![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আর ভারতের আদালতের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছিনা। বাংলাদেশে শুধুমাত্র ইসলামপন্থি বলেই ৪০ বছরের পুরনো মিথ্যা, সাজানো এবং হাস্যকর সব অভিযোগে ইসলামী নেতৃবৃন্দকে ফাসি দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতেও শুধুমাত্র মুসলিম বলেই ২০ বছরের পুরনো মিথ্যা অভিযোগে অন্যায়ভাবে একজন নিরপরাধ ইয়াকুব মেমনের ফাঁসি কার্যকর করা হলো!!
ইয়াকুব মেমন একজন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। সে মুম্বাই বোমা হামলায় অভিযুক্ত টাইগার মেমনের ভাই। খুবই সাধারণ একজন মানুষ ইয়াকুব মেমন। আজ ছিল ইয়াকুব মেমনের জন্মদিন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস এই জন্মদিনেই তাকে ভাইয়ের অপরাধের দায় চাপিয়ে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলো!!
বাংলাদেশে যেমন অন্য এক কশাই কাদেরের অপরাধের দায় নিরপরাধ কাদের মোল্লার উপর চাপিয়ে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হলো, তেমনি ভারতেও ভাইয়ের কথিত অভিযোগের দায় চাপিয়ে অন্যায়ভাবে আরেক ভাই ইয়াকুব মেমনকে ফাঁসির মাধ্যমে হত্যা করা হলো!!!
ভাইয়ের অপরাধের দায়ে অপর ভাইয়ের উপর চাপিয়ে কিংবা একজনের অপরাধ অন্যজনের উপর চাপিয়ে ফাঁসি দেয়ার বিধি বিশ্বের কোন দেশের আইনে আছে?
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইয়াকুব মেমনের ফাঁসিকে ঠাণ্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেছে এবং একে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বলে মন্তব্য করেছে।
ইন্ডিয়ার মজলিশ-ই ইত্তেহাদুল মুসলেমিন বা ‘মিম’ নেতা ও সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ও কাশ্মীরের নেতা সঈদ আলি শাহ গিলানির মতে, কেবল মুসলিম বলেই ইয়াকুব মেমনকে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিয়েছে ইন্ডিয়ান সরকার।
সংসদ সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ফাঁসি কার্যকরের আগে অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সরকার ধর্মের ভিত্তিতে তাকে ফাঁসি দিতে চাচ্ছে। ইয়াকুব মেমন মুসলিম হওয়ার জন্যই তাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। যদি ফাঁসি দিতে হয় তাহলে সমস্ত অপরাধীদের দেয়া উচিত, শুধু এক জনকেই কেন?’ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘মুম্বাই দাঙ্গার ঘটনায় যুক্ত অপরাধী, রাজীব গান্ধী হত্যাকারী এবং বিয়ন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে ফাঁসি দেয়া হয়নি কেন?’
ইয়াকুব মেননের এই অন্যায় মৃত্যুদণ্ডের প্রতিবাদ করে টুইট করেছিলেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। সালমান আদালতের উদ্দেশে প্রশ্ন রাখেন, টাইগারের পরিবর্তে কেন তার ভাইকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হল। এটা কোন ধরণের বিচার? একজনের অপরাধে অন্যজন কেন সাজা ভোগ করবে? এমন প্রশ্নও ছুড়ে দেন সালমান। সালমান তার টুইটারে লিখেন, টাইগারকে ধরে শাস্তি দাও, ইয়াকুবকে নয়। অন্য একটি টুইটে সালমান বলেন, একজন নিরীহ মানুষকে মেরে ফেলা মানে মানবতাকেই কুলুষিত করা।
কিন্তু তার এই প্রতিবাদি টুইটারের স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ হতে পারেনি ভারতের উগ্র হিন্দুদের চেঁচামেচি আর বিক্ষোভে!
বেচারা সালমান খান পরে বাধ্য হন টুইট ডিলিট দিতে!!
