নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/fresh.wayfarer \nলেখার কোন অংশ লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেটা ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগের লিংক ফেসবুক শেয়ার করা

কষ্ট গুলো কে আগঁলে নিয়ে বেড়ে উঠছি নতুন করে

অর্বাচীন পথিক

https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)

অর্বাচীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৮)

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১




উদ্দীপিত এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে দেখলও যে বড় বাবা আর মা দাঁড়িয়ে আছে। উদ্দীপিতের হাতে লাগেস বলতে কিছুই নেই শুধু ঘাড়ে একটা ল্যাপটপের ব্যাগ।
এই ব্যাগ দেখে ড্রাইভার বলে উঠলো
- ছোট ভাইয়া, আপনি কোন লাগেস আনলেন না যে? বিদেশ থেকে সবাই আসার সময় চার-পাঁচটা লাগেজ নিয়ে আসে।
বড় মা ড্রাইভারের কথা শুনে ক্যাটকেটে গলায় বলে উঠলো
-তুমি গিয়ে গাড়ি স্টার্ট দাও।
ড্রাইভারের এই চার-পাঁচটা লাগেজ এর কথা শুনে উদ্দীপিত একটু লজ্জায় পড়ে গেল। সত্যি কি সবাই এমন করে নিয়ে আসে সব কিছু। আমি তো কিছুই আনিনি !!
পিছন থেকে পিঠে একটা মৃদু থাপ্পড় দিল কে যেন। উদ্দীপিত পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলো বড় বাবা। যত দিন যাচ্ছে বড় বাবার সাথে তার বন্ধুত পূর্ণ সম্পর্ক তত বেশি গড়ে উঠছে। আমার পিঠে চাপড় মারতে দেখে বড় মা রেগে গেল বড় বাবার উপর
- এই ভাবে ওর পিঠে থাপ্পড় মারছো কোন তুমি?
- যাক বা......বা, কি বিপদ। ধরলাম না যাও, তোমার ছেলেকে।
- সকাল থেকে ও কিছুই খায়নি। তুমি বুঝতে পারছো না সেটা।
- আমি ও তো খায়নি...... তো?
- যত মায়া ছেলের জন্য আর আমি কি... !!
উদ্দীপিত এবার একটু জোরেই বলে উঠলো
- দুইজনেই চুপ। এই সব কথা বাড়ি গিয়ে হবে। আর মা আমি খেয়েছি, তুমি চিন্তা করো না।
বড় মা কোন কথা না বলেই হনহন করে চলে গেল আর সবার আগে গাড়িতে গিয়ে উঠে পড়লো।
উদ্দীপিতের বাবা ছেলের কাছে নালিশ করতে লাগলো
- দেখেছি কেমন তেজ হয়েছে তোর মার। কিছুদিন হল দেখছি এই রকম করছে। কিছুই বলা যায় না। কিছু বললেই তার মেজাজ গরম হয়ে যায়।
- তুমি একটু তার পিছনে কম লাগলেই পারো।
-যাক বাবা...... !! আমি আবার কি করলাম।
- এখানে দাঁড়িয়ে আর কথা বলো না,তাহলে দুইজনকে রেখে কিন্তু মা চলে যাবে।
- হু...... বললেই হল। সেই সাহস আছে তোর মার।
- বাবা প্লিজ চলো।
