নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁধার রাত

আঁধার রাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিপোক্রেটদের ওয়েব সিরিজ বন্ধের কোরাস বন্ধ হোক

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬

২ ঘন্টা ৪৫ মিনিটের একটা সিনেমা ১১ মিনিট দেখার পর আর দেখা গেল না, সিনেমা পরিবর্তন করতে হল কেননা বাকী সিনেমায় আর কি থাকতে পারে তা বোঝার জন্য ঐ ১১ মিনিটই যথেষ্ট ছিল।

একই ছাদের তলে দুইটি খাবারের দোকান, একটা দোকানে স্বপরিবারের জন্য মাগনা খাবার বিতরন করা হয় আরেকটা দোকানে আগে টাকা দিলে শুধুমাত্র যে টাকা দেয় তার জন্যই খাবার সরবরাহ করা হয়।

মানুষ তবুও যদি আগে টাকা নেওয়া দোকানে যায় তাহলে বুঝতে হবে খাবারের দোকান দুইটির কন্টেনের মারাত্নক ভেরিয়েশন আছে। গ্রাহক ধরে রাখতে মাগনা দোকানের মৌলিক পরিবর্তন দরকার।

ওয়েব সিরিজ মানুষ টাকা দিয়ে দেখে এর আকর্ষনীয় জীবন ঘনিষ্ট গল্প, মনোমুগ্ধকর চিত্রায়ন, আর প্রান ছোঁয়া অভিনয়ের গুনে। অশ্লিলতার ধোঁয়া তুলে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে একে নিশ্চিহৃ করা যাবে না কখনও। কারন বর্তমান এ প্রযুক্তির যুগে আইন করে, আদালতে নির্দেশ নিয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক কন্টেন দেখা থেকে মানুষকে কোন ক্রমেই আটকানো যায় না। অসম্ভব একটা ব্যাপার।

অশ্লিল দৃশ্য, সংলাপের অভিযোগের ক্ষেত্রে বলব নির্মাতা যদি ভাসমান পতিতাকে নিয়ে কোন ওয়েব সিরিজ বানান তবে তার মুখে কি বইয়ের প্রাঞ্জল বুলি বসবে নাকি প্রকৃতই সে যেমন খিস্তি খেউড় আওড়ায় সে ভাষাটা আসবে।? নির্মাতা যদি প্রেমিক প্রেমিকার রুম ডেটিংয়ের দৃশ্য চিত্রায়ন করে তবে তারা কি জুব্বা আর বোরকা হিজাব পড়ে শট দিবে? দুই বন্ধু যদি কোন নারীকে নিয়ে গল্প করে তাহলে কি শরৎ চন্দ্রের উপন্যাসের বুলি আওড়াবে নাকি ঐ নারীকে মাল হিসাবে সম্বোধন করবে?

তারা প্রশ্ন করে থাকে কেন এমন বিষয় নিয়েই কেন ওয়েব সিরিজ বানাতে হবে? আমার উত্তর হল সমাজে যা কিছু ঘটে সব নিয়েই নির্মাতা ওয়েব সিরিজ বানাতে পারেন। কারন পাঠ্য বইয়ে পড়ে এসেছি নাটক সমাজের দর্পন।

আর যদি এমনটা না ঘটে তাহলে তো এটা দর্শকের সাথে নির্জলা প্রতারনা ভিন্ন অন্য কিছু না। আপত্তিকর বলে মনে হয়, পরিবারের সবাইকে নিয়ে এক সাথে দেখা যায় না বলে একটা অভিযোগ পাওয়া যায়। ফালতু একটা অভিযোগ, এ অভিযোগ যিনি করেন তিনি সব কাজ পরিবারের সকলকে নিয়ে এক সাথে করেন না। তিনি জোচ্চোর, হিপোক্রেট।

আদালতের রায়ে আজ বিং থেকে বুমেরাং, সদর ঘাটের টাইগার সরানো যাবে কাল যদি অন্য একটা পেজে এটা আপলোড হয় তাহলে কি দেখা ঠেকানো যাবে? যাবে না। যেখানে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি স্বজ্ঞানে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে নিজ সিদ্ধান্তে বিনোদনের জন্য কিছু দেখতে চাই সেটা আটকানোর জন্য আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রাখা অগনতান্তিক ও সংবিধানের লঙ্ঘন বলে মনে করি।

