![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"কিছুটা দুরেই মাথা উচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩১ তলা ভবনটি। মরার আগে একটি বারের জন্য হলেও এই বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ঢাকা শহরটাকে শেষবারের মতো দেখে নিবো।"
মতিঝিল শাপলাচত্ত্বরের সামনের ওভার ব্রিজটাতে দাঁড়িয়ে এসব আকাশ কুসুম চিন্তা করছি আর গাড়ির সারি সারি জ্যাম দেখছি।
আচ্ছা এই জায়গার নামটা ঠিক 'মতি-ঝিল' হবার কারণ টা কি!
হয়তো গুগল করলে হয়তো এ ব্যাপারে জানা যেতে পারে। কিন্তু গুগল করতে ইচ্ছা করছে না। আলসেমি লাগছে। আমি নিতান্তই অলস প্রকৃতির প্রাণী। আম্মুর ধারণা- "আলসেমির জন্য যদি আমাকে ফাস্ট প্রাইজও দেওয়া হয়,তবে সেই প্রাইজ আনতেও নাকি আমি ড্রাইভারকে পাঠাবো।"
যাই হোক পিছন থেকে একটা হাতকে নিজের কাধে আবিষ্কার করলাম। পিছে তাকাতেই দেখি হাজার বছরের বয়স্ক চেহারার এক লোক।
"বাবা একটু সাহায্য করবেন। সকাল থেকে কিছু খাই নাই"
- হুম ওয়েট।
পকেট থেকে টাকা বের করতে করতে সেই লোককে জিজ্ঞেস করলাম- "আচ্ছা চাচা,এই জায়গাটার নাম মতিঝিল হইলো ক্যান জানেন?"
তার না সূচক জবাব...
তাকে বলা শুরু করলাম-
শোনেন চাচা, অনেক বছর আগের কথা। এই এরিয়াটিতে এক বিরাট চার চোখ ওয়ালা রাক্ষস থাকতো,যার নাম ছিলো মতি রাক্ষস। সেই মতি রাক্ষসের একটা ছোট্ট কুঁড়েঘর এবং একটা ইয়া বড় ঝিল ছিলো। সেই ঝিলে গোসল করতো মতি রাক্ষস। একারণে পরবর্তীতে সেই মতি রাক্ষসের ঝিলের নাম অনুসারে এ জায়গার নাম হয় মতিঝিল। বুঝলেন চাচা?
খেয়াল করলাম লোকটা কেমন জানি এক অদ্ভুত দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
"কি হলো চাচা? বুঝতে পেরেছেন?"
সে এবার 'হ্যা' সূচক মাথা নাড়ালো। তারপর টাকাটা নিয়ে হনহন করে পিছনের দিকে হাটা দিলো। যাবার সময় লোকটা পিছন ফিরে শেষ বারের মতো আমার দেখে নিলো। বুঝতে পারলাম- সে আমাকে পাগল ভাবছে।
পাগল সেজে এ শহরে ঘুরে বেড়ানোর মাঝে এ পৈশাচিক আনন্দ রয়েছে। আর মেইন কথা হচ্ছে- মাঝে মাঝে পাগল সেজে নিজেকে গোপন করতে হয়। আবার সময় বুঝে নিজেকে প্রকাশও করতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২
ইসিয়াক বলেছেন: ভালো লাগলো