গাড়ি চলতে শুরু করলো। এয়ার পোর্টের প্রশস্ত রোড দিয়ে গাড়িটা চলছে। ক্যান্টমেন্টের এই প্রাকৃতিক দৃশ্য সব সময় মনোরম ছিল এখন আর ও বেশি হয়েছে। মনে হচ্ছে আর ও যন্ত করে আর্মিরা। এক সময় ক্যান্টমেন্ট এলাকা ছাড়িয়ে শহরে প্রবেশ করলো গাড়ি। সেই চেনা শহরে না থাকতে থাকতে সম্পর্ন অচেনা মনে হতে লাগলো উদ্দীপিত কাছে। একসময় বাড়ির রাস্তায় এসে হাজির হল গাড়ি। উদ্দীপিত খেয়াল করলো তটিনীরা যে বাসায় ভাড়া থাকতো সে বাসাট ও ছেড়ে চলে এলো গাড়ি। এক পলকে আজ ও বাড়িটা সে দেখেছে। সেই আগের মতই আছে। তবে আজ সে নিচিন্ত যে তটিনী এই বাসায় নেই। তাই আজ তাকে খোঁজার কোন তাড়া ও নেই।
বাড়ি ঢুঁকেই প্রথমেই উদ্দীপিত গেল গোসল করতে। তার মা ও বলল একবারে গোসল করে খাবার টা খাও ভাল লাগবে তাহলে। গোসল করে উদ্দীপিত সোজা চলে আসলো ডাইনিং টেবিলে। এসে দেখে বাবা বসে আছে প্লেট নিয়ে। আর মা তাকে খুব কষ্টে আটকে রেখেছে যেন কোন কিছু সে আগে খেতে না পারে। আমাকে দেখেই বাবা বলে উঠলো
-বাপ...... আমার তাড়াতাড়ি খেতে আয়, আর পারছি না তো।
-মা তুমি কেন এই ভাবে বাবা কে বসিয়ে রেখেছো। আর তুমিই বা কোন শুধু শুধু বসে আছো ! ?
- শোন যা বুঝিস না সেটা নিয়ে কথা বলবি না। আর দেখছি খুব কথা শিখেছিস। হু......... কি ব্যাপার !!
উদ্দীপিতের বাবা এবার বলে উঠলো
-যাক বা.........বা, যখন ও কথা কম বলতো তখন তুমি বলতে এত কম কথা বলিস কেন। বউ থাকবে না তোর। আর এখন অল্প দুই-একটা কথা বলছে তাই তুমি বলছো, কি ব্যাপার।
উদ্দীপিত এবার হাসতে লাগলো মৃদু ভাবে
- বাবা এটা তোমার জন্য এনেছি।
- ঘড়ি
-হু
- আর মা এটা তোমার
- তোর মা কে কি দিলিরে ? প্রশ্ন করলো উদ্দীপিতের বাবা ছোট বাচ্চাদের মত
-লকেট।
- আবার জুয়েলারি। আর কত জুয়েলারি পরবে তোর মা বল তো। এবার অন্য কিছু দে তাকে। বয়স তো আর কম হল না।
উদ্দীপিত দেখলো তার মা রাগে ফুঁলে ফেঁপে উঠতে শুরু করেছে। এখন ডিফেন্স না করলেই বিপদ।
- বাবা প্লিজ একটু চুপ করবে। আমি যে কত দিন আছি সেই কয়দিন তোমার এমন করো না। আর যদি এমন করো, তবে আমি কিন্তু কালই চলে যাব।
-শোন, তোর বাবা কে বল। যদি আর কোন উল্টা পাল্টা কিছু বলে তবে কিন্তু খুব খারাপ হবে। কিছু বলি না বলেই তো সব কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করে আমার সাথে।
- বুঝতে পেরেছি তোমাদের আর এই খানে রাখা যাবে না।
- আর ভাল ও লাগে না এই খানে থাকতে। প্রায় সাথে সাথে বলে উঠলো উদ্দীপিতের বড় বাবা
এই প্রথম এমন একটা কথা উদ্দীপিত তার বাবার মুখে শুনে যেন নিজের কান কে ও বিশ্বাস করতে পারছিল না। বড় ভাইয়া কত বলেছে যে তাদের কে ভাইয়ার কাছে চলে যাবার জন্য কিন্তু বাবা কখন ও রাজি হয়নি। আর আজ সেই মানুষ নিজে থেকে বলছে যে তাঁর আর এই খানে থাকতে ভাল লাগে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সত্যিয় মানুষের মন দূর্বল হয়ে পড়ে।



