নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/fresh.wayfarer \nলেখার কোন অংশ লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগের লিংক ফেসবুক শেয়ার করা

কষ্ট গুলো কে আগঁলে নিয়ে বেড়ে উঠছি নতুন করে

অর্বাচীন পথিক

https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)

অর্বাচীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৬ এর বাকী অংশ)

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৪




[ পর্ব- ৬ এর আগের অংশের সারাংশ ঃ উদ্দীপিত আর পাপন দুই বন্ধু। পাপান উদ্দীপিতের সাথে দেখা করতে এসেছে। পাপন উদ্দীপিতের কাছে জানতে চেয়েছি যে কি কারনে সে কোন খবর না দিয়ে দেশে এসেছে। উদ্দীপিত পাপান কে বলে যে "সে কার্লি লং হেয়ার" মেয়েটার সাথে দেখা করতে এসেছে। পরের কাহিনী এখান থেকে]


ওদের বাসা আর আমাদের বাসা প্রায় পাশাপাশি ছিল। সে পড়তো মমিন র্গালস স্কুলে আর আমি তখন পড়তাম জেলা স্কুলে। তখন ও ক্যাডেটে র্ভতি হয় নি । সবে মাত্র কোচিং শুরু করেছি ক্যাডেটে র্ভতির জন্য। আমাদের যে বাড়ি টা কেনা হল শহরে, সেই বাড়ির তিনটা বাড়ি আগে ও থাকতো। ওদের বাসার সামনে দিয়ে আমাদের যেতে হত। প্রথমে ভেবেছিলাম ওটা ওদের বাড়ি। পরে বুঝতে পারলাম না, ওরা ঐ বাড়ি ভাড়া থাকতো।
প্রতিদিন সকালে দেখা হতো আমাদের, স্কুলে যাবার সময়। কারন আমরা দুইজনেই পড়তাম মর্নিং শিফটে, আর দুইজনের স্কুল টাইম একই ছিল। দূর থেকে প্রতিদিন আমাদের দুইজনের চোখা-চোখি হতো আর প্রায় প্রতিদিনই আমি তার পাশ দিয়ে হেঁটে গিয়ে রিকশা নিতাম। প্রথম দিকে ব্যাপারটা ছিল বিপদে পড়ে,কারন এত সকালে ঐ রাস্তাই রিকশা পাওয়া যেত না তাই বাধ্য হয়ে মেইন রোডে গিয়ে রিকশা নিতে হতো। কিন্তু কিছু দিন পর থেকে ইচ্ছা করেই হেঁটে যেতাম তাঁর বাসা পর্যন্ত তারপর গিয়ে রিকশা নিতাম।দূর থেকে প্রতিদিন ওকে দেখে আমি মুগ্ধ হতাম। কেমন যেন একটা ভাললাগা কাজ করতো সেই বয়সেই। আর সেই সময় বয়সটা ও তো ছিল সেই রকম যা দেখতাম তাই ভাল লাগতো।তখন আমি বয়ঃসন্ধির সুচনা লগ্নে,আমার শরীরের হরমোন গুলো নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে। সেটা আমি উপল্বধি পরতে পারতাম। তবে একটা ব্যাপার কি জানিস,সে আমাকে দেখে কখনও চোখ তুলে তাকাতো না। আমি হেঁটে যত তাঁর কাছে যেতাম, তাঁর মাথা ও চোখ ততো নিচে নামতে থাকতো। ওর বাবা ওকে প্রতিদিন মটরসাইকেলে করে দিয়ে আসতো স্কুলে। তখন ও আমাকে বড় বাবা সাইকেল কিনে দেয়নি, তাই আমার রিকশায় ছিল সম্বল।

- এই সব তো আমি জানি। কয়েক বার শুনেছি তোর মুখে। কোন দিনই তো , তার সাথে কথা বলিসনি তুই। এমন কি নাম ও জানিস না। তুই কি তাঁর নাম টা জানতে পেরেছিস ... ??
-হু
- এতখন পরে না !!!!!! নাম টা আগে বল
- তটিনী
- হু......... তটিনী । নামের সাথে চরিত্রের মিল আছে।
- মানে ??? উদ্দীপিত খুব আবাক হয়েই প্রশ্ন করলো পাপন কে

