![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
https://www.facebook.com/ahsnan.arifa\\n\\nলেখার কোন অংশই লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা । বানান ভুল পাওয়া যেতে পারে এর জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চাই । ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিতে সাহায্য করলে সেগুলাকে ঠিক করে দেওয়া হবে। (ব্লগ লিংক ফেসবুক শেয়ার করা যাবে)
আগের পর্বে আমি বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি “গায়ে হলুদ এর গান” নিয়ে পোস্ট দিয়েছিলাম। আর এই পর্বে থাকছে বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি “বিয়ের গান”।
আমার ছোট বেলায় দেখেছি বিয়ে মানেই ছিল সারা গ্রামের মানুষ রং আর কাদা মেখে ভুত সাজে বিয়ে কে উপভোগ করতে। কার বিয়েতে কে কত কাদা মেখেছে আর রং দিয়েছে সেই গুলোই ছিল আলোচনার বিষয়। বর যাত্রীদের ও নানা কায়দায় শায়েস্ত করত কন্যার বাড়ির মানুষ। কখন ও দয়ার গুড়া দেওয়া হত শরীরে কখনও বা জরি বা রং গুড়া। ক্ষেত্র বিশেষে বর যাত্রীদের খাবারে “জামাল ঘোটা”ও দেওয়া হত।
কখন ও কখন ও সেই সব মজা শুধু মজায় হয়ে থাকতো তবে মাঝে মাঝে সেটা বড় পীড়াদায়ক ও হয়ে দাঁড়াতো।
তবে সব সময় যে এমন করা হত সেটা নয়। স্থান, কাল, পাত্র বিশেষ ঘটনা আলাদা ও হত।
বাংলার সংস্কৃতিতে বিয়েতে বরাবর গান হয়। তবে দিন বদলের সাথে সাথে গানের ধরণ ও বদলে গেছে। এক সময় বিয়েতে আসে পাশের প্রতিবেশি বউ-ঝিদের বলা হত বিয়ের গান গাইবার জন্য। আর এর মধ্যে বিয়ের কনের উদ্দেশে যে সব গীত/গান গাইতো তার মধ্যে বিখ্যাত বা প্রচলিত গীত/গান ছিল এটা-
‘কালা বাইগুনের (বেগুনের) ধলা ফুল
রুমালে গাঁথিয়া তুল্
কইনা লো তোর দয়াল বাবাজির মায়া তুল্ ।
বরির (বরইয়ের) গাছে কুমড়ার ফুল
রুমালে গাঁথিয়া তুল্
কইনা লো তোর দয়া চাচাজির মায়া তুল্ ।’
বাংলার লোকগাঁথা সাহিত্য খুব সমৃদ্ধ। আর এলাকা বিশেষ পার্থক দেখা যায়। যেমন রংপুরের বিয়ের গানের চিত্র অনেক টা এই রকম-
“গাও তোলো গাও তোলো কন্যা হে
কন্যা পেন্দো বিয়ার শাড়ি।
এই শাড়ি পিন্দিয়া যাইবেন
তোমার শ্বশুর বাড়ি কন্যা হে।।
গাও তোলো গাও তোলো কন্যা হে
কন্যা পেন্দো নাকের ফুল।
পাতাবাহার চিরুনি দিয়া তুলিয়া বান্দো চুল কন্যাহে।।”
আবার টাংগাইলের বিয়ের গানের চরণ গুলো এই রকম-
“তার পরে পরাইল শাড়ি নাম আসমান তারা।
সেই শাড়িতে বান্দা আছে আসমানের তারা।।
তারপরে পরাইল শাড়ি নাম কনকলতা
সেই শাড়িতে লেখা আছে পরীরাণীর কথা।।”
আগে বিয়ে ও গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য আশেপাশের ‘গীত গাওনি’ মহিলাদের ডাক পড়ত। তবে এখন ও গান চলে তবে বিদেশী আর বাংলা ব্যান্ডের গান। আমি একদম এই গানের বিপক্ষে না তবে কিছুটা হলে ও বাংলার সংস্কৃতি এই গান গুলো বাঁচিয়ে রাখার পক্ষে।
বিয়ের গান মানে যে সব সময় আনন্দের গান সেটা নয়। বাংলার সংস্কৃতিতে এই গানে বিরহের সুর ও পাওয়া যায়।
