![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)
উদ্দীপিত প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছে পাপনের জন্য কিন্তু তাঁর এখন ও পর্যন্ত কোন খোঁজ নেই। উদ্দীপিত কে এইখানে বসতে বলে সে উধাও হয়ে গেল এখন ও পর্যন্ত তাঁর কোন খবর নেই। উদ্দীপিত বেশ অস্থির হয়ে উঠলো এই আধা ঘণ্টার মধ্যে। রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে বাইরে এসে দাঁড়ালো। খুব বিরক্ত হয়ে আকাশের দিকে তাকালো উদ্দীপিত। একটু ঘোলাটে দেখাচ্ছে আকাশটা কে আজ বড্ড, তাঁর মনে হল এটা। এর মাঝেই হঠাৎ করে তটানীর কথা মনে পড়ে গেল উদ্দীপিতের......... আর মনের কোন এক কোণে জমে থাকা গভীর আবেগ বেরিয়ে আসতে লাগলো কয়েকটা কবিতার লাইন হয়ে। আর সেই লাইন গুলো আওড়াতে লাগলো উদ্দীপিত অবহেলিত কন্ঠে......
We are two close points of the vast world
But, a few thousands miles far away
In mathematical terms, however.
Under the same sky
We take bath in the same moon light.
With a same heart, you and I.
মোবাইল টা বেজে উঠলো হঠাৎ করেই উদ্দীপিতের। আর মুহূর্তের মধ্যে সব লাইন গুলো এলোমেলো হয়ে আসতে লাগলো তাঁর। কল রিসিভ করতেই পাপন বলে উঠলো আপর পাশ থেকে “তুই দাঁড়া আমি আসছি, এক ক্যাঁচালে পড়ছিলান। এসে বলছি।”
- হু আছি আমি।
কথা ও শেষ লাইন ও কাটা হয়ে গেল পাপনের। উদ্দীপিত আনমনে কিছু ভাবতে ভাবতেই পাপন পেছন থেকে তাঁকে ডেকে উঠলো তাঁর নাম ধরে।
উদ্দীপিত দেখলো পাপন রেস্টুরেন্ট গেটে দাঁড়িয়ে আছে আর তাঁকে সেই খানে যাবার জন্য ইঙ্গিত করছে। রেস্টুরেন্ট ডুকে সব থেকে কোণায় যে টেবিলটা আছে সেটায় তাঁরা বসে পড়লো। এরপর খাবারের অর্ডার ও দিয়ে দিলো উদ্দীপিত। ওয়েটার যাবার সাথে সাথে পাপন বলে উঠলো
- আজ খাবারের বিল তুই দিবি......
- একটু আগেও তো বিলটা আমি দিয়ে ছিলাম।
- দিয়েছিল তো কি হয়েছে ?
- প্রসঙ্গটা তো তুই তুলে ছিস.........
- ভালো হয়েছে। আবার ও বিল দিবি তুই। আমি কালকে দিবো। এখন বল বাসায় কেমন কাটলো সময়?
- ভাল কেটেছে। আসার সময় বড় মা খুব কাঁদ ছিল আর বড় বাবা চোখেও পানি দেখলাম কিন্তু আমি থাকা পর্যন্ত চোখ গড়িয়ে সেই চোখের পানি বাইরে পড়তে দেখিনি। খুব শক্ত একজন মানুষ।
- তোরা সবাই বাইরে থাকিস, তাদের তো কষ্ট হবেই না। তাই না ?
- বড় ভাইয়ার সাথে কথা হয়েছে, দুই এক মাসের মধ্যে তাদের কে সব কিছু গুছিয়ে চলে যেতে বলেছে ভাইয়া। তাঁরা ও মত দিয়েছে দুইজনে।
- তাই না কি !! এটা তো সুসংবাদ। যাক বাবা এবার তবে তোরা সবাই একটু চিন্তা মুক্ত থাকবি।
-হু......... সেটায় ।
- তটিনীর কি খবর ? প্রশ্ন করলো পাপন। বাবা মায়ের কথার মাঝে হঠাৎ তটিনীর প্রসঙ্গ আসতেই উদ্দীপিত একটু ঘাবড়ে গেল। আর সাথে একটু লজ্জা ও পেয়ে গেল। এত দিন কথা সীমাবদ্ধ ছিল শুধু পড়ালেখা আর বড় মা-বাবা মাঝে। এখন আবার নতুন করে আর ও একটা অধ্যায় শুরু হইয়েছে "তটিনী"।
পাপন এবার একটু ক্যাটকেটে গলায় বলে উঠলো উদ্দীপিত কে উদ্দেশ্য করে - এত লজ্জা পাবার কি আছে আমি তো বুঝলাম না ?? !! আজব ...... !! বুড়ো ভাম হয়ে গেলি এখন ও মানুষ হইলি না ?
