নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/fresh.wayfarer \nলেখার কোন অংশ লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগের লিংক ফেসবুক শেয়ার করা

কষ্ট গুলো কে আগঁলে নিয়ে বেড়ে উঠছি নতুন করে

অর্বাচীন পথিক

https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)

অর্বাচীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৪)- এর বাকী অংশ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৪



[আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৪)- এর বাকী অংশ]

এই সব কিছুই আমি পুরোপুরি জানতে পারি অনেক পরে আর কিছু অবচেতন মনের স্মৃতির থেকে । বাকিটা শোনা আর কিছুটা বুঝে নেওয়া। এক সময় বড় চাচার বাড়ি-ঘর নিজের বাড়ি ঘর হয়ে গেলো। চাচাতে বড় ভাই-বোন হয়ে গেল নিজের ভাই বোন। আমার বড় মা সবাই কে বলতেন আমার তিন ছেলে মেয়ে আর আমার চাচাতে ভাই বোন সব সময় আমাকে তাদের ছোট ভাই হিসেবেই সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতো। চাচাতে শব্দ টা যে কখন ঘুচে গেল বুঝতেই পারলাম না। যদি ও বড় চাচা আমাকে কখন ও নিজের ছেলে বলেনি কিন্তু আমার জীবনে বড় চাচা আর বড় মায়ের ভুমিকা সব থেকে বেশি। কোন দিক দিয়ে আমাকে কুমতি রাখেনি তাঁরা। আমার স্কুলে র্ভতি, প্রতিদিন বড় বাবা নিজে আমাকে নিয়ে পড়তে বসানো, সুবিধা- অসুবিধা সব কিছু। এমন কি আমি অসুস্থ হলেও তিনি নিজে আমার কাছে থাকতেন রাতের পর রাত জেগে। যেটা ভাইয়ার ক্ষেএে ও করেননি। অবশ্য এই নিয়ে আমার ভাই বোন এর কোন ক্ষোভ ছিল না। সবাই জানতো বড় বাবা আমাকে একটু বেশিই ভালবাসতো। বড় বাবা আমাকে নিজে পড়াতেন। টিচার খরচ বাঁচানোর জন্য নয়, বরং তিনি চেয়ে ছিলেন আমাকে তাঁর নিজের মনের মত গড়তে। বড় বাবা ভাইয়াকে চেয়ে ছিলেন ক্যাডেটে র্ভতি করতে কিন্তু সেটা না হাওয়ায় আমিই ছিলাম শেষ ভরসা। আর বাড়ির কাছেই ছিলো ঝিনাইদহ ক্যাডেটে কলেজ। সেই সময় আবার ক্যাডেটে কলেজ গুলোর রেজাল্ট ভাল হতো ।

তাই তিনি সব সময় বলতেন “আমি চাই তুমি ক্যাডেটে র্ভতি হও”।

আমি যখন ক্লাস ফাইভ এর বৃত্তি পরীক্ষা দিলাম, পরীক্ষা শেষ হবার পর বড় বাবা আমাকে বলেছিলেন "যশোর শহরে এমন জায়গায় একটা বাড়ি কিনবো, যেখান থেকে তোমার ক্যাডেটের কোচিং করতে সুবিধা হয় "

তাঁর আস্থা ছিলও আমার উপর আমি বৃত্তি পাবো। পেলাম ও, সারা জেলার মধ্যে ৩য় হলাম। ততো দিনে আমি একমাএ যে বড় বাবা- মায়ের সাথে আছি। বড় ভাইয়া ততো দিনে পাইলট হয়ে গেছে আর চাকরি ও পেয়ে গেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে। বড় ভাইয়া পড়া শোনাই করেছিলো বিদেশে। আর আপু তখন পড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে “বোটানিতে”।

মজার ব্যাপার হল সেই সময় যশোর শহরের যারা মোটামুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে মেয়েদের পড়াতে চাইতেন তারা সবাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেউ প্রথমেই বেছে নিতেন । তাঁদের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলো দূর মনে হতো। হাতে গোনা দুই একজন পড়তো অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে। যদি ও এর পিছে অনেক বড় একটা কারণ ছিলো খারাপ যোগাযোগ ব্যবস্থা ।ঢাকা থেকে যশোর যেতে হতো বাসে না হয় প্লেনে। বাসে গেলে সময় লাগতো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর প্লেনে সময় লাগতো ১ ঘণ্টা কিন্তু টিকেটের দাম অনেক ছিল যা সাধারণ পরিবার গুলোর মাসের বাজারের খরচের সমান। আর রাজশাহী থেকে যশোর যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ ভাল ছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে ছিল ট্রেন আর বাস। ট্রেনে সময় লাগতো ৩ ঘণ্টা আর ভাড়া ও কম ৮০ টাকার নিচে তার পর আবার স্টুডেন্ট হলে তো কথায় নাই। ভাড়া অর্ধেক......। তাই সবাই ট্রেন টা কেই বেছে নিতো আর বেছে নিতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে।

আমি বৃত্তি পাবার পর যশোর জিলা স্কুলে র্ভতি হলাম ক্লাস সিক্স এ। এর আগে আমি বড় মায়ের স্কুলে পড়তাম বকচরে। বকচর হচ্ছে যশোর শহর থেকে একটু দূরে, যশোর-খুলনা রোড এর পাশে। আমার বড় মা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা। আর বড় বাবা চাকরি করতেন পোষ্ট অফিসে। সব কিছু মিলিয়ে আমার সুবিধার জন্য বড় বাবা একটা বাড়ি কিনলেন যশোর শহরে বেজপাড়ায়।

