নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন স্বপ্নচারী

আহসান ০০১

সাধারণ একজন যে অসাধারণ সাধারণ হতে চায় ।প্রাচীন ইতিহাস , আন্তর্জাতিক রাজনীতি , সাম্প্রতিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি , বিশ্ব সাহিত্য আগ্রহের বিষয় । ভাল লাগে চারপাশের প্রকৃতি দেখতে এবং চারপাশের মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে

আহসান ০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর বিস্ময়কর সাফল্য, আমেরিকায় তোলপাড়---- দেখিয়ে দিলেন আমরাও পারি,আরেকটা গর্ব করার মত খবর

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৮

আমাদের দিয়ে তেমন কিছু হয়না , ভাত খাওয়া বাঙালি কিছু পারেনা এসব এখন আর সত্যি না , সেটা আমাদের দেশের ক্রিকেট টিম থেকে শুরু করে করে জ্ঞান বিজ্ঞান এর ক্ষেত্রেও প্রমাণ হচ্ছে আগের চেয়ে অনেক বেশি। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গবেষণার সুযোগ প্রায় না থাকায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানে যা যা বাংলাদেশিদের অর্জন তার বেশিরভাগ ই উন্নত দেশগুলোতে থাকা অবস্থায় তারা করেছেন তারপরও দেশে থেকে উভয়চর যান বানানো সহ আবিস্কার কিন্তু সাধ্যমত চলছে যা আমাদের গর্বিত করে ।

Click This Link



এবার ও আমাদের এক বাংলাদেশি ভাই তার আবিস্কার দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আমেরিকায় ।

এক বাংলাদেশী বিজ্ঞানীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে তোলপাড়। মূল ধারার বিভিন্ন মিডিয়াতে এখন তাকে নিয়েই আলোচনা-পর্যালোচনা। এ সময়ের প্রত্যাশিত সর্বশেষ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তিনি। এই বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নাম ড. আনিসুর রহমান। তিনি বর্তমানে পেনসিলভানিয়ার হেরিসবার্গের বাসিন্দা।

বিশ্বের বিভিন্ন এয়ারপোর্টসহ নিরাপত্তা এলাকাগুলোতে যখন দেহ তল্লাশি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক, তখন তিনি আবিষ্কার করেছেন একটি বিস্ময়কার প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোনো মানুষের শরীরে বিস্ফোরকের যেকোনো উপাদান থাকলে সেটি এমনিতেই ধরা পড়বে। এ জন্য বর্তমানের এক্সরে মেশিনের প্রয়োজন হবে না।

ড. আনিসুর রহমানের এই প্রযুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ইতোমধ্যেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ আরো বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কিছু নমুনা দিয়েছে ড. আনিসের কাছে। তারা সেগুলো এখন বিচার-বিশ্লেষণ করছেন।

এনবিসি টেলিভিশন ড. আনিসের এই উদ্ভাবন নিয়ে ইতোমধ্যেই বড় ধরনের খবর প্রচার করেছে। পেনসিলভানিয়ার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়া ড. আনিসের এই আবিষ্কার বিষয়ে রিপোর্ট করতে ব্যাপক আগ্রহী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. আনিসুর রহমান এনবিসি টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে জানিয়েছেন, বর্তমান সময়ে সিকিউরিটি এক বিরাট ইস্যু। এটিকে নিশ্চিত করতে গিয়ে সারা বিশ্বে বিলিয়নস অব ডলার খরচ করা হচ্ছে। মেটালিক কোনো বিস্ফোরক হলে সেটি যেকোনো জায়গাতেই ধরা পড়ে যায়। কিন্তু এখন বিভিন্ন কেমিক্যাল পাউডারসহ রাসায়নিক বিস্ফোরকের প্রাদুর্ভাব ও ব্যবহার দিন দিনই বাড়ছে। গত ক্রিসমাসে ডেল্টা এয়ারলাইন্সে নাইজেরিয়ার এক সন্ত্রাসীর কাছে আন্ডার ওয়্যারে পাউডারজাতীয় বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। অল্পের জন্য ভয়াবহ বিস্ফোরণ থেকে বেঁচে গেছে শত শত যাত্রী। তার পর ইউরোপের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে বিশেষ করে প্যাকেটের মধ্যে বিস্ফোরক পাউডার পাঠানোর সাম্প্রতিক ঘটনা সবাই জানেন।

এ অবস্খায় কী করা যায় তা নিয়ে ব্যাপক গবেষণার পর আমরা একটি নতুন মেশিন আবিষ্কার করেছি।

এই মেশিনে যাতে কোনো ভুল সিগন্যাল এবং সন্ত্রাসীরা সিগন্যালকে লুকাতে না পারে সে জন্য বিশেষ ধরনের প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের এই যন্ত্রের দাম হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ ডলার। ভবিষ্যতে হয়তো এর দাম আরো কমবে। এই মেশিন একটি টেবিলে বসানো সম্ভব। এর ফলে যে কেউ কোনো ধরনের রাসায়নিক বিস্ফোরক নিয়ে নিরাপত্তা এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এই মেশিনের সিগন্যালকে উপেক্ষা করার কোনো পথ নেই।

