| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কুয়াশার চাঁদরে আচ্ছাদিত সামনের দিগন্ত.. সাদা
পানির বিস্তৃত নদী.. আধো আলোর এক ফালি চাঁদ..
কালো লম্বা ভূতের মতন নদীর পাড়.. ঢেউ চিড়ে
এগিয়ে যাওয়া দানবাকৃতির লঞ্চটার গমগমে শো
শো শব্দ.. বাতাসের মিষ্টি ছটায় শিহরণ লাগা
একটা মুহুর্ত..
'
... সবই বেদনার রঙ্গে নীল!
হয়ত জলরাশির নীল রং চোখ-চটা তাই বেদনা
এসে সব কিছুকে নীল করে দিচ্ছে.. পাশ থেকে
উল্টা দিকে যাওয়া আর একটা লঞ্চের তীব্র
আলোর ফোকাসে চিকচিক করা চোখের
পানিগুলোও দেখা যাচ্ছে চাঁদের আলোতে নদীর
পানির চিকচিক করা দৃশ্যগুলোর মতন..
'
স্বপ্ন বুননের সেই সময়গুলো শুরু হয়েছিলো একটা
লঞ্চের ছাঁদে.. ঢাকা যাচ্ছিলাম.. সেদিনও চাঁদের
পূর্ন আলো ছিলো! জীবনের সবচেয়ে সুন্দর
স্বপ্নটা সেদিনই বুনা হয়েছিলো.. তারিখটা আজও
মনে আছে! হুবহু!!
কান্না চলে আসা অদ্ভুত সেই গল্পটা ইচ্ছে করেই
ভুলে গেছি. কারন গল্পটার শেষে সব ঠিক হয়ে
সুন্দর একটা জীবন শুরু হয়েছিলো তাদের দুজনের!
কিন্তু আমাদেরটা হয়নি তেমন
উফ! ভুলিনি তাহলে !!
'
আরে, ভুলবোই বা কি করে??
ধর্ম, সমাজ আর অসহায়ত্বের বেড়াজালে আটকে
যদিও সব কিছু 'খতম' করে দেয়া হয়েছে কিন্তু
মনটাকে তো মেরে ফেলতে পারিনি! ওটা তো
বেঁচে আছে.. আর সেটা যতদিন বেঁচে থাকবে
জীবনের এই পবিত্র আর নিস্কলূষ সম্পর্কটা বেঁচে
থাকবে প্রথম দিনের মতই..
ভয়ে ভয়ে কথা বলা.. দীর্ঘ ৭ মিনিট চুপ করে
থাকা.. এরপর মিষ্টি সুরে 'হ্যালো' বলা.. অতঃপর
ঘুম রেখে সারারাত কথা বলা প্রথম দিনেই! এরপর
সকালে উঠে গাড়ি মিস করা.. পরের রাতে লঞ্চের
ছাঁদে সারারাত কথা বলা.. জীবনে লঞ্চে উঠোনি
তুমি! তাই একদিন এমন একটা বড় লঞ্চে করে
চাঁদের আলো আর জলরাশির সাথে মিতালী গড়ে
আমাদের বাড়িতে আসবে বলে স্বপ্নধারার একটা
বাক তৈরি করা.. আমিও প্রবল উতসাহে সব
কিছুতে সায় দেয়া.. সব মনে আছে!! থাকবেও!!
'
কত কিছু পরিবর্তন হয়েছে এই দেড় দু-বছরে..
দুজন থেকে হয়ত এখন তিনজন তুমি!
কিন্তু!
আমি একা.. একাই আছি..
কারনটা হয়ত মাকামাতে হারিরির ঐ কবিতা
দুটোর বাংলা অর্থই!
-
.. তার বিরহের পরে আমি পাইনি এমন জন,
যার মিলনে শান্তি পাবে আমার প্রেমিক মন।
জ্ঞান গরীমায় তাহার মত পাইনি এমন জন,
যাহার মাঝে থাকতে পারে এমন স্বভাব ধন।
-
দুটো স্বপ্ন নিয়ে সেদিন বের হয়েছিলাম বাড়ি
থেকে.. ভার্সিটি ভর্তি আর তুমি আমার জীবনে
আসবে!! একটা স্বপ্ন পূরন হয়েছে.. ভার্সিটিতে
ভর্তি হয়েছি কিন্তু তুমি আর আসলে না.. আসবেও
না আর!! সবকিছুই শেষ.. শুকতারার গল্প গুলো এখন
আসে কান্না হয়ে! আসবেও হয়ত আজীবন....
-
এখন আর লিখতে ইচ্ছে করে না কিছুই! তারপরও
আজ লিখে ফেললাম।
দেখবে না, শুনবে না, জানবে না, বুঝবে না কেউ
কিছুই!
তারপরও....
মনটাকে তো প্রবোধ দেয়া যায় এটাই বা কম
কিসে!!
'
'
পূনশ্চ:-
এই লেখার সাথে জিবিত মৃত কোন ব্যাক্তির কোন
ধরনের কোন সম্পর্ক নাই! একটা লেখা প্রানবন্ত
করতে নিজেকে মাঝে মাঝে কিছু একটার সাথে
কল্পনা করতে হয়
সেটাই করা হয়েছে
©somewhere in net ltd.