নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মূল আইডি মহামান্য এডমিন কর্তৃক অঘোষিত ব্যান করে রাখায় এটা আমার ২নং ব্যাকআপ আইডি!! \nমূল আইডির লিংক www.somewhereinblog.net/blog/AhmedFiroj

আহমাদ ফিরোজ

আমি হবো সত্য বলার পাখি

আহমাদ ফিরোজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গর্ভের শিশু গুলি খাওয়ার পর এবার ১১ মাসের শিশুর কারাবাস!!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২


সকালে ফেসবুকে ডুকার সাথে সাথেই ওয়ালে একটা নিউজের লিংকে নজর পড়লো।
নিউজটার শিরোনাম: ১১ মাসের শিশুর ১৯ ঘণ্টা হাজতবাস

নিউজটা প্রথম বিশ্বাস হলো না। ১১ মাসের শিশু তো কথাই বলতে পারেনা, সে আবার কোন অপরাধে কারাবরণ করবে?? তাছাড়া ফেসবুকে চমকপ্রদ অনেক ভুয়া নিউজের লিংক দিয়ে মূলত অন্য সাইটে ভিজিট করানো হয়। কিন্তু নিউজের নিচে দেখলাম প্রথম আলো লিখা!! তারপরও বিশ্বাস হলো না। কারন, প্রথম আলোর নাম ব্যবহার করেও ইদানিং নকল লিংক তৈরি করা হচ্ছে। যেটাতে ক্লিক করলে অন্য সাইটে ডুকে যায়। দেখার জন্য ক্লিক করলাম।

আমাকে অবাক করে দিয়ে সত্যিকারের প্রথম আলোর সাইটই চলে আসলো। এবং নিউজের শিরোনামটাও হুবহুই আছে!!!

নিউজ পড়ে আমি বাকরুদ্ধ। এ কোন দেশে আমি বাস করছি?? ১১ মাসের শিশুকেও দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা কারাবরণ করতে হলো!! পুলিশ কর্তৃক অপহৃত(বাবাকে না পেয়ে তার সন্তানকে নিয়ে যাওয়া এক প্রকার অপহরণই) ১১ মাসের এই শিশুটি অবশেষে ৪২ হাজার টাকা মুক্তিপনের(ঘুষ) বিনিময়ে ছাড়া পেলো!!!!!!

কিছুদিন আগেই ছাত্রলীগের গুলিতে ক্ষত বিক্ষত হয়েছিলো মায়ের গর্ভে থাকা শিশু!!! আজ আবার ১১ বছরের শিশুর ১৯ ঘন্টার কারাবাস!!! হিউম্যানিটি ধর্মের অনুসারী মানবতাবাদীরা এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে রাজপথে নামবেন কি??? নাকি মানবতা সবার জন্য নয়, গুটিকয় গোষ্ঠির জন্য বরাদ্ধ??

দেশের এমন অবস্থা চলতে থাকলে দুদিন বাদে বিশ্বমিডিয়ায় কেবল সিরিয়ার শরণার্থীদের খবরই আসবেনা..... বাংলাদেশের শরণার্থীদের করুণ অবস্থার কথাও শুনতে হবে দেদারছে!!! আল্লাহ আমাদের জালিমের হাত থেকে রক্ষা করুন।

পুরো নিউজটি হুবহু এখানে তুলে ধরা হলো:

রয়েলের বয়স ১১ মাস। বুধবার রাতে তার বাবাকে ধরতে গিয়েছিল পুলিশ। না পেয়ে ধরে নিয়ে আসে তার মাকে, সঙ্গে তাকেও। এরপর মা ও শিশুপুত্রকে ১৯ ঘণ্টা আটকে রাখা হয় থানাহাজতে।
ঘটনাটি ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার। রয়েলের বাবা রাজু আহম্মদের অভিযোগ, স্ত্রী-সন্তানকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসতে ৪২ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে পুলিশকে। তবে পুলিশের অভিযুক্ত কর্মকর্তা এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই বলছেন না।
মহেশপুর উপজেলার বাসিন্দা রাজু আহম্মদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর নামে একটি মামলা ছিল। তবে ১৬ দিন আগে তিনি ওই মামলায় আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। বুধবার রাতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে একই উপজেলার লাটিমা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। রাত আটটার দিকে মহেশপুর থানার টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই) আমির হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই বাড়িতে যায়। পুলিশ তাঁর নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যান। তারা তাঁকে আটক করতে না পেরে তাঁর স্ত্রী ও ১১ মাসের ছেলে রয়েলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
রাজুর অভিযোগ, আটকের সময় তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয়। নারী পুলিশ না থাকায় পুরুষ পুলিশরা সন্তানসহ তাঁর স্ত্রীকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যান। বুধবার রাতে তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে থানাহাজতে আটকে রাখা হয়। এরপর গতকাল সকালে থানার টিএসআই আমির হোসেন তাদের ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে ৪২ হাজার টাকা দিয়ে বেলা তিনটার দিকে তাদের মুক্ত করেন। ধারদেনা করে টাকার জোগাড় করে চাচা আবদুল আজিজের হাত দিয়ে টাকা পৌঁছে দেন।
আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, রাজু মুঠোফোনের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার চুক্তি করেন। তিনি টাকা নিয়ে থানায় যান। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তা আমিরের হাতে টাকা তুলে দিয়ে বৌমাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টিএসআই আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজু আহম্মদ মামলায় জামিন নিলেও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। যে কারণে তাঁকে আটক করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ দেখে রাজু পালিয়ে যান। এরপর তাঁর স্ত্রীকে একা অন্যের বাড়িতে রেখে আসলে কেমন হয়, তাই নিরাপত্তার জন্য মা-ছেলেকে থানায় এনে রাখা হয়।’
টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আমির হোসেন পরে কথা বলবেন বলে জানান। বারবার প্রশ্ন করলেও তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে এড়িয়ে যান।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

