![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)
উদ্দীপিত পাপনের ফোন পাবার একটু পর থেকেই রুমের মধ্যে পায়চারি করছে। শুধু মাএ অপেক্ষায় সময় তার এই অভ্যাস আছে অযাচিত হাঁটা হাঁটির।
হঠাৎ করেই রুমের দরজার লক খোলার শব্দ কানে এলো উদ্দীপিতের। বুঝলো পাপনেরই কাজ এটা। তার কাছে চাবি না থাকলে ও সে কোন না কোন ভাবে দরজার লক খুলে ফেলে। যাকে বলে চুরির বিদ্যা রপ্ত করা। তবে এই বাসার ক্ষেএে সেটা প্রযোজ্য না কারন এই বাসার চাবি তার কাছে আছে। এই বাসাটা উদ্দীপিত আর পাপনের ক্যাডেট কলেজের এক সিনিয়ার ভাইয়ের বাসা। এই বাসা অনেক টা সরাই খানার মতন। সবাই আসে, থাকে…… যাই। শুধু সিনিয়ার ভাই কে একটা ফোন বা ইমেইল দিলেই হল আর কোন সমস্যা নেই। তবে যারা সিনিয়ার ভাইয়ের কাছের মানুষ তাঁদের সবার কাছে এক একটা করে চাবি আছে। সেই কাছের মানুষের মধ্যে উদ্দীপিত আর পাপন ও আছে।
পাপন রুমে ডুকেই উদ্দীপিতের দিকে এমন ভাবে তাকালো যেন গতকালই দুইজনের দেখা হয়েছে। অথচ দুইজনের দেখা হচ্ছে প্রায় চার বছর পর।
পাপন তার হাতের প্যাকেট টা ডাইনিং টেবিলে উপর রাখতে রাখতে বলল
– কি রে কোন খবর না দিয়ে চলে এলি-যে ?
উদ্দীপিতের খুব মেজাজ খারাপ হচ্ছিল পাপনের ব্যবহার দেখে। উদ্দীপিত মেজাজ তিতিক্ষি করে উত্তর করলো
– তোকে দেখতে আসিনি এটা বুঝতে পারছিস তো
– হু, সেটা জানি তুই আমাকে দেখতে আসিস-নি।
– সকাল হতে না হতে কোথায় গিয়ে ছিলি তুই ??? খুব ঠাণ্ডা গলায় প্রশ্ন করলো উদ্দীপিত কে।
– খুব ভালই স্টাডি করে আসছিস আমার উপরে।
পাপন আবার ও একই প্রশ্ন করলো উদ্দীপিত কে
– বল কোথায় গেছিলি?
– শোন মন- মেজাজ ভাল নেই। আবার নতুন করে আর ও খারাপ করিস না।
হু বুঝলাম , স্যান্ডুইচ গুলো খেতে থাক, আমি কফি করে নিয়ে আসি। এটা বলে পাপন কিচেনের দিকে চলে গেল।
কফির কাপ হাতে নিয়ে কিচেন থেকে বেরিয়ে পাপন দেখলো স্যান্ডুইচ গুলো স্যান্ডুইচের জায়সায় পড়ে আছে আর সে সেখান থেকে নীরবেই প্রস্থান করেছে।
পাপন রুমে ডুকেই দেখলো উদ্দীপিত জানালার থাই গ্লাস খুলে দাঁড়িয়ে আছে।
সে কোন কথা না বলেই কফির কাপ টা উদ্দীপিতের দিকে বাড়িয়ে দিলো।
কয়েক মূহুর্ত পরে প্রশ্ন করলো “কি হয়েছে তোর ???”
উদ্দীপিত কোন উত্তর না করেই তাকিয়ে রইল বাসার পাশের গলিটার দিকে। যেখান থেকে ব্যস্ত শহরের দূষণের চিত্র ছাড়া আর কিছু দেখা সম্ভব না। কিন্তু সেটার মাঝে ও কি খুঁজতে চেষ্টা করছে বুঝতে পারছে না পাপন।
উদ্দীপিতের সাথে তার পরিচয় ক্যাডেটের প্রথম দিন থেকেই। সবাই বলতো। আমি কিভাবে তার সাথে তাল মিলিয়ে চলি। একটা প্রশ্ন করলো উত্তরের জন্য রীতিমত ধৈর্যজের পরীক্ষা দিতে হয়। তার পর ও আমাদের মাঝে গভীর একটা সম্পর্ক তৈরি হয় । আর আমরা হয়ে উঠি একে অপরের খুব কাছের বন্ধু।
- তোর মনে আছে ক্যাডেট কলেজে পড়ার সময় আমি একজনের কথা প্রায়ই তো কে বলতাম
– ঐ সেই কার্লি লং হেয়ার মেয়ে টা………? পাপন কফির কাপে এক চুমুক দিয়ে বলল।
– তোর কিভাবে মনে আছে তার কথা !!!!!!
