নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শীতকাল কবে আসবে সুর্পণা আমি তিন মাস ঘুমিয়ে থাকবো\"

অভিনন্দন দাস

অভিনন্দন দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে কর্মসংস্থানে কোন বৃদ্ধি নেই কেন ?

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:২৫

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার আগাম ঘোষণায় ২০১৮-১৯ এ ভারতের আর্থিক উন্নতির হার ৭.৪ % শতাংশ। তাই, দেশে কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি হওয়াটা আপেক্ষিক দৃষ্টিতে একটি ন্যায্য দাবী।

বিগত বছরে সংঘটিত ক্ষেত্রে ক্ষেত্রগুলিতে নিয়োগ হলেও, অসংগঠিত ক্ষেত্রগুলিতে কোনরকম কর্মসংস্থান বৃদ্ধি দেখা যায়নি (ভারতের বেশিরভাগ মানুষই এই দ্বিতীয় ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত)।

এখানে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি দুই কারণে হয়ে থাকে :

(এক) প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগ আসলে।

(দুই) দেশের অর্থনৈতির পরিকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটলে।

প্রথমটি ঘটলে নতুন শিল্পের সৃষ্টি হয় এবং পুরনো শিল্প গুলিতে জোয়ার আসে। ফলে নিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
বিগত বছরে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ঘটেছে অর্থনৈতিক পরিচালন ব্যবস্থার নানা সংস্কারমুখী প্রকল্প প্রয়োগের ফলে। তাই,ভারতে আর্থিক ভাবে সচ্ছল থাকলেও কর্মসংস্থানে ভাটা থেকেছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়; যদি ২০০৪-০৫ এবং ২০০৯-১০ আর্থিক বছরের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখা যাবে, 'তথ্যপ্রযুক্তি' ও 'পুঁজি' ক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণে কর্মসংস্থানের জায়গা তৈরি হয়েছিল কেবল বিদেশি বিনিয়োগ আসার ফলেই। বিগত বছর এই দুটি ক্ষেত্রেই পুর্নবীকরণ এর মধ্য দিয়ে গেছে। দেশের তথ্য-প্রযুক্তিতি শিল্পে এখন নতুন নীতির প্রয়োগ হচ্ছে। অপরদিকে ব্যাংকিং ব্যবস্থার আইনগত ও পরিকাঠামোগত পরিবর্তন চলছে।

ভারতের বহিরাগত সেক্টরে বৃদ্ধি যথেষ্ট বেড়েছে এবং তা বাকি বিশ্বের সাথে সংহতিপুর্ণ ভাবে। জিডিপির শতকরা হার হিসাবে পণ্য ও পরিষেবাদিতে ভারতের বাণিজ্য বেড়েছে জিডিপির ৪২% শতাংশ। অতএব, বিশ্বে কী ঘটছে তা ভারতের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করেছে। উদারনীতিকরণের পর ভারতের পেমেন্ট পরিস্থিতি ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে। তবে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ২০১৮-এ দেখা যায় কিছু দুর্বলতা, যখন খনিজ তেলের দাম বেড়ে যায় তখন রুপির মূল্য হঠাৎ হ্রাস পায়। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের হস্তক্ষেপ এবং খনিজ তেলের মূল্যের পরবর্তী পতন রুপির মূল্য পুনরুদ্ধার করেছে। এপ্রিল-নভেম্বর ২০১৮-এ ভারতের পণ্য রপ্তানি ১১.৬% শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যাইহোক, আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে রপ্তানি বৃদ্ধির হার ছিল ৫.২% (২০১৬-১৭) এবং ৯.৮% (২৯১৭-১৮)। রপ্তানি ব্যবস্থায় দৃঢ় বৃদ্ধি অবশ্যই এই সমস্যা সমাধানের একটি কার্যকর স্তর হবে।

বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধ এখন তীব্র, ভারতের ভবিষ্যত এখন অনেক অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে। রপ্তানি প্রসারের পাশাপাশি আমাদের কিছু বড়ো আমদানিও থাকতে হবে। বর্তমানে চীন ক্রমশ রসায়ন শিল্প থেকে সরে আসছে। তাই ভারতীয় পুঁজি বিশেষজ্ঞদের মতে - ভারতের প্রথম শিল্প নীতি হওয়া উচিৎ এই সুযোগ'টিকে কাজেলাগনো।

তথ্য সূত্র :

https://en.m.wikipedia.org/wiki/Economy_of_India


https://en.wikipedia.org/wiki/Pollution_in_China

https://m.youtube.com/watch?v=3JsZ6FLGPwE

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৩০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো ভাবনা।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের সাথে ভারতের অনেক মিল ।
ওরা খুব দূর্নীতি করে আমরাও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.