![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শত সহস্র শ্রেষ্ট সব স্বত্ত্বার ভীড়ে আমি কেউ ই না। ভালোবাসি ফুটবল। ফুটবল ফ্যান- এটাই সময়োপযোগী সেরা পরিচয় ধরা যেতে পারে।
গতকাল আমরা যখন তারাবি নামাযের প্রস্তুতি নিচ্চি, তখন বিশ্বের বেশ কয়েকটা দেশের মুসলমানরা প্রথম রোজা'র বেশ কয়েক ঘন্টা পার করে দিয়েছেন।
রাতে খুব কাছের একজনের সাথে কথা হচ্চিল। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় থাকে সে। তাদের পাশের ফ্লাটে থাকেন একটি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবার। তাদের আলাদা আলাদা জায়গায় কাজ আছে; কাজের তাগিদে বেরিয়ে পড়তে হয় উপবাস নিয়েও। ইফতারি বানানোর সময়টুকুও যেন নেই তাদের। আমার ওই পরিচিত মানুষটি তাদের বাসায় ইফতারি পৌছে দিয়ে এসেছে। তারা হৃষ্টতার হাসি হেসেছেন, এমন দূর পরবাসে অন্যের জন্যে এতটুকুই বা কে করে? আমি শুনে খুশি হলাম।
চিন্তা করলাম আমার দেশের কথা। আমি আজ ইফতারিতে যেখানে ৮-১০ আইটেমের জিনিস খাচ্চি, আমার শহরের অনেক মানুষই সেখানে শুধু পানি দিয়ে ইফতার করছে! কে যেন বলেছিলো, ' শহরের একপাশের মানুষ যেখানে পৈশাচিক আনন্দে মত্ত, অন্যপাশটার মানুষ তখন যুদ্ধ করছে নিজের অস্তিত্ব ঠিকিয়ে রাখার জন্যে। বরাবরের মতো এই রমযানেও যেসব নির্মম সত্য আমাদের মাঝে ঘটতে চলেছে তা দুচোখ বন্ধ করে ভাবতে থাকি আমি।
পাশের ফ্লাটে গরম পিয়াজু অথবা হালিমের গন্ধ পেয়ে হয়তো কোন এক শিশু তার মাকে জিজ্ঞাস করবে মা আমাদের ইফতার কই ? মায়ের কাছে কোন উত্তর নেই, হয়তো কিছু শুকনো মুড়ি মাখাতে মাখাতে মা বলবেন গরীবের ইফতার আসমানে থাকে বাবা।
হয়তো আপনার ফেলে দেওয়া উত্ছিষ্ট কিছু ইফতার কুড়িয়ে নেওয়ার আশায় দরজার ওপাশে হাত পেতে দাড়িয়ে থাকবে কোন শিশু অথবা মা।
হয়তো গত রমযানে এক টেবিলে খেতে বসা প্রিয় বাবাটি আর কখনো পাশে এসে বসবেনা। মাথা নিচু করে চোখের জ্বল লুকিয়ে আড় চোখে পাশের চেয়ারে তাকিয়ে থাকবে অবুঝ মেয়েটি।
হয়তো এই রমজানে কারো বাসার ইফতার কেনা হবে বাইরে থেকে, প্রিয় মা যে আর নেই, ইফতার বানাবে কে? হয়ত ছেলেটা আনমনে শুনবে, এইত মা বলছে - বাজার থেকে আধা কেজি জিলিপি নিয়ে আয় তো বাবা..
হয়তো অসুস্থ মাকে যন্ত্রনায় কাতরাতে দেখে অসহায় হাতে ইফতার তুলে নিবে কোন হতভাগা ছেলে।
এই রমজানে খুলে দেওয়া হয় বেহেস্তের দ্বার। মুক্তি পায় দোযখি রা । আমরা কি এইটুকু পারবনা ইফতার মুখে দেওয়ার আগে একবার নিজের প্রতিবেশীর খোজটা নিতে ?
নিজের ইফতার টুকু অসহায়ের মুখে তুলে দিয়ে, দিন শেষে ইবাদতে বসে আয়নায় নয় দুহাতের তালুতে তাকিয়ে নিজেকে দেখতে পেয়ে যে অনুভুতিটা আপনি পাবেন তা কোনোদিন আপনার অনুভবেও ছিল না।।
২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
আহমদ আতিকুজ্জামান বলেছেন: শুধু খোঁজ নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি; অনেকবার ডেকে এনে পাশে বসে খাইয়েছিও অনেককে। অহংকার নয়, সত্যিটা বললাম।
২| ২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:৫৪
৩| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৪
খরতাপ বলেছেন: এইটা সম্ভব না। শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে রোজাদার খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন। পাওয়াও যদি যায়, তাদেরকে বাসায় এনে ইফতার করানো খুব ঝামেলা, নিরাপত্তার ব্যাপারও জড়িত। তাই সবচেয়ে ভাল উপায় হল কয়েকজন মিলে পাড়ার মসজিদে ইফতারের ব্যবস্থা করা। এসব মানুষেরও উপকার হবে, আল্লাহও খুশি হবে।
৪| ২৯ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমাদের গ্রামের মসজিদে ইফতারির আয়োজন করা হয় । একেক দিন একেক জন ইফতারি করায়।
অথচ আমি এখন যেখানে আছি সেই শহরে মসজিদে ইফতারি করাতে দেখলাম না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
"এই রমজানে খুলে দেওয়া হয় বেহেস্তের দ্বার। মুক্তি পায় দোযখি রা । আমরা কি এইটুকু পারবনা ইফতার মুখে দেওয়ার আগে একবার নিজের প্রতিবেশীর খোজটা নিতে ? "
-আপনি জীবনে একবার নিয়েছেন খোঁজ?