N.B: [আড়ালের অনুভূতি (পর্ব- ৮)- এর বাকী অংশ পরের পোস্টে]
N.B: [ যদি কোন বানান ভুল করে থাকি তবে আশা করি বানান টা ধরিয়ে দেবেন। আমি সেটা আমি ঠিক করে নিবো ]

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:৪৬

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই
শুভেচ্ছা রইল

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৯

আরজু পনি বলেছেন:

উদ্দীপিত নামটা বেশ সুন্দর।

পড়তে ভালো লাগছে পথিক।
এবারের পর্বটা বেশ ছোটই মনে হল।

অবশ্য সিরিজ পর্বে লেখা বেশি বড় করলে ধৈর্য ধরে রাখতে কষ্ট হয়ে যায়।

শুভকামনা রইল।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:০০

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু এত মন দিয়ে পড়ছেন বলে।

"উদ্দীপিত নামটা বেশ সুন্দর"
অনেক ধন্যবাদ আপু। অনেক খুঁজে খুব বেগ পেতে হয়েছে।

হাঁ আপু সিরিজ আর সেই জন্য আমি পর্ব গুলো ভেঙ্গে ভেঙ্গে পোস্ট করছি। এই পর্বের শেষ অংশ টা আশা করি কাল দিতে পারবো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪১

কাবিল বলেছেন: সবগুলো পড়তে হবে।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: সময় করে একদিন পড়ুন
আশা করি ভাল লাগবে
ধন্যবাদ

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৯

জাফরুল মবীন বলেছেন: সাবলীলভাবে গল্প এগিয়ে চলছে এবং আপনি ভালো লিখে চলেছেন।

৮ম পর্ব পর্যন্ত আমার মত অধৈর্য পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার কৃতিত্বটুকু শুধুই আপনার।

অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০২

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেকে ধন্যবাদ মবীন ভাই।
কত টুকু পারছি জানি না তবে প্রাণ পণ চেস্টা করে যাচ্ছি যেন আপনাদের ভাল লাগানোর জন্য।

পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৬:১৫

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: এই পর্বে বাবা মার খুনসুটি খুব উপভোগ করলাম। উদ্দীপিত ঠিক ভাবে ম্যানেজ করতে না পারলে যে কী হতো কে জানে। শেষে এসে পরিবেশটা কিছুটা ভারী হয়ে গেলো। দেখা যাক এই পর্বের বাকী অংশে কীভাবে সেই ভারী পরিবেশ হালকা হয়। অপেক্ষায় রইলাম পথিক। ভালো থেকো। শুভ কামনা সতত।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: "এই পর্বে বাবা মার খুনসুটি খুব উপভোগ করলাম। উদ্দীপিত ঠিক ভাবে ম্যানেজ করতে না পারলে যে কী হতো কে জানে। শেষে এসে পরিবেশটা কিছুটা ভারী হয়ে গেলো। দেখা যাক এই পর্বের বাকী অংশে কীভাবে সেই ভারী পরিবেশ হালকা হয়। অপেক্ষায় রইলাম পথিক"
--- খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই কোন ভবেই সময় করতে পারিনি। যাই হোক আবার নিয়মিত সব পোস্ট দিবো।

ঘাস ভাই তুমি যে মন দিয়ে পড়ছো তাঁর জন্য আমি কৃত্নজ্ঞ।

ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৫

মামুন্‌ বলেছেন: ৯ নামবার কবে আসবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৮

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন
আজ ই দিবো ৯ পর্ব

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:০০

নুরএমডিচৌধূরী বলেছেন: ভাল লাগল।রেখে গেলাম োনেক ভাললাগা
ধন্যবাদ

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫৯

অর্বাচীন পথিক বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম আমি ও

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.