net ltd.