মেশিনটির নাম হচ্ছে স্পেকট্রোমিটার। এর আরো অনেক প্রয়োগ আছে। এর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে এটি একটি সফল যন্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।

তিনি বলেন, বেশি বা খুবই অল্প বিস্ফোরক হলেও স্পেকট্রোমিটারের চোখ এড়ানো সম্ভব হবে না। এটি নিয়ে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।

তিনি বলেন, নিউজার্সির একটি কোম্পানির বিনিময়ে এই প্রযুক্তি ইতোমধ্যেই সৌদি আরব, ভারতসহ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। এখন আরো বিভিন্ন দেশ এ নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে রাশিয়া, ইরানসহ যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু তালিকায় নয়, এমন কোনো দেশের কাছে এই প্রযুক্তি বিক্রি করা যাবে না ।যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ থেকে এ শর্ত ইতোমধ্যে আরোপ করা হয়েছে।

ড. আনিসুর রহমানের বাড়ি বাংলাদেশের পাবনায়। দেশে অবস্খানকালে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট আণবিক বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ও ড. শমসের আলীর অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহচর। বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে তিনি ছিলেন সাইন্টিফিক অফিসার।

যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে অবস্খিত মার্কেট ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভের পর পেনসিলভানিয়ার অ্যাপ্লাইড রিচার্স ফটোনিক্স কোম্পানির সিইও হিসেবে যোগদান করেন তিনি।

বাংলাদেশী এই ৃতি বিজ্ঞানীকে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান- নাসাও বিশ্বের সেরা ৫০ বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান দিয়েছে। এর স্বীকৃতি হিসেবে নাসা ড. আনিসুর রহমানকে ফেলো হিসেবে মনোনীত করেছেন।



এসব উৎসাহমূলক ঘটনা দেশব্যাপী ছড়ায় দেয়া উচিত এতে আমাদের মধ্যে যে একটা হীনমন্যতা কাজ করে যে আমাদের দ্বারা কিছু হবেনা এটা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে, চেস্টা বাড়তে থাকবে আর এভাবেই একদিন অনেক আনিসুর রহমানের মত সুযোগ্য বিজ্ঞানি আমরা পাব।

আমরা সব ই পারি, দরকার শুধু মনে আত্মবিশ্বাস আর চেষ্টা



Click This Link

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

হিমাংশু বলেছেন: গ্রেট।
অনেক ভাল খবর চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে। থ্যাংক ইউ, ব্রো।
ড. আনিসকে স্যালিউট।

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫১

আহসান ০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য , চেস্টা করে যাব এসব ঘটনা যতটা সবার মাঝে চড়ায় দিতে পারি জাতে আমাদের যে হীনমন্যতা যে আমরা কিছু পারিনা এটা দূর হবে আস্তে আস্তে

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪০

যোগী বলেছেন: ভাই স্পেকট্রোমিটার নিয়ে অনেক আগে থেকেই কাজ হচ্ছে ম্যাটেরিয়াল আইডেন্টিফিকেশনের জন্য। তবে এর কিছু ড্রবেক ছিল। যে কারনে সব যায়গায় এই ডিভাইস ব্যাবহার করা যেত না।
উনি কি সেই লিমিটেশনস গুলোই ওভারকাম করেছেন?

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

আহসান ০০১ বলেছেন: স্পেকট্রোমিটার এর কাজ ই হচ্ছে বিভিন্ন কেমিক্যাল কম্পাউন্ড পিউর কিনা সেটা বের করা যেমন কোন কম্পউন্ড পিউর কিনা জানতে কেমিক্যাল টেস্ট করা হয়, এটা অনেক আগে থেকে হচ্ছে কিন্তু উনি যেটা আবিস্কার করসেন সেটা এই ই প্রথম যেটা বিস্ফোরক ডিটেক্ট করতে পারবে

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আসলেই প্রতিভা লুকিয়ে থাকে বাঙ্গালিদের মাঝেও
আর তারি বিস্ময়কর সাফল্য হল ডঃ আনিসুর রহমান
তাকে অভিনন্দন এবং বাঙালি শুভেইচ্ছা ।

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৮

িবদ্রোহী বলেছেন: ডঃ আনিসুর রহমান কে অভিনন্দন এবং শুভেইচ্ছা

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩২

আফজালনবীনগর বলেছেন: দুঃখ লাগে যে এ দেশে এদের মুল্যায়ন করা হয়না ।

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৭

ফকির সাইঁ বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো, : ডঃ আনিসুর রহমান কে অভিনন্দন এবং শুভেইচ্ছা

৭| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০০

মিঠাপুর বলেছেন: ডঃ আনিসুর রহমান কে তার এই আবিষ্কারের জন্য অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা...

এমনি করে হাটি হাটি পায়ে এগিয়ে চলুক বাংলাদেশ !

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪

পাপীতাপী নালায়েক বলেছেন: ভাল লাগলো । অভিনন্দন জানাচ্ছি । উনি কি এখনও বাংলাদেশী, নাকি আমেরিকান ?

৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.