বাবার বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময় কনেকে তার এতদিনের চেনা বাবার বাড়ির সবার প্রতি যে মায়া মমতা জমেছে তা একে একে তুলে ধরা হয়েছে এই গানে। এ রকম অসংখ্য বিয়ের গান আছে যেখানে কনে বিদায়ের কথা আছে, আছে বিদায়ের সময় যে বেদনাবিধূর পরিস্থিতি তৈরি হয় তার বর্ণনা। এমনই একটি গানের কিছু অংশ -
‘মন বিন্দাইলাম বনে বনে
আরো কান্দন কান্দে গো মায়-ও বনে বনে
আরো কান্দন কান্দে গো মায়-ও নিরলে বসিয়া
আরো কান্দ কান্দে গো মায়ে ঠান্ডাতে বসিয়া
মায়-ও যদি দরদি হইতো
কোলের ঝি-ধন মায়-ও কোলে তো রাখিত।’
কনে-বিদায়ের আরেকটি গানে/গীতে দেখা যায়, স্বামীর ঘরে যাওয়ার আগে পাটের শাড়ি পরে বধূবেশে কন্যা এসে দাঁড়িয়েছেন তার বাপ-চাচার সামনে। এটি এমন একটি নাজুক সময়, যখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
পাটের শাড়ি পিইন্দা গো ঝি-ধন
বাবার ছানমন খাড়া গো ঝি-ধন
বাবার ছানমন খাড়া
হাইস্য মুখে দেও বিদায় বাবা
যাইতাম পরের ঘরেও বাবা
যাইতাম পরের ঘরে।
কারো লাগি পালছিলাম ঝি-ধন
রাজার চারহি (চাকরি) কইরা গো ঝি-ধন
বাদশার চারহি (চাকরি) কইরা
পরের পুতে লইয়া না যায় গা ঝি-ধনরে বুকে ছেল দিয়া
মাইঝাল খালি কইরা…’
মেয়েকে হাসি-মুখে বিদায় দিতে কি বাপ-চাচা বা স্বজনদের মন চায়? এত কষ্ট করে মেয়েকে বড় করেছি, এখন কিনা সেই মেয়েকেই পরের ছেলে নিয়ে যাচ্ছে আমার বুকে শেল দিয়ে, আমার কোল খালি করে। কিন্তু উপায় নেই এটাই চিরন্তন বাঙালি ঐতিহ্য। বাবা-মার এমন আহাজারির ভেতর দিয়েই একটি মেয়েকে বাবার ঘর আঁধার করে চলে যেতে হয় অন্যের ঘর আলো করতে।
আরো কত রকমের গান যে আছে। আছে বর-কনের গান, যেখানে বর অনুরোধ করছে কনেকে তার সঙ্গে যেতে। কনে জিজ্ঞেস করছে, বরের দেশে ভাতের কষ্ট আছে কি না, কাপড়ের কষ্ট আছে কি না। বর তাকে আশ্বস্ত করছে, জানাচ্ছে কনের যাতে কোনো ধরনের কষ্ট না হয় সেজন্য সব ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। যেমন এই গানটি-
‘চলো চলো গো রইমান কইন্যা
ওই জানে আপনারই দেশে
তোমার দেশে যে যাইবামরে এলেম দুলা
ওই জানে ভাতের-নি কষ্ট পাইবাম
অন্তে না পন্তে গো রইমান কইন্যা আমন ধান বাইন্যাইবাম।’
নোয়াখালী অঞ্চলের বিয়ের গীতেও আছে একই বিষয়বস্তু, নতুন ও অপরিচিত একটি জায়গায় গিয়ে নিজের প্রয়োজন মেটাতে কোনো সমস্যা হবে কি না তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কনে প্রশ্ন করছে তাকে নিতে আসা জীবন সঙ্গীকে।
“সোনার বাডার সোনালি
রূপার বাডায় পানি
হীরার বাডায় এইল্যা গো সুপারি
তবে কইন্যা চলো আপন রাজ্যে
তবে কইন্যা চলো আপন রাজ্যে
তোয়ার লগে গেলে রে
ভাতে কেল্লেশ পাইয়াম রে
সাইরে না সাইরে গো বিবি
আছে মাইল্যা ধানের ক্ষেতি।”
এই সব গান বা গীতের পর ও আছে “দামানের গান” অর্থাৎ জামাই বা বরের গানও। আর ও আছে বাসর শয্যার গান। কাঁচা সুপারি দিয়ে পান খেয়ে ‘দামান’ পালংকে বসে আছে। কনে সেই ঘরে প্রবেশের পর স্বামী জিজ্ঞেস করছে, সে পাখা দুলিয়ে স্বামীকে বাতাস করতে পারবে কি না?