-মানে আবার কি ? তটিনী অর্থ কি নদী। নদী কেমন হয়। সবাই এক বাক্যে বলবে নদী দেখতে খুব সুন্দর। নদীর পাড়ে বসলে সবার মন হালকা হয়ে আসে। নদী সবার দুঃখ কে নিজের করে নেই। সে সবাইকে সব কিছু উজাড় করে দেয় আর নিজের কষ্ট গুলো ভুলে থাকে। নিরবে সব কিছু সহ্য করে যায়; মৃত প্রায় নদী হবার আগ পর্যন্ত।

আর এই তটিনী ও তো সেই রকমই শুনেছি। শ্যাম বরণ গায়ের রং, ঢেউ এর মত আঁকা বাঁকা দীঘল চুল আর খুব শান্ত এক জোড়া চোখ। জাম তলার মিষ্টির মত না কি বড় বড় চোখ তাঁর। তুই তো বলেছিলি এই ভাবে......
- হু।
- আবার "হু" কোন !!! এবার একটা লম্বা বাক্য বল, শুনি তোর মুখে
একটু রেগেই কথা টা বলল পাপান । উদ্দীপিত এবার মৃদ হাসতে লাগলো
- মুখ লুকিয়ে হাসতে হবে না, বুঝেছিস । এবার বল এত দিন পর কিভাবে তার খোঁজ পেলি ?
- চার দিন আগে তটিনী এক বান্ধবীর সাথে দেখা হল আমার শপিংমলে। সেই বললো ওর কথা। ওর বান্ধবী মাস ছয় এসেছে ওয়াটারলুতে তার Husband এর সাথে।
- তুই তাকে চিনলি কেমন করে ?
- আমি তাঁকে কোথা থেকে চিনবো। সেই আমাকে চিনেছে।
- বলিস কি !!!!!! ???
- হু...... আমি নিজে ও তোর মত আবাক হয়েছি।
- পুরা কাহিনী টা বল তো দোস্ত। পাপন নাছোড় বান্দাদের মত আচারণ করতে লাগলো উদ্দীপিতর সাথে। উদ্দীপিত তার বন্ধুর এই রকম কান্ড দেখে অবাক না হয়ে পারলো না!!

- সেদিন গিয়েছিলাম একটু শপিং করতে। একটা দোকানে টি-শার্টের উপর ডিসকাউন্ট দেখে ঢুকলাম সেখানে। সেই সময় আবার আমার রুমের জুনিয়ার টা কল করলো । তার সাথে কথা শেষ করার পর আমার পাশে দেখি দাঁড়িয়ে আছে এক বাঙ্গালী। আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল হ্যান্ডশেক করার জন্য আর সাথে বলল তাঁরা নতুন এসেছে এইখানে। যাই হোক তিনি তার wife এর সাথে ও আমার পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমার নাম টা তাদের কে বলার সাথে সাথেই তার wife আমাকে বলল- কিছু না মনে করলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি ভাইয়া ? আমি ও বললাম হ্যাঁ বলেন। সে আমাকে বলল আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায় ? বললাম যশোর। তখন সে বলল - ভাইয়া আপনি কি জেলা স্কুলে পড়তেন?, পরে ক্যাডেটে চলে যান ? আমি তো শুনে পুরাই অবাক। তাঁকে বললাম - আমরা কি একে অপর কে চিনি ? সে বলল "আমি আপনাকে জানি কিন্তু আপানি আমাকে চেনেন না"

এটা শোনার পর কিছু সময় আমার মেমরি ব্লাক আউট হয়ে গেছিল।

পাপন তার বন্ধুর মুখ এই শেষ লাইন টা শুনে হেঁচকি দিয়ে হাসতে লাগলো
নিজেকে একটু সামলে নিয়ে পাপন প্রশ্ন করলো তার পর......... ?

