![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
" আমাদের মতো প্রতিভাহীন লোক ঘরে বসিয়া নানারূপ কল্পনা করে, অবশেষে কার্যক্ষেত্রে নামিয়া ঘাড়ে লাঙল বহিয়া পশ্চাৎ হইতে ল্যাজমলা খাইয়া নতশিরে সহিষ্ণুভাবে প্রাত্যহিক মাটি-ভাঙার কাজ করিয়া সন্ধ্যাবেলায় এক-পেট জাবনা খাইতে পাইলেই সন্তুষ্ট থাকে......."
এই পোস্টটি মূলত ঢাবিয়ানের পোস্ট "বিএনপি - জুলাই বিপ্লবের বিশ্বাসঘাতক" এবং জুল ভার্নের পোস্ট "আব তেরা ক্যায়া হোগা কালিয়া!"-এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেখা।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংস্কারের দাবির বিষয়ে বিভিন্ন মতামত দেখা যাচ্ছে। আগস্ট-পরবর্তী সময়ে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে যেভাবে একটি সংস্কারমুখী প্রশাসনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, তা এখন অনেকের কাছেই এক ধরনের দুরাশা বলে মনে হচ্ছে।
এই সরকারের তিনটি মূল দায়িত্বের মধ্যে প্রথম দুটি "সংস্কার" ও "নির্বাচন" নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ প্রবল বলেই প্রতীয়মান। তবে, ফ্যাসিস্ট এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচারের প্রশ্নে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হওয়া সম্ভব বলে আমি মনে করি। অন্য কিছু না হলেও, এই গণহত্যাকারী ও লুটেরা দলটিকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারলে, ড. ইউনূস একটি বড় কাজ করবেন বলে আমি মনে করি।
অনেকের মতো আমিও মনে প্রাণে চাই, ড. ইউনূস আরও কিছুদিন ক্ষমতায় থাকুন এবং গণহত্যাকারীদের বিচারের পাশাপাশি কিছু মৌলিক ও কাঙ্ক্ষিত সংস্কার যেমন প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিবিরোধী কাঠামোর অগ্রগতি, সুনিশ্চিত করুন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তাঁর ক্ষমতার ভারসাম্য এখন আর ততটা স্থিতিশীল মনে হচ্ছে না। আমার ধারণা, এর একটি বড় কারণ হলো, তাঁর ক্ষমতার ভিত্তি জনগণের ওপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরিবর্তে হয়ে গেছে ছাত্র রাজনীতির কিছু অংশ এবং তথাকথিত "শত্রুর শত্রু", অর্থাৎ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ জামায়াতের উপর।
প্রথমদিকে তিনি যখন এই শক্তিকে গ্রহণ করেছিলেন, তা কিছুটা সময়ের জন্য কার্যকর মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে, ছাত্রদের মধ্যে কিছুটা অতি-ডানপন্থি, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, তথাকথিত "তৌহিদি জনতা" ও মৌলবাদী আচরণ, নেতৃত্বের অভাব এবং তাদের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা এই সরকারের গতি-প্রতিবন্ধকতায় পরিণত হয়েছে। একটি কার্যকর পরিবর্তনের জন্য যে জনগণের প্রতিধ্বনি দরকার ছিল, সেই ভিত্তি যথেষ্টভাবে তৈরি হয়নি। এর ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল উদ্দেশ্য যেমন ঝুঁকির মুখে পড়েছে, তেমনি ড. ইউনূসকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্কও বেড়েছে।
ড. ইউনূসের উচিত ছিল এই বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে বিশ্লেষণ করে তাঁর রাজনৈতিক ভিত্তি মজবুত করা। শুধুমাত্র ছাত্রশক্তি বা সুযোগসন্ধানী উপদেষ্টাদের উপর নির্ভর না করে, জনগণের বাস্তব অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে একটি দীর্ঘমেয়াদী সংস্কারমূলক নীতি গ্রহণ করলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।
বিএনপিকে এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ দায়ী করার সঙ্গে আমি একমত নই। বাস্তবতা হলো, বিএনপি স্পষ্ট কোনো আদর্শিক দল না হলেও, তৃণমূল পর্যায়ে তাদের জনপ্রিয়তাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে প্রবল।