এই গানের চরণ গুলো অনেক টা এই রকম-
“কানচানা গুয়া খাইয়ারে দামান
পালংক দলিল রে
ওকি লাল কুমার ওই নারে
দরজা না খুলো দরজা না মেলো
বিবি না আইতো ঘরে গো
বিবি জানো আইবো গো ঘরে
পাঙ্খা-নি ইলাইতে জানে গো”
উত্তরে বিবি বলছে, এত বয়স হওয়া পর্যন্ত আমাকে কখনো কাউকে পাঙ্খা করতে হয়নি। ফলে ‘ওকি লাল কুমার, পাঙ্খা না ইলাইতাম জানি গো।’ এ শুনে ক্ষুব্ধ স্বামী উত্তর করছে এই ভাবে-
“তুমি যদি না অইগো পারো
আনো তোমার মায়েরে গো
আনো তোমার চাচীরে গো
ওকি লাল কুমার ওই নারে
আটানা পয়সার পাঙ্খারও লাগি
মায়েরে উডায়া গালি রে
আমার চাচীরে উডায় গালিরে…
আইয়ক আইয়ক দয়াল বাবা
কাইন্দা না কমু আমিরে
ওকি লাল কুমার ওই নারে
সেই না তত্ত্ব তুলুম রে দামান
আমার দেশে নিয়া গো
আমার রাইজ্যে নিয়া গো
ওকি লাল কুমার ওই নারে
তুমি বিবির লাইগা গো কইন্যা না যামু তোমার দেশে গো
না যামু তোমার রাইজ্যে গো…”
গানটিতে যে ঘটনার বিবরণ আছে, তা আমাদের সমাজে বিরল নয় বরং স্বাভাবিক ঘটনা
সিলেটের সংস্কৃতি সব সময় কিছুটা ভিন্ন। আর তাদের গায়ে হলুদের গানে ও কিছুটা ভিন্নতা পাওয়া যায়। সিলেটি বিয়ের গান অনেক টা এই রকম-
“দেখছি কইন্যার মাথা ভালা ডাব নারিকেল জুড়ারে
দেখছি কইন্যার দাঁত ভালা আনারের দানারে
দামান্দেরও সাত ভাই সাত ঘুড়া ছুয়ারী
একেলা দামান রাজা চৌদল চুয়ারী
চৌদলের কিনারে পড়ে হীরা লাল মতিরে
চল যাই চল যাই দামান দেখিবারে।”
আমাদের দেশে এখন বহুল প্রচলিত বিয়ের গান মানে “লীলা বালী লীলা বালী ভর যুবতী সই গো” এই গান টা। যদি ও এটা অনেক পুরাতন একটা গান তবে সবার সামনে নতুন ভাবে আর পরিচিতি হুমায়ন আহমেদের মাধ্যমে। নেট ঘেঁটে পেলাম সম্পর্ন টা-
“লীলা বালী লীলা বালী ভর যুবতী সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।
মাথা চাইয়া সিন্থি দিমু ঝাঝরি লাগাইয়া সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।
নাক চাইয়া নাকফুল দিমু মতিয়া লাগাইয়া সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।
কান চাইয়া কানপাশা দিমু পান্না লাগাইয়া সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।
গলা চাইয়া নেকলেচ দিমু সুনা লাগাইয়া সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।
আংগুল চাইয়া আংটি দিমু পান্না লাগাইয়া সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।
শরীল চাইয়া শাড়ি দিমু ঝাঝর লাগাইয়া সই গো
কি দিয়া সাজাইমু তোরে।”
(গানটিঃ ছাতক ও দিরাই, সুনামগঞ্জ থেকে সংগৃহীত)
বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের প্রাণ। আর এই প্রাণ কে বাঁচিয়ে রাখার দায়িক্ত আমাদের সবার। বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনেক কিছু বিলুপ্তির পথে আর তার মধ্যে এই বিয়ের গান বা গীত অন্যতম।
বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি “গায়ে হলুদ আর বিয়ের গান”
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আরণ্যক রাখাল। এই সব গান নিয়ে পোস্ট দেবার ইচ্ছা হয়েছিল এক বিয়েতে এই গান শোনার পর থেকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপানকে।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চমৎকার একটি পোস্ট! মডারেটরকে ধন্যবাদ লেখাটি নির্বাচিত করার জন্য।
গানের কথায় একদিকে রয়েছে প্রাচীন সমাজের চিত্র, অন্যদিকে পাই আমাদের নিবিড় পারিবারিক বন্ধনের প্রমাণ।
আজকাল মনে হচ্ছে, এরেন্জড ম্যারেজই ভালো ছিল। ভালোবেসে বিয়ে করার পরও কি আমরা নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যতকে বুঝতে পারি? আগে থেকেই নিজেকে অদৃষ্টের হাতে ছেড়ে দিলে ভালোমন্দের দায় অদৃষ্টকে দেওয়া যায়। সেটাও এক প্রকার সান্ত্বনা।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: "মডারেটরকে ধন্যবাদ লেখাটি নির্বাচিত করার জন্য"
আপনার এই মন্তব্য পড়ে জানলাম যে এটা নির্বাচিত পোস্ট করা হয়েছে করার জন্য। পরে প্রথম পাতা গিয়ে দেখি ঘটনা সত্য
সত্যি ভাই আমরা আমাদের সেই চিরাচরিত নিয়মের বাইরে চলে যাচ্ছি। আগে বিয়ে মানে ছিল ঢাক-ঢোল পিটিয়ে পাত্রী দেখতে যাওয়া। কে কার বাড়ি কয়টা ডিম খেয়েছে আর কি কি চুরি করেছে সেই সব ছিল। আর এখ্ন
পাত্রী বাড়ি হেঁটে এসে পরিচিত হয় সবার সাথে
অনেক অনেক ধন্যবাদ মইনুল ভাই
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২২
আবু শাকিল বলেছেন: আমার গ্রামে দেখা বিয়ে বাড়ির কথা মনে পড়ে গেল
গ্রামে এক শ্রেণীর লোকদের দেখেছি। বিয়েতে রং নিয়ে খেলতে।তারাও দেখি এখন ডিজের তালে নাচে আজকাল গ্রামের বিয়েতেও রং মাখামাখি দেখি না।
নীচের কথা গুলোর সাথে সহমত আপু।
দয়ার গুড়া!! জিনিস টা কি? বুঝি নাই।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আমার দেখা সব থেকে ভয়ংকার রং মাখা দেখা আমার দাদ বাড়ি। যে রং রাখতে চাইতো না তাদের সারা গ্রামে দৌড়ায়ে নিয়ে বেড়াতো। আর এখন বিয়ে মানে তো ডিজের তালে তালে ধিনাক ধিনাক ।
আর দয়ার গুড়া হচ্ছে এক রকমের জংলী। দেখতে অনেক টা বরবটির মত তবে আকারে তার অর্ধেক। এটা ভাংলে এর মধ্যে বাদামী রংয়ের গুড়া পাওয়া যায়। আর এটা শরীরে লাগলে অনেক চুলকায়। পুরাতন বাংলা সিনেমে "দর্প চূর্ণ" এমন একটা দৃশ্য আছে। আর আমাদের এলাকায় এই জিনিস আমি দেখেছি বহু বার।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বিয়ের আগের রাতে কন্যার হয়ে গীত শেফালী ঘোষের একটি গান -
ঢোল বাজের আর মাইক বাজের