আমার জীবনের আর একটা নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে দিলেন বড় বাবা আর মা। আর ও একটা দের খুলে দিলেন সামনে এগিয়ে যাবার।

এই সব কিছু ভাবতে ভাবতেই আবার উদ্দীপিতের মোবাইল টা বেজে উঠলো । কলার আর কেউ না - "ইলেকট্রনে প্রোটন নেই" বন্ধু - পাপন।

কল রিসিভ করতেই কোন সৌজনতা বোধ না করেই বলে উঠলো

- কি খাবি চা-কফি না কি কোল্ড ড্রিংকস ??
- তোর যা ভাল লাগে নিয়ে আয়।
- ওকে ।

কথাও শেষ লাইন কাটা ও সারা। সে এমনই... মানুষ যে কত অদভূত আর যে কোন ব্যাপারে কৌতূহলশূন্য হতে পারে সেটা পাপন কে না দেখলে বোঝা যাবে না।




চলবে-----

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৭

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার এই গল্পটি প্রথম থেকেই পড়ে আসছি আমি।
ভাল, অনেক ভাল লাগছে আপু!!!
আশা করছি শেষ অবধি ভাল লাগবে!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ভাল লাগলো যে আপনি নিরবেই পড়ে গেছেন।

আমি ও আশা বাদী আপনার ভাললাগা শেষ প র্যন্ত থাকবে

অনেক অনেক ধন্যবাদ

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এমন বড় বাবা এবং বড় মা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। ভীষণ ভালো লাগলো যৌথ পরিবারের আত্মিক টানের কথা পড়ে এই পর্বে। আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম অর্বাচীন। ভালো থেকো।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৪২

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: তুমি শুনে আর ও খুশি হবে যে এই বড় বাবা এবং বড় মা অংশ টুকু বাস্তব থেকে নেওয়া। সত্যিয় এমন আছে। এটা আমার দেখা জীবনের অংশ।

এখন ও কিছু মানুষ ভাল আছে বলেই হয়তো পৃথিবী টিকে আছে।

অনেক ধন্যবাদ তোমাকে ঘাস ভাই

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

রিয়াদ ফেরারী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে । আরো সুন্দরের অপেক্ষায় রইলাম ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: আমি বৃত্তি পাবার পর যশোর জিলা স্কুলে র্ভতি হলাম ক্লাস সিক্স এ। এর আগে আমি বড় মায়ের স্কুলে পড়তাম বকচরে।

এই লাইনটা পড়ে তো প্রায় ভুল বুঝে ছিলাম। সৎমা মনে করেছিলাম। পরে ভাল করে পড়ে দেখি এই বড় মা মানে সৎ মা নয়, বাপের বড় ভাই জ্যাঠার বউ জ্যাঠি মা অথবা বড় চাচী।

ভাল লাগল গল্প। ধন্যবাদ বোন অর্বাচীন পথিক।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: হাঁ প্রামািনক ভাই আমাদের এলাকায় বাবার ভাই এবং বাবার ভাবী কে চাচা আর চাচী বলে ডাকে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপানাকে

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:১৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়ে যাচ্ছি...ভালই গল্পের কাহিনী এগুচ্ছে সুলেখিকার হাত ধরে.....

অটঃআমি বাংলা সাহিত্যের থার্ড ক্লাস স্টুডেন্ট ছিলাম :( খুব জানতে ইচ্ছে করছে বড় গল্প ও উপন্যাসের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কী?

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুশি হলাম মবীন ভাই ।

আপনি ভাল মানুষ কে ভাল প্রশ্ন করেছেন মবীন ভাই :P
আমি এত শত বুঝিনা তবে যত টুকু জানি

রবীন্দ্রনাথ বলেছে "ছোট গল্প হঠাৎ করেই শেষ হয়ে যায়, যেটা পড়ে তৃষা মেটে না"

এই কথা সুএ ধরেই বলা যায় "বড় গল্প তাহলে ছোট গল্প থেকে বেশ বড় হয়। যেটা পড়ে কিছু টা হলে ও তৃষা মেটে, ছোট গল্পের মত হঠাৎ করেই শেষ হয়ে যায় না "

আর উপন্যাস আমার কাছে "যে কোন মুভির মত মনে হয়, যার শুরু থেকে শেষ সব টায় খুব মসৃন ভাবে চলে"

জানি না এই যুক্তি কত টা গ্রহণ যোগ্য :P

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৬

আলম 1 বলেছেন: আমি বৃত্তি পাবার পর যশোর জিলা স্কুলে র্ভতি হলাম ক্লাস সিক্স এ।
যশোর জিলা স্কুল ছেলেদের স্কুল বলে জানি ।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৯

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: হু আপনি ঠিক জানেন যে "যশোর জিলা স্কুল ছেলেদের স্কুল"

এখান "আমি" শব্দটাও ঠিক আছে। আগের পর্ব গুলো না পড়লে বুঝতে একটু কষ্ট হবে আর কি ।

এখানে "আমি" মানে - "উদ্দীপিত"

আশা করি বুজতে পারছেন

ধন্যবাদ

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

আলম 1 বলেছেন: আগের পর্ব গুলো পড়িনি - এই অংশের লেখাটা এতটাই প্রাণবন্ত যে আমার গল্প মনে হয় নি।

০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: খুব খুশি হলাম আপনার মন্তব্য পেয়ে। এইটায় প্রাণবন্ত যে মন টা ভাল হয়ে গেল।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.