নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাগতম অদৃশ্যের এই ব্লগে।।আসবেন , দেখবেন , ঘুরবেন ,বুঝবেন - হারিয়ে যাবেন এই তো দুনিয়ার খেলা। আমি শুধু রুপক মাত্র ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭

সবাইকে একদিন এই মায়া ছেড়ে হতে হবে অদৃশ্য।স্বাগতম অদৃশ্যের এই রহস্যময় ব্লগে্‌।জাতিকে লেখনীর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এই ব্লগ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালিকা ভালবাসি তোকে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫



-শামিল শামিল!! এই উঠস না কেন?? সকাল

কয়টা বাজে হিসাব আছে?? কলেজে যাবি না।

শামিল- কয়টা বাজে আম্মু?

- ৮ টা বাজতেছে। তাড়াতাড়ি উঠ।

আম্মুর মুখে সময় শুনে শামিল

তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠল। ৯ টায় তার

ক্লাস আছে। সে নতুন

কলেজে ভর্তি হয়েছে তাই ক্লাস মিস

দিতে চায় না। তাছাড়া অন্য একটি কারণও

আছে ক্লাস মিস না দেবার।

কারণটি হলো তার

ক্লাসে একটি মেয়ে আছে যে প্রতিদিন

কলেজে চশমা পরে আসে। ঐ চশমিশ

মেয়েটাকে শামিলের খুব ভালো লেগেছে।

স্পষ্ট করে বল্লে সে ঐ মেয়েটাকে প্রথম

দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেছে। তাই সে রোজ

ক্লাসের

আধাঘন্টা আগে গিয়ে বসে থাকে,যাতে মেয়েটির

সাথে একটু কথা বলা যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত

সে মেয়েটিকে 'হাই' ও বলতে পারে নি।

শামিল যে ভয় করেছিল শেষ পর্যন্ত

সেটি সত্তি হলো। শামিল

কলেজে পৌছে দেখল যে ক্লাস শুরু

হয়ে গিয়েছে। তাই সে কালবিলম্ব

না করে ক্লাসে ঢুকল। শামিলের দুর্ভাগ্য

অথবা শৌভাগ্যবসত তাকে ঐদিন ঐ মেয়েটার

পাশে বসে ক্লাস করতে হলো। শামিল তখন্ও

মেয়েটাকে কোন কিছু বলতে পারে নি। সেদিন্ও

শামিল চুপচাপ ছিল।

এভাবে কয়েকদিন যাবার পর শামিল তার ২ জন

বন্ধুকে ব্যপারটা সম্পর্কে বলল।

তারা শামিলকে ঐ মেয়ের নাম ও ফেইসবুক

আইডি জোগাড় করে দিল

এবং শামিলকে বলল যদি অন্য কোনোধরনের

হেল্প প্রয়জন হয়

তাহলে দ্বিধা না করে তাদেরকে বলার জন্য।

শামিল তার বন্ধুদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে তার

বাসায় চলে আসল

এবং সাথে সাথে ফেইসবুকে ঢুকে মেয়েটিকে এড

পাঠাল। মেয়েটি সম্ভবত ওনলাইনেই ছিল তাই

তার রিকুয়েস্ট সাথে সাথে এক্সেপ্ট

করে ফেলল।

তারপর শামিল মেয়েটিকে মেসেজ দিল।

মেসেজটি এরকম ছিল, হাই কেমন আছেন

আপনি?

উত্তরে মেয়েটি বলল,

তুমি আপনি আপনি করছ কেনো?

আমাকে তুমি চিন না?

এরকম উত্তরে শামিল কিছুটা হচকচিয়ে গেলেও

পরমুরুহুর্তে নিজেকে সামলে নিয়ে মেয়েটিকে বলল

-তুমি বলা যাবে?

মেয়েটি বলল,

-আপনি বললে ব্লক খাবা আর কলেজেও ছাড়ব

না কিন্তু।

শামিল ব্লচক খাবার ভয়ে হোক বা অন্য

কোনোকারণে হোক

সে মেয়েটিকে তুমি বলা শুরু করল। এভাভে শুরু

হলো তাদের চ্যাটিং। তারপর

আস্তে আস্তে কলেজে কথা বলাও শুরু হলো।

অবশ্য কলেজে প্রথম মেয়েটাই কথা বলা শুরু

করেছিল কিন্তু তার

আগে তাকে আপনি বলে শামিল জে ভুল

করেছিল তার জন্য ২ টা থাপ্পর দিতে ভুল

করে নাই মেয়েটি। শামিলের থাপ্পর

খাওয়াতে কোনো সমস্যা ছিল না। কারণ চর

মারার ফলে ত সে মেয়েটির হাতের স্পর্শ

পেয়েছিল।

সেদিন্ই শামিল বুঝতে পেরেছিল ঐ চশমিশ

মেয়েটি তাকে কত ভালোবাসে।

সেদিন শামিল কলেগ থেকে ফেরার

পথে একটি রোড এক্সিডেন্ট করে। যার জন্য

তাকে অনেকদিন যাবৎ

হাসপাতালে থাকতে হয়। এই

দিনগুলো শামিলের খুব আনন্দের

সাথে কেটেছিল। কারণ মেয়েটি রোজ

শামিলকে দেখতে যেত। তার গায়ে হাত

বুলিয়ে দিত। তার হাতে হাত রেখে কথা বলত।

এরমধ্যে একদিন মেয়েটি শামিলকে তার

ভালোবাসার কথাও বলেছিল। কিন্তু শামিল

তখন কোনো উত্তর

না দেওয়া তে মেয়েটি মনে করেছিল যে শামিল

তাকে হয়ত ভালোবাসে না। তাই

তাকে কোনো উত্তর দেয়নি।

মেয়েটি তো জানত না যে শামিল

তাকে কতটা ভালোবাসে। তাই সেদিন তার

ভালোবাসার কথা বলার পর কোনো উত্তর

দিতে পারেনি। ঐদিন সে কি বলবে কিছুই

বুঝে উঠতে পারছিল না।

কয়েকদিন পর,

শামিল আজ খুব খুশি। কয়েকদিন

আগে সে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে আর

আজ তার মেয়েটির সাথে প্রথম ডেটে যাবার

কথা। আজ

সে চিন্তা করেছে মেয়েটিকে সরাসরি বিয়ের

জন্য প্রপ্রোজ করবে। কারণ তার

লেখাপড়া প্রায় শেষের দিকে। তাই তার ঘর

থেকে বলা হয়েছে যে লেখাপড়া শেষ করার পর

তাকে বিয়ে করতে হবে।

লাল মলাটের দায়েরিটা পড়ে সাংবাদিক

মনয়ারুল ইসলাম দাক্তার সাহেবকে জিজ্ঞেস

করলেন যে ডায়েরিটি কার।

জবাবে দাক্তার ইকরাম খান বললেন

যে ডায়েরিটা হলো শামিল রহমান নামের

একজন রগীর। যে প্রায় ৩ বছর যাবৎ এই

পাগলা গারদে রয়েছে।

মনায়ারুল ইসলামের কাছে বিষয়টা খুব

ইন্টেরেস্টিং লাগল। তাই তিনি স্বিদ্ধান্ত

নিয়েছেন যে তিনি শামিলের জীবন

সম্পর্কে সম্পুর্ন জানবেন এবং পত্রিকায়

একটি আর্টিকেল লিখবেন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪১

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: অনেক ভালো বাসি।


প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.