ভারতের উগ্র হিন্দু গোষ্ঠী যেনো বাংলাদেশের আরেক শাহাবাগ(বর্তমানে অস্তিত্বহীন)!! সরকারের উপর আরেক সরকার!!
হিন্দু জঙ্গি সংগঠন আরএসএস এর একজন সক্রিয় সদস্য স্বামী অসীমানন্দ। ২০০৭ সালের ১৮ মে জুমার নামাজের সময় হায়দ্রাবাদের মক্কা মসজিদে বিস্ফোরণে ৯ মুসল্লী হত্যা, একই বছর ১১ অক্টোবর আজমীর শরীফে বোমা বিস্ফোরণে তিনজনকে হত্যা, ২৯ শে সেপ্টেম্বর ২০০৮ এবং ৮ই সেপ্টেম্বর ২০০৬ এ মালেগাঁও মসজিদে সিরিজ বোমা হামলায় প্রায় ৫০ জন মুসল্লি হত্যা, ২০০৭ সালে সমঝোতা এক্সপ্রেসে বোমা হামলা করে প্রায় ৬০ জনকে হত্যাসহ অসংখ্য হত্যাকান্ডে সে জড়িত এবং স্বীকারও করেছে।
মজার বিষয় হল এতগুলি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্বামী অসীমানন্দ দায় স্বীকার করলেও সে এখনও বহাল তবিয়তেই আছে আর নিরপরাধ ইয়াকুব মেননকে বিনা কারণে ঝুলতে হল ফাঁসির দড়িতে! কিন্তু কেন! ইয়াকুব মেমন মুসলিম বলে? স্বামী অসীমানন্দ হিন্দু এবং উগ্র আরএসএস সদস্য বলেই কি সে বিচারের আওতামুক্ত?? বাংলাদেশে যেমন আওয়ামী আর শাহাবাগীরা বিচারের আওতামুক্ত??
বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাক্তিত্ব কাদের মোল্লা-কামারুজ্জামান, ভারতের কাশ্মীরের প্রখ্যাত আলেম ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব আফজাল গুরু-মকবুল বাট, অবশেষে ইয়াকুব মেমন..... এদের অপরাধ কি?
প্রেক্ষাপট তুলনা করলে মনে হয় যেনো একই থিংক ট্যাংকে চলছে দুই দেশ!!!
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
এই আমি রবীন বলেছেন: "৪০ বছরের পুরনো মিথ্যা এবং হাস্যকর সব অভিযোগ" !!?? মাথায় গ্যাস্ট্রিক হয়নিতো?
মুখে 'ফ্রিডম' পট্টি লাগালেও আপনাদের কথার লাগাম কেউ কোনদিন বন্ধ করতে পারবেনা।
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: মাথায় গ্যাস্ট্রিক হয়নি বলেই এসব সাজানো মিথ্যা হাস্যকর অভিযোগ বিশ্বাস করিনি। গ্যাস্ট্রিকধারীরাই এগুলা বিশ্বাস করে। আর কথার এবং স্বাধীনতারা লাগাম ধরে রেখেছে বলেই অবৈধ সরকার এখনো ক্ষমতায় আছে।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫১
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: 'সাকা'র মৃত্যুদন্ড বহাল রাখায় সবাই এত খুশি কেন??
জামাত, বিএনপি, হেফাজত আপনারা দুঃখ কইরেন না।
জানেন তো, সবই আল্লাহ'র ইচ্ছা, তার হুকুমছাড়া দুনিয়াতে কিছুই হয় না।
তাইলে আর কাঁইন্দা কি হইপে??
হে হে হে হে হে........................................