- লজ্জা কোথায় পেলাম আমি ? আর আমি জানি না তার কোন সংবাদ।
- কোন তুই জানিস না, সে কি করে আর তাঁর মোবাইল নম্বর ?
- জানি একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে টিচার হিসাবে আছে আর আমি জানি না তাঁর মোবাইল নম্বর ।
- বলিস কি রে !! তুই ওর বান্ধবীর মোবাইল নম্বর রেখেছিস তো, নাকি সেটা ও তুমি লজ্জায় চাইতে পারিসনি ??
- না মানে, আমি চাইনি। সেই আমাকে তাঁর মোবাইল নম্বর টা দিয়েছিল।
পাপন এবার একটু ক্ষিপ্ত গলায় বলে উঠলো - তোমার কাছ থেকে এটা আশা করাই যায়। না কি ...... ??
উদ্দীপিত পাপনের কথা শুনে চুপ করে রইল। পাপন প্রথম থেকেই তাঁর এই কম কথা বলা আর কিছু কিছু ব্যাপারে নিয়ে খুব বিরক্ত হয় আর তাঁকে সুযোগ পেলেই কথা শুনিয়ে দেয়। যদি ও দুইজনের মান আভিমান খুব বেশি সময় থাকে না একটু সময় পরে দুইজনে আবার সেই আগের মত ব্যবহার করে একে অপরের সাথে।
- তটিনীর বান্ধবী কে কল করে তাঁর কাছ থেকে ওর মোবাইল নম্বর টা নে...। তার পর যা করার আমি করছি।
- মোবাইল নম্বর দিয়ে কি হবে আমি তো বাসার ঠিকানা জানি, আর সেখানে গেলেই তো হবে।
- গিয়েছিলি না সেদিন কয়েকবার দেখা হয়েছিল ??? সেই জন্য বলছি মোবাইল নম্বর টা দরকার। আচ্ছা তোর নম্বর চাইতে লজ্জা লাগছে, আমি তার বান্ধবী কে জিজ্ঞেসা করছি। তুই তাঁর নম্বর টা আমাকে দে, আমি কথা বলছি।
উদ্দীপিত এবার তার বন্ধু কে বোঝাতে লাগলো
- শোন আমি বলি কি ? তুই ওর বান্ধবী মোবাইল নম্বর টা রাখ তাতে কোন সমস্যা নেই। তবে আমি কথা বলে ওর নম্বর টা নিয়ে দিবো।
- কথা দিচ্ছিস আমাকে উদ্দীপিত ?
- হু।
-বেশ তোর কথায় রাখলাম আমি। কথার যেন কোন মতেই বরখেলাপ না হয়।
উদ্দীপিত কিছু না বলেই মৃদু একটা হাসি দিলো পাপনের মুখের দিকে তাকিয়ে।
N.B: [আড়ালের অনুভূতি (পর্ব-১১)- পরের পোস্টে]
N.B: [ যদি কোন বানান ভুল করে থাকি তবে আশা করি বানান টা ধরিয়ে দেবেন। আমি সেটা আমি ঠিক করে নিবো ]
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সৈকত আপনার মুল্যবাদ আর গঠন মূলক মন্তব্যের জন্য।
চেষ্টা করছি নির্ভুল ভাবে আপনাদের সামনে দেবার জন্য কিন্তু তাঁর পর ও কোথায় না কোথায় হালুয়া পাকিয়ে ফেলছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সৈকত এত মন দিয়ে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আগরে পর্বের মতোই দারুন লাগলো।
পরের পর্বের অপেক্ষায়.....
শুভ কামনা থাকলো।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৫
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে নুর ভাই ।
পাশে আছেন বলে খুব ভাল লাগছে
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৪
কাবিল বলেছেন: ভাল হচ্ছে
পরের পর্বের আশায় থাকলাম
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য
শুভেচ্ছা রইল আপনাকে
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: আগ্রহ নিয়েই পড়লাম। ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১২
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আমি ও ভাল লাগা গ্রহণ করলাম
পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩
আলম 1 বলেছেন: শুভ কামনা থাকলো। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪
আমি সৈকত বলছি বলেছেন: দারুন লাগলো।

হুম্মম সামান্য কিছু ভুল চোখে পড়েছে তবে তা মারাত্মক কিছু না টাইপিং মিসটেক।
আপনি একবার পড়লে চোখে পড়বে আপনার।
পরের পর্বের অপেক্ষায়.....
শুভ কামনা থাকলো।