![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খেলাটির সাথে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মোটামুটি সবাই খেলাটা সম্পর্কে জানে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে দুটো দল আছে। একদল ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান খেলে অন্যদল এটা নিয়ে ভ্রু
কুচকায়, ভেংচি কাটে এবং নাক সিটকায়। নাক সিটকানো দল থেকেও কৌতূহলবশত অনেকে খেলতে শুরু করে__ রেগুলার খেলোয়াড়দের দল ভারী হয়।
ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান খেলার পজিটিভ দিক জিজ্ঞেস করলে খেলোয়াড়রা প্রথমেই বলবে ব্যাপক বিনোদন। তারপরে বলবে ইউনিটি শেখায়, লনলিনেস দূর করে, অনেকের সাথে পরিচয় হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এরপর আর খুব বেশিদূর যেতে পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা হল ভালো লাগে। ভালো লাগার ওপরে কোন কথা চলে না।
সারা বিশ্বে প্রায় ৩০ টির বেশি দেশে এই খেলাটি জনপ্রিয়। বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি মানুষ এই গেমসের প্লেয়ার। ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান এর একটা বাংলাদেশী গ্রুপে প্রায় লাখের ওপরে মেম্বার। মেইন ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান ভেরিফায়েড পেইজে ১৭ কোটির ওপরে লাইক। গুগল প্লে স্টোরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে আছে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৮ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় কোটির কাছাকাছি মানুষ এই গেমস খেলে যা থেকে সুপারসেলের দিনপ্রতি আয় ৫.১৫ মিলিয়ন ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।
অনলাইনে একটা রিউমর এলো। গেমসের ক্ল্যানে একটা অশুভ ছাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেটা অনেকটা লুসিফার বা শয়তানের আদল। অনেকেই স্ক্রিন শট নিয়ে সেটা পোষ্ট করেছে। BrunoNexoBrazil নামের একজন জুনিয়র মেম্বার সুপারসেলের ফোরামে ছবি সহ বিষয়টি উল্লেখ করে। “Have you noticed some strange designs on the base? Yes, they exist. Several players have found by yourself(sic) and were amazed,” BrunoNexoBrazil posted as caption to the pictures.
The junior member also said that the images “ensure that the supercell has a pact with the devil”; the reason why the game makes someone “increasingly addicted” creating the tendency “to forget the world and family.”
( সে এটাও বলে ‘এটা নিশ্চিত যে সুপারসেলের সাথে শয়তানের একটা চুক্তি আছে।’ সে কারনেই এই গেমস মানুষকে ক্রমবর্ধমান হারে আসক্ত করে এবং জগত ও পরিবার ভুলে থাকার প্রবনতা তৈরি করে।)
এই গুজবের পালে হাওয়া দিতে আরও অনেকেই স্ক্রিনশট দিয়ে সেই অশুভ ছাপ ওয়ালা ক্ল্যানের ছবি আপলোড দিল। বিভিন্ন গেইম বেসিস ফোরামে এটা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হল। কেউ এটাকে সায় দিল আবার কেউ উত্তপ্ত মস্তিস্কের কল্পনা হিসেবে এড়িয়ে গেল। কিছুদিন পর থেকে সেই ছাপ আর আগের মত স্পষ্ট ভাবে চোখে পরে না। তবে এখনও অনেকে নাকি সেটা অস্পষ্ট ভাবে দেখতে পায়।
সৃষ্টির শুরু থেকেই আমরা উন্নত সভ্যতার পেছনেই ছুটছি। সভ্য হবার চেষ্টা করছি। সভ্য ভাবে বাঁচার এনভায়রনমেন্ট তৈরি করছি। যার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন শুভ চিন্তা।