- তার পর আর কি !!! তার Husband অফার করলো কোথাও বসে কথা বলার জন্য। গেলাম পাশের কফি শপে। তার পর তাঁর wife বলল। আমি তটিনী কে চিনি কিনা। আমি বললাম "আমি এই নামের কাওকে চিনি না" । আর আমার এই "না" শব্দ টা শুনে সে এমন ভাবে হাসতে লাগলো যেন এটা পৃথিবীর সেরা জেকশ। এর পর তাঁর Husband বলল একটু খোলাখুলি ভাবে বিষয় টা বলতে কারন সে ও খুব উদগ্রীব ছিল বিষয় টা নিয়ে।

তখন সে বলল- " আমাকে সে একবার দেখেছে সেই কলেজ লাইফে, তটিনী বাসার সামনে একটা বাসা ছিল সেই বাসার ছাদ থেকে। আমার ও তখন কলেজ ছুটি ছিল তাই নাকি আমি তখন যশোরে ছিলাম । আমি যশোর ছাড়ার পর থেকেই তটিনী নাকি সব সময় আমার আসা যাওয়ার উপর নজর রাখতো। বিশেষ করে দুই ঈদ আর গরমের ছুটিটার সময়। সে তার বান্ধবীর কাছে স্বীকার করে যে, যখন প্রতিদিন ভোর বেলা দেখা হতো তখন ছিল বিষয় টা স্বাভাবিক পরে সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়। আর যখন কিছু টা হলে ও তার মনে জেঁকে বসেছি আমি, তখন তাঁর মনে হয়েছে এখন সঠিক সময় না এই সব ভাবার জন্য। আর এক দিন হঠাৎ করেই ওর বাবা বদলি হয়ে যায় রংপুরে আর তাদের যশোর ছাড়াতে হয় । আর এই ভাবে আমি তার জীবন থেকে হারিয়ে যাই এক সময়। সে নাকি আমার বাসার টিএনটি নম্বর ও জানতো কিন্তু কোন দিন ও ফোন করেনি। কারন সে জানে না আমি কি ভাবছি তাঁকে নিয়ে। আমি প্রশ্ন করেছিলাম এত দিন পর আমাকে আপনি মনে রাখলেন কি ভাবে ? সে বলল - যথেষ্ট কারন আছে ,আমাকে সে চিনতে পেরেছে নাকের তিল এর কারনে আর কানাডাতে আসার আগে তটিনী সাথে দেখা হয়েছিল তার । সেই সময় তটিনী নাকি বলেছিল আমার কথা - যশোরের কোন এক পরিচিত মানুষের কাছে নাকি জানতে পেরেছে, আমি নাকি কানাডায় থাকি। এত বছর পর আমার কথা তটিনী মুখে শুনে সে ও খুবই অবাক হয়েছে। এই কথাটা তাঁর বান্ধবীর মুখে শোনা...... আমার।"

পাপন এই সব কিছু শুনে দীর্ঘ একটা নিঃশ্বাস নিয়ে বলল

- বা...বা কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ালো !!! উফ......... কি ভাবে সম্ভব হলও বুজতেই পারছিনা আমি !!!! তুই কি বলেছিস তার বান্ধবীকে ?

- বলেছি...... শুধু শুধু এত গুলো বছর সে নষ্ট করলো। আমি তার নাম টা পর্যন্ত জানতে পারিনি। কারন আমার সেই রকম কোন সুযোগ ছিল না...... , ছিল না কোন পরিচিত মানুষ যার মাধ্যমে আমি তার সম্পর্কে কিছু জানতে পারি। আর সে আমার বাসার ফোন নম্বর টা পর্যন্ত জানতো। আমি তো এইচ.এস.সি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে আসার পর আর তাকে পাইনি। কত দিন অযথা ওদের বাসার সামনে দিয়ে হেঁটে গেছি। একটু দেখা হবার আশায়। কিন্তু তিন মাসে একবার ও তাঁর দেখা পায়নি।

আর তার বান্ধবীকে বলেছি আমার কথা এখন ই তাকে না বলতে।

- তার বান্ধবী তোর কথা শুনে কি বলল ??

