নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাইকে একদিন এই মায়া ছেড়ে হতে হবে অদৃশ্য।স্বাগতম অদৃশ্যের এই রহস্যময় ব্লগে্।জাতিকে লেখনীর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এই ব্লগ।
আজ আমি মেয়েটাকে প্রপোজ করবো। যদিও
আমি সাহস করতে পারছি না, তবুও বন্ধুদের
ঠেলাঠেলিতে একটু হিম্মত পাচ্ছি। বন্ধুরা খোজ
নিয়েছে, মেয়ের নাম লোপা, অনার্স সেকেন্ড
ইয়ার,
একাউন্টিং, বাবা প্রফেসর, মা ডাক্তার।
মোটামুটি নির্ঝঞ্ঝাট পার্টি।
শাফকাত এর বিখ্যাত সাদা শার্ট পড়ে এসেছি, এই
শার্ট পড়ে শাফকাত, মমিনুল, মাসুম, নাফিস,
মিলন
আর বজলু প্রপোজ করেছে, এবং গ্রীন সিগন্যাল
পেয়েছে। লাকি শার্টটা আমার ক্ষেত্রে রেকর্ড
বজায়
রাখলেই হয়। তাছাড়া মোস্তফাপুরের পীর
সাহেবের
দেয়া সুরমা চোখে নিয়েছি, ন্যাংটা বাবার আম
পাতা পড়া শার্টের বুক পকেটে আছে। ভয়ের কোন
কারন নাই। তাছাড়া প্রোপজের ষ্টাইল গত
রাতে বেশ
কয়েকবার রিহার্সেল করেছি।
বন্ধুরা সাহস দিয়ে পিঠ চাপড়ে দিল।
আমি এগিয়ে গেলাম। কি আশ্চর্য! প্রতিদিন
মেয়েটাকে কিউট কিউট লাগলেও আজ ভয়ংকর
লাগছে।
ঠোটের লিপিষ্টিক দেখে মনে হচ্ছে এই মাত্র
তাজা গরুর রক্ত শুষে এসেছে। ঢোক
গিলে এগিয়ে গেলাম। আজ বলতেই হবে। বন্ধুদের
সামনে নিজেকে আসল পুরুষ হিসেবে প্রমান
করতে হবে। শুরু করলাম প্রপোজ। যেহেতু ফট
করে বলা যায় না, তাই প্রথমে একটু আলাপ
জুড়ে নিয়ে সহজ হতে হবে।
♦ হ্যালো! আমি রাশান..
♦ দেখে তো বাঙালিই মনে হচ্ছে! আজব তো!
♦ আমি রাশিয়ান না, আমার নাম রাশান
♦ ওওও! আমি কানিজ
সুমাইয়া সাবরিনা আফরোজ
বিনতে আলী আবদুল্লাহ সোলাইমান আল
সিরাজী
। ডাক নাম লোপা।
♦ আপনি কি গরুর মাংস খান? (বলেই বুঝলাম ভুল
করে ফেলেছি, কি বলবো বুঝতে পারছি না)
♦ হ্যা খাই তো, কেন বলুন তো?
♦ না মানে আমার সুন্নতে খাৎনাতে দাওয়াত....
♦ কি বললেন ? আপনার সুন্নতে খাৎনা
? (বিস্ময়ে হতবাক)
♦ না! না! আমার হতে যাবে কেন? আমার
ভাগ্নের
সুন্নতে খাৎনা। আপনি অবশ্যই আসবেন কিন্তু
♦ আপনি এখানে এভাবে আমাকে দাওয়াত
দিতে এসেছেন?
♦ না! না! আমি তো একটা কথা বলতে এসেছি...
♦ হুম! তাড়াতাড়ি বলুন, আমার বাসায় যেতে হবে।
(মুখে কাঠিন্য)
মেয়েটার মুখ কঠিন হয়ে হয়ে গেছে, এখন আই লাভ
ইউ বললে নিশ্চিত চড় খেতে হবে। কিছু বলে মন
ফুরফুরে করে দেয়া উচিৎ। একটা ধাধা ধরা যাক...
♦ আপনাকে একটা ধাধা ধরি? বলুন
তো "চামড়ার
বন্দুক, বাতাসের গুলি" মানে কি?
♦ মানে??? কি বলতে চাচ্ছেন?
♦ মানে আইলাভু...
চটাশ!
আর কিছু মনে নাই। হাসপাতালের জেনারেল
ওয়ার্ডে জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারলাম,
মেয়েটা জুতা খুলে আমার গালে মেরেছে, আর
আমি সেন্সলেস হয়ে গেছি।
আমি ১০০% শিওর মেয়েটা সেদিন বাটার
জুতা পড়ে নাই। বাটার জুতা তো নরম হয়, বাটার
জুতা দিয়ে মারলে কারও দাতঁ ভেঙে পড়ে যায় না,
জ্ঞানও হারায় না।
©somewhere in net ltd.