বরং জামাত এবং তথাকথিত কিংস পার্টির সমন্বিত তৎপরতা সরকারের ক্ষমতার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে। ইলিয়াস এবং পিনাকি গং-এর মতো ব্যক্তিরা বিদেশি অর্থায়ন ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তাদের সীমাহীন মিথ্যাকথা দিয়ে মাঠপর্যায়ে যেভাবে হস্তক্ষেপ করছে, এবং ফেসবুককেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীকে যেভাবে প্রভাবিত করেছে, তা ক্রমেই উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
আমার অভিমত হলো, যদিও বিএনপির ভেতরে অনেক ‘বর্জ্য’ রয়েছে, যেমন মির্জা আব্বাসের মতো পঁচা-খচা নেতারা, যাদের অতীত কার্যকলাপ জনগণের পক্ষে ভুলে যাওয়া কঠিন, তবুও এই মুহূর্তে বিএনপিই তুলনামূলকভাবে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মুখপাত্র। আওয়ামী বিরোধিতার মূখ্যধারায় জামায়াত নয়, বিএনপিরই থাকা উচিত; এবং বিএনপির উচিত এখন মাঠের শক্তির পরিবর্তে তাদের আদর্শকে জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করা।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৮:২৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: ঠিক আছে। বুঝলাম এরা সবাই আমেরিকান দুতাবাস ও বাংলাদেশের মিলিটারীর নিয়োগ। তারপর, আপনার ভবিষ্যতবানী অনুযায়ী একদিন সবাই পালিয়ে যাবে।
ওনারা পালিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষ করি, তারপর এই বিষয়ে আপনার সাথে কথা বললো কেমন?
২| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০০
ফেনিক্স বলেছেন:
ওরা পালাবে, নাকি অন্য কিছু ঘটবে, সেটা আমার কাছে এখনো পরিস্কার নয়; এখন দেশ দুতাবাস ও মিলিটারীর হাতে; ক্যু;এর পর,মানুষকে শান্ত করার জন্য কিছু পরিচিত জোকারদের দিয়ে একটি প্রহসন সরকার করেছে; জিয়া ও এরশাদের সময় আমেরিকা দেশকে জেনারেলদের হাতে তুলে দিয়েছে; এবার সেই রকম কোন জেনারেল তারা পায়নি; তাই তারা আন্তর্জাতিক শঠ, ও ক্যু'এর স্পনসর ড: ইুনুসকে সেখানে বসায়েছে।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনি এই একই কথা গত ৮-৯ মাস ধরে বলে আসছেন। এগুলো খুবই নিম্নমানের, নির্বোধদের ফিতা-আটকানো কথাবার্তা।
নতুন কিছু বলুন।
৩| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ ভালো নেই।
সেটা কি আপনি জানে? বুঝেন?
কেন দেশ ভালো নেই? তার কারন ইউনুস। তিনি অযোগ্য।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার উপলব্ধি সঠিক। তবে আপনার বিচিত্র ব্যাখ্যাগুলো সঠিক নয়। আর এই ব্যাখ্যাগুলো ঠিক আপনার নিজেরও নয়।
৪| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৩৫
ফেনিক্স বলেছেন:
ঢাকার আমেরিকান দুতাবাস ক্যু করায়েছে বাইডেনের সময়; ট্রাম্প এখনো বাংলাদেশ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না; ক্যু'এর সাথে যুক্ত কুটনীতিবিদরা চেষ্টা করছে দেশেকে কোনভাবে বাংগালীদের হাতে ছেড়ে দিতে। ট্রাম্প বাংলাদেশের মতো অপ্রয়োজনীয় দেশ নিয়ে ইয়ো ই্য়ো খেলা পছন্দ না'করারই কথা।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: ট্রাম্পের সাথে আপনার মেজাজ, ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধির বেশ মিল আছে। আপনারা দুজনই নির্বোধ।
৫| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পদত্যাগ চেয়েছে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুরের কিন্তু প্রধান উপদেষ্টার কেন গায়ে লাগলো? ছাত্র উপদেষ্টা দুইটা এনসিপির নেতা। সরকার দলীয় হয়ে গেছে।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার কাছে এর ব্যাখ্যাটা কি? এই উপদেষ্টা খলিল নাকি পিনাকীর উস্তাদ। সত্যি না কী? এটা হলে তো ভয়ের কথা!