গোঁড়ামি কিংবা গুজব এড়িয়ে একটু নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করা যাক। এটা একটা গেইমস। একটা বিনোদনের মাধ্যম মাত্র। কিন্তু এই সাধারন একটা বিনোদনের এক্সপ্রেশনটা অশুভ কেন হতে হবে? এখানে গেইমটা বড় বিষয় না। মূল ব্যাপার হল এর থিমটা। শুধু মাত্র একটা অশুভ ছাপের গুজব না, একটু সচেতনভাবে লক্ষ্য করলে এর প্রত্যেকটা এলিমেন্টে অশুভ ছাপ চোখে পরবে।
Clash of Clans = (গোত্রসমূহের মধ্যে সংঘর্ষ) হতে পারে এটা একটা রোমাঞ্চকর গেমস। তাই নামটাও রোমাঞ্চপূর্ণ। সংঘর্ষ ছাড়া মনে হয় রোমাঞ্চ ঠিক জমে না।
Barbarian (অসভ্য, বর্বর) একজন প্লেয়ার সর্ব প্রথম যুদ্ধের জন্য বারবারিয়ান সৈন্য হিসেবে পায়।
Goblin (অপদেবতা) সবুজ রঙের বিদঘুটে এই এলিমেন্ট খুব দ্রুত লুট সংগ্রহ করে।
Wizard (জাদুকর) এই এলিমেন্ট আগুন ছুড়ে শত্রুপক্ষকে কাবু করে।
Hog Raider (এক বিশেষ ধরনের সৈন্য) এরা শুকরের পিঠে চলাফেরা করে। খুব দ্রুত বিভিন্ন প্রটেকশন ভেঙ্গে ফেলে।
Healer (বৈদ্য, জাদুকরী চিকিৎসক) সৈন্যদের ওপর হিলার ছেড়ে দিলে হিলারের বলয়ের ভেতর থাকা সৈন্য সহজে মরে না।
Witch (ডাইনি) শত্রুপক্ষকে ঘায়েল করতে এরা বিশেষ পারদর্শী।
Valkyrie (নরওয়ে মিথলজির একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র) ক্ল্যানে সৈন্য হিসেবে এরা অত্যন্ত পারদর্শী।
হাতিয়ারের মধ্যে আরও আছে ওয়াল ব্রেকার,
বেলুন,
মিনিওন,
জেইন্ট, ড্রাগন, লাভা হাউন্ড, হিলিং স্পেলসহ অনেক কিছু। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লেটেস্ট এবং পাওয়ারফুল সৈন্য হিসেবে আছে PEKKA.
P.E.K.K.A= Perfect Enraged Knight Killer of Assassins (হত্যাকারীদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ উন্মাদ হত্যাকারী নাইট) এর কদর প্লেয়ারদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
ইট
আরচার টাওয়ার
ছবিগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যাবে প্রত্যেকটা এলিমেন্ট একেকটা অশুভ সিম্বল। এমনকি ইটগুলো এর ব্যতিক্রম না। এখানে যুদ্ধের প্রত্যেকটা ইলিমেন্ট কোন স্বাভাবিক যুদ্ধের ইলিমেন্ট না। মিথ অনুযায়ী এগুলো শয়তানের যুদ্ধের হাতিয়ার। ওয়্যার চলাকালীন মিউজিক, ওয়্যার ভিলেজের ডিজাইন থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি সব বিষয় অত্যন্ত নিখুঁত। সবগুলো ইলিমেন্টের এই লজিক্যাল কম্বিনেশন কাকতালীয় ভাবে হয় না।
তবু ধরে নিচ্ছি এটা একটা সাধারন গেম। কিন্তু এর আসক্ত করার ক্ষমতা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। গুটিকয়েক বলবে আমরা অবসর সময়ে খেলি। যারা এই গেমের প্লেয়ার তারা প্রয়োজনের বাইরে কাজ বলতে আর কিছু বোঝে না। দৈনন্দিন কাজের বাইরের সবটুকু সময় নিয়ে নিচ্ছে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান। ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানের বাইরেও চিন্তা করার মত, সৃজনশীলতা কাজে লাগানোর মত আরও অনেক জায়গা আছে সেটা ভাববার সময় এই গেমের প্লেয়ারদের নেই। সৃজনশীলতা নষ্ট করার জন্য এই একটা গেমই যথেষ্ট।
মানুষের পারিপার্শ্বিক অবস্থা তার চিন্তাকে প্রভাবিত করে। এই গেইমের অশুভ প্রভাব কাউকে প্রভাবিত করবে না এমন কোন নিশ্চয়তা সুপারসেল কাউকে দেয় নি। গেইমের গণ্ডি থেকে বেরিয়ে বাস্তবে কেউ যদি এই রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে চায় সেটা নিশ্চয় অস্বাভাবিক হবে না। সমাজে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবার একটা অন্যতম কারন হিসেবে মনোবিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ধরনের সাংঘর্ষিক গেমসকে দায়ী করেন।
