![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)
তটিনী যেটা ভেবে ছিল ঠিক তেমন টা ঘটলো। দরজা খুলে দেখে কেউ নেই। এতক্ষণ ধরে বেল বাজাতে পারলো আর ২ টা মিনিট দাঁড়ালে কি এমন ক্ষতি হতো। এখন মনে হচ্ছে, যে বেল বাজাচ্ছিল তাকে পেলে লবণ ছাড়া আস্ত গিলে খেয়ে ফেলতে পারতো তটিনী।
খাবারের কথা মনে করতেই ভাবলো আর দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই যাই কিছু খাবা্রের আয়োজন করি গিয়ে।যা খিদে পেয়েছে। দরজা বন্ধ করবে এই সময় পাশের ফ্ল্যাটের মায়া ভাই (মায়া ভাই নামের পিছনে একটা বিশদ গল্প আছে) তটিনী কে ডাক দিলো।
মামনি নাকি ?
আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল।
ওয়ালাইকুমুস সালাম মামনি।
দরজায় দাঁড়িয়ে যে মামনি?
না আঙ্কেল তেমন কিছু না… (তটিনীর মুখের কথা কেঁড়ে নিয়ে বলে উঠলেন মায়া ভাই)
তোমাদের বাসায় সকাল থেকে কে আসছে বার-বার ?
আপনার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না অংকেল, আমরা সারা দিনই কেউ বাসায় নেই !!!
হ্যাঁ রে বাবা তাই তো বলছি “সকাল থেকে বার-বার একটা ছেলে আসছে। সকালেই আমি বলেছিলাম তাকে দুপুরের পর ছাড়া পাবেন না বাসার কাওকে। একটু আগে দেখলাম সিঁড়ি দিয়ে নামতে। আমি বললাম লিফট দিয়ে যান, অযথা সিঁড়ি ভাঙ্গছেন কোন?ডায়বেটিস আছে নাকি যে ক্যালরি Burn করছেন। শুধু বলল – না, It’s ok “ ব্যাস… এত কম কথা মানুষ বলে কেমন করে আমি তো বুঝতে পারিনা বাপু !!!
তা কে হয় তোমাদের মামনি ছেলে টা ??
আপনি কার কথা বলছেন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ? আর আমি দরজা খুলে একজন কে ও পায়নি।
ও তাই বলো।
আঙ্কেল যাকে আপনি দেখেছেন সে দেখতে কেমন ??
মায়া ভাই এই বার চোখ বন্ধ করে ভাবতে শুরু করলো। নিখুঁত বর্ণনা দেবার প্রাণপণ চেষ্টা আর কি। তাছাড়া অপরের উপকার করবার ব্যাপারে তাঁর খুব নাম ডাক আছে। প্রতিবেশীর মেহমান নিজের বাসায় রাখা, প্রতিবেশীর বাচ্চা কে স্কুল থেকে এনে দেওয়া এই সব ব্যাপারে তাঁর সুনাম অনেক। অনেকটা সেই জন্যই তাঁর নাম মায়া ভাই হয়েছে বলা যায়।
এবার মায়া ভাই লম্বা সুর করে বলতে লাগলেন “দে-খ-তে কে-ম-ন ছিল…”
এই তো মামনি তুমি তো আমাকে বিপদে ফেললে (চোখ বন্ধ করে বলতে লাগলেন মায়া ভাই)
আচ্ছা যা মনে পড়ছে তাই বলি “চোখ বন্ধ করে এক গাল হেসে বললেন- ছেলে টা দেখতে মাশাআল্লাহ্ খুব সুন্দর, লম্বা নাক, আর লম্বা ও বেশ, একটু লাজু্ক মনে হল, তবে দেখে মনে হল বেশ শান্ত। আর হ্যাঁ, নাকে ঠি-ক মাঝে একটা তিল আছে”
শেষের লাইন টা শোনার পর তটিনী শরীরে একটা শিহরন জেগে উঠলো, সেই আগের মত, সেই আদি স্মৃতির মত শিহরন। যে শিহরনের নাগাল সে কখনও পায়নি।
মায়া ভাই বলে উঠলেন – মামনি এখন আর কথা বলতে পারছি না পাখি গুলার খাবার দেওয়ার সময় হয়েছে। পরে এসে তোমার সাথে গল্প করবো আর সাথে কিন্তু এক কাপ কফি ও খাবো।
তটিনী ও আর কোন কথা না বলে আস্তে করে দরজা লাগিয়ে দিলো।
তটিনী চায়ছে না আদি স্মৃতিতে ফিরে যেতে, কিন্তু আদি স্মৃতিতে তাকে বার বার চেপে ধরছে আদিতে ফিরে যাবা জন্য। আদি স্মৃতি চায়ছে তাকে টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাবার জন্য তাঁর কাছে।
তটিনীর কানের প্রতিধ্বনি হচ্ছে শুধু একটা লাইন “আর হ্যাঁ নাকে ঠি-ক মাঝে একটা তিল আছে”
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: প্রথমেই আপনাকে পেলাম । ভাল লাগলো।
এটা ২য় পর্ব, আশা করি সময় করে ১ম পর্ব টা পরে নেবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৪৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: গল্পে ভাললাগা প্রবাহমান.....