৬| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
অল্প বিদ্যা ভয়ংকর বলেছেন: এনসিপি, জামায়াত , বিভিন্ন কথিত ইসলামি দলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে , বাইরে থেকে ইলিয়াস -পিনাকীর দাদা গিরি , প্রতিদিন বিভিন্ন দাবীতে আন্দোলনের নামে দেশকে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি রাখা, দ: ইউনুছকে আগেকার রাষ্ট্র পতিদের মত ক্ষমতা বিহীন পুতুল বানিয়ে এনসিপির (অনেকেই বলেন জামাত শিবিরের নতুন সংস্করণ) সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় তাঁর আন্ত সম্মানে আঘাত আসার ফলে তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: মূল্যবান পর্যবেক্ষণ। ড. ইউনূস পপুলিস্ট নন। সে কারণে তার সিদ্ধান্তগুলো ভিন্ন ধরনের হবে; একই সঙ্গে, তার পক্ষে ক্ষমতাবিহীন পুতুল হয়ে থাকাও সম্ভব নয়।
তবে মনে হয়, তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছিলেন। এখন আবার সেটি নিয়ে নতুন করে সমস্যা তৈরি হতে পারে।
৭| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
অপু তানভীর বলেছেন: ইলিয়াস পিনাকী গোং দোষ বিএনপির ঘাড়ে দিচ্ছ, এই ঝামেলার মুল হোতা হচ্ছে পিনাকি ইলিয়াস। এই ব্লগে এদের মুরিদের অভাব নেই। কিছু কিছু মাথা মোটা ছাগল ইলিয়াস পিনাকী যা বলে সেটাই এসে ব্লগে ছাড়ে।
এই সরকার টিকে থাকার পেছনে মুল দুই স্তম্ব হচ্ছে বিএনপি আর আর্মি। এদের সমর্থন ছাড়া একদিনও টিকে থাকতে পারবে না। গত কয়েক মাস যাবত এই র এজেন্ট পিকানীর এজেন্ডা বাস্তবায়িত হচ্ছে বেশ ভাল ভাবেই। আর্মিকে সরকারের মুখোমুখি দাড় করানো গেছে।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:২১
শ্রাবণধারা বলেছেন: "অপু তানভীর বলেছেন: এই সরকার টিকে থাকার পেছনে মুল দুই স্তম্ব হচ্ছে বিএনপি আর আর্মি।"
সেটাই হবার কথা ছিল, কিন্তু মনে হয় কোনো কারণে জামায়াত এবং অনভিজ্ঞ এনসিপির সাথে মিলে সমীকরণটা কঠিন হয়ে গেছে। ড. ইউনূসের জনতার শক্তির উপর ভরসা করা এবং সেটাকে মূল ফোকাস রেখে বিএনপির মতো বড় দলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার কথা ছিল। কোনো কারণে সেটা তিনি করেননি বা করতে পারেননি।
৮| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: দশ মাস লম্বা একটা সময়। দৃশ্যত কোন সংস্কার এখনও এই সরকার ঠিক মত করে উঠতে পারে নি। সত্যি বলতে এটা সরকারের ব্যর্থতা। এই দশ মাসে এখনও কিন্তু বড় কোন সংকটে সরকারকে পড়তে হয় নি। তারপরেও কিন্তু কিছুই হয় নি। সত্যিই কিছুই হয় নি। এমনকি আওয়ামীলীগের বিচারের কোন খবর নাই। দশ মাসে এরা কী ছিড়েছে কে জানে !!
