নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুসলিম

আহমেদ ফিরোজ.

“সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত”

আহমেদ ফিরোজ. › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্দেহাতীত প্রমানিত অভিযোগ থেকে কি করে খালাশ পেলো মুজাহিদ?

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৫৯



‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত’ কথাটার মানে কি?

মানে তো এটাই যে, কাজটি যে তিনিই করেছেন সেটা এমনভাবে প্রমানিত যে এ ব্যপারে আর বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। একেবারে চাক্ষুশ।

জনাব মুজাহিদ সাহেবের সাতটি অভিযোগের মধ্যে ১ ও ৬নং অভিযোগ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হওয়ায় দুটি অভিযোগেই ফাঁসির রায় হয়েছিলো!!

অথচ আপিল বিভাগ এখন সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত সেই ১নং অভিযোগে ফাঁসি তো দূরের কথা, তাকে সেই অভিযোগ থেকেই সম্পূর্ন খালাশ দিয়ে দিয়েছেন!!

তাইলে এবার বলুন, ট্রাইব্যুনাল তখন সন্দেহাতীতভাবে কি প্রমান করেছিলো? কিংবা তাদের ‘সন্দেহাতীত প্রমানের’ সংজ্ঞা বা মিনিংটাই বা কি??

যেই অভিযোগের সাথে ব্যাক্তির বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই, সেই অভিযোগও আমাদের ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ(?) বিচারকগন সন্দেহাতীতভাবে প্রমান করে ফেলেন!!

এই একটিমাত্র দৃষ্টান্ত থেকেই কি বুঝা যায়না যে, ট্রাইব্যুনালে আসলে বিচারের নামে হচ্ছেটা কি??

ওনাদের নিয়ে নাটক বা সিরিয়াল বানালে নিশ্চিত কেডি পাঠকের ‘আদালত’ও ফেল মারবে!!

এবার আসি ফাঁসির দন্ড বহাল রাখা ৬নং অভিযোগে। এই অভিযোগ আপিল বিভাগের কাছেও নাকি সন্দেহাতীত(?) প্রমানিত!!

মোহাম্মদপুর শারিরীক শিক্ষা কলেজ যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি আর্মিদের টর্চার ক্যাম্প ছিলো। মুজাহিদ সাহেব নিয়মিত সেখানে যেতেন এবং পাকিস্তানিদের সাথে সলাপরামর্শ করতেন। ঐ পরামর্শের ভিত্তিতেই অসংখ্য বুদ্ধিজীবি নিধন ও হত্যাজজ্ঞ চলে। এমনটাই বলা আছে ৬নং অভিযোগে।

কথা হলো মুজাহিদ সাহেব তখন কি ছিলেন বা কি হিসেবে সেই টর্চার ক্যাম্পে যেতেন?
- তিনি বদর প্রধান হিসেবে সেখানে যেতেন!!
- তিনি তখন বদর প্রধান ছিলেন এটা কোথায় পেলেন? বা এটার প্রমান কি??
- ‘যেহেতু’ তিনি ছাত্র সংঘের ঊর্ধ্বতন নেতা ছিলেন, ‘সেহেতু’ আলবদর ও ছাত্রসংঘ দুটি সংগঠনের ওপরই তাঁর কর্তৃত্ব ছিল। রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে তখন তিনি আলবদর বাহিনীকে দিক-নির্দেশনা দিতে পারতেন। তবে তিনিই এ বাহিনীর একমাত্র নেতা ছিলেন না।(ট্রাইব্যুনালের ভাষ্য)
- এসব যেহেতু সেহেতু দিয়ে কি আর বিচার চলে? আল বদরের কোনো নথিপত্রে তো মুজাহিদের নাম নেই!!
- এ জন্য আলবদরের কোনো আনুষ্ঠানিক নথিতে মুজাহিদের নাম থাকা জরুরি নয়। সব কিছু মূল্যায়ন করে বুঝা যায়, মুজাহিদ আলবদর বাহিনীর সব ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতেন।(ট্রাইব্যুনালের ভাষ্য)

আমার প্রশ্ন, এসব ‘যেহেতু’ ‘সেহেতু’ ‘সুতরাং’ ‘পারতেন’ ‘রাখতেন’ জাতীয় শব্দের উপর ভিত্তি করে কি কাউকে সন্দেহাতীতভাবে দোষী সাভ্যস্ত করা যায়? ফাঁসি দেয়া যায়? এটা কি কস্ষিনকালেও সম্ভব??

