নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথমবার স্কুলের যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে না গিয়ে হলে গিয়ে দেখা প্রথম সিনেমাটি ছিল নায়ক মান্নার “আজ রাতে তোমাকে যেতে দেব না” ওরফে গুন্ডা-পুলিশ। সালটা ১৯৯৭। অকালে পাকা বাহিরে কাঁচা, দেড়শত ছয়চল্লিশ বিড়ি তখন পুরোদমে সকাল সন্ধ্যা রাত্রি আমার ঠোঁটের স্পর্শে প্রতিদিন যৌবন হারায় বটে কিন্তু সিদ্ধি আমার নাগাল পাওয়ার জন্য আশেপাশেই ঘুরে। খুব ভাল রিভিউ “ছবিটা না দেখলে জীবন বৃথা” টাইপ বোধ তৈরী করে দিল। বাইশ তেইশ বছর পরও নায়ক মান্না আর নায়িকা তৃষ্ণার সেই গানটা আজো ভুলতে পারি নাই। না আমার স্মৃতি শক্তির শক্তিতে মনে আছে ব্যাপারটা তা নয় বরং পরে বহুবার চাঁদা তুলে ভাড়া করে আনা ভিসিআরে গানটা দেখার কল্যানে এই মনে থাকা।
আজ রাতে তোমাকে যেতে দেব না,
তুলতুলে গদি আছে আছে বিছানা,
খিড়কি দুয়ারী সব বন্ধ করে
খেলা হবে দুজনে অন্ধকারে।
এতএত বছর পর মহান কোন বৃহ:বার রাতে চোখ বন্ধ করে অতলে তলিয়ে যেতে যেতে হঠাৎ মনে হল আচ্ছা গানের দৃশ্যায়ন অন্ধকারে না হলেও বুলবুল ভাই(গীতিকার) কেন অন্ধকারে খেলা করার কথা লিখলেন? খুব গুরত্বপূর্ণ প্রশ্ন? কেননা এই প্রশ্নের ভেতর অবচেতনে রয়েছে হাজার বছরের বাঙ্গালীর যৌনতার ইতিহাস, যৌনজীবন যাপনের ইতিহাস।
ঘটনা হল গত কয়েক হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলের মানুষের অন্ধকারে খেলা করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। কৃষি পণ্য ছাড়া অন্য কোন পণ্য ছিল না। গ্রামের দুএকটা বাড়ি(রাজশক্তির পৃষ্ঠপোষক) ছাড়া সবারই কাঁচাঘর, খড়ের ছাউনী, বনের/চাটাই/পাটকাঠির বেড়া। ক্ষেতের কামলার মুজুরী বাঁচানোর জন্য খরগোশের মত বাচ্চাকাচ্চা। দম্পত্তির সাথে চৌকির উপর হয়ত দুইটা বাচ্চা। মেঝেতে চটের বিছানায় আরো চারটা। ভাঙ্গা চালা, ভাঙ্গা বেড়া দিয়ে চাঁদের আলো উঁকি দিয়ে যায় রাত বিরাতে, কখনও কখনও সিঁদেল চোররাও। এমতাবস্থায় আলোর ব্যবস্থা করে দাম্পত্য খেলার আয়োজন বড় লজ্বার বড় কেলেংকারী একটা ব্যাপার হত বটে।
মানব জীবনে আসা প্রতিটি নতুন তথ্য, নতুন ঘটা ঘটনায় বা নতুন প্রয়োজনের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া তার ডিএনএতে লিপিবদ্ধ হতে থাকে। যা থেকে পরবর্তী প্রজন্ম একই রকম ঘটা ঘটনায় কি ধারনার প্রতিক্রিয়া দেখাতে হবে তা স্কুলে না গিয়েও পিতামাতার ডিএনএ থেকে পেয়ে থাকে জন্মেরও নয় দশ মাস আগে। বুলবুল ভাইয়ের ডিএনএর তথ্যে বা আমাদের অধিকাংশ মানুষের ডিএনএতে খেলার পরিবেশে সম্মানের খাতিরে আলো ও শব্দ মুক্ত তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে তাই তিনি নিজের অজান্তেই লিখে ফেলেছেন ”খেলা হবে দুজনে অন্ধকারে”।
২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৯
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি যখনকার কথা বলছেন তখন বাংলা-সিনেমার পতনযুগ। এইসময় ভালো কাহিনী বা গান হবে কীভাবে?
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১৪
আঁধার রাত বলেছেন: ভাল মন্দের সর্বজন সীকৃত কোন সজ্ঞা নাই আমার আলোচনার বিষয়ও তা নয়। আলোচনার বিষয় বাঙ্গালীর যৌনতার ইতিহাস। সিনেমা কথা তুলতে ব্যবহার করেছি মাত্র।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: যৌনতা এবং নোংরামী দুটা এক বিষয় না।
বাংলা সিনেমায় থাকে নোংরামী।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: খুবই জটিল এবং ইন্টারেস্টিং বিশ্লেষণ। অন্ধকারকে আমরা অনেক সময় গোপনীয়তার সমার্থক হিসেবেও বিবেচনা করি।
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫০
স্প্যানকড বলেছেন: এহন কিন্তু আমরা আগাই গেছি মানে উন্নতি সাধিত হইয়াছে।কোটি টাকার নিয়ন পুড়ে আর তার তলে ঝোপঝাড় এ আধো আলো ছায়াতে কাম চলে! আপনি কি চান আলোতে হউক? উনি অব্ধকারে বলে ভুল করেন নি ভুল করেছি আমরা যারা যৌনতাতে ও যে আর্ট আছে তা ধরতে পারি না ছুঁইতে পারি নাই। তারে একলা কইয়া লাভ নাই। ভালো থাকবেন।
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: বুলবুল ভাইয়ের ডিএনএ শত বছরের অতীতকে অজান্তেই বলে দিল। হাহা।
৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২১
এমেরিকা বলেছেন: বাঙালি না হয় অন্ধকারে খেলা করে, উন্নত বিশ্বে কি জিং জিং খেলা ভর দুপুরে খোলা মাঠেও হয় নাকি?
৮| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯
নতুন বলেছেন: ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলো না
ও বাতাস আঁখি মেলো না
আমার প্রিয়া লজ্জা পেতে পারে আহা
কবি আর প্রিয়া কি করতেছিলো যে আকাছে তারা জ্বলেও সমস্যা
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: যৌনতা চলচ্চিত্রে থাকতেই পারে কিন্তু তার শৈল্পিক মান বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একেবারেই নাই। ৯৫ পরবর্তী চলচ্চিত্র গুলো সফট পর্ন হিসেবে চালিয়ে দেয়া যেত।