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: আল্লাহর হুকুমেই মুজিবের মর্মান্তিক মৃত্যু হইছে। এরপরেও দু একজন কেঁদেছে। আবার হত্যাকারীদের ফাঁসিও দিছে। এই হত্যাকারীদেরও ফাঁসি হবে, সেটাও তাঁর হুকুমেই।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০০
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: মুজিবের সমর্থনকারীরা তো আল্লাহকে বিশ্বাস করে না, তাই তারা কাইন্দাচিল।
তাইলে আফনে কান্দেন।
কারণ হাফনে আল্লাহকে বিশ্বাস করেন না।
যদি বিশ্বাস করতেন তাইলে কাইন্দা কাইন্দা এই রহমের পোস্ট দিতেন না।
কান্দের এ্যাঁ....................... এ্যাঁ..............এ্যাঁ...........
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: ভালো খারাপ সব কিছুই তো আল্লাহই করায়। এ সম্পর্কিত মনমস্তিষ্কের এক লোককে গাছের সঙ্গে বেঁধে পিটানোর পর বলা হলো এটাও আল্লাহই করাইছে আমার কি করার? এমন গল্পটা নিশ্চই জানা আছে আপনার?
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০২
জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: "শুধুমাত্র ইসলামপন্থি বলেই ৪০ বছরের পুরনো মিথ্যা এবং হাস্যকর সব অভিযোগে ইসলামী নেতৃবৃন্দকে ফাসি দেয়া হচ্ছে"
হায় হায় রে, আল্লাহ গো.....................
তুমি কেন শুধু ইসলামপন্থিদের ফাঁসি দেও, কেন, কেন, কেন??
আহারে, আহালে, ওগরে।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: জাতি_ধর্ম_বর্ণ @ মাথায় গ্যাস্ট্রিক হলে কোন ঐষধ সেবন করেন!
আপনার কথা গুলোর মত "মাথার গ্যাস্ট্রিক" রোগটাও অদ্ভূত!
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: এদের কোনো জাত নাই ধর্ম নাই বর্ন নাই। এমন আজব এক প্রাণীর সাথে কথা বলে লাভ কি ভাই?
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
রাহমান বিপ্লব. বলেছেন: পৃথিবীতে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বলতে ইজরাইলের পর ইন্ডিয়ার নামই মনে আসে। যেখানে রাষ্ট্রীয় ভাবে অন্যায়কে প্রতীষ্ঠা ও পৃষ্ঠপোষণ করা হয়।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২
হাসান রাজু বলেছেন: সালমান খান যখন ইয়াকুব মেনন সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, এমন খবর পড়েছি তখন মনে হয়েছিল ঘটনায় ফাঁক ফোঁকর আছে । আর আজ যখন আপনি বলছেন কাদের মোল্লা রাজাকার না ! আর কাদের মোল্লা আর ইয়াকুব মেনন একই । তখন মনে হচ্ছে আসল গল্প তাহলে কি?
কারন, আপনারা আস্ত রাজাকারকে ভাল মানুষ বানিয়ে গায়েবী কসাই এর গল্প শোনান। চাঁদে সাইদির ছবি দেখিয়ে (!) মানুষকে বিভ্রান্ত করেন । আপনাদের বিশ্বাস করা কঠিন । কত কিছুই যে রটিয়ে বেড়ান । আপনাদের পাল্লা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন । আমিন ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: সমস্যা তো এটাই, ক্ষণে ক্ষণেই আপনাদের বিশ্বাস চেইঞ্জ হয়!! বিরোধীপক্ষে ছড়ানো চাঁদের গুজবেও আপনাদের বিশ্বাস চেইঞ্জ হয়!! যখন যেদিক থেকে বাতাস আসে তখন আপনাদের বিশ্বাস সেদিকেই চেইঞ্জ হয়ে যায়। আপচোচ!! স্থায়ী সত্যিকারের বিশ্বাস মনে স্থাপন করুন। উল্টাপাল্টা বিশ্বাস স্থাপন করলে এমন চেইঞ্জ হবেই। সত্যিকারেরটা জানুন, দেখবেন বর্তমান বিশ্বাসটাও চেইঞ্জ হয়ে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪
আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: ভিডিও দেখতে
এখানে ক্লিক করুন