![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ। আর এই পৃথিবীতে আমি শুধু একজন মানুষ হয়েই বেঁচে থাকতে চাই। আর মানুষকে ভালোবেসেই জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই। আর আমি মনে করি: মানুষকে ভালোবাসাটাই এই দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় কাজ আর সবচেয়ে বড় পুণ্য। আর তাই, আমার কায়মনোবাক্যে একমাত্র প্রার্থনা: হে আমার প্রভু, আমাকে শুধু মানুষকে ভালোবাসার শক্তি দিন।
কেউ-একজন নাস্তিক হলে আপনাদের এতো ভয় কীসের?
আচার্যবাঙ্গালী
আপনি নাস্তিক?
না-না, আপনাকে আমি সরাসরি নাস্তিক ভাবছি না।
আর এটি আমি ভাবতেও পারি না।
আপনি আস্তিক।
আর আমি নিজেও একজন আস্তিক। মহান ঈশ্বরে বিশ্বাসী মানুষ।
আমাদের মাঝে কেউ-কেউ নাস্তিক হতেও পারে। তাই বলে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের জিহাদ-ঘোষণা করতে হবে? এর কোনো মানে নাই। কেউ-একজন যদি নিজের ইচ্ছায় নাস্তিক হয়, তাতে মহান ঈশ্বরের এমন কোনো ক্ষতি হবে না। আর মহান ঈশ্বরের কাছে তা ধর্তব্যের বিষয়ও নয়। মহান সৃষ্টিকর্তার সাম্রাজ্য বিশাল। আর তা সমাজের দুই-চারজন চেনা-অচেনা নাস্তিকের কারণে ভেঙ্গেও পড়বে না, আবার টলেও যাবে না। তাহলে, আপনি কে মহান ঈশ্বরের নামে কথিত-নাস্তিক নিধন করার? আর কে আপনাকে এই অধিকার দিয়েছে?
কেউ যদি নাস্তিক হয়ে মহান আল্লাহ ও তাঁর পবিত্র রাসুলের বিরুদ্ধে কিছু লিখে থাকে, তাহলে, তাকে হত্যা করার কোনো প্রয়োজন নাই। তার এই বিকৃত-রুচির জবাব দিতে হবে মেধা ও মননের সাহায্যে। যুক্তি দিয়ে দুনিয়ার সব নাস্তিককে জব্দ করতে হবে। কিন্তু এদের হত্যা কোনো সমাধান তো নয়ই, বরং এটি বেআইনি, অমানবিক ও ইসলামবিরোধী অপকর্ম।
আমাদের পবিত্র রাসুলের যুগে মক্কার শীর্ষস্থানীয় কাফের আবু জেহেল মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে নিয়ে সদাসর্বদা প্রকাশ্যে হাসি-ঠাট্টা করতো। আল্লাহর রাসুল সা. কিন্তু এই আবু জেহেলকে হত্যার আদেশ দেননি। তার নানারকম হাসি-ঠাট্টা-বিদ্রুপের জবাব দিতেন তিনি ধৈর্য ও যুক্তি দিয়ে। কাজেই, কেউ যদি পবিত্র রাসুলের উম্মত হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, তাহলে, তাকে সহিংসতা ও জঙ্গীবাদী চিন্তাচেতনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কোনো নাস্তিক যেকোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা-দায়ের করতে হবে। তারপর তাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে। আইন ও যুক্তি দিয়ে তাকে পরাস্ত করতে হবে। এদের হত্যা করাটা কোনো সমাধান নয়। আর এটি ইসলামীবিধানও নয়। এটি কারও মনগড়া ফিতনাফাসাদ। আর কারও মনগড়া ফিতনাফাসাদ কখনও ইসলামের কোনোকিছু হবে না।
আপনার যদি মহান ঈশ্বরে অবিচল আস্থা থাকে, মহান ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকে, তাহলে, আপনার এতো বিচলিত হওয়ার কী আছে? আপনি একজন নাস্তিককে এতো ভয় পাচ্ছেন কেন? মাত্র গুটিকতক নাস্তিকের লেখনিতেই ইসলাম ধরাশায়ী হবে? না, তা হতে পারে না। আপনারা যারা ইসলামের কথিত-হিতাকাঙ্ক্ষী সেজে নাস্তিকতার ধুয়া তুলে একের-পর-এক ব্লগারহত্যায় মেতে উঠেছেন তারা কারা? আর কি-ই-বা আপনাদের পরিচয়?
