![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রক্তের গ্রুপের প্রধানত দুটি ভাগ।
- একটা হলো এবিও পদ্ধতি (এ, বি, এবি এবং ও)
- অন্যটা আরএইচ ফ্যাক্টর (আরএইচ পজেটিভ এবং আরএইচ নেগেটিভ)। এ রেসাস ফ্যাক্টরই ঠিক করে দেয় ব্লাড গ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।
এখন আসি মেইন উত্তরে। না ভাই,স্বামী -স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কোনো সমস্যা হয় না।
সমস্যা হয় রেসাস ফ্যাক্টরের ক্ষেত্রে। অর্থাৎ পজিটিভ কিংবা নেগেটিভ নিয়ে।
পজিটিভ ব্লাডধারী পুরুষের সাথে 'নেগেটিভ কিংবা পজিটিভ' ব্লাডধারী নারীর বিয়ে হলে কোনো সমস্যা নেই।
কিন্তু কিন্তু কিন্তু-
পুরুষের যদি পজিটিভ হয়। তাহলে তার বিবাহকৃত নারীকেও অবশ্যই পজিটিভ হতে হবে। না তা হলে তাদের প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা না হলেও দ্বিতীয় বাচ্চার সময় সেই বাচ্চাটি মারা যেতে পারে।
এখন প্রশ্ন হলো-
স্বামীর ব্লাড পজিটিভ আর স্ত্রীর নেগেটিভ হলে কেনো দ্বিতীয় বাচ্চাটি মারা যাবে?
উত্তরঃ পজিটিভ ব্লাড ধারী স্বামী আর নেগেটিভ ব্লাডধারী স্ত্রীর মিলনে স্ত্রী'র গর্ভে পজিটিভ ব্লাড ধারী বাচ্চার জন্ম হয়। এবং স্ত্রীর দেহে সেই পজিটিভ ফ্যাক্টরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য একটা এন্টিবডি তৈরী হতে থাকে।
দ্বিতীয় বাচ্চার ক্ষেত্রে স্ত্রী'র গর্ভে যে পজিটিভের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য এন্টিবডি টা তৈরী হয়েছিলো সেটা দ্বিতীয় বাচ্চার পজিটিভ ফ্যাক্টরকে ধ্বংশ করে দেয়। ফলে দ্বিতীয় বাচ্চাটা মৃত অবস্থায় জন্মগ্রহন করে।
প্রশ্নঃ
ভাই প্রেম ভালোবাসা তো এসব রক্তের রেসাস ফ্যাক্টর ট্যাক্টর মানে না। আর আমরা একটা মানুষকে ভালোবাসার সময় রক্তের ফ্যাক্টর দেখেও ভালোবাসি না। তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কি?
এক্ষেত্রে আমার উত্তর টা হলো- ভালোবাসা সার্বজনিন। ভালোবেসে যান। চিন্তা করার কোনো দরকার নেই। বিজ্ঞান অনেক এগিয়ে গেছে। আপনাদের এ সমস্যা রোধে আবিষ্কৃত হয়েছে এন্টি ডি নামের একটা ইনজেকশন। যা এখন সব হাসপাতালেই এভেইলএবেল আছে। প্রথম বাচ্চা জন্মের সময় যদি ডাক্তার উপরোক্ত ক্রাইটেরিয়ার সন্ধান পান,তাহলে তিনি প্রথম বাচ্চা জন্মের ৭২ ঘন্টার মধ্যে স্ত্রী'র শরীরে এই এন্টি ডি পুশ করে দিবে। ফলে ভবিষ্যতে ২য় বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.