![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শত সহস্র শ্রেষ্ট সব স্বত্ত্বার ভীড়ে আমি কেউ ই না। ভালোবাসি ফুটবল। ফুটবল ফ্যান- এটাই সময়োপযোগী সেরা পরিচয় ধরা যেতে পারে।
ফুটবলে যেমন থাকে তীব্র প্রতিদন্ধিতা, শ্রেষ্টত্ব অর্জনের লড়াই তেমনি থাকে কিছু মজার মুহুর্তও। ফুটবলের মজার কয়েকটি মুহুর্ত তুলে ধরলাম এই পোস্টে-
★ ১৯৫০ সালের আসরে ফিফা দলই খুঁজে পাচ্ছিলনা। এই বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল ব্রাজিল। ১৯৫০ এর বিশ্বকাপে খেলতে সুযোগ পেয়ে ব্রাজিল পর্যন্ত গিয়েছিল ভারত। কিন্তু খালি পায়ে খেলার আবদার তোলে ভারত! হাউ ফানি। খালি পায়ে খেলার অনুমতি না পাওয়ায় ভারতের আর বিশ্বকাপ খেলা হয়নি
★ ১৯৭০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ব্রাজিল। এ আসরে ইংল্যান্ড দলে ন্যাক্করজনক এক ঘটনা ঘটে। মদ্যপান, চুরিও অশালীন আচরণের অভিযোগে ইংল্যান্ড তারকা ববি মুরকে গ্রেপ্তার করে মেক্সিকো পুলিশ। এ ছাড়াও ১৯৭০ বিশ্বকাপের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, স্পেন ও পুর্তগালের মতো বিশ্বসেরা দলগুলোর আসরে সুযোগ না পাওয়ার ঘটনা। বাছাই পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায় এ সেরা চার দল।অন্যদিকে ১৯৭০ বিশ্বকাপ আসরে অভিষেক হয় ইসরাইলের।
★ ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কথা, হাত দিয়ে গোল করে ২য় বারের ও শেষ বারের মতো দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেন ম্যারাডোনা। এই বিশ্বকাপে আর একটি দলের কথা না বললেই নয়, সেই দেশটি ডেনমার্ক। নতুন ধরনের ফুটবলে তারা চমক দিয়েছিল বিশ্বকে।স্কটল্যান্ডকে ১-০ উরুগুয়েকে ৬-১ এবং পশ্চিম জার্মানীকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের চমক হিসাবে আবিভূর্ত হয় তারা।তবে দ্বিতীয় রাউন্ডে স্পেনের কাছে ১-৫ গোলে হেরে আকাশ থেকে বিলাপ করে মাটিতে পড়ে ডেনিশরা।
★ ৯০ মিনিটের এক ম্যাচে কয়টি লালকার্ড দেখা যায়? একটি, দুইটি বা খুব খারাপ কোনো দিন হলে তিন বা চারটি পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু আর্জেন্টিনার ক্লাব ফুটবলের এক ম্যাচে রেফারি ডেমিয়েন রুবিনো মাঠের সবাইকে লাল কার্ডে দেখিয়ে ছেড়ে ছিলেন। ক্লেপোল ও ভিক্টারিয়ানোর ম্যাচে প্রথম অর্ধে মাত্র দুজনকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন রেফারি। দ্বিতীয়ার্ধে যেন নরক ভেঙে পড়ল মাঠে। কে কাকে ঘুষি দিচ্ছে বা লাথি মারছে, কারও কোনো হুঁশ নেই।খেলোয়াড়, কোচ, দর্শক হাত চালাতে বাদ রাখেননি কেউই। রেফারিও বা বাদ যাবেন কেন? মাঠের সবাইকেই তাই লাল কার্ড দেখিয়ে বসলেন তিনি।
★ এখন নম্বর ছাড়া জার্সি কল্পনাই করা যায় না। জার্সি নম্বরই যেন এখন খেলোয়াড়ের পরিচয় বাহক। এমনকি বড় বড় ক্লাব ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা বিশেষ কোন নম্বরের জার্সি পরার স্বপ্নও দেখেন। অথচ, একটা সময় ছিল যখন জার্সিতে কোন নম্বর লেখা থাকতো না। ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলে প্রথমবারের মতো জার্সিতে নম্বর লেখা হয়েছিল।
★ সবচেয়ে বেশি বয়সে গোল দিয়ে রেকর্ড অক্ষুণ রেখেছেন ক্যামেরুনের রজার মিলা। ১৯৯৪ সালে তিনি যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন, তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর ৩৯ দিন। আর গোল করার পরে সে-কি সেলিব্রেশন! আহ, নেচে নেচে দর্শকদের বিমুগ্ধ করেছিলেন মিলা, দর্শকরাও চেয়ার ছেড়ে হাততালি দিয়ে তার গোল সেলিব্রেশনের মুহুর্তটি উপভোগ করেছিল।
এমন অনেক মজার মুহুর্ত পাওয়া যায় ফুটবলে, তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে হাজার মজার মাঝেও জয় হোক ফুটবলের।
© আহমদ আতিকুজ্জামান।
০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৬
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
২| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মজার তথ্যগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আহমদ আতিকুজ্জামান।
০৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০৩
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্যে।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৯
জগতারন বলেছেন:
১৯৫০ এর বিশ্বকাপে খেলতে সুযোগ পেয়ে ব্রাজিল পর্যন্ত গিয়েছিল ভারত।
কিন্তু খালি পায়ে খেলার আবদার তোলে ভারত!
এ তো দেখি মামার বাড়ীর আবদার !
এ আবদার রক্ষা করা হয় নাই,
আর এ জনমে তাদের বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার সুজোগ হয় নাই বা সে জোগ্যতা অর্জন হয় নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার সব তথ্য শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। +।