একটা সময়ে আমিও চেয়েছিলাম যে এই সরকার দীর্ঘ সময় থাকলে হয়তো দেশের উপকার হবে কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এই সরকারের আসলে সেই ক্ষমতা নেই। হয়তো সেই ইচ্ছে এই সরকারের আছে কিন্তু সেই ক্ষমতা এই সরকারের নেই। তাহলে এই অথর্ব সরকারে থেকে লাভটা কী?
দ্রুত নির্বাচন দিয়ে চলে যাওয়াই এই সরকারের জন্য ভাল। কারণ যত দীর্ঘ সময় থাকবে তত ঝামেলাই সৃষ্টি হবে।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর।
এই কথাটা খুবই চর্বিতচর্বন হলেও সত্য যে আওয়ামী লীগের তৈরি করা কাঠামো এবং এর মাধ্যমের ক্ষতিগুলো আসলে খুবই শক্তিশালী। এগুলোকে সহজে পাল্টে ফেলা সম্ভব নয়। সে হিসেবে, দশ মাস আসলে খুব লম্বা সময় নয়।
তবে ধরুন, এই সরকারের নিরাপত্তার ওপর খুব জোর দেওয়া উচিত ছিল এবং কলকারখানাগুলো চালু রাখার চেষ্টা করা উচিত ছিল। আমার মতে, এই দুটি বিষয় এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়টিই হওয়া উচিত ছিল অগ্রাধিকার।
কিন্তু যেভাবে মবের অত্যাচার এবং মগের মুল্লুক বেড়ে গেল, তাতে সরকার খেই হারিয়ে ফেলল। কারণ, সরকারেরই একটা অংশই এই মব এবং মগের মুল্লুকের নতুন মোড়ল।
৯| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:১২
কাঁউটাল বলেছেন: আপনার ভাষ্যমতে বিএনপি স্পষ্ট কোনো আদর্শিক দল না, আবার আপনিই চাছ্ছেন বিএণপি তাদের আদর্শ মাঠের জনগনের কাছে স্পষ্ট করুক। তাদের কোন স্পষ্ট আদর্শ না থাকলে তারা কিভাবে তাদের আদর্শ স্পষ্ট করবে? কনট্রাডিকটরি হজয়ে গেল না?
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩১
শ্রাবণধারা বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন।
বিএনপির এক ধরনের আদর্শ তো আছেই, কিন্তু সেটি প্রচ্ছন্ন, স্পষ্ট নয়। ধরুন, তাদের কোনো আদর্শবান বড় নেতা, যেমন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর আদর্শ, সেটিকেই তারা নিজেদের আদর্শ হিসেবে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে পারে।
আবার ধরুন, তারা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, ধর্মনিরপেক্ষ এবং ভারতবিরোধী বা ন্যায্য অংশীদারত্বের পক্ষে - এইভাবে তাদের আদর্শকে স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে পারে।
১০| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩২
কাঁউটাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: "অপু তানভীর বলেছেন: এই সরকার টিকে থাকার পেছনে মুল দুই স্তম্ব হচ্ছে বিএনপি আর আর্মি।"
এইখানে দ্বিমত করছি। ইউনুস সরকারের মূল স্তম্ভ সরাসরি বিএনপি বা আর্মি না।
বিএনপির মাঠের একটা অংশ, আর্মির অবসরপ্রাপ্ত এবং অপেক্ষাক্বৃত তরুন অফিসারদের একটা অংশ, "ছাত্র জনতা", জামাতের কর্মি বাহিনী, হেফাজতের একাংশ, বামদের একাংশ - সব মিলিয়ে সম্পুর্ন আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামাতের সুবিধাবাদি কিছু নেতা ছাড়া মোটামুটি বাকিরা সবাই ইউনুসের পিছনে ছিল। নারী কমিশন এবং ষান্ডা মাহফুজ গং এর ইসলাম বিরোধী বয়ান এবং আওয়ামী স্টাইলের রেথোরিক এর কারণে ইউনুসের পিছন থেকে ইসলামপন্থি অংশের সমর্থন কমে গেছে। + বিএনপিকে দুরে রেখে ছাত্রদের উপরে ভরসা করে সরকার চালানোর কারণে বিএনপি অনেকখানি ইউনুসের বিরুদ্ধে চলে গেছে। ইউনুস সরকার সংস্কারের প্রশ্নে বেশি বাড়াবাড়ি করেছে। এতে ইউনিটি আরও কমেছে।
