নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/fresh.wayfarer \nলেখার কোন অংশ লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগের লিংক ফেসবুক শেয়ার করা

কষ্ট গুলো কে আগঁলে নিয়ে বেড়ে উঠছি নতুন করে

অর্বাচীন পথিক

https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)

অর্বাচীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৫ )

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৪





৫. - কি ব্যাপার ব্যাপারী সাহেব এত সকাল সকাল বাসায়?

জামশেদ ব্যাপারীর স্ত্রী তাঁকে প্রশ্ন করলেন একটু খোঁচা দিয়ে।



-আমি তো প্রতিদিনই সকাল সকাল বাসায় ফিরি।

-সেটা তো সবাই জানে তাই না?? আপনি কখন ফেরেন, কখন বাসা থেকে বাইরে যান সেটা তো আর কারো জানতে বাকী নেই।

-শোন বউ এখন আবার শুরু করে না। ভাল লাগছে না কোন কিছু।

জামশেদ ব্যাপারীর স্ত্রী এবার আর একটু খোঁচা মেরে বললেন

আজ উপকার করার মত মানুষ পাওনি বলে কি মন খারাপ ??



ব্যাপারী সাহেব এবার পুরাই রেগে টং। রাগের চোটে সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করতে লাগলেন। আর এই কথার মাঝে আগুনে ঘি ঢালতে এসে হাজির হল তাদের ছোট ছেলে “ইয়াসার”। তাঁকে একমাএ বড় ছেলেটায় বোঝে আর কেউ বোঝে না।



পিছন থেকে আগুনে ঘি ঢালতে লাগলো ছোট ছেলে

-কি শুরু করলে মা ?? ব্যাপারী সাহেব কে রাগাচ্ছো কোন ??

-এই আমি না তোর বাপ ?? তুই আমাকে “ব্যাপারী সাহেব” বলিস কোন ?

বারে..... তোমার নাম তো "জামশেদ ব্যাপারী” আর সবাই তোমাকে “ব্যাপারী সাহেব” বলে ডাকে, তবে এখন অবশ্য সবাই আর ও একটা নামে ডা-কে.........

-এই চুপ।



কত বার বলেছি আমি তোদের কে, যে আমার বংশের নাম “তালুকদার”।বাবার চালের আঁড়ত ছিল। তাই সবাই তাঁকে “ব্যাপারী সাব” বলে ডাকতো। আর তাতেই যত অঘটন ঘটলো। মেট্রিকুলেশন পরীক্ষার আগে হেড স্যার রেজিস্ট্রেশন করে দিলো “জামশেদ ব্যাপারী” নামে। কত করে বললাম-

“আমার নামের সাথে ব্যাপারী হবে না স্যার, হবে তালুকদার”

কে শুনে কার কথা। আব্বা কে ও বললাম সে যেন হেড স্যার কে বলে নাম টা ঠিক করিয়ে দেন। তিনি বললেন “ সে মাস্টার মানুষ তোমার আমার থেকে ভাল বুঝবে কোন টা ভাল আর কোন টা খারাপ”

ব্যস হয়ে গেলাম তালুকদার থেকে ব্যাপারী।



এবার ছেলে বলে উঠলো

-দাদা ভুল করেছে তো তুমি আমাদের কে বলও কোন ? যাও দাদা কে গিয়ে বলও। ঐ তো পাশের রুমে আছে...... যাও।

-এবার পুরাই মেজাজ টা বিগড়ে গেলো ব্যাপারী সাহেবের।



এই যুগের বাবা-মায়ের সাথে তাঁর যুগের বাবা-মা কে মেলালে চলবে কি ভাবে। এখন ও পর্যন্ত বাবা কে খুব বেশি সমীহ করে চলতে হয়। এক কথা ২য় বার বলা যায় না তাঁকে। সারা জীবন মাথা নিচু করে বাবার সাথে কথা বলতে হয়েছে এখন ও হয়। সারা টা জীবনে কোন দিন বাবার মুখের উপর কোন কথা বলতে পারিনি আর এখন সেই বয়সটায় বা কোথায়। সেই সময় শুধু ভরসা ছিলো “মা”।