কার্টুন এবং গেমসের বদৌলতে ঘৃণ্য ইঁদুরের প্রতিও মানুষের গদ গদ ভাব তৈরি হয়। গেমসের হিরো চরিত্র গুলো যত কুৎসিত হোক সেই চরিত্রে নিজেকে ভাবতে একজন প্লেয়ারের কোন দ্বিধা থাকে না। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিখ্যাত কার্টুন চরিত্র পাপাইয়ের কারনে বাচ্চাদের মধ্যে পালং শাক খওয়ার প্রবনতা অনেক গুন বেড়ে গিয়েছিল। একই ভাবে সুপারসেলের ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান খেলার মাধ্যমে যদি কারো মধ্যে বারবারিয়ান, ডাইনি কিংবা অপদেবতার প্রতি ভালোবাসা জন্মায় তাহলে কি ঘটবে?
কাল্পনিক চরিত্র নিয়ে ম্যানিয়া মনোবিজ্ঞানের অনেক পরিচিত একটা অসুখ। মস্তিস্ক বিকৃতির উদাহরণও অনেক। সেখানে এই গেমের প্রত্যেকটা ইলিমেন্টের মিথলজিক্যাল হিস্ট্রি আছে। যা নিয়ে মানুষের মাতামাতি কুৎসিত ইতিহাস তৈরি করেছে। ডাকিনী, জাদুবিদ্যা ও শয়তানের উপাসনার প্রকাশ্য চর্চা বহুদিন আগেই বন্ধ করা হয়েছে। এখনও এই বিষয়গুলোকে সভ্যতার চোখে ঘৃণ্য হিসেবে দেখা হয়। অশুভ শক্তির দমন এবং শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠার লড়াই যুগ যুগান্তরের। সেই বিষয়গুলোকে সূক্ষ্মভাবে মানুষের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে স্বাভাবিক চোখে দেখার মানসিকতা তৈরিতে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান হতে পারে সবচেয়ে চমৎকার মাধ্যম। কিংবা যে কোন সুস্থ চিন্তা থেকে মানুষকে সরিয়ে রাখতে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান খেলা শিখিয়ে দেয়াই যথেষ্ট। কোন দিক বিবেচনা না করে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান নিয়ে বর্তমান বাড়াবাড়ি এর প্রমান।
সুপারসেল কি করছে, মানুষকে শয়তানের পূজারি বানিয়ে ফেলছে, স্বাভাবিক জগত থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে এইসব বিতর্কিত আলোচনায় না গিয়ে নিজের ভালো মন্দ বোঝাটা জরুরী। কিন্তু আচ্ছন্ন আসক্ত মানুষ ঘোরের মধ্য থেকে বেরিয়ে ভালো মন্দ ঝামেলায় যেতে চায় না। তারা টান টান উত্তেজনার মধ্যে থেকে ওয়্যার অ্যাটাক দিতেই বেশি পছন্দ করে। রিয়েল লাইফ আপগ্রেড দেবার চেয়ে টাউন হল আপগ্রেড নিয়ে ব্যস্ত থাকা অনেক সুখের। এই সুখের শুভ কিংবা অশুভ প্রভাব তাদের জীবন থেকে কি নিয়ে যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে মাথা ঘামাবার সময় কোথায়?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০২
আফরীন সুমু বলেছেন: একমত। ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪
মেঘ নাকি রোদ্দুর বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। আর যাই বলেন, এটা সময় ও সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য বিরাট হুমকি। অনলাইন থেকে ও ডিভাইসগুলো থেকে এইসব গেমসকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা এখন সময়ের দাবি
অতঃপর আমার ফোন থেকে গেমটা বিদায় করিলাম। সুভকামনা জানবেন
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৫
আফরীন সুমু বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য শুভেচ্ছা। আসক্তি থেকে বের হয়ে বাস্তবে ফিরতে পারা জগতের সবচেয়ে কঠিন একটা কাজ। আশা করি সময়কে ভালো কাজে লাগাবেন।
৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬
