নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদ্রিজা

অথই জলে খুঁজে বেড়াই পূর্ণিমারই চাঁদ।

আদ্রিজা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথন___(৭-১০)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

কথোপকথন-৭



তোমার চিঠি আজ বিকেলের চারটে নাগাদ

পেলাম।

দেরী হলেও জবাব দিলে সপ্তকোটি

সেলাম।

আমার জন্যে কান্নাকাটি? মনকে পাথর

বানাও।

চারুলতা আসছে আবার। দেখবে কিনা

জানাও।

কখন কোথায় দেখা হচ্ছে লেখোনি এক

ফোঁটাও।

পিঠে পরীর ডানা দিলে এবার হাওয়ায়

ছোটাও।

আসবে কি সেই রেস্টুরেন্টে সিতাংসু যার

মালিক?

রুপোলী ধান খুঁটবে বলে ছটফটাচ্ছে

শালিক।





কথোপকথন-৮



- উত্তরোত্তর অত্যন্ত বাজে হয়ে উঠেছো তুমি।

আজ থেকে তোমাকে ডাকবো

চুল্লী।

কেন জান? কেবল পোড়াচ্ছো বলে।

সুখের জন্যে হাত পাতলে যা দাও

সে তো আগুনই।



- উত্তরোত্তর অত্যন্ত যা-তা হয়ে উঠেছো তুমি

আজ থেকে আমিও তোমাকে ডাকবো

জল্লাদ।

কেন জান? কেবল হত্যা করেছো বলে।

তোমাকে যা দিতে পারি না, তার দুঃখ

সে তো ছুরিরই ফলা।





কথোপকথন ৯



আজ তোমাকে অনেক নামে ডাকতে ইচ্ছে করছে

ডাকবো?

আজকে তুমি প্রথম শ্রাবণ সঙ্গে চাপার গন্ধ

মাখবে?



গভীরতর গানের ভিতর খেয়া দেয়া নৌকা

চলছে।

একটু আগে হাসলে যেন আকাশ সোনার আঙটি

গলছে।



এখন তোমায় ‘কুরুস কাঠি’ এই নামেতে ডাকবো

শুনছো?

ছিলাম সুতো, তাকে হাজার চৌকো গোল নকশায়

বুনছো।





কথোপকথন ১০



-কাল বাড়ি ফিরে কি করলে?

-কাঁদলাম। তুমি?

-লিখলাম।

-কবিতা? কই দেখাও।

-লিখেই কুচিকুচি।

-কেন?

-আমার আনন্দের ভিতরে অনর্গল কথা বলছিল আর্তনাদ।

আর্তনাদের ভিতরে গুনগুন ভাঝছিল অদ্ভুত এক শান্তি

আর শান্তির ভিতরে সমুদ্রের সাঁইসাঁই ঝড়

যে সব অক্ষর লিখলেই লাল হওয়ার কথা

তারা হয়ে যাচ্ছিল সাদা।

যে সব শব্দ সাদা কাশবন হয়ে দুলবে

তাদের মনে হচ্ছিল শুকনো ঝাউপাতার উড়াউড়ি

বুঝলাম সে ভাষা আমার জানা নেই

যার আয়নায় নিজের মুখ দেখবে ভালবাসা।

-তাই বলে ছিড়ে ফেললে?

-বাতাস থেকে একটা অট্টহাসি লাফিয়ে উঠে বললে

পিদিমের সলতে হয়ে আরো কিছুদিন পুড়ে খাক’হ।

পুড়ে খাক’হ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.