![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শত সহস্র শ্রেষ্ট সব স্বত্ত্বার ভীড়ে আমি কেউ ই না। ভালোবাসি ফুটবল। ফুটবল ফ্যান- এটাই সময়োপযোগী সেরা পরিচয় ধরা যেতে পারে।
স্কুল লাইফে বাড়ীতে যতটা সময় থাকতাম তার থেকে বেশি সময় কাটাতাম পাবলিক লাইব্ররিতে। শুক্র আর শনিবার মন খুব খারাপ থাকতো, এই দুইদিন গ্রন্থাগার বন্ধ থাকে।আমি রবিবারে যথারীতি স্কুলে যাওয়ার নাম করে সকাল সকাল লাইব্রেরীতে গিয়ে হাজির। গল্পের বই পড়া শুরু করবো তার আগে একটু পত্রিকায় চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। প্রথম আলোর প্রথম পাতার নিউজ, "নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ক্যান্সার ধরা পড়েছে"।
আমার ঠিক মনে নেই, আমি হয়তো নিউজটা পড়া শুরু করেছিলাম। কিছুক্ষন পরে দজ্জাল লাইব্রেরিয়ান মহিলা আমার সামনে এসে বললেন,
-"এই ছেলে তুমি কানতেছ ক্যান? পত্রিকা তো দেখি ভিজায় ফেলসো, সমস্যা কি"?
-"ইয়ে আন্টি চোখে মনে হয় পোকা ঢুকছে"।
তারপর কেটে গেলো অনেক অনেক বৃস্টিভেজা দিন আর জোসনাঘেরা রাত। এক সন্ধ্যায় বাকের ভাইয়ের ফাসির আদেশ হলো, একদিন মাঝরাতে মারা গেলো রাবেয়া আপা। আমি অসম্ভব কস্ট নিয়ে সারারাত জেগে বসে রইলাম। খুব ভোরে দিলুর মৃতদেহ টা ভাসছিলো মাঝ পুকুরে। যেদিন হাসিখুশি মুহিতের এক্সিডেন্টের খবর পেলাম সেদিন না খেয়ে ছিলাম সারাদিন।
তারপর একদিন খুব অদ্ভূত একটা অনুভূতি হলো। হঠ্যাত করে বুঝতে পারলাম বাকের ভাই, মুহিত রা আসলে মরেনি । হাতে ক্যামেরা নিলেই মনে হয় হাসিখুশি চেহারার দিলু সামনে এসে দাড়াবে। বলবে, আচ্চা ভাই একটা ছবি তুলে দেন তো! পাশের বাসা থেকে রাবেয়া আপা বিড়বিড় করে বলতেছে, দাদা আমার পলার নাকটা এতো ঠান্ডা কেন? মনের কোন একটা জায়গায় তারা এখনো ঠিকই বেঁচে আছে।
তারপর আরো প্রায় বছর খানেক পর হুমায়ূন আহমেদ স্যার মারা যান। উনিশে জুলাই এর সেই ভোরে আমার কোনো টাইপের ফিলিংসই হযনি। কারন আমি ততদিনে বুঝতে শিখে গেছি যে, পৃথিবীতে খুব কম মানুষের ডিকশনারীতে মৃত্যু বা মৃত্যুদিন বলে কোন শব্দ থাকে না ।আর সেই মানুষদের কাতারে আপনি প্রথমদিকেই থাকবেন যারা সবার স্মৃতিতে বেঁচে থাকে আজীবন।
পৃথিবীর শেষ হিমুটা যেদিন গা থেকে হলুদ পান্জাবী খুলে ফেলবে, পৃথিবীর শেষ রুপা যেদিন নীল শাড়ী ছেড়ে লাল
বেনারসী পরে বাবার পছন্দের ছেলের হাত ধরে গাড়ীতে গিয়ে উঠবে; সেদিন হয়তো দুর থেকে কোন শুভ্রর চশমা
ঝাপসা হয়ে যাবে, সেদিন হয়তো কোনো বাদলের মা বাদলের হাতে হলুদ পান্জাবী ধরিয়ে দিয়ে বলবে, যা বাইরে থেকে ঘুরে আয়।এরকম জোসনা রাতে ঘরে বসে থাকা অন্যায়!