ওয়েব সিরিজ বন্ধ করা কোন সমাধান না বরং তথাকথিত মেইন স্ট্রিম সংস্কৃত ব্যক্তিত্বদের উচিত নিজেদের কাজের মান বাড়ানো, ভাঁড়ামী করে মানুষ হাঁসানোর ব্যর্থ চেস্টা বাদ দেওয়া। আর প্রবীন নাট্য ব্যাক্তিত্বদের উচিত ক্যামেরার সামনে যাত্রার অভিনয় বাদ দেওয়া। আমরা দেখতে দেখতে ক্লান্ত।

সরকারের উচিত ওয়েব সিরিজের টাকায় ভাগ বসানো, কর আরোপ করে এমন একা একা দেখা ওয়েব সিরিজ বানানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা।

অন্যথায় কি হবে? কি আর হবে সিনেমা হল গুলো কমতে কমতে আজ একশতে নেমেছে অথচ দেশের বহু মানুষ টাকা খরচ করেই সিনেমা দেখেই বিনোদিত হয়। কিন্তু আফসোস তা দেশের সিনেমা না। এ আমলে যা বানাবো তাই দেখতে হবে বলে গোঁ ধরলে ইতিহাস হয়ে যেতে হবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: ওয়েব সিরিজ মানূষকে আণন্দ দেয়। নাটক সিনেমার চেয়ে ওয়েব সিরিজ মানুষকে বেশি আনন্দ দেয়।

২| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৮

আঁধার রাত বলেছেন: জি ভাই। মানুষ পকেটের পয়সা খরচ করে দেখে যে জিনিস সে জিনিসের কোয়ালিটি মেন্টেন তো করতেই হয়।

৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৪

নতুন বলেছেন: নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম, ডিজনি এখন অনেকেই হাতের নাগালে। তারা শুধুই টাকার জন্য ফরমায়েসি জিনিস দেখবেনা।

কিছু মানুষ আছে যারা আবার যৌন শুড়শুড়ি দিয়ে ওয়েব সিরিজ দেখে তাই এটার তৌরি বেরে যাচ্ছে।

যারা ভালো ছবি দেখতে চায় তারা শুধু যৌন শুড়শুড়ি দিয়ে ওয়েব সিরিজ বানালে দেখবে না। কিন্তু তেমন মানুষ কম।

আরেক দল যাদের হাতে ইন্টারনেট আছে তারা আসল পণ`ই দেখতে পারে তারা এই শুড়শুড়ি বেশিদিন দেখবেনা।

আবার যারা ঝাউলি ধান্দাবাজ তারা ঠিকই বস্তাপচা যৌন শুড়শুড়ি দিয়ে ওয়েব সিরিজ বানাবে ইউটিউবে বা অন্য কোথাও থেকে কিছু টাকা কামাই হলেই তো তাদের হলো।

এই অধপতন থামানোর খুব একটা সহজ পথ আছে বলে মনে হয় না।

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

আঁধার রাত বলেছেন: যার যেমন রুচি সে তেমন দেখবে। এমনই লিবারেল থাকতে হবে। আজ বিং থেকে নামায়ে কাল নেটফ্লিক্সে আপলোড করবে, পরশু ইউটিউবে আপলোড করবে, তারপরদিন নিজের ব্লগ সাইডে আপলোড করবে। ঠেকানোর উপায় নাই। চিল্লায়ে মার্কেট পাওয়া গেলেও কাজের কাজ কিছুই হবে না।

৪| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিনেমা যেমন সেন্সর হয়। একইভাবে ওয়েব সিরিজও সেন্সর সার্টিফিকেট নিয়ে চলতে পারে। সরকারের ও অন্যান্য বিশিষ্ট নাগরিকদের উদ্বেগ অশ্লীলতা নিয়ে। আমরা বিদেশের পর্ণ ছবি দেখতে পারি তার মানে এই না আমাদের সরকারও পর্ণ ছবি নির্মাণ এদেশে অনুমতি দিবে। আমাদের নায়ক/ নায়িকা কেন অশ্লীল দৃশ্যে অভিনয় করবে। আমাদের চিত্র তারকাদেরকে যাদের আমরা সম্মান করি আমরা কি অশ্লীল দৃশ্যে তাদেরকে মেনে নেব? অশ্লীলতার একলা আর দোকলা নাই। আমরা তো কিছু বিষয়ে পশ্চিমের মত হতে পারব না সামাজিক ও ধর্মীয় কারণে।

