![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভিনদেশি কেউ যখন আমার প্রিয় বাংলাদেশের প্রশংসা করে তখন অবশ্যই গর্বে বুকটা ভরে যায়। কারন আমি এই প্রশংসিত দেশটির গর্বিত নাগরিক।
কিন্তু যখন কেউ প্রশংসা না করলেও মিথ্যাভাবে প্রচার করা হয় যে তিনি বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন, তখন লজ্জায় মাথা নত হয়ে আসে!!
কারন এই মিথ্যাচারের কারনে আমার প্রিয় বাংলাদেশ এবং এদেশের মানুষগুলোই অপমানিত হয়।
সম্প্রতি কেনিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এক বক্তৃতায় নাকি বাংলাদেশের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন!! একটি টিভি চ্যানেল(সম্ভবত সময় টিভি), কয়েকটি দৈনিক এবং অসংখ্য অনলাইন মিডিয়ায় ব্যপকভাবে প্রচার হতে থাকে এই প্রশংসার খবর।
ওবামা কোন বিষয়ে প্রশংসা করেছেন? ওবামা নাকি বলেছেন, বর্তমানে জিম্বাবুয়ে থেকে শুরু করে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে গেছে। দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে নির্বাচন পর্যন্ত এসব দেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে!!
দৈনিক সকালের খবরের অনলাইন ভার্সনে তো উচ্ছ্রাসের অভাবই নেই। তারা লিখেছেন, বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসায় মাতলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বাংলাদেশের নির্বাচনে ডিজিটাল পন্থা অবলম্বনের সাফাই গেয়েছেন বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর এ ব্যাক্তি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে কেনিয়ার মানুষের জন্য উদাহরণ হিসেবে টানলেন তিনি।
সময় টিভির অনলাইন ভার্সনে কেনিয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসায় ওবামা শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে কেনিয়ার মানুষের জন্য উদাহরণ হিসেবে টানলেন ওবামা। বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ডিজিটাল পন্থা অবলম্বন করার প্রশংসা করেন তিনি।’
এভাবেই অসংখ্য মিডিয়ায় প্রচার হতে থাকে ওবামার প্রশংসার খবর।
এবার আসুন আমরা দেখি ওবামা আসলেই সেই বক্তৃতায় বাংলাদেশের কোনো প্রশংসা করেছেন কিনা? তিনি আসলেই কি বলেছেন।
এই হলো তার সেই বক্তৃতার ভিডিও...
এই ভিডিওতে দেখা যায়, ওবামা কেনিয়ায় যাত্রা শুরু করা এক প্রযুক্তির প্রশংসা করতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনেছেন। ভিডিওটির ৮মিনিট ৬ সেকেন্ডের সময় ওবামা বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ক্লাউড সোর্সিং প্ল্যাটফর্ম—উষাহিদি ব্যবহার করছে জিম্বাবুয়ে থেকে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এই আইডিয়ার গোড়াপত্তন কিন্তু এই কেনিয়াতেই।’
এর বাইরে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আর কোনো কথাই বলেননি তিনি!! অথচ হাসিনার চাইতেও অতি আওয়ামী লীগার কতক মিডিয়ার কান্ড কারখানা দেখুন!!!
মিথ্যে প্রশংসার প্রচারনা চালিয়ে নেত্রীর পদলেহনে এসব সাংবাদিকরা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের চাইতেও কতটুকৃ এডভান্স!!
খালেদার সঙ্গে মোদির ফোনালাপের লজ্জাজনক মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে বিএনপিও কয়েকদিন আগে আমাদেরকে মিথ্যাবাদী জাতি হিসেবে বিদেশীদের কাছে পরিচয় করিয়েছিলো!!
তবে আশ্চের্যের ব্যপার হলো, তখন বেশ কতক সুশীলকে বাংলাদেশের অপমান নিয়ে চোখের পানি নাকের পানি এক করে খালেদার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদী লেখালেখি করতে দেখলেও এখন তাদের দেখা মিলছেনা!!
তাদের টিনের চশমায় এই লজ্জাজনক ব্যপারটি ধরা পড়েনা!!!
নিজ জন্মভূমির প্রতি তাদের ভালোবাসা এমন একমুখি কেনো??
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: বড় বিশ্বনেতারা এখন দেখছি কোনো দেশের নাম নিতেও ভয় পাবে। পরেরদিন আবার কি সংবাদ হয়ে বসে!!!!!!
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
নতুন বলেছেন: সংসদে দাড়াইয়া নেতারা মিথ্যা বলে... এতো ছোট্ট খবর মাত্র।
এরা মনে করে জনগন এখনো এই সব ধরতে পারবেনা। << কারন আসলেই এই খবরটা কিন্তু খুবই কম মানুষই জানবে। তাই তারা পার পেয়ে যাবে।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০১
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: ঠিক বলছেন, সরকারী প্রশ্রয়েই এরা এসব করছে। সরকারের ৫৭ ধারা কেবলই বিরোধী মতাবলম্বীদের জন্য!!!!!
৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:০২
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভিডিও টি শেয়ার করে ভালো করেছেন। প্রিন্ট বা নিউজ মিডিয়ায় কোন ভালো লোক থাকতে পারে নাকি? ওখানে তো তোয়াজ করে করেই উপরে উঠতে হয়। একই নিউজ কয়েকভাবে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ করে প্রচার করা যায়।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৬
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: ওনারা মনের মাধুরী মিশিয়ে ইংরেজীর অনুবাদ করেন।
৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৪
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল কাট পিস - আমাগো মত ডিজিটাল ব্লগার গোর কাছে ধরা তো খাইবো..সরকার এইখানে কাউঅা শিয়ানামী করছে। কাউআ (কাক) চোখ বন্ধ করলে মনে করে তাকে কেউ দেখে না।
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: সরকার যতটুকু না করছে তার চাইতে বেশি করছে তাদের চামচাগুলান
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৪
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক বলেছেন...ওবামা কেবলমাত্র এই একটি বাক্যই বলেছেন...এখানে বাংলাদেশের প্রসংসা নয় বরং জিম্বাবুয়ে আর বাংলাদেশের নাম নেয়া হয়েছে।
আসলেই অদ্ভুত আমাদের মানসিকতা!