বাবুল হোসাইন বলেছেন: মানবতা সবার জন্য নয়, গুটিকয় গোষ্ঠির জন্য বরাদ্ধ। এটাই স্বতসিদ্ধ কথা। অতিতেও ছিল এখনও তাই।

‘রাজু আহম্মদ মামলায় জামিন নিলেও তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। যে কারণে তাঁকে আটক করতে গিয়েছিলাম। পুলিশ দেখে রাজু পালিয়ে যান। এরপর তাঁর স্ত্রীকে একা অন্যের বাড়িতে রেখে আসলে কেমন হয়, তাই নিরাপত্তার জন্য মা-ছেলেকে থানায় এনে রাখা হয়।’ -----পুলিশের এই কথাটা আমার ভাল লেগেছে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: নিরাপত্তা বাবদ ৪২ হাজার টাকা.......!!!

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

বাবুল হোসাইন বলেছেন: গরিবের বউ সবার ভাবী। এটাতো নতুন কোন কথা নয়। ভাবীর নিরাপত্তা দেবর ছাড়া কে দিতে পারে?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: :-& :||

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

Atsboyarif বলেছেন: কি আজব!কোন দেশে আমরা বাস করি। Shame Shame।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৮

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: দলে দলে হিজরত করার সময় চলে এসেছে...!!!!

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

omarfaruk বলেছেন: মাদারচোদেরে পিটাই না কেন কুত্তাবাচ্চা রে

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: গালাগালি করলে কি আর জালিম আলিম হয় ভাই??

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

আমি আবুলের বাপ বলেছেন: পুলিশ শিশুটিকে ১০ দিনের রিমান্ড নেয় নাই অথবা গভীর রাতে অস্ত্র উদ্ধারে যায় নাই এটাই ভাগ্য।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: ভবিষ্যতে সেটাও দেখবো মনে হচ্ছে.....

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫০

েদােয়ল বলেছেন: আর কত কি যে দেখবো ভাই আর কি কি দেখতে হবে আল্লাহ জানে........

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: জালিমের জুলুম সহ্যের প্রবণতা যত বাড়বে, এমন দৃশ্য দেখার পরিমাণও তত বাড়বে.....।

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯

এম এ কাশেম বলেছেন: বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছি
এরা কি মানব সন্তান নাকি পশুর সন্তান?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: দুই পা দুই হাত দুই কান থাকলেই কি আর মানুষ হয়??? মানুষ হতে মনুষত্ব লাগে....।

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২০

ডা: এনামুল হক মনি বলেছেন: অবশ্য নিরাপত্তা দেয়ার জন্য সম্মানী হিসেবে মাত্র ৪২ হাজার টাকা নিয়েছে। এত্ত বড় নিরাপত্তার জন্য এতটুকু সম্মানী পুলিশ নিতেই পারে! :`>

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

আহমাদ ফিরোজ বলেছেন: কম হয়ে গেছে। সরকারী অনুদান থেকে আরো কিছু দেয়া দরকার.।!!!!

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

শেখ মফিজ বলেছেন: অমানুয়ের বাচ্চার সব ।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

সাহসী সন্তান বলেছেন: বিষয়টা সত্যিই অনেক নির্মম। নিউজটা আমি সকালেই পড়েছিলাম। আবার এর জন্য টাকাও নিয়েছে! কি বলবো ভাই, কিছু বলতে গেলে তো পায়ের থেকে জুতা খুলে কুত্তারবাচ্চাদের কে আগে জুতিয়ে নিতে হয়!

১১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিউজ পড়ে আমি বাকরুদ্ধ। এ কোন দেশে আমি বাস করছি?? ১১ মাসের শিশুকেও দীর্ঘ ১৯ ঘন্টা কারাবরণ করতে হলো!!

সাহসী সন্তান বলেছেন: বিষয়টা সত্যিই অনেক নির্মম। নিউজটা আমি সকালেই পড়েছিলাম। আবার এর জন্য টাকাও নিয়েছে!

চিন্তার সীমাও শেষ হয়ে যায় তাদের দূর্ণীতি আর অপকর্মের খবর পড়লে!!!!!!!!!!!!

আমাদের চামচা কমিশন কই? নারীবাদীরা কই? শিশু অধীকারের নামে শতকোটি টাকা ডোনেশেন খানে ওয়ালা্রা কই!????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.