– না মনে থাকার কি আছে। সারা জীবনে তোর মুখে দুইটা মেয়ে মানুষের গল্প শুনেছি। এক তোর বড় মা আর দুই সেই কার্লি লং হেয়ার মেয়েটা।
কাছের এক বন্ধুর মুখে এমন কথা শুনে উদ্দীপিতের একটু লজ্জা লাগতে লাগলো। আর এই সময় তার মনে হচ্ছিল তার বাম কান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে আর পাপন সেটা দেখতে পাচ্ছে। নিজেকে খুব নির্লজ্জ মনে হচ্ছিল তার নিজের কাছেই।
পাপন এবার খুব রাশভারী গলায় বলে উঠলো
– এত লজ্জা পাবার কিছু নেই। একটা বয়সে এই সব ব্যাপার সবারই থাকে। আমার ও ছিল……। এই সব কোন ব্যাপার না। এখন কি হয়েছে সেটা বল।
– আমি তার সাথেই দেখা করতে এসেছি।
পাপন একটু ও কৌতুহলি না হয়েই বলল
-ও ।
-ব্যাস …..!!!!! ও …… !!!! । আর কিছু জানতে চাস না, কখন কিভাবে তার খোঁজ পেলাম আমি।
– আমার প্রশ্ন করার কি আছে। তুই বল আমি শুনছি।
উদ্দীপিত খুব ভাল করেই জানে যে, সারা জীবনে সে কোন প্রশ্ন করবে না যদি না সে নিজে থেকে কিছু না বলে তাঁকে। বরাবরই ওর সব কিছুতে কৌতুহল কম। বিশেষ করে ব্যক্তি জীবনের ক্ষেএে।
উদ্দীপিত এবার বলতে লাগলো নিজে থেকেই
N.B: [আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৬)- এর বাকী অংশ পরের পোস্টে]
N.B: [ যদি কোন বানান ভুল করে থাকি তবে আশা করি বানান টা ধরিয়ে দেবেন। আমি সেটা আমি ঠিক করে নিবো ]
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
পরের পোস্টে আপনাকে পাব আশা করি
২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: েখানে সীমান্ত তোমার সেখানে বসন্ত আমার
------------------------------------------
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: তাই বুঝি
নতুন এটা জানলাম
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার লিখে চলেছেন।
আচ্ছা যারা প্রথমবারের মত আপনার গল্প পড়া শুরু করবে তাদের সুবিধার্তে প্রতিটি পর্বের শুরুতে আগের পর্বসমূহের গল্পের এটি সারাংশ যোগ করা যায় কি না অনুগ্রহ করে ভেবে দেখবেন প্লিজ।আমার মনে হয় এটা করতে পারলে পাঠকদের অনেক সুবিধা হতো।
ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানবেন বোন।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৩
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: সুন্দর একটা পরার্মশ দেওয়া জন্য অনেক ধন্যবাদ মবীন ভাই।
খুব চেস্টা করবো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: শেষ পর্যন্ত তোমার পোস্টে আবার মন্তব্য করতে পাড়লাম।
কয়েক পর্ব পরে আবার উদ্দীপিত এর দেখা মিলল। কিন্তু ঘটনা বলার আগেই পর্ব শেষ করে দিলে কেনো? কৌতূহল যে রয়ে গেলো।
তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব দাও, দেখে নেবো ঘটনাটি কী। ভালো থেকো। শুভ কামনা নিরন্তর পথিক।
১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:০৯
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আমি তো মহা চিন্তাই ছিলাম এই ব্যাপার টা নিয়ে
যাই হোক সমস্যার সমাধান হল।
কাল ই দিয়ে দিব। পারলে আজ রাতেই দিব। চিন্তা করো না ঘাস ভাই।
একটু রহস্যময় করলাম আর কি এই খানে আজকের পর্ব টা শেষ করে
ধন্যবাদ ঘাস ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫৪
আলম 1 বলেছেন: পরবর্তী অংশের অপেক্ষায় রইলাম।