গোধুলী রঙ বলেছেন: চমতকার পোস্ট, এটাই হলো আউট অফ বক্স চিন্তা। আমি নিজে ফেসবুকে আসক্ত নই ক্লাশ অফ ক্লান তো বহু দুরের ব্যাপার। অফিসের পোলাপাইন গুলো চান্স পাইলেই এইটা নিয়া গুতায়, এক হাতে ভাত খায় আরেক হাতে ক্লান গুতায়, বাথ্রুমে বসে গুতায় বাসে বসে গুতায়, বাসায় গিয়ে বুকের উপর কইন্যা ঘুমায়, দুহাতে ক্লাশ অফ ক্লান। আর জিগাইলেই কয় একটু অবসরে খেলি। আসলে এরা কাজের সময় আর অবসরের সময়ের তফাতই গেছে ভুলে।
সুন্দর পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০
আফরীন সুমু বলেছেন: আমি গেম খেলি না। তাই বলে খেলার বিপক্ষে নই। তবে যেই গেম গুলো সৃজনশীলতা নষ্ট করে আসক্তি তৈরি করে সেগুলোর বিপক্ষে। অনলাইন গেম, জায়গার অভাব, বাস্তব অবস্থা সব মিলিয়ে আমাদের দেশি খেলাগুলো হারিয়ে গেছে। আমরা মেয়েরা ছোটবেলায় কুত কুত খেলতাম। এই কথা একদিন আমার ক্লাস থ্রিতে পড়ুয়া ছোট বোনটাকে বলেছি। নাম শুনেই সে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়। আমার আফসোস হয়। কত আনন্দ থেকে এরা বঞ্চিত।
ধন্যবাদ গোধুলী রঙ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: মেঘ নাকি রোদ্দুর বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। আর যাই বলেন, এটা সময় ও সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য বিরাট হুমকি। অনলাইন থেকে ও ডিভাইসগুলো থেকে এইসব গেমসকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা এখন সময়ের দাবি
অতঃপর আমার ফোন থেকে গেমটা বিদায় করিলাম। সুভকামনা জানবেন
মাইরালচে.........
তয় গেম চেঞ্জ করতারেন। ব্যস কাম ফিনিশ।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৭
আফরীন সুমু বলেছেন: বলেছেনঃ গেম চেঞ্জার বলেছেনঃ মেঘ নাকি রোদ্দুর বলেছেনঃ গেম চেঞ্জার বলেছেন.... হা হা হা।
৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৫
পিচ্চি হুজুর বলেছেন: গেইম এর আব্বু আম্মু। আশেপাশের মানুষগুলারে দেখলে এক একটা জোম্বি ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবাই যার যার ভার্চুয়াল লাইফ আর একটিভিটিজ নিয়ে অবসেসড। সামনে খুব খারাপ সময় আসতেছে,ব্লগে কোন মনোবিজ্ঞানী নাই নাকি? তারা কি বলেন ঝাতি জানতে চায়।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৬
আফরীন সুমু বলেছেন: মনোবিজ্ঞানী দিয়া কাজ হবে না। পিচ্চি হুজুর, বাচ্চা হুজুর, বড় হুজুর, কবরেজ এনাদের লাগবে।
৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: মেঘ নাকি রোদ্দুর বলেছেন: গেম চেঞ্জার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। আর যাই বলেন, এটা সময় ও সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য বিরাট হুমকি। অনলাইন থেকে ও ডিভাইসগুলো থেকে এইসব গেমসকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা এখন সময়ের দাবি
----
পোষ্ট অফ দ্য ইয়ার সো ফার।
এই গেমটা আমিও খেলেছি। যখন নতুন নামলো তখনই খেলেছিলাম।
এইটা একটা নেশার মত। গেম পাগলদের কাছে এইটা ভাল লাগবেই।
তবে আমার কাছে অসহ্যই লাগতো। এক তো, আপডেট হইতে অনেক দেরী - তারউপর এইটার জন্য হাতে মোবাইল সুপার গ্লু ছাড়াই আঁটকে থাকে। খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার।
ভাল ভাবে অ্যাডিক্টেড হওয়ার আগেই ছেড়ে দেই।
সিমুলেটেড গেমগুলো এমনই। অ্যাজ অফ এম্পায়ারসও একই টাইপের গেম। কিন্তু ঐটার তবুও শেষ আছে। এইটার শেষ নেই কোন। অনন্তকালের ধারণা নিয়েই এইটা বানানো কিনা - সেইটাও একবার ভেবেছিলাম।
শয়তানের আছড় - ঐসব নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। ফাও কথা!
