নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুসলিম

আহমেদ ফিরোজ.

“সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত”

আহমেদ ফিরোজ. › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যম আয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের অঘোষিত রাজধানী গোপালগঞ্জের এ কি চিত্র?

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫


অভাবের তাড়নায় এক শাড়িতে স্বামী স্ত্রীর আত্মহত্যা!

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় স্ত্রীর শাড়িতে একই সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পশ্চিম নৈয়ারবাড়ি গ্রাম থেকে পুলিশ তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

স্থানীয়দের ধারণা, সংসারে অভাবের কারণে তারা একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক ছবেদ আলী ও এলাকাবাসী জানায়, গত ১৩ মাস আগে পশ্চিম নৈয়ারবাড়ী গ্রামের দিনেশ বাগচীর ছেলে দীপক বাগচীর (২০) সঙ্গে রামশীল গ্রামের বিবেক হালদারের মেয়ে লাকীর বাগচীর (১৭) বিয়ে হয়। বিয়ের আগে দীপক বাগচী ঢাকায় একটি কম্পানিতে গার্ডের চাকরি করতেন। বিয়ের পর সে আর চাকরিতে না ফিরে এলাকাতেই কাজের সন্ধান করতে থাকে। কিন্তু কোনো কাজ পায়নি। পরে গতকাল ভোররাতে বাড়ির পাশের একটি কাঁঠালগাছে এই দম্পতির ঝুলন্ত লাশ দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দুপুরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

কোটালীপাড়া থানার ওসি আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

খবরটি কালেরকণ্ঠসহ বিভিন্ন পত্রিকার।

মধ্যম আয়ের দেশ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশে যদি এ ধরনের শিরোনাম পত্রিকায় দেখতে হয়, তাইলে এ কেমন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ? কেমন ডিজিটাল দেশ?? আশ্চর্যের ব্যপার হলো দেশের শাসন ক্ষমতার দোর্দন্ড প্রতাপশালী একচ্ছত্র মালিকের নিজ এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়ই দুর্ভিক্ষের এই চিত্র!!!!

অভাবের তাড়নায় শাসকের নিজ এলাকায়ই যদি স্বামী স্ত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে, সারাদেশের মানুষের রুটি রুজির কি অবস্থা সেটা নিশ্চই সহযেই বোধগম্য।

এটা এমন এক দেশের চিত্র, যে দেশের শাসকপুত্রের বেতন ১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা!!

এটা এমন এক দেশের চিত্র, যে দেশে কেবলই প্রতিহিংসা চরিতার্থে বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়!!

যে দেশের শাসকবর্গ পদ্মাসেতু, ডেসটিনি, শেয়ারবাজার দুর্নীতির মাধ্যমে জনগনের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটেপুটে বিদেশে নিজেদের একাউন্টে পাচার করে দিয়েছে, সে দেশে টাকার অভাবে, চাকরীর অভাবে, খাবারের অভাবে গলায় ফাঁস দিবে এটাই স্বাভাবিক ব্যপার।

নিম্ন মধ্য আয়ের আওতায় পুরো বাংলাদেশ নয়, এর আওতায় জনগনের সম্পদ লুটপাটকারী আওয়ামী কুল আর তার চারপাশের চামচা হগল।

ঘরে ঘরে চাকরী দেয়ার ওয়াদা দিয়ে যেই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেই সরকারের প্রধান কর্তাব্যাক্তির নিজের এলাকাতেই চাকরীর অভাবে খাদ্যের অভাবে জনগন গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে!!

ভবিষ্যতে যে সেই এলাকার লোকজন ঐক্যবদ্ধভাবে মিথ্যাবাদী ধোকাবাজ আওয়ামী লীগারদের প্যাঁদিয়ে এলাকাছাড়া করবেনা তারই বা গ্যারান্টি কি??

