নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবাইকে একদিন এই মায়া ছেড়ে হতে হবে অদৃশ্য।স্বাগতম অদৃশ্যের এই রহস্যময় ব্লগে্।জাতিকে লেখনীর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এই ব্লগ।
মাঝ রাস্তায় মানিব্যাগ হারিয়ে দাড়িয়ে আছি।
মানিব্যাগ হারানোয় মুখ কালো করে থাকার
কথা। আমার হাসি পাচ্ছে। পাশে শিমু অবাক
হয়ে তাকিয়ে আছে। মানিব্যাগ চুরি হওয়ায়
আমার চেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছে সে।
- হাসছো কেন?
- হাসি পাচ্ছে তাই
- শোকে পাগল হয়ে গেছো তুমি
- শোকে না, খুশিতে
- হেঁয়ালিপনা ছাড়বে?
- ছাড়লাম
- উঠো
- কই?
- আমার মাথায়
শিমুর মাথায় হাত দিলাম। ছোটো জায়গা ।
উঠে বসা যাবে না। শিমু রেগে তাকিয়ে আছে।
টিংটং শব্দ করে এগিয়ে যাওয়া রিকশা থামাল
শিমু। উঠে বসে ইশারা, আমি মাথায় বসার
চিন্তা বাদ দিয়ে শিমু পাশে উঠে বসলাম।
- কই যাচ্ছি আমরা?
- হাওয়া খেতে
- সেটা রাস্তায় দাড়িয়ে খাওয়া যেত
- আমার রিকশায়
বসে হাওয়া খেতে ইচ্ছে হচ্ছে
- হুম্
রিকশা ড্রাইভারের
পিছনে লুঙ্গিতে বাঁধা মানিব্যাগ অর্ধেক বের
হয়ে আছে। আমি সে দিকে তাকিয়ে আবার
হাসলাম। শিমু ভুর কুচকে তাকালো, তার
চেহারায় চিন্তার ছাপ।
- তোমার হয়েছেটা কি?
- কিছু না
- তাহলে হাসছো কেন?
- মানিব্যাগ__ বলে আমি আবার হাসলাম
শিমু হাত বাড়িয়ে আমার হাত ধরলো।
শান্তনা দিতে চাইছে বুঝা যায়।
- টাকা কি বেশি ছিল? __ মুখ
কালো জানতে চাইল শিমু।
আমি কিছু না বলে অন্য দিকে তাকালাম।
আমার হাসি পাচ্ছে। শিমুর
সামনে হাসা যাবে না। মানিব্যাগ
হারিয়ে একটি ছেলে পাগলের মত হাসছে,
সেটা যেকোন প্রেমিকার কাছে চিন্তার বিষয়
*
মার্কেটে এসেছি মানি ব্যাগ কিনতে। শিমু
বিরক্ত হয়ে দাড়িয়ে আছে। মানিব্যাগ পছন্দ
করতে পারেনি এখনও
- আমরা এখানে কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবো?
- যতক্ষণ মানিব্যাগ কেনা হচ্ছে না
- তোমার পছন্দ করতে হবে না, আমি দেখছি
- হুম্
- এটা?
- দাম দেখেছো?
- ৫০০
- এত দামি মানিব্যাগ এ খুচরা টাকা। হাস্যকর
না?
- মোটেও না, সবাই তোমার মত পাগল না
- আমি পাগল?
- তুমি বদ্ধ পাগল
- কেন কেন?
- মানিব্যাগ হারিয়ে না কেদে হাসা হচ্ছে,
পাগল না?
- না,
বলেই হাহা করে হাসলাম। শিমু দীর্ঘশ্বাস
ফেলে সামনে হাটা ধরলো। রেগে থাকলে শিমুর
চেহারায় লাল হয়ে যায়।
*
আমার পকেটে মানিব্যাগ ঝুলছে। শিমুর
চেহারায় বিশ্ব জয়ের হাসি, বহু
কষ্টে অবশেষে মানিব্যাগ কেনা হয়েছে। এই
রিকশা ড্রাইভারের লুঙ্গির
দিকে তাকিয়ে হতাশ হলাম, মানিব্যাগ
ঝুলছে না।
শিমু কাধে রাখা ভ্যানিটিব্যাগ নিল।
আমি কি করবে সেটা আচ করতে পেরে আবার
হাসলাম
- তুমি হাসছো কেনো?
- এমনি
- এমনি কেউ হাসে নাকি?
- আমি হাসি।
- এই গুলো রাখো
শিমুর এগিয়ে দেওয়া জিনিস দিকে তাকালাম।
যার মানিব্যাগ হারায় তার সর্বস্ব হারায়।
শিমুর হাতে টাকা।
- টাকা কেন?
- এই মাস চলবে কিভাবে? ধার দিলাম। সময়
মত শোধ দিবে। মানিব্যাগ তো হারিয়েছ
- মানিব্যাগ হারিয়েছি। টাকা হারালাম না তো
- মানে?
আমি বাম পকেটে গুজে রাখা টাকা বের করলাম।
শিমু ভুর কুচকে ভুত দেখার মত
চমকে তাকিয়ে আছে।
- টাকা কিভাবে এলো??
- মানিব্যাগ থেকে
- আর মানিব্যাগ??
- চোরের কাছে
- মানে কি?
- আমি বাসে উঠার আগে টাকা বের করে বাম
পকেটে রেখেছি। চোর ব্যাটা, ডান পকেট
সাবার করেই ভেগেছে।
আমি দেখলাম শিমু হিহি করে হাসছে।
যে মেয়েটি আমার চিন্তায় এতক্ষণ ভুর
কুচকে ছিলও তার চেহারায় অপুর্ব মায়াবি হাসি
- তুমি হাসছো কেনো?
- ভেবে
- কাকে ভেবে?
- চোর ব্যাটা, মানিব্যাগ খুলে তার
চেহারা কেমন হবে ভেবেছো?
শিমুর কথায় আমি আবার হাসলাম। শিমুও
হাসছে। আমরা দুজন হাসছি। চোর
ব্যাটা নিশ্চিত না হেসে মাথায় হাত দিয়ে মুখ
গুম্রা করে বসে কেদে যাচ্ছে।
ভালবাসি তোকে
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:২৯
অদৃশ্য পথিক ০০৭ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
রাঙ্গা রিয়েল.... বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে ভাইয়া