১৯৪৬ সালের ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের কথা উল্লেখ করে বলা হলো, নাৎসীদের কুখ্যাত গেষ্টাপো বাহিনী অপরাধী সংগঠন প্রমানিত হওয়ায় বাহিনী প্রধান আইকম্যানকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছিলো!!

ভালো কথা, কিন্তু এক্ষেত্রে মুজাহিদ সাহেব বদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন সেটা প্রমান হলো কোথায়? তিনি তো আদৌ এই বাহিনীর প্রধানই ছিলেন না!! প্রমান না থাকায় প্রথম আলোতে পর্যন্ত তাকে সরাসরি বদর প্রধান না বলে আল-বদর বাহিনীর প্রধান বলে ট্রাইব্যুনালে ‘দাবী করা’ হয় বলা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর শারিরীক শিক্ষা কলেজের তখনকার সিকিউরিটি গার্ড রহম আলী মোল্লা এবং প্রিন্সিপাল এখনো বেঁচে আছেন।

অথচ তাদের কাউকে সাক্ষী না করে করা হলো রহম আলীর ছেলে তখনকার ১৪ বছরের নাবালক রুস্তম আলী মোল্লাকে!! যে কিনা নিজেই আদালতে বলেছে, সে নাকি তার বাপের চাইতেও বেশি জানে!!

সে এমনই চতুর ও বেশি জান্তা যে, তার বাবা তখন কোন পোষ্টে চাকরী করতো সেটাও জানেনা। তখনকার নির্যাতিত কোনো বুদ্ধিজীবির নামও তিনি বলতে পারেননা!!

মুজাহিদ সাহেব এত বুদ্ধিজিবীকে মারলো, অথচ সে একজন বুদ্ধিজীবির নামও বলতে পারলোনা!! এ কেমন চাক্ষুস সাক্ষী??

বাদিপক্ষ(সরকার) কোনো সাক্ষী না পেয়ে টাকার বিনিময়ে যে এমন চতুর আর ধুরন্ধর(লেখাপড়া না করলেও চাকরীর জন্য পঞ্চম শ্রেনীর সার্টিফিকেট ঠিকই জোগাড় করে ফেলেছে!) সাক্ষীকে হাজির করেছে, সেটা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে?

এটা বিচার নয়, এটা স্পষ্ট রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড।

আমিও ভয়ে আছি, এই লেখার উপর ভিত্তি করে না আমাকেও ফাঁসি দিয়ে দেয়!!

কারন ‘যেহেতু’ ‘সেহেতু’ তত্তের মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করাই যে ট্রাইব্যুনালের কাজ!!!

তবে এসব বিচারকদের উদ্দেশ্যে বলে রাখি-

“বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা, শীগ্রই জাগবে সেই জনতা”

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রাথমিক বিচারে যা প্রমাণিত হয়, হাইকোর্ট সেসব প্রমাণকে গ্রহন করটে পারে, বা বাদ দিটে পারে।

বিচার সম্পর্কে আপনার শিক্ষা রাজাকারদের সমান।

১৬ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৯

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: করতে পারে বা বাদ দিতে পারে মানে? সন্দেহাতীত প্রমানকেও বাদ দিতে পারে? এটা কেমন কথা? যেটা বাদ দেয়ার উপযোগী সেটার উপর ভিত্তি করে সন্দেহাতীত প্রমান হয় কি করে? এমনকি সেটার উপর ভিত্তি করে ফাঁসির রায় হয় কি করে? ফাঁসির মানে বুঝেন?

২| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

"করতে পারে বা বাদ দিতে পারে মানে? সন্দেহাতীত প্রমানকেও বাদ দিতে পারে? এটা কেমন কথা? যেটা বাদ দেয়ার উপযোগী সেটার উপর ভিত্তি করে সন্দেহাতীত প্রমান হয় কি করে? এমনকি সেটার উপর ভিত্তি করে ফাঁসির রায় হয় কি করে? ফাঁসির মানে বুঝেন? "