ধন্যবান ও শুভকামনা জানবেন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৮
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মবীন ভাই
চেষ্টা করছি যেন ভাল লাগা প্রবাহমান থাকে
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:০৭
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: ছেলেটা বার বার এসে ফিরে যাচ্ছে। এই পর্ব পড়ে মনে হল এই উদ্দীপিতকে সে আগেই চেনে। অতীত স্মৃতিরোমন্থন করলে হয়তো পুরোটা বুঝা যেতো। সামনের পর্বে পাবো আশা করছি।
এই পর্বের মায়া ভাইকে খুব ভালো লাগলো তার পরোপকারী মানসিকতার কথা জেনে। আজকালকার জমানায় এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। ভালো ভাবে আগাচ্ছে গল্প। সাথেই আছি অর্বাচীন।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: "উদ্দীপিতকে সে আগেই চেনে। অতীত স্মৃতিরোমন্থন করলে হয়তো পুরোটা বুঝা যেতো"
- সামনে এই নিয়ে অনেক কিছু পাবে তাই ঘাস ভাই চিন্তা করো না। এইটু রহস্য না থাকে আর কি হয়।
মায়া ভাই এর ব্যাপার টা আসলেই একটু ভাল পাগলাটে ধরনের। আর ও পরে পাবে তাঁকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ঘাস ভাই
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২২
আমি সৈকত বলছি বলেছেন: বেশ লাগলো।
গল্পের গতি ঠিক আছে।
শুভ কামনা।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪০
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ "আমি সৈকত বলছি"
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪২
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আবার ও বলছি অনেক অনেক ধন্যবাদ
পাশে থাকুন
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: তটিনী যেটা ভেবে ছিল ঠিক তেমনটায় ঘটলো। দরজা খুলে দেখে কেউ নেই। এত খন ধরে বেল বাজাতে পারলো আর ২ টা মিনিট দাঁড়লে কি এমন ক্ষতি হতো। এখন মনে হচ্ছে, যে বেল বাজাচ্ছিল তাকে পেলে লবণ ছাড়ায় আস্ত গিলে খেয়ে ফেলতে পারতো তটিনী।
খাবারের কথা মনে করতেই ভাবলো আর দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই যায় কিছু খাবার বন্দ-বস্ত করি গিয়ে।
মামনি নাকি ?
আসসালামু আলাইকুম অংকেল।
ওয়ালাইকুমুস সালাম মামনি।
দরজায় দাঁড়িয়ে যে মামনি?
না অংকেল তেমন কিছু না… (তটিনীর মুখের কথা কেঁড়ে নিয়ে বলে উঠলেন মায়া ভাই)
তোমাদের বাসায় সকাল থেকে কে আসছে বার-বার ?
আপনার কথা আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না অংকেল, আমারা সারা দিনই কেউ বাসায় নেই !!!
তা কে হয় তোমাদের মামনি ছেলে টা ??
আপনি কার কথা বলছেন আমি ঠিক বুঝতে পারছি না ? আর আমি দরজা খুলে কাওকে পায়নি।
ও তাই বলো।
অংকেল যাকে আপনি দেখেছেন সে দেখতে কেমন ??
মায়া ভাই এই বার চোখ বন্ধ করে ভাবতে শুরু করলো। নিখুঁত বর্ণনা দেবার প্রাণপণ চেষ্টা আর কি। তাছাড়া অপরের উপকার করবার ব্যাপারে তাঁর খুব নাম ডাক আছে। প্রতিবেশীর মেহমান নিজের বাসায় রাখা, প্রতিবেশীর বাচ্চা কে স্কুল থেকে এনে দেওয়া এই সব ব্যাপারে তাঁর সুনাম অনেক। অনেকটা সেই জন্যই তাঁর নাম মায়া ভাই হয়েছে বলা যায়।
এবার মায়া ভাই লম্বা সুর করে বলতে লাগলেন “দে-খ-তে কে-ম-ন ছিল…”
এই তো মামনি তুমি তোমাকে বিপদেয় ফেললে (চোখ বন্ধ করে বলতে লাগলেন মায়া ভাই)
আচ্ছা যা মনে পড়ছে তাই বলি “চোখ বন্ধ করা অবস্তায় এক গাল হেসে বললেন- ছেলে টা দেখতে মারসাল্লাহ খুব সুন্দর, লম্বা নাক, আর লম্বা ও বেশ, একটু লাজু্ক মনে হল, তবে দেখে মনে হল বেশ শান্ত। আর হ্যাঁ, নাকে ঠি-ক মাঝে একটা তিল আছে”
---- মানি না , মানিনা ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১০
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: বুঝতে পেরেছি.।.
সাথে মেনে নেওয়ার মত করে দিলে তো হত
গিয়াস ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
বাড্ডা ঢাকা বলেছেন: দারুন ভালো লাগলো পড়ে