- হাসলো আর বলল "তটিনী বলতো আপনাকে দেখে তাঁর মনে হয়েছে আপনি খুব স্বল্পভাষী মানুষ । আজ দেখলাম সেটা একে বারে ঠিক। আর এখন মনে হচ্ছে তটিনী সঠিক মানুষের জন্যই এতদিন অপেক্ষা করেছে। ওর সিদ্ধান্ত টা সঠিক"

পাপন উদ্দীপিতের ঘাড়ে হাত রেখে বলল আমার ও তাই মনে হচ্ছে এখন। এত দিনের অপেক্ষা সার্থক হয়েছে তোর।তুই একজন সুস্থ আর ভাল মনের সঙ্গী পাবি এটা এখন আমি জোর গলায় বলতে পারি।





N.B: [আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৭)- পরের পোস্টে]
N.B: [ যদি কোন বানান ভুল করে থাকি তবে আশা করি বানান টা ধরিয়ে দেবেন। আমি সেটা আমি ঠিক করে নিবো ]

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:৫১

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এই হল তাহলে ঘটনা। চোখাচোখি থেকেই ভালো লাগা, তারপর ভালোবাসা কিন্তু মাঝখানে লম্বা একটা বিরতি। উদ্দীপিত তটিনীর নামটা পর্যন্ত জানতো না। ভালোবাসা গভীর হলে বুঝি এমনি হয়। কারণ ভালোবাসা যেখানে মুখ্য, নাম সেখানে কোন ফ্যাক্টর হয় না। একদিন এমনিতেই জানা হয়ে যায়।
এই পর্বে বেশ জমিয়ে দিয়েছ। দেখা যাক সামনের পর্বে কী নিয়ে হাজির হও। ভালো থেকো পথিক। শুভ কামনা নিরন্তর।

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৩

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: "ভালোবাসা গভীর হলে বুঝি এমনি হয়" ---- আমার কাছে এতাট মনে হয়েছিল।

ঘাস ভাই তোমার কানে কানে একটা কথা বলি "এই চোখাচোখি থেকেই ভালো লাগা, তারপর ভালোবাসা" এই অংশ টুকু সত্যি একজনের জীবন থেকে নেওয়া।

"এই পর্বে বেশ জমিয়ে দিয়েছ"

:) :) :)

চেষ্টা করছি ঘাস ভাই জমাতে, দেখি কি হয় ???

সামনের পর্বে ও থাকবে নতুন কিছু।


অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৪২

জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার লিখছেন।সুন্দরভাবে এগিয়ে চলছে গল্প।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

*বিশেষ ধন্যবাদ পূর্বের ঘটনার সারাংশ জুড়ে দেওয়ার জন্য। :)

১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৬

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মবীন ভাই।

সাথে আছেন সব সময় এটা ভেবেই মন টা খুশিতে নেচে ওঠে।

"*বিশেষ ধন্যবাদ পূর্বের ঘটনার সারাংশ জুড়ে দেওয়ার জন্য"


এটার জন্য ধন্যবাদ দেবার কিছু নেই, এটা আপনারই অবদান। আপনি বলাতে আমি সারাংশ জুড়ে দিয়েছি।

-- ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:৩০

এম এ কাশেম বলেছেন: চোখাচোখি থেকে প্যাচের শুরু দেখি
তাই ভাবছি এখন থেকে কারো চোখের দিকে
আর তাকাবো না।


শুভ কামনা।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: :) :) :) আপনার মজার মন্তব্যের জন্য খুশি হলাম। প্যাচ না থাকলে জীবন আগাবে কেমন করে।

"তাই ভাবছি এখন থেকে কারো চোখের দিকে
আর তাকাবো না"
--- একদম না, তাহলে কিন্তু ঘটনা ঘটি যাতি পারে :P :P

অনেক অনেক ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

আলম 1 বলেছেন: চমৎকার ভাবে এগিয়ে চলছে গল্প। প্লিজ বিয়োগান্তক ফিনিসিং করবেন না।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তবের জন্য। চেস্টা করবো আপনার কথা রাখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.