আপডেটেবল গেম। নেশা থাকবেই। NFS এর গেমগুলোও একই রকম। তাই বলে তো ঐগুলোর উপরও শয়তানের আছড় নেই।
তবে, দীর্ঘদিন ধরে যারা খেলছে - তাদের অনেকেই এখন টায়ার্ড। এইটার ফলে যে তাদের ক্ষতি হচ্ছে ভালই বুঝতে পারছে। সৃজনশীলতা তো যাচ্ছেই - পরীক্ষার খাতায়ও গবলিন, বারবারিয়ান, লুট এইসব নিয়েও লিখছে। কোচিং-এর খাতা দেখতে গিয়ে আমি মাঝে মাঝেই পাইছি এইগুলা। এটা তো বেশি ক্ষতিকারক। পরীক্ষার সময়ও শিক্ষার্থীদের মনোযোগ থাকছে না। জাতি তো এখন অন্ধকারের আশংকায়ই আছে।
অন্যান্য গেমের ক্ষেত্রে এইটা হয় নাই।
এইটা অনলাইন সিমুলেটেড গেম। চ্যাট করা যায়। যুদ্ধের আবহ আছে।
তাই এইটাই মাথায় থাকে। সাইকোলোজিক্যাল ব্যাখ্যা করলে - এইটাই পাওয়া যাবে।
শয়তানের সাথে চুক্তি করা - এইটা খুবই ফাউ একটা কথা। মানুষগুলান খেলতে খেলতে সাধারণ বুদ্ধিও হারায়া ফেলছে।
পোষ্টটা ভাল্লাগছে। শুরুতে তো আপনাকে COC খেলোয়ারই ভাবছিলাম। শেষে গিয়ে ভাবনা উলটে গেল।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
আফরীন সুমু বলেছেন: স্টিমুলেটেড গেম গুলোর মধ্যে এটা সবচেয়ে বেশি ইফেক্ট ফেলেছে। কারন সুপারসেলের টার্গেট ছিল ওরা এমন একটা গেম বানাবে যেটা মানুষ বছরের পর বছর খেলবে। ওদের ওয়েবসাইটে ডিটেইলস আছে।
আর শয়তান মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। বিবেকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা মানুষ শয়তানের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এইজ অফ এম্পায়ার গেমটাও এ্যাডিক্টেড তবে ওটার থিমটা স্বাভাবিক। ইলিমেন্ট গুলো নরমাল। কিন্তু ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানস এর থিমটা আমার কাছে অ্যাবনরমাল মনে হয়েছে। আমরা হরর মুভিতে দেখি ভূতের যত ক্ষমতাই থাকুক শেষ পর্যন্ত সে পরাস্ত হয় এবং ভূতটা আমাদের চোখে এন্ট্রি পার্টি হিসেবেই থাকে। কিন্তু এই গেমে আমাদের স্বাভাবিক দৃষ্টিতে যেই ইলিমেন্টগুলো নেগেটিভ সেই ইলিমেন্টগুলো পজিটিভে কনভার্ট করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টা খুবই সূক্ষ্ম বলে তেমন কিছু মনে হয় না। কিন্তু উদ্দেশ্য থাকাটা অস্বাভাবিক না।
যাই হোক মূল কথা হল যেটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর সেটা থেকে দূরে থাকতে হবে। ক্ষতিকর বিষয়টা প্রতিরোধ করতে হবে।
রক্তিম দিগন্ত আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫
এহসান সাবির বলেছেন: এটা একটি ভালো পোস্ট। আমি অনেক দিন ধরে খেলি তবে কিছুদিন না খেলার চেষ্টা করি এবং করব। আমার লেভেল ১০০ উপর।
যেটা মানুষের জন্য ক্ষতিকর সেটা থেকে দূরে থাকতে হবে। ক্ষতিকর বিষয়টা প্রতিরোধ করতে হবে।
খুবই নেশাকর গেম।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২০