এই দুর্বলতার সুযোগে আওয়ামী / ভঁড়তীয় এসটাবলিশমেন্ট ইউনুসকে চাপে ফেলছে।
+ইউনুস সরকার ধোয়া তুলশি পাতা না + তাদের অনেক অযোগ্যতা আছে।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ মূল্যবান।
সব কাজেই ইসলামপন্থিদের সমর্থনের প্রয়োজন নেই, যেমন নারী কমিশন। আবার সব কাজে বামদের সমর্থনেরও প্রয়োজন নেই, যেমন বন্দর। এই ধরনের সমর্থন ছাড়াও জনসমর্থন ধরে রাখা সম্ভব।
১১| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৮
কাঁউটাল বলেছেন: এখানে বিএণপির অনেক দায়ও আছে। ১৬ বছর অত্যাচারিত হওয়ার পরেও, খসরু-মির্জার মত কিছু বদমাইশ নেতার কথায় প্রভাবিত হয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে কিছুটা ভারত ঘেষা অবস্থান নেওয়ায় পিনাকি ইলিয়াস গং বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাইছে। বিএণপির অস্পষ্ট আদর্শ থাকার কারণে এই সমস্যা প্রকট হয়েছে এবং আউয়ামী/ ভঁড়তীয় এসটাবলিশমেন্টের ভুত বিএনপির কাঁধে ভর করে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছে।
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে বিএনপির অবস্থানের বিষয়টি জুল ভার্ন তার একটি পোস্টে সুন্দর ব্যাখ্যা করেছিলেন। এটার সাথে ভারত ঘেষা হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এগুলাই পিনাকীর বাদড়ামি।
১২| ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০১
কাঁউটাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ মূল্যবান।
সব কাজেই ইসলামপন্থিদের সমর্থনের প্রয়োজন নেই, যেমন নারী কমিশন। আবার সব কাজে বামদের সমর্থনেরও প্রয়োজন নেই, যেমন বন্দর। এই ধরনের সমর্থন ছাড়াও জনসমর্থন ধরে রাখা সম্ভব।
আপনিও তো ইউনুস সরকারের মত কথা বলছেন। আওয়ামী এবং ভঁড়ত ছাড়া সকল ষ্টেক হোল্ডারের মতামত আপনাকে নিতে হবে। এটাই জুলাই বিপ্লবের বাস্তবতা। কারণ জুলাই বিপ্লবে সবার রক্ত গেছে।
২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:১৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, জুলাই বিপ্লবে যাদের রক্ত ঝরেছে, তারা সবাই নতুন বাংলাদেশের অংশীদার। তবে এই অংশীদারিত্বে অংশগ্রহণও পর্যায়ক্রমিক ও ধারাবাহিক।
অনেক বিষয়ে আধুনিক মনোভাব গ্রহণ করেই ইসলামপন্থীদের তাদের ন্যায্য অংশ বুঝে নিতে হবে। তার আগে পর্যন্ত তারা একটি অপ্রাসঙ্গিক শক্তি, যাদেরকে হিসাবের বাইরে রেখেই পরিকল্পনা করতে হবে।
১৩| ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
কাঁউটাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে বিএনপির অবস্থানের বিষয়টি জুল ভার্ন তার একটি পোস্টে সুন্দর ব্যাখ্যা করেছিলেন। এটার সাথে ভারত ঘেষা হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। এগুলাই পিনাকীর বাদড়ামি।
হ, আপনেরে কইছে......
