নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাগতম অদৃশ্যের এই ব্লগে।।আসবেন , দেখবেন , ঘুরবেন ,বুঝবেন - হারিয়ে যাবেন এই তো দুনিয়ার খেলা। আমি শুধু রুপক মাত্র ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭

সবাইকে একদিন এই মায়া ছেড়ে হতে হবে অদৃশ্য।স্বাগতম অদৃশ্যের এই রহস্যময় ব্লগে্‌।জাতিকে লেখনীর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানোর ক্ষুদ্র প্রয়াস আমার এই ব্লগ।

অদৃশ্য পথিক ০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত সমীকরণ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৯

হ্যালো !!

— হুম ।

— বাসায় ?

— না ।

— তাহলে ?

— ছাদে ।

— একই তো কথা ।

— তাহলে রাতে ছাদে বসে থাকলে বাসায় কেন

যেতে বলো ?

— উঁহু , তোমার সাথে কথায় পারবো না ।

— থ্যাংকু শিকার করার জন্য ।

— কি ??

— না কিছুনা ।

— কি করো ?

— গল্প লিখি ।

— পরীক্ষা চলছে না তোমার ?

— হুম ।

— এখন লেখালেখি বন্ধ রাখলে হয় না ?

— কেন ?

— সময় নষ্ট করার দরকার আছে কোন ?

— আছে ।

— কেন ?

— তোমার জন্যই তো লিখছি ।

— আমি কিন্তু পরীক্ষার মধ্যে তোমাকে সময়

নষ্ট করতে বলিনি ।

— আরে পাগলি সমস্যা নাই ।

— ওহহ ,, আচ্ছা যা তোমার ইচ্ছা ।

— থ্যাংকু দাও ।

— থ্যাংকু ।

— ওয়েলকু ।

— হি হি হি ।

— বিকালবেলা আসবে তো ?

— আসার কথা ছিলো ?

— ভুলে গেলা ?

— কয়টায় ?

— লাগবে না তোমার আসা ।

তুমি আমাকে একটুও ভালবাসো না ।

— খুব ভালবাসি ।

— তুমি একটা পাগল ।

— তোমার জন্যই তো ।

— জানি । কয়টায় আসতে পারবা ?

— তুমি যখন বলবে তখনই ।

— আচ্ছা আসরের নামাজের পর ।

— ওকে ।

— খেয়েছো ?

— হ্যা । তুমি ?

— না ।

— তোমার সাথে আর কোনদিন

কথা বলবো না ।

— কেন ?

— খাওনাই কেন এখনও ?

লেখালেখি বন্ধ করো । যাও খাইতে বসো ।

রাখলাম ।

— টা টা ।

তনয় ভদ্র ছেলের মতো নিচে নেমে

গিয়ে বিস্কুটের প্যাকেট থেকে ৩/৪

টা বিস্কুট বের করে খায় ।

গত দুই দিন কারেন্ট নাই । রান্নাও

হচ্ছে না । বাসার অন্যরা হোটেল এর

ভাত তরকারি দিয়ে দিন পার করছে । তনয়

তা পারে না ।

হোটেল এর খাওয়া তার পেটে সহ্য হয় না ।

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ।

কাওকে কিছু বলতেও পারেনা ।

বিস্কুট খাওয়া শেষ করে পানি খেয়ে আবার শুরু

করে গল্প লেখা ।

আসরের আযান দেওয়ার সময়ও প্রায়

হয়ে গেছে । গল্পও লেখা শেষ ।

আসরের আযানের শেষ হওয়ার

আগেই তনয় বের হয়ে গেলো ।

পকেটের আজকের লেখা গল্পটা ।

আর ৫০ টাকা ।

রিক্সা ডাকবে মাত্র ঠিক তখনই

ছোট একটা (পিচ্চি টোকাই) ডাক দিলো ।

পরনে ছেঁড়া একটা গেঞ্জি । আর

একটা হাফ প্যান্ট ।

— ভাইয়া ।

— কি হয়েছে পিচ্ছি বাবু ?

— ১০ টা টাকা দিবেন ?

কাল দুপুর থেকে কিছুই খাইনাই ।

হটাৎ টাকা চাইতে তনয়

ভিতরে ভিতরে একটা ধাক্কা খেলো ।

মাত্র ৫০ টাকা আছে তার

পকেটে । যাতায়াত খরচ ৩৫ টাকা আর ১৫

টাকার চকলেট ।

পিচ্চিটাকে দেখে তনয় আর

নিজেকে সামলাতে পারলো না ।

৫০ টাকা ধরেই তাকে দিয়ে দিলো ।

তারপর বললো:

— নেও ভাইয়া । পেট

ভোরে খাবে যা খেতে ইচ্ছা করে ।

তনয় হাটতে শুরু করেছে ।

সে পৌঁছাতে পৌঁছাতে নুশুও

পৌঁছে যাবে হয়তো ।

আজ আর চকলেট কেনা হলো না ।

তা নিয়ে কোন চিন্তা নেই তনয়ের ।

কোটিপতি বাবার এক মেয়ে , তাতে কি ?

তনয়ের কাছে তার চাওয়া শুধু

মাত্র গল্প ।

যেদিনই দেখা করবে দুজনে সেদিনই

তনয়ের গল্প পড়ে শোনাতে হবে নুশুকে ।

আর তা অবশ্যই তনয়ের নিজের

লেখা হতে হবে । শুধু এতোটুকুই ।

কোনদিন মুখ ফুটে একটা চকলেটও

দাবি করেনি মেয়েটা ।

নুশু এসে বসে আছে । এখন তনয়

আসেনি । চিন্তা হচ্ছে মেয়েটার । কখনই

তো দেরি করে না ছেলেটা ।

ভাবতে ভাবতে তনয়ের ফোন :

— হ্যালো ।

— কোথায় তুমি ? এতো দেরি করছো

কেন ?

— আসছি । ৫ মিনিট লাগবে ।

রাখলাম ।

— আচ্ছা ।

কিছুক্ষণ পর চলে আসে তনয় ।

নুশুর পাশে এসে বসে ।

নীল শাড়িতে আজ কেন জানি একটু

অন্যরকমের সুন্দর লাগছে মেয়েটাকে ।

নুশুর দিকে বোকার মতো তাকিয়ে

থাকে সে ।

নিরবতা ভেঙে নুশুর প্রশ্ন :

— এই ফাজিল ,

এইভাবে তাকিয়ে আছো কেনো ?

লজ্জা লাগে তো ।

— ভালবাসি তো তাই ।

— ইশশশ , হইছে । গল্প লিখে আনছো ?

— হ্যা , কিন্তু আজ চকলেট

আনতে পারি নাই ।

— আমি কি তোমাকে চকলেট আনতে বলছি ?

— না ।

— তাহলে ঢং বাদ দিয়ে গল্প

পড়ে শোনাও আমাকে ।

— আচ্ছা পড়ছি ।

তনয় গল্প পড়া শুরু করে আর নুশু অবাক

হয়ে তনয়ের বেগুনি চশমা পরা চোখের

দিকে তাকিয়ে থাকে ।

আর মনে মনে হাজার বার বলতে

থাকে —

"ভালবাসি । খুব খুব খুব ভালবাসি ।"

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩৭

বোধহীন স্বপ্ন বলেছেন: হাউ রোমান্টিক!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.