নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিবের সিদ্ধির লিথাল ডোজ, “বাঁচতে হলে জানতে হবে”

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২

মাদককে না বলুন। পুলিশ ধরতে পারলে ডলা দিবানে। আর একান্তই অকেশনালী না বলতে না পারলে লিথাল ডোজ সম্পর্কে ধারনা নিয়ে পুলিশের ডলা এড়িয়ে জীবন বাঁচিয়ে- মাদককে না বলুন।

ভাল মন্দ সকল খাদ্য/অখাদ্যের লিথাল ডোজ রয়েছে। লিথাল ডোজ হল এ পরিমান খাদ্য গ্রহন যা মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। এই যেমন পানির অপর নাম জীবন কিন্তু আপনি এক টানা ৬ লিটার পানি পান করলে তা আপনার মৃত্যুর কারন হতে পারে। এমনি ভাবে ৪০% এর বেশী এলকোহল আছে এমন পানীয়ের ৪৫মিলিগ্রামের ১৪টি শট মৃত্যুর কারন হতে পারে। একটানা ১১৮ কাপ কফি মৃত্যুর কারন হতে পারে। আম্পিফিটামিন/ম্যাথামফিটামিন যা ইয়াবার মুল উপাদান, ৫০মিলিগ্রাম পরিমান ধোঁয়ার মাধ্যমে গ্রহন করলে তা মৃত্যুর কারন হতে পারে।

দেড় মাসের ব্যবধানে কক্সবাজারে তিনজন তরুন তরুনী জাস্ট চিল করতে গিয়ে লিথাল ডোজ সম্পর্কে ধারনা না থাকায় মৃত্যু বরন করেছে ইয়াবা টেনে। এ মৃত্যুগুলো অনাকাংখিত। তাদের যা বয়স ছিল তাতে এমনতর চিল স্বাভাবিক। কিন্তু চিল করে বেঁচে থাকতে হলে জানতে হবে লিথাল ডোজের পরিমান সম্পর্কে। তারা সম্ভবত সারা রাত ধরে টেনেই গেছে টেনেই গেছে আর টেনেই গেছে। বাঁচতে হলে অবশ্যই জানতে হবে কখন থামতে হবে।

অনাকাংখিত মৃত্যু এড়িয়ে চিল করার জন্য দেবতা শিব ঠাকুরের জীবন থেকে অনুপ্রেরনা নিতে পারে চিল করতে চাওয়া তরুন তরুনীরা। শিব ঠাকুরের সাধনের সিদ্ধি তথা গাঁজার লিথাল ডোজ মাত্র ১৫০০ পাউন্ড। তার মানে হল কোন ব্যক্তি ১৫ মিনিটে প্রায় ৬৮০ কেজি গাঁজা টানলে তা তার মৃত্যুর কারন হতে পারে। তাই প্রকৃতপক্ষে গাঁজার লিথাল ডোজ হল এক বস্তা গাঁজা ২০ তলা বিল্ডিংয়ের উপর থেকে যদি গাঁজা খোরের মাথায় পড়ে তাহলেই কেবল সে মারা যেতে পারে।
তবে শিব ঠাকুরের সাধন সিদ্ধি দূঃপাপ্য করে ইয়াবার মত দামী জীবন বিধংসী মাদকগুলো সহজলভ্য করা হয়েছে বানিজ্যিক কারনে।

তাই তরুন তরুনীদের প্রতি আমার আহবান তোমরা এসব মাদক নিও না। নিজে মরে যাবা পরিবারকেও মেরে যাবা। আর যদি চিল করতে খুবই সাধ হয় তবে শিব ঠাকুরকে ফলো করো। আমি নিশ্চিত ১৫ মিনিটে ৬৮০ কেজি গাঁজা টেনে অন্তত মরতে পারবে না। তার আগেই বমি করে ঘুমিয়ে পড়বা। বন্ধুরা “কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে”, গানের সাথে তাল রেখে একজন আরেকজনকে বলবে “বমি করে ঘুমিয়ে পড়েছে”।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: পশ্চিমা দেশগুলোতে একারণেই বুঝি গাজা খাইতে আর বাধা নাই !! শিবের ডোজ কেউ খাইতেও পারব না , মরবও না !!!

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬

আঁধার রাত বলেছেন: এটি অর্গানিক, ১০ হাজার বছর আগে থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত বৈধ ছিল। পশ্চিমারা বুঝতে পেরেছে যে বলেই বৈধ করেছে এবং করছে।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আজ পর্যন্ত কোনো সরকার মাদক দূর করতে পারলো না।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮

আঁধার রাত বলেছেন: সমুদ্রের পানি যেমন বালতি দিয়ে ছেঁকে শেষ করা যাবে না তেমন মাদক নির্মূল করার চিন্তা অলিক অবাস্তব। এটা মাথায় রেখে নিয়ন্ত্রনের চিন্তা করলে কাজ হবে আর নির্মূল করতে চাওয়া ও বাস্তবায়নের জন্য নেওয়া পদক্ষেপ সব সময় ব্যর্থ হবে।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চরম বাস্তবতার প্রকাশ ।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২

আরিফ রুবেল বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে গাজা আসলে কোন মাদকই না। সরকার হুদাই এটাকে মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করে রেখেছে :D
পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে গাজা বৈধ করার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে নির্দিষ্ট মাত্রায় গাজা উৎপাদন, সংরক্ষন, বিপনন ও সেবনে বৈধতা দান করলে অন্যান্য মাদক ইয়াবা, মদ, হিরোইন ইত্যাদির বাজার নষ্ট করা যেতে পারে। যদিও মাদকের রাজনৈতিক অর্থনীতি এতটাই জটিল যে চাইলেও এটা কেউ হতে দেবে না। বরং ইয়াবাকে টিকিয়ে রাখার জন্য উল্টো গাজার ব্যাবসায়ীদের ক্রসফায়ার দেয়া হবে। আবার ধর্মের ধোয়াও তোলা হবে। বাস্তবতা হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশে ধর্মের দোহাই দিয়ে মাদকের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করা গেছে তরুন সমাজকে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২০

আঁধার রাত বলেছেন: গাঁজা আসলেই মাদক নয়, একটি ভেষজ বৃক্ষ, তিনটি ধর্ম গ্রন্থে একে পবিত্র বৃক্ষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। বহুমুখী ঔষুধি গুন সম্পন্ন একটি বৃক্ষের গায়ে মাদক অপবাদ দেওয়া হয়েছে।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪২

শের শায়রী বলেছেন: বাস্তবতা।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"পিনে আলোকে লিয়ে কুছ বাহানা চাহিয়ে"

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৪

আঁধার রাত বলেছেন: তা প্রয়োজন হয় বটে। কিন্তু সিদ্ধিকে মাদক ক্যাটাগরিতে ফেলে একই ট্রিটমেন্টতো রীতিমত কতকগুলো ধর্মের অবমাননা। ভেষজ গুনের কথা আর নাই বা বললাম।

৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। থেরাপিউটিক ইনডেক্স ন্যারো হলেই বিপদ।

৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: শুকনা জিনিসটা লিগালাইজ কইরা দিলেই পারে। এইডা কোনো বড়ো ইস্যু না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.