২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:১৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ তথ্য আমার জানা নেই। তারপরও, আমার মনে হয় না এই ছবিটি প্রমাণ করে যে তারা ভারতপন্থী হয়ে গেছে।
প্রয়োজনে কৌশল অবলম্বন করতে হয় এবং কূটনীতির পথ খোলা রাখতে হয়। যারা সেটা পারেনা, তারা বর্বর এবং অকর্মণ্য।
১৪| ২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫
অপু তানভীর বলেছেন: কাঁউটাল বলেছেন: সব মিলিয়ে সম্পুর্ন আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামাতের সুবিধাবাদি কিছু নেতা ছাড়া মোটামুটি বাকিরা সবাই ইউনুসের পিছনে ছিল।
অবশ্যই এরা বাদ দিয়ে পুরো দেশে ড. ইউনুসের পেছনে ছিল, এখনও আছে। তবে আর্মি আর বিএনপি যদি না থাকে এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।
২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:২০
শ্রাবণধারা বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার ধারণা সঠিক। পুরো দেশ গত আগস্টে ড. ইউনুসের পেছনে ছিল এবং বহু হতাশার কারণ ঘটার পরেও এখনও তারা রয়েছেন।
১৫| ২৪ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: ড. ইউনূসের ক্ষমতার ভিত্তি নিয়ে আপনার বিশ্লেষণটি আংশিক সত্য হতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে, তিনি যখন দায়িত্ব নেন, তখন দেশের জনমত ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষুব্ধ। সেই মুহূর্তে তিনি কোনো নির্দিষ্ট দলের ওপর নির্ভর না করে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা করেছিলেন, যা হয়তো সবক্ষেত্রে সফল হয়নি। তবে, তার প্রাথমিক গ্রহণযোগ্যতা এসেছিল জনমনের গভীর হতাশা এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা থেকে, যা শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট অংশের উপর নির্ভরশীল ছিল না। জনগণের সরাসরি ম্যান্ডেট না থাকলেও, তার প্রতি একটি সুশীল সমাজের সমর্থন ছিল এবং আজও আছে, যা কেবল ছাত্র বা জামায়াতকে দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
বিএনপি যদি সত্যিই জনগণের মুখপাত্র হতে চায়, তাহলে মাঠের শক্তির পাশাপাশি তাদের আদর্শকে স্পষ্ট করতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ সংস্কারের মাধ্যমে বিতর্কিত নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:২৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সঙ্গে আমার খুব বেশি দ্বিমত নেই। ক্ষমতার পরিসরে জনগণের বিপ্লবী শক্তি প্রায়শই সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতো, একেবারে প্রয়োজন না হলে তা জাগে না।
জনগণের হতাশা এবং পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাই ড. ইউনূসের ক্ষমতার ভিত্তি বলে আমি মনে করি। তবে পরবর্তী সময়ে তার ক্ষমতার ভারসাম্যে যে পরিবর্তন এসেছে, তার পেছনে ছাত্র ও জামায়াতের ভূমিকা বেশি ছিল বলেই আমার মনে হয়েছে, এবং এতে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে।
১৬| ২৪ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭
ফেনিক্স বলেছেন:
আপনি কানাডায় সরকারী টাকায় চলাতে জীবনের বেসিক ধারণা আপনার কাছে ধরা দেয়নি। আপমনি ক্যু'কে বুঝতে না পারায় দুনিয়ার গার্বেজ লিখে বেড়াচ্ছেন।
২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩০
শ্রাবণধারা বলেছেন: হা হা, ধন্যবাদ।
আপনার এই খোঁচার জবাবে খোঁচা দিলে সেটা অহংকার হয়ে যেতে পারে, যা ঠিক কানাডিয়ান মানসিকতার সঙ্গে যায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:৫১
ফেনিক্স বলেছেন:
লেখায় আপনার অভিমত আছে, উপদেশ আছে, বিশ্লেষণ আছে, সবই ভালো; কিন্তু সামান্য সমস্যা হচ্ছে, ড: ইউনুসকে নিযুক্তি দিয়েছে আমেরিকান দুতাবাস ও বাংলাদেশের মিলিটারী; উনাকে ওদের নির্দেশানুসারে কাজ করতে হয়। আমার ধারণা, দুতাবাসের কুটনীতিবিদরা জানে তারা কি করছে; তারা বাংলাদেশে ৩টি বড় ক্যু করায়েছে; ক্যু'কে সফল করানোর জন্য তারা জাতীয় বিশ্বাসঘাতকদের ভাড়া নেয়।