রাষ্ট্রীয় আইন মানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। দেশের মুসলমান রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে মানাও ফরজ। নিজের মনগড়া-ব্যাখ্যা থেকে বেরিয়ে আসুন। আর প্রকৃত-ধার্মিক হয়ে এই পৃথিবীতে বিচরণ করুন। তাহলে, বুঝবো আপনি একজন মুসলমান। আর তা-না-হলে আপনি মানুষহত্যা করে কখনও নিজেকে মুসলমান দাবি করতে পারবেন না। আপনি ইসলামের কেউ নন। আর পবিত্র ইসলামধর্ম আপনাদের চেনে না।
আচার্যবাঙ্গালী
ঢাকা।
১৭/০৪/২০১৬
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৭
আচার্য বাঙালি বলেছেন: সুন্দর বলেছেন, দাদা। অনেক সুন্দর কথা। এদের বিরুদ্ধে আমাদের আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ শুরু করতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো অফুরন্ত শুভেচ্ছা।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬
সুশীল দত্ত বলেছেন: প্রথমেই দালালি দিয়ে শুরু করলেন
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫০
আচার্য বাঙালি বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন দাদা। আপনার ধারণা একেবারে অসত্য। অসুরদের মোকাবেলা করতে হলে কৌশলের আশ্রয়গ্রহণ করতে হয়। ভুল বুঝবেন না।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: যারা ইসলামকে মানেন তাদের যেমন ইসলামকে মানার অধিকার আছে, তেমনি যারা তাকে মানেন না, তার মধ্যে সমস্যা দেখেন তাদেরও পূর্ণ অধিকার আছে তাকে সমালোচনা করার। আপনার দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ থেকে এখন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এ গেছে, কিন্তু আমার দেশ ভারত এখনো ধর্ম নিরপেক্ষ আর আশা করি বিজেপি আর এস এস শত চেষ্টাতেও তাকে হিন্দু রাষ্ট তে পরিণত করতে পারবে না। পৃথিবীর বহু দেশই ধর্ম নিরপেক্ষ এবং সেখানে ধর্মের খোলাখুলি সমালোচনা করা আইন বিরুদ্ধ নয়। বাংলাদেশ বা অন্যান্য ইসলামিক দেশে ইসলামের সমালোচনা বৈধ না হতে পারে, কিন্তু নানা জায়গাতেই তার কোনও আইনগত বাধা নেই। পৃথিবীর সব কিছুই সমালোচনার আওতায় আসতে পারে - মার্কসবাদ থেকে বৌদ্ধধর্ম, খ্রীষ্টধর্ম ইত্যাদি। কিন্তু হিন্দুধর্ম আর ইসলামের সমালোচনা হলেই গেল গেল রব ওঠে। যেন এদের সমালোচনার কোনও জায়গা নেই। আজকের পৃথিবীতে প্রাচীন বিভিন্ন প্রথা মতাদর্শের যুক্তিসিদ্ধ সমালোচনা অত্যন্ত স্বাভাবিক, পাল্টা যুক্তি আসাও অত্যন্ত স্বাভাবিক। আমি দেখি না নিরীশ্বরবাদীরা ধর্ম পালনের অপরাধে কাউকে খুন করছেন। কিন্তু ধর্মের স্বনিযুক্ত রক্ষকেরা নিরীশ্বরবাদীদের হত্যা করে থাকেন এবং নিজেদের মানকে বুঝিয়ে দেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪
আচার্য বাঙালি বলেছেন: আমি নিজেও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদে বিশ্বাসী। আমাদের রাষ্ট্রেও ধর্মনিরপেক্ষাতাবাদ আছে। কিন্তু তা এখন রাষ্ট্রধর্মের কারণে ম্লান হয়ে গেছে।
আমি সবসময় মানুষহত্যার বিরুদ্ধে। আর সে যে-ধর্মেরই মানুষ হোক না কেন।
আর কেউ ধর্মের সমালোচনা করলেই তাকে হত্যা করতে হবে---এটি পশুদের ধারণা। আর এই ধারণা থেকে সবাইকে বের করে আনতে হবে। আর তা না পারলে এদের প্রতিরোধ করতে হব।
আপনার সুন্দর-সাবলীল মন্তব্যের জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:০৪
সুশীল দত্ত বলেছেন: আপনি কি বুঝতে পারছেন আপনার লেখায় একটি ধর্মকে কটাক্ষ করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।মানুষকে সৃষ্টি কর্তার প্রতি বিশ্বাসি করতে চেষ্টা করুন। কারন বিশ্বাসেই মুক্তির পথ মেলে।সৃষ্টি কর্তার প্রতি অবিশ্বাসিদের থাকে শুধু এক বুক হতাশা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৬
আচার্য বাঙালি বলেছেন: আপনি আবারও আমাকে ভুল বুঝলেন। আমি পৃথিবীর সব ধর্মের মানুষকে শ্রদ্ধার চোখে দেখি। আর আমি কোনো ধর্মকে কটাক্ষ করতে পারি না। এই অধিকার আমার নেই।
আপনি আমার ব্লগে ঢুকে দেখুন। আরও একটি লেখা আছে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৮
স্টিভ অস্টিন বলেছেন: being atheist is not problem, being an ass is the problem; which was the case of all celebrity(!) migrated atheists of this blog. they used slang on religions just to irritate peoples.