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

এত তরুণ, এভাবে প্রাণ দিলো?
অন্যকিছু থাকতে পারে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: অন্য কারন থাকলে নিশ্চই পত্রিকায় আসবে। আর যদি ঐ কারন না হয়, তবুও গ্রামবাসীর কথা তো সত্য। সে যে অভাবে ছিলো এটা তো একশ ভাগ সত্য। এরকম অগনিত আছে।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


এখনো দেশের ৫০ ভাগ মানুষ অভাবে আছে।
তবে, স্বামী আগের কাজে ফেরত না যাওয়ায় তাদের ঝগড়া হয়েছে; স্ত্রী রাগে ফাঁসী দিয়েছিল, স্বামী নিজের ভুল বুঝে মনের দু:খে নিজেই মৃতয়ুকে বেচে নিয়েছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: দুইজন একত্রেই এক কাপড়ে ফাঁসি দিছেন। আগে পরে নয়। গ্রামের লোকজনের নিশ্চই মিথ্যা বলাতে কোনো স্বার্থ নেই। অভাবের তাড়নায় যে তারা ফাঁসি দিতে পারে গ্রামের লোকজন তা ধারনা করে ফেলেছে। তার মাণে ফাঁসি দেয়ার মত তীব্র অভাবের তাড়নায়ই ছিলো দুজন। আর অভাব গোছাতে কতটুকু চেষ্টা করার পর সফল না হলে পরে কেউ ফাঁসি দেয় নিশ্চই বুঝতৈ পারছেন? আত্মহত্যা করা এতই সহজ??

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

নতুন বলেছেন: গরীব হয়ে জন্ম নেওয়া কারুর দোষ না। কিন্তু কেউ দরিদ্র অবস্তায় মারা যায় তার নিজের দোষে।

গরিব ২০ এবং ১৭ বছরের ছেলেমেয়ে এমন কি অভাবে পড়েছিলো যে তাতে গলায়দড়ী দিতে হলো?

২পেটের জন্য আয় করা খুব একটা কস্টকর না।

এরা নতুন বিয়ে করেছে...পরিবারের থেকে কোন সমস্যার জন্যই এমনটি করেছে। অভাবের জন্য না।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: পত্রিকা ওলাদের বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার তাইলে কোনো অভাবের তাড়নায় লিখে শিরোনাম করলো। তাছাড়া প্রতাপশালী সরকার পত্রিকাটি বন্ধও তো করতে পারে। যেভাবে অতীতে অনেকগুলো করেছে। দেখি কি করে সরকার।
গ্রামে কাজ খুজলেই দেখবেন কষ্টকর কিনা??

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

নতুন বলেছেন: গ্রামে কাজ খুজলেই দেখবেন কষ্টকর কিনা??

ছেলেটি শহর থেকে কেন গ্রামে গেলো চাকুরী ছেড়ে? অবশ্যই কোন সমস্যা হচ্ছিলো।

আর এটা হত্যাও হতে পারে। মেয়েটির সমস্যা হচ্ছিলো বলেই স্বামী গ্রামে ফিরে গিয়েছিলো।
হতে পারে প্রভাবসালী কেউ আছে এই হত্যার পেছনে তাই বিষয়টি স্বাভাবিক করতেই এমন প্রচারনা যাতে সবার নজর ঘুরে যায়।

২০/১৭ বছরের ছেলেমেয়ের শুধু অভাবের জন্য একসাথে এক কাপড়ে ফাসি দেবে এটা বিশ্বাস হয়না। অন্য কাহিনি আছে।

০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৫

আহমেদ ফিরোজ. বলেছেন: উপরে একজন কমেন্ট করেছে বাংলাদেশের ৫০ ভাগ মানুষ অভাবে আছেন। আর বাংলাদেশে লাখ লাখ শিক্ষিত অশিক্ষিত বেকার আছে তাও নিশ্চই জানেন। সুতরাং অভাবের তাড়নায় বাংলাদেশে আত্মহত্যার ঘটনা অনেক ঘটেছে। ডাষ্টবিনে কুকুরের সঙ্গে বসে খাবার খাওয়ার ছবিও আমরা পত্রিকায় দেখি। ধরে নিলাম এটা অভাবের তাড়নায় হয়নি। কিন্তু তাদের যে অভাব ছিলো সেটাতো গ্রামবাসীও বললো। আর কেমন অভাব ছিলো এবং কতটা কাজ খুজেছিলো সেটাও গ্রামবাসী জানে বলেই বলেছে তারা অভাবের কারনেই আত্মহত্যা করেছে। এখন অন্য কারনে হলে পত্রিকায় শিরোনাম হয় কি করে যে অভাবের কারনেই আত্মহত্যা করেছে?? তাও আওয়ামী কালেরকন্ঠে?? তবুও দেখি হয়তো অন্য কারন থাকলে আগামীতে পত্রিকায় আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.