আফরীন সুমু বলেছেন: আপনার জন্য শুভ কামনা।
৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: গেমগুলো আসলেই সময় ও সৃজনশীলতার জন্য হুমকি।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
আফরীন সুমু বলেছেন: ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চমৎকার পোষ্ট +++++
এইসব বিষয়ে আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়াটা খুব জরুরী। এরচেয়েও অনেক ভাল ভাল গেমস আছে। অতএব এমন গেমস খেলা বাদ দিলে কোন সমস্যা নেই।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১
আফরীন সুমু বলেছেন: লক্ষ্য থাকতে হবে যেই গেমই খেলা হোক সেটা যাতে আসক্তির পর্যায়ে না যায়। ধন্যবাদ কাণ্ডারি অথর্ব ।
১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
ভারসাম্য বলেছেন: ভাল পোস্ট। গেইমটার কথা শুনেছি অনেক, খেলা হয় নি এখনো। ভিডিও গেইমসের নেশা অনেক বড় নেশা; কাজের সময়গুলো খেয়ে ফেলে একেবারে। প্রথম নেশায় পড়েছিলাম 'মুস্তাফা' নামে বেশি পরিচিত "Cadillacs and Dinosaurs' গেইমটার। বিশ-বাইশ বছর আগের কথা, সেভেন-এইটে পড়ি সম্ভবত। পিসি ছিল না, পাড়ার ভিডিও গেইমসের দোকানে প্রতিবারে এক টাকা দিয়ে খেলা যেত। তখন এক টাকাও অনেক টাকা আমাদের কাছে। কিন্তু নেশা এমনভাবে ধরল যে, জমানো অল্প কিছু টাকা ( আমাদের কাছে অবশ্য অনেক ছিল) সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই শেষ। প্রথম প্রথম অল্পতেই হেরে যেতাম, তাই বেশি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। একটা পর্যায়ে অবশ্য দক্ষতা বেড়ে যাওয়ায়, একবারেই লাস্ট এপিসোড পর্যন্ত যেতে পারতাম। ব্যাবসায়িক কৌশল হিসেবে দোকানদার শুরুতে আমার খেলার অনেক বাহবা দিলেও, দক্ষ হয়ে যাবার পর পরামর্শ দিত এত গেইমস না খেলে পড়াশোনা করতে। আসলে এক টাকা দিয়েই আমি এত দূর পর্যন্ত যেতে পারতাম এবং আমার সাথে থাকা অন্য কন্সোলগুলোতে থাকা অন্যরাও আমার সাপোর্টে টিকে যেত দেখে, দোকানদারের লস হয়ে যেত। সিরিয়ালে আরও অনেকে খেলার অপেক্ষায় থাকায়, আমাকে শেষে সিরিয়ালই দিত না। পরে নিয়ম করল আমাকে পাঁচ টাকা করে দিতে হবে প্রতিবার খেলার জন্য। টাকা পাব কোথায়! সমাধানও হাতের কাছেই। খেলতে আসা অনেকেই চাঁদা তুলে দিত তাদের সাথে খেলায় থাকার জন্য। প্রায় একটা মাস ভিডিও গেইমসের দোকানটাই আমার স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেল, অস্থায়ী হিসেবে স্কুলে যাই এবং ক্লাসের ফাঁকে, ছুটির পর, মাঝে মাঝে ক্লাস ফাঁকি দিয়েই ওখানে। শেষে বাড়িতে নালিশ গেল দোকানদারের যোগসাজশে। টানা অনেক সময়, অনেকদিন ধরে খেলতে খেলতে ডানহাতটা প্রায় পঙ্গুই হয়ে গিয়েছিল। খেলা বন্ধ হবার কিছুদিন পর বুঝলাম, কী মরণ নেশায়ই না পেয়েছিল!