সংবাদ বাহক যেমন পএ চালাচালি করে ঠিক তেমনি মায়ের ও কাজ ছিলো সব সন্তানের হয়ে বাবার সাথে কথা চালাচালি করা।



জামশেদ ব্যাপারী এবার তাঁর ছেলে কে বললেন

- আমরা তো আর তোমাদের যুগের মানুষ ছিলাম না। আমাদের সময়ে বাবার সাথে কথা বলতে হলে তাঁর এপয়েন্টমেন্ট নিতে হতো। আর এখন তোমার তো বাবা-মাকে সম্মান করার কথায় ভুলে যাও মাঝে মাঝে খোলামেলা সম্পর্কের কারনে ।



- তুমি কি তোমার যুগের সেই কঠোরতা মন থেকে মেনে নিয়ে ছিলে?



ছেলে খুব দৃঢ় ভাবে প্রশ্ন করলো ব্যাপারী সাহেব কে

- না

- তাহলে কোন এই যুগের বাবা-ছেলের খোলামেলা সম্পর্ক কে মেনে নিতে পারছো না।

- মাঝে মাঝে মনে হয় এই খোলামেলা সম্পর্কের কারনে তোমরা সম্মান করতে ভুলে যাও।

- তোমার এই ধারনাই ভুল আব্বু। সম্মান করা ব্যাপারটা হতে হবে মন থেকে। তোমার যুগের বাবারা মনে করতেন তাঁরা সন্তানদের সাথে দুরুত্ব বজায় রাখলে তাঁরা সম্মান বেশি পাবে, সন্তানরা তাদের ভয় পাবে। হাঁ, তাঁরা সম্মান ও করাতে পারেছিলো তবে বেশির ভাগ সন্তানরা তাদের কে মন থেকে সম্মান করেননি। বলা যাই গাঁয়ের জোর এ এই সম্মান পাওয়া তাঁদের। অনেক টা জোরদার জমিদারদের মত। অন্য দিকে দেখ তোমার যুগের সন্তানদের কাছে তাদের মায়েরা আলাদা ভাবে সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে আছে মাএ দুটো লাউ, এক হালি মুরগির ডিম, আধা সের গরুর দুধ বেচে। তোমার পুরনো দিনের গল্প থেকে আমি সেটায় বুঝেছি আব্বু। অথচ ভাবো সেটা পাবার কিন্তু পূর্ন সুযোগ ছিলো দুই জনেরই। কারন অর্থ-বিত্ত কোন দিক থেকেই কুমতি ছিল না বেশির ভাগ পরিবারেরই।



জামশেদ ব্যাপারী এবার অনমনেই হেসে ফেললেন ছেলের কথা শুনে। কি বলবেন তিনি ঠিক বুঝতে পারছেন না। তিনি কি তাঁর ছেলের পক্ষে না কি বিপক্ষে কথা বলবেন।

যদি মন থেকে সত্যি বলতে হয় তবে তিনি তাঁর ছেলের পক্ষে কথা বলবেন।

আর যদি নিজের বেড়ে ওঠা যুগের পক্ষে যান তবে অবশ্য ছেলের বিপক্ষে কথা বলতে হবে। সেই যুগ কে তো আর অস্বীকার করা যায় না।



জামশেদ ব্যাপারী ছেলে খুব বিনয়ী হয়ে বললও

-যদি আমার কোন কথায় কষ্ট পেয়ে থাকো তবে সরি আব্বু। আমি ইচ্ছা করে তোমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলিনি

-সরি বলার মত তো কিছু হয়-নিরে বাবা

-ছেলে টা তাঁর পর ও মিষ্টি করে হেসে বলল

-তাঁর পর ও সরি আব্বু।



জামশেদ ব্যাপারী ভাবতে লাগলেন এই রকম বাবা ছেলের সম্পর্ক যদি আমি পেতাম তাহলে আর কোন অপূর্ণতা থাকতো না জীবনে। জীবনে অনেক কাজ করেছি যা আজ পর্যন্ত বাবা কে বলা হয়নি অথচ মা সব জানতেন আর আঁচলে মুখ লুকিয়ে হাসতেন। তাঁর ছেলেরা তাঁকে অনায়েসে সব কথা বলে। আর কিছু করার আগে তাঁকে জানিয়ে যায় ঠিক তিনি যেমন তাঁর মায়ের কাছে সব কথা বলতেন ওদের মত বয়সে।



ইয়াসার বলে উঠলো

- আব্বু তুমি আজ আলিম ভাইয়ের দোকানে যাও নি ?