ডিয়ার স্যার, আপনি এতো এতো মানুষের ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন পৃথিবীর শেষদিন পর্যন্ত। সিরিয়াসলি!
© আহমদ আতিকুজ্জামান।
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ফুটবল খেলেন?
৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১১
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: খেলি।
৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৬
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: কি বুঝাতে চাইলেন ভাই?
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: কি বুঝাতে চাইলেন ভাই? "
-বাংগালীরা তেমন পড়তে চাহে না; মতিয়া চৌধুরী, মেনন, নাসিম, তোফায়েল, শেখ সাহেব তেমন লেখাপড়া করেননি, বকবক করতে করতে নেতা হয়ে গেছেন। আপনি পড়েছেন, বাংগালীর দরকার পড়ালেখা মানুষ।
আপনি যে লাইব্রেরীতে পড়তেন, ওখানে টয়লেট ছিলো তো?
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: আমার ধারণা আপনি হুমায়ুন আহমেদে কে দেখতে পারেন না। সেলিব্রেটি মানুষ, অন্যকে কটু কথা বললেও আপনার যাবে আসবেনা। আমি নিজেও আপনার ফলোয়ার। জানিনা কোন বিচিত্র কারনে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছেন।
৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮
কালীদাস বলেছেন: বুঝতে পারছি হুমায়ুন আহমদের বেশ ভাল রকমের ভক্ত আপনি, ফিলিংসটা বেশ পরিষ্কার।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩১
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: @ কালিদাস ভাই, ব্যক্তি হুমায়ুন আহমেদের ভক্ত কিনা জানিনা। কিন্তু তার প্রতিটি লেখার, প্রতিটি শব্দের, প্রতিটি দাড়ি- কমার ভক্ত আমি।
কমেন্টের জন্যে ধন্যবাদ। ☺
৭| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
মন খারাপ করবেন না, যারা পড়েন, আমি তাদের অনুসারী; কথা বলার ফাঁকে সামান্য ফান করছি।
৮| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬
কালীদাস বলেছেন: @চাঁদগাজী: লাইব্রেরিতে টয়লেট আছে কিনা প্রশ্ন করা - এরকম লেইম টাইপের ফান আমি ব্লগে খুব কমই দেখেছি আমার সাত বছরের ব্লগিং-এ। আপনি একটা কম্যুনিটি ব্লগে এসেছেন ব্লগিং করতে, অথচ আপনাকে বেশ বাজে রকমের সুপেরিওর মেন্টালিটির কমেন্ট করতে দেখি প্রায় সবার সাথেই। এটা পারসোনাল ব্লগিং-এর জন্য হয়ত ঠিক আছে, কম্যুনিট ব্লগিং এর মোটেও সামন্জস্যপূর্ণ নয়।
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৬
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: যা হবার হয়ে গেছে। ধন্যবাদ সাপোর্টের জন্যে।
৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩২
ধ্রুবক আলো বলেছেন: জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো!! আসলেই কাজ মানুষকে চিরজীবন বাচিয়ে রাখে...
ভাই আপনার লেখাটা ভালো লাগছে.,,, ধন্যবাদ..
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৩
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্যে।
১০| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২০
চাঁদগাজী বলেছেন:
@কালীদাস ,
আমি ফুটবল খেলতাম, সেজন্য উনাকে বুঝতে চাচ্ছি, এটুকুই
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৪
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: @ চাদগাজী- ভাই আপনি বোধহয় সেন্ট্রোল ডিফেন্সে খেলতেন। আমি যেহেতু এটাকিং মিডে খেলি সেহেতু বুঝার চেষ্টা করছেন কিভাবে আমাকে ট্যাকল করা যায়!
১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৭
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: যাই হোক ভাই, @চাদগাজী, @কালিদাস - সবকিছু ভুলে যান। কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব ধরি আমরা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"স্কুল লাইফে বাড়ীতে যতটা সময় থাকতাম তার থেকে বেশি সময় কাটাতাম পাবলিক লাইব্ররিতে।শুক্র আর শনিবার মন খুব খারাপ থাকতো, এই দুইদিন গ্রন্থাগার বন্ধ থাকে।আমি রবিবারে যথারীতি স্কুলে যাওয়ার নাম করে সকাল সকাল লাইব্রেরীতে গিয়ে হাজির। "
-১৭ কোটী বাংগালী আপনাকে খুঁজছে