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

আঁধার রাত বলেছেন: "সিনেমা যেমন সেন্সর হয়। একইভাবে ওয়েব সিরিজও সেন্সর সার্টিফিকেট নিয়ে চলতে পারে" বড় ন্যাক্কার জনক ভাবনা। সমর্থন করা তো দুর ভাবনায় আনতে পারি না। অশ্লীল দৃশ্য বলে কোন দৃশ্য নাই পৃথিবীতে। ওয়েব সিরিজ সরকারের অনুমতি নিয়ে বানাতে হবে বলে মনে করেন বলে আমার মনে হচ্ছে আপনি মন ও মননে পরাধীন। ওয়েব সিরিজ এমন এক জিনিস যা আপনার জগতে হুটহাট ডোকে না। তাকে নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে দাওয়াত দিয়ে আনতে হয়। গুলিয়ে ফেলবেন না।

৫| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ২:০২

কল্পদ্রুম বলেছেন: অশ্লীল দৃশ্য,পতিতার ভাষা আর রুম ডেটিং এর ব্যাপারটা যেটা নিয়ে বললেন সেটা তো এই উপমহাদেশের খুব পুরাতন এক বিতর্ক।অশ্লীল এবং অশালীনের পার্থক্য নিয়ে অনেক গুণীজনের বক্তব্য আছে।সাধারণ দর্শক হিসেবে আমার বক্তব্য,এসব উচ্চ মার্গীয় কথা আমরা বুঝবো না।কিন্তু নাট্যকারের বোঝা উচিত।রেটিং ব্যবস্থা চালু করাও এদেশের জন্য জরুরি।আর সবকিছু নিয়ে আলোচনা হলে ক্ষতি কি।পক্ষে বিপক্ষে কোন ধরণের কথাই বন্ধ করা উচিত নয়।

৬| ২৫ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তিনটা নাটকের অশ্লীল দৃশ্য নিয়ে খুব আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫১

আঁধার রাত বলেছেন: কাহিনীর প্রয়োজনে দৃশ্যগুলো বেমানান বা অশ্লিল মনে হয় নাই আমার। না দেখার অধিকার রয়েছে সবার।

৭| ২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: চরিত্রের প্রয়োজনে, কাহিনীর প্রয়োজনে এসব বিষয়ও এক ধরনের হিপোক্রেসি। কারণ, ঐসব সুড়সুড়ি তো আসলে না, আরো অনেক কিছুই তো হয় নারী-পুরুষে! তাহলে ঐগুলোও অভিনয় করে দেখাক। দুই পক্ষই নেকামী করছে। এক পক্ষ সামান্য কয়েকটা সিন দেখিয়ে নিজেদের আধুনিক, বিশ্বের সাথে তাল মেলানো বলে জাহির করছে, আরেক পক্ষ সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ইত্যাদি বলে নেকামি করছে মনে হয় যেন, নেটে এর চেয়ে খারাপ কিছু পাবলিকে দেখছে না...
সমাজের পতন/পচন অনেক আগেই হয়েছে। এসব ওয়েব সিরিজের বহুত আগেই সবাই সব কিছু জানে...

২৫ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

আঁধার রাত বলেছেন: আমি ও তাই বলি। ওয়েব সিরিজ বন্ধ করতে বলা মানুষ গুলো ঝিনুক দিয়ে সমুদ্র সেঁচে ধানের চারা লাগানোর ধান্ধায় আছে বলে মনে হয়।

৮| ২৫ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

পদ্মপুকুর বলেছেন: গতকাল রাতে পড়ার পর থেকে যা বলবো বলে গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না,' বিচার মানি তালগাছ আমার' সুন্দর করে তা বলে দিয়েছেন। ধন্যবাদ বিমাতাআ-কে।

৯| ২৫ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অশ্লীল দৃশ্য বলে কিছু না থাকলে অভিধানে অশ্লীল শব্দটাই থাকত না। আপনি বলতে পারেন অশ্লীলতা হোল আপেক্ষিক। স্থান, কালের ভিন্নতায় এটার সংজ্ঞা ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু অশ্লীলতাকে পুরোপুরি অস্বীকার করার উপায় নাই। অশ্লীলতা আছে বলেই বিদেশে সিনামার রেটিং করা হয়। আমরা সবাই মন ও মননে পরাধীন। মানুষকে সমাজ ও রাষ্ট্রের নিয়ম মেনে মনের সাধ মিটাতে হয় সব দেশে সব সংস্কৃতিতে। মনে যা চায় সব বাস্তবায়ন করা যায় না সমাজ ও রাষ্ট্রের কারণে। একটা উদাহরণ দেই; গাঁটের পয়সা খরচ করে কেউ নেশা করলে রাষ্ট্র কি তাকে ছেড়ে দেবে। রাষ্ট্রের আইন অমান্য করে গাঁটের পয়সা খরচ করে বিনোদন পাওয়ার অধিকার রাষ্ট্র বা সমাজ দেয় না কাউকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.