- না ।

- কোন ??

- আমি বাসায় ফেরার সময় আলিম ভাই ডেকে জিজ্ঞেসা করলো, তুমি কোন আজ নিচে যাওনি।

- ভাল লাগছিলো না তো তাই আজ ঐ দিকে যায় নি।

- তোমার শরীর টা ভাল আছে তো আব্বু ?

- হু তা আছে।

পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠলো

-তা হলে কি হয়েছে, যে কোন কিছু ভাল লাগছে না ?

ব্যাপারী সাহেব কন্ঠ শুনেই বুঝলেন তাঁর বড় ছেলে “আরসাদ”। তিনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না কোন মতেই। তিনি ব্যাকুল হয়ে জিজ্ঞেসা করলেন পিছনে ফিরে;

-তুই কখন আসলি অফিস থেকে ?









N.B: [আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৫)- এর বাকী অংশ পরের পোস্টে]

N.B: [ যদি কোন বানান ভুল করে থাকি তবে আশা করি বানান টা ধরিয়ে দেবেন। আমি সেটা আমি ঠিক করে নিবো ]



ধন্যবাদ :)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২৪

মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: ভালো হয়েছে আপনি অনেক সুন্দর করে লেখেন ।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৪

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: তাই বুঝি ???

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে "মিন্টুর নগর সংবাদ"

২| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৫

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: ঠান্ডা মাথায় বলছি, সুন্দর হয়েছে।

লেখালেখিটা চালিয়ে যান।

০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ ঠান্ডা মাথা
আমি ও ঠান্ডা মাথাই বলছি লেখা লেখি চালিয়ে যাবো।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৪০

প্রামানিক বলেছেন: এটা ঘুড়ি ব্লগে পড়েছি। আবারও পড়লাম। ভাল লাগল। ধন্যবাদ

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: হু প্রামািনক ভাই দুই ব্লগেই একসাথে পোস্ট করছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই খানে পেয়ে।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:২১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: অনেক দিন পর আবার এই ধারাবাহিক নিয়ে হাজির হলে। আগের ঘটনাগুলো কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেছে স্মৃতিতে। যাহোক, এই পর্বের আচরণগত প্রসঙ্গটা ভালো লাগলো। আদব কায়দার ব্যাপারে একালের চেয়ে বরং সেকালের মানুষেরাই এগিয়ে। তবে সন্তানের সাথে সেকালের বাবা মা'র মধ্যে যে দূরত্ব দেখা যেতো, সেটা ঠিক যুক্তিসঙ্গত ছিল না। বরং দূরত্ব কম থাকলে সন্তানের বেড়ে উঠা আরও সহজ এবং সুন্দর হতো। তারপরও বলবো এই সব ব্যাপারে আসলে তুলনা করাটা শতভাগ যৌক্তিক হয় না। কারণ পরিবেশ পরিস্থিতির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।
পরের পর্ব বেশী দেরি করে দিও না কিন্তু। ভালো থেকো তিতলি। শুভ কামনা অনিঃশেষ।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: হু তাই তো এই বিষয় টা তুলে ধরছি। তুলনা করা তো ঠিক না তবে কিছু কিছু ব্যাপার তুলে ধরবো আশা করি

কাল ই পোস্ট করবো পরের পর্ব । চেষ্টা করছি ভাল থাকার।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ঘাস ভাই

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:০৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভালো লিখে চলেছেন।

ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন। :)

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪২

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: :) :)

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মবীন ভাই

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: আমার আছে কষ্টের অনুভুতি

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৩

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: :( :(( :(( :((

কোন ????????

৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: কিচহু না বোলা খতঃআ

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ??????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.