-আপনি জাহাজের খবর নিচ্ছেন

১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:০২

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: জাহাজের খবর যে কেউ নিতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। কারন সবাই জাহাজে(প্রচলিত জাহাজ নয়) উঠেনা কিংবা এটা সম্ভবও নয়।
আমি জাহাজের মালিকের কাছে জানতে চাই, সন্দেহাতীতভাবে প্রমনিত বিষয়ের উপর কি আপিল চলে? যদি চলে তাইলে আর সেটা সন্দেহাতীত রইলো কোথায়? আর সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত কোন অভিযোগ থেকে যদি ব্যাক্তি পরবর্তীতে সম্পূর্ন খালাশ পেয়ে যায়, তাহলে এটা কেমন সন্দেহাতীত প্রমানিত ছিলো??
সবকিছুও যদি বাদ দেই, ট্রাইব্যুনালের সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত অভিযোগ থেকে যদি ব্যাক্তি পরবর্তীতে খালাশ পেয়ে যান, তাহলে ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীত প্রমানের নামে আসলে কোন ধরনের প্রমানের মহড়া চলছে সেটা কি সহযেই অনুমেয় নয়??
আর আমার শিরোনামটা জাষ্ট চমক লাগিয়ে সবাইকে পড়তে বাধ্য করার জন্যই করা। শিরোনামটাই মূল ব্যপার নয়, লেখাটাতে আরো গুরুত্বপূর্ন অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলার উপর কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৩০

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: জাহাজের খবর যে কেউ নিতেই পারে, এটা স্বাভাবিক। কারন সবাই জাহাজে(প্রচলিত জাহাজ নয়) উঠেনা কিংবা এটা সম্ভবও নয়।
আমি জাহাজের মালিকের কাছে জানতে চাই, সন্দেহাতীতভাবে প্রমনিত বিষয়ের উপর কি আপিল চলে? যদি চলে তাইলে আর সেটা সন্দেহাতীত রইলো কোথায়? তাইলে তো সেটাকে সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত না বলে সন্দেহজনকভাবে প্রমানিত বলা উচিত। আর সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত কোন অভিযোগ থেকে যদি ব্যাক্তি পরবর্তীতে সম্পূর্ন খালাশ পেয়ে যায়, তাহলে এটা কেমন সন্দেহাতীত প্রমানিত ছিলো??
সবকিছুও যদি বাদ দেই, ট্রাইব্যুনালের সন্দেহাতীতভাবে প্রমানীত অভিযোগ থেকে যদি ব্যাক্তি পরবর্তীতে খালাশ পেয়ে যান, তাহলে ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীত প্রমানের নামে আসলে কোন ধরনের প্রমানের মহড়া চলছে সেটা কি সহযেই অনুমেয় নয়??
আর আমার শিরোনামটা জাষ্ট চমক লাগিয়ে সবাইকে পড়তে বাধ্য করার জন্যই করা। শিরোনামটাই মূল ব্যপার নয়, লেখাটাতে আরো গুরুত্বপূর্ন অসঙ্গতি তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলার উপর কমেন্ট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৫ ভোর ৪:৩২

কোলড বলেছেন: I'm not exactly sure how the legal process works in Bangladesh but I wouldn't let these judges wipe my dog's ass. Majority of them cant even write proper English. By the way, my dog name is Nehru and unlike Nehru he is a top not a bitch.

I had the misfortune of going to the sadarghat area court and I almost threw up!!

১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:১১

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: Too excited

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এতোসব কিছু বুঝি না - আপনি মুজাহিদকে নির্দোষ প্রমাণের 'চেষ্টা' করেছেন, তাই আপনি 'ছাগু'।
জামায়াতের সব নেতাদেরকে ফাঁসি দিতে হবে - তার জন্য দোষী লাগলে দোষ খুজবে - খালাস দেবার প্রয়োজন মনে করলে খালাস দেব - আল্টিমেটলি ফাঁসি তো আর আটকানো যাচ্ছেনা!

১৭ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: হা হা হা....... ভালোই বললেন। একাত্তরের চেতনা ব্যবসায়ীকুল ছাড়া বাংলাদেশের সবাইই ছাগু..!!!!!

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২০

কবি ইমতিয়াজ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন।।

১৭ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। সবার কাছে কিন্তু অসাধারন নয়।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

সুখাভিলাষ বলেছেন: বিচার সম্পর্কে চাদগাজীর শিক্ষা মালুমের মত।

আমি দাড়াইয়া যাইব, আপনি বসাইয়া দিবেন। লোকজন দেখুক আমাদের মধ্যে কিছু নাই

১৮ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: হা হা হা .....

৭| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১২

জুলহাস খান বলেছেন: চাঁদগাজী বিচার বা রাজাকার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান মলমূত্রের সমান। জানেন না কিছু ভাবখান সবজান্তা শামশের।

৮| ২০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:১৪

জুলহাস খান বলেছেন: লেখককে বলছি। এই লেখাটি চেতনা ও চেতনা ব্যবসায় ব্যাপক আঘাত হানছে। তাই আপনি ‘ছাগু’

২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৩

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: ছাগু মানে কিতারে ভাই??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.