![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানি আজ তোমাকে ভাবা বারণ। কারণ আজ তুমি নেই।
হুম তুমি নেই। তুমি আর কখনো ফিরবে না। সম্পর্কটা যে বড্ড তাড়াতাড়ি তোমার কাছে তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল সেদিন। তুমি তো সব বুঝতে। তুমি জানতে সব। তুমি উপলব্ধি করতে পারতে তুমি ছাড়া আমার এই আমির পরিণতিটাকে। তবুও তুমি চলে গেলে।
হুম,তুমি চলে গেলে!
আমার সব গল্প,উপন্যাস,কবিতার খাতা বন্ধ করে এই ধূসর শহরের বুকে আমায় একলা কাঁদাবে বলে হয়তো তুমি চলে গেলে। আর আমি এই শহরের রাস্তায় হিমুর মতো একলা পথে হেটে চললাম মাইলের পর মাইল।
আমি জানি সবাই হিমু হতে পারে না। তবুও একটুখানি অভিনয় করতে দোষ কি? আমি দেখব, শুনব, বুঝব এবং ভান করব ভুলে যাওয়ার। তোমাকে ভালো থাকতে দিয়ে কষ্ট পাব নিজে। অনেক নীলপদ্ম জমবে আমার কাছে। কিন্তু জমে থাকা নীলপদ্মগুলো নিয়ে কী করব, জানি না। হিমু জানত। আর সে-কারণেই সে আলাদা।
হিমু মহাপুরুষ বলে পার পেয়ে গেছিলো। কিন্তু আমি পার পাবো কিভাবে বলতে পারো?
রাতের শহর সবাইকে সব দেয় না। পুরান ঢাকার কলতাবাজার মোড়ে দাঁড়িয়ে, চারদিকের শুষ্ক বিষণ্ণতা ও হঠাৎ-গাড়ির শব্দ শুনে আমার মৃত্যু-মৃত্যু খেলতে ইচ্ছে করে খুব। তুষার রায়ের মতো গাড়ি আসতে দেখে দৌড়ে রাস্তা পার হব; বেঁচে গেলে তো ঠিকই আছে, নইলে রক্তমাখা একটা শরীর কাঁপতে কাঁপতে খুঁজবে এই শহরের কাউকে।
হিমু পাইপের মধ্যে শুয়ে দু-প্রান্তের পৃথিবীকে বাহুল্য মনে করত। আমি পারিনি। যেমন পারে না হিমু হতে চাওয়া হাজারো যুবক। তন্ময় হয়েই থেকে যায় তারা। কিংবা তাও নয়। নিজের পরিচিতি পেরিয়ে হিমালয় হওয়া সহজ বুঝি?
নিজে সরে এসে অন্যদের মিলিয়ে দেওয়ার যে নিয়ম, তা হিমু জানত। অন্তত, নিজেকে সরিয়ে নিতে। যাতে সাময়িক কষ্ট পেলেও, অন্যজন বুঝতে পারে, এর সঙ্গে আসলেই থাকা যায় না।
প্রকৃতপক্ষে ‘হিমু’ একটা ধর্মের নাম, যে ধর্মের আমি অভিনেতা। অথচ ঢাকা এসবের কিছুই জানে না। আমাকে প্রশ্রয় দেয়; পিছুটান থাকা সত্ত্বেও মিলিয়ে দেয় হিমুর সঙ্গে। আমি আর হিমু একই আকাশের নীচে ঘুরে বেড়াই।
রূপাকে ছাড়া হিমু হয় না। আর হিমুকে ছাড়া রূপা। তোমাকে ছাড়া আমিও কি....???
বলো?
©somewhere in net ltd.