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৯
আচার্য বাঙালি বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। সত্যিকারের নাস্তিক কারও মাথাব্যথার কারণ নয়। কিছু ভূঁইফোঁড়ের জন্যই এখন সমস্যা হচ্ছে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: আপনার লেখার প্রেরণাটি ভালই ছিল। কিন্তু এক জাগায় লিখেছেন, "কোনো নাস্তিক যেকোনো ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লিখলে তার বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা-দায়ের করতে হবে। তারপর তাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে হবে" - এটিই বা কেমন কথা হলো? আপনি বলতে চাচ্ছেন ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু লেখাটাই অপরাধ? তাহলে মতামতের স্বাধীনতা কোথায় যায়?
আরও লিখেছেন, "রাষ্ট্রীয় আইন মানা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। দেশের মুসলমান রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীকে মানাও ফরজ। " অগণতান্ত্রিক, অন্যায়, স্বৈরাচারী আইন মানাও ফরজ? প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ জবরদখল করে রাখলে তাকেও মানা ফরজ? ইসলামের বিধান? বুঝে বলছেন তো?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
আচার্য বাঙালি বলেছেন: ভাই, মামলাপ্রক্রিয়া তো ভালো। এর মধ্যে সত্য আছে। একজন মানুষ আইনিলড়াই চালিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে পারবে।
আর আমি মনে করি: ধর্মের বিরুদ্ধে না লিখে আমাদের ভণ্ডের বিরুদ্ধে লিখতে হবে।
আমি ব্যক্তিস্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু ব্যক্তিস্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
নতুন বলেছেন: সব দলেই কিছু এক্সটেমিস্ট থাকে...
যেমন যারা ধমে` বিশ্বাস করেনা তারা যুক্তি দিয়ে আলোচনা করতে পারে.... কিন্তু কিছু আছে যারা ধম` বিদ্বেষী...
তেমনি কিছু ধমে` বিশ্বাসীরাও যক্তি দিয়ে আলোচনা না করে বোমা মার বা চাপাতি তুলে নেয়...
দুটোকেই আমি সমান মনে করি। .... দুটোই অজ্ঞতার ফল...
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
আচার্য বাঙালি বলেছেন: আসলে, যারা সত্যিকারের নাস্তিক তারা কখনও কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করে না।
সামাজিক ও রাষ্ট্রিক শান্তিশৃঙ্খলার জন্য পরমতসহিষ্ণুতার বড় প্রয়োজন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৩
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: সেই তো
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: নিরীশ্বরবাদকে যেভাবে শুধু মতাদর্শগতভাবে আক্রমণ করার বাইরে শারীরিকভাবে খুন করার রাস্তায় নিয়ে গেছে জঙ্গীরা, তা তারা ইসলামিক জঙ্গী বা আর এস এস যাই হোক না কেন, তালিবান বা মুজাহিদিন যে নামেই পরিচিত হোক না কেন, পাকিস্থান আফগানিস্থান ভারত বাংলাদেশ যেখানেই থাকুক না কেন - এদের বিরুদ্ধে পাল্টা সশস্ত্র অভিযান গড়ে তুলতে হবে। দেখা যাচ্ছে শুধু মতাদর্শগত লড়াইয়ে এরা ভয় পাচ্ছে না। বাংলাদেশের এরা তো আত্মঘাতী জঙ্গিও নয়, লুকিয়ে এসে মেরে যাচ্ছে। এদের দেখা মাত্র নিকেশ করে ফেলার জন্য এলাকায় এলাকায় আর্মি তৈরি করতে হবে। সরকার অবশ্য জঙ্গীদের গোপনে মদত দেয় আর এই আর্মিকে পেলেই ধরবে আইন ভাঙার দায়ে। তাই গোটাটাই করতে হবে গেরিলা কায়দায়। কমিউনিস্টরা চিনে বা ভিয়েতনামে যেভাবে গেরিলা যুদ্ধ করেছিল, সেভাবেই মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে হবে।