এরপর আবার নেশা ধরেছিল নিজের পিসি হবার পর, তাও বছর পনের আগেকার কথা। তখনও 'মুস্তাফা' দিয়েই শুরু করেছিলাম, কিন্তু আগের সেই স্বাদ আর পাই না। তবে এনএফএস এর নেশায় পেয়ে গেল এবার। ফলাফল পরপর কয়েকটা সেমেস্টারে বেশ কিছু সাবজেক্ট রীটেইক নিতে হল। বাসায় জানলেও সমস্যা আবার টাকাও কম না। অনেক ভোগান্তি গেছে মিটমাট করতে।
শেষ নেশায় ধরেছিল, একটা ট্যাব হওয়ার পর। তার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই 'অ্যাংগ্রী বার্ডস' এর নাম শুনছিলাম। ট্যাবটায় 'অ্যাংগ্রী বার্ডস' ইন্সটল করাই ছিল। সেবার অবশ্য সময়ের হিসেবে খুব বেশি সময় ভূগতে হয় নি, কিন্তু কিছু না কিছু ক্ষতি তো হয়েছিল নিজের ব্যবসাটায়।
ক্ল্যাশ অব ক্লান্সের কথাও শুনছি কিছুদিন ধরে, তবে পণ করেছি নেক্সট বইগুলোর কাজ শেষ না করে ওমুখো হব না আর।
+++++++++++
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০২
আফরীন সুমু বলেছেন: রিয়েল প্লেয়ার পাওয়া গেলো। কাজ শেষ করেই বা ওমুখো হবার দরকার কি ? ভালো কোন হুজুর পাইলে পানি পড়া নিয়েন।
১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১১
সুলতানা রহমান বলেছেন: আমি হচ্ছি ভ্রু কুচকানো দলের। কিন্তু আমাদের বাসায় এই খেলা জোরসে খেলে।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০
আফরীন সুমু বলেছেন: আমার ছোট বোনও খেলত। এখন পুরা অফ। লজিক দিয়ে বুঝালাম। কাজ হয়েছে।
১২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
রূপা কর বলেছেন: গোধুলী রঙ বলেছেন: চমতকার পোস্ট, এটাই হলো আউট অফ বক্স চিন্তা। আমি নিজে ফেসবুকে আসক্ত নই ক্লাশ অফ ক্লান তো বহু দুরের ব্যাপার। অফিসের পোলাপাইন গুলো চান্স পাইলেই এইটা নিয়া গুতায়, এক হাতে ভাত খায় আরেক হাতে ক্লান গুতায়, বাথ্রুমে বসে গুতায় বাসে বসে গুতায়, বাসায় গিয়ে বুকের উপর কইন্যা ঘুমায়, দুহাতে ক্লাশ অফ ক্লান। আর জিগাইলেই কয় একটু অবসরে খেলি। আসলে এরা কাজের সময় আর অবসরের সময়ের তফাতই গেছে ভুলে।
আমার ছোট ভাইয়ার কথা বলছেন উনি
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪২
আফরীন সুমু বলেছেন: লজিক দিয়ে বুঝান। বুঝানোর মত বুঝাইলে কাজ হবে।
১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪২
খেপাটে বলেছেন: এই গেমের ওপর আসক্তি খুব বেশি না,,,র্যাম আর চার্জ বেশি যায় বলে আনইন্সল করে দিছি
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৩
আফরীন সুমু বলেছেন: শুনে ভালো লাগলো।
১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৩
ঠেটু বলেছেন: মনোবিজ্ঞানী হাজির
১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
দুর্জয় বিশ্বাস বলেছেন: আপনার এই পোস্ট পড়ে ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস খেলা ছেড়ে দিয়েছি।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫
আফরীন সুমু বলেছেন: শুনে খুশি হলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। আর যাই বলেন, এটা সময় ও সৃজনশীলতার বিকাশের জন্য বিরাট হুমকি। অনলাইন থেকে ও ডিভাইসগুলো থেকে এইসব গেমসকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করা এখন সময়ের দাবি।