আঁর পরাণে ক্যান করের
ক্যান করি জাইয়ুম পরের ঘর , জাইয়ুম পরের ঘর ।।
মা বাপের আদরে আঁই আছিলাম ষোল বছর
ক্যান করি জাইয়ুম পরের ঘর , জাইয়ুম পরের ঘর ।।
এই গানটি শুনে বিবাহ যোগ্য সকল কন্যারাই উদাস হয়ে যেত ।
আপনার লিখাটি পড়ে পুরনো দিনের কথা মনে পড়লো ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৩
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আমি এই গান টা শুনিনি গিয়াস ভাই। দেকি পাওয়া যায় কিনা ইটিউব থেকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ গিয়াস ভাই।
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আগের পোস্ট সহ পড়লাম। দারুন পোস্ট ভাই। অনেক ভালোলাগা রইলো।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৬
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: যদি ও পোস্ট টা অনেক বড় তিন ভাগে দিলে ভাল হত কিন্তু তারপর ও দুই ভাগে দিলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আর কষ্ট করে পড়ার জন্য।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। গীত গুলো খুব মজার। ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এই ভাবে উৎসাহ দেবার জন্য। আর সাথে থাকার জন্য।
ধন্যবাদ
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপু!!!! অজস্র শুভেচ্ছা!!!
যদিও লীলা বালী ছাড়া আর কোন গানই শোনা হয়নি!!!!
শ্রদ্ধেয় আমজাদ হোসেন -এর ছবি "গোলাপি এখন ট্রেনে "-র বিয়ের গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল সে সময়।
আইছে দামান সাহেব হইয়া, বইছে মুখে রুমাল দিয়া
ঘোমটা খোলার আগে তোমায় করিগো সাবধান,
চান্দের আলো দেইখা তুমি হইয়ো না অজ্ঞান।
দামান মিঞা কিপটার ব্যাটা, শাড়ী আনছে বহর খাটা
গয়না আনছে সদরঘাটের নকল সোনা,
মনে করছে গরীব মানুষ চিনতে পারব না।
--------------
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
আপু সবার একি অবস্তা লীলা বালী ছাড়া তেমন কোন গান সবার জানা নেই। তবে যত টুকু মনে পড়ে লীলা বালী গান টা কোন এক বিখ্যাত লেখকের তবে হুমায়ন আহমেদের নয়। সঠিক নাম টা মনে করতে পারছি না আর নাম বলছিনা।
আর হ্যাঁ এই গান টা আমি ও শুনেছি সেই সিনেমায়। খুব ভাল লেগেছিল গানটা।
৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: শাহ্ আব্দুল করিম-এর হতে পারে।
আমিও কনফার্ম না। (গুগোল মামু কি বলে? )
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৯
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: আজ দুপুরে বহুর ঘাটাঘাটি করছি কিন্তু পেলাম না। শাহ্ আব্দুল করিম কিনা আমার জানা নেই ? কোথায় যে পড়ে ছিলাম সেটা ও মনে নেই। আর গুগোল মামু !!!
তার কি ওয়াড এর সাথে আমার টা হতো মিলছে না তাই সেই রকম কোন উত্তর ও পাচ্ছি না।
পুরাই হতাশ
৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: সিলেটবাসীদের কাছে আবেদন করুন, জবাব পেয়ে যাবেন আশা করি!!!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৫
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক দেরি হল উত্তর করতে
দেখে তবে খুঁজে আপু সিলেটবাসীদের পাওয়া যায় কী না।
১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
মেজদা বলেছেন: এই ছিল আবহমান বাংলার সনাতনী সংস্কৃতি। খুব ভাল লাগলো বিয়ের গানগুলি মনে করিয়ে দেবার জন্য। অনেক পরিশ্রম করে লিখেছো, শুধু তাই না, এই গানগুলি সংগ্রহ করাও কঠিন কাজ। আমিও গ্রামে দেখেছি বিয়ের গান গাইতে কিন্তু কিছুই মনে করতে পারছি না।
সিলেট অঞ্চলের একটা গান ছিল-
সোহাগ চাঁদ বদনি ধনি নাচো তো দেখি
বালা নাচো তো দেখি, বালা নাচো তো দেখি, বালা নাচো তো দেখি।
নাচেন ভালো সুন্দরী যে,
বাঁধেন ভালো চুল
হেলিয়া দুলিয়া পড়ে,
নাগ কেশরের ফুল।
বালা রুনুঝনু নুপূর বাজে,
ঠুমুক ঠুমুক তালে
নয়নে নয়ন মেলিয়া গেল,
শরমের রং লাগে গালে
যেমনি নাচে নাগর কানাই,
তেমনি নাচেন রাই
নাচিয়া ভুলাও তো দেখি নাগর কানাই।।
এই গানের বৈশিষ্ট ছিল- বিয়ের কন্যা সকলের সামনে নাচতো কিন্ত পা মাটি থেকে উপরে উঠাইতে পারবে না। মাটিতে পা রেখেই তাঁকে ঘুরে ঘুরে নাচতে হতো।
ধন্যবাদ অর্বাচিন পথিক এত সুন্দর একটি লেখা পোস্ট করার জন্য।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৭
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: চমৎকার সংযোজন মেজদা
এই অংশ টা আমি আমার পোস্টে নতুন করে সংযুক্ত করবো মেজদা।
আপনার অনুমতি চাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ মেজদা।
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮
হামিদ আহসান বলেছেন: দারুন পোস্ট৷ ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য ....।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৮
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হামিদ ভাই।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
১২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭
প্রামানিক বলেছেন: এত সুন্দর একটা পোষ্ট আমার চোখ ফাঁকি দিল কেমনে। অনেক অনেক শুভ্চেছা রইল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৪৯
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: কোথায় ফাঁকি দিল ? ঠিকই তো পড়ে ফেলেছেন প্রামানিক ভাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৩
টরপিড বলেছেন: বাহ! চমৎকার পোস্ট!
২০ বছর আগের বিয়ের রীতি আর এখনকার রীতি বিস্তর ফারাক। কলাগাছের গেট, রিক্সা শাড়ি দিয়ে ঘেরাও দিয়ে কনে যাওয়া, বর মুখে রুমাল দিয়ে বসে থাকা আরো কত কী! বিয়ে উপলক্ষ্যে একটা গ্রুপের কাজ থাকত রঙ বানানো, সেটাতে নানান উপকরন মিশানো থাকত যাতে ধোয়ার পরেও না উঠে! বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই প্লাস্টিকের সিরিঞ্জ ভর্তি রঙ মজুদ থাকত। কনে কবুল বলার সময়, আর বরের বাড়ি নেয়ার সময় যদি বার ২/৪ অজ্ঞান না হতো তাহলেতো বিয়েই জমত না!
আর এখনকার বিয়ে অনেক বেশি নামমাত্র আনুষ্ঠানিকতা, অনেক বেশি লোক দেখানো। বিয়ের আসরে মেয়ে অজ্ঞান হওয়া দূরের কথা, সামান্য চোখের জলেই ধুয়ে যেতে পারে হাজার টাকার মেকাপ। গায়ে হলুদের ড্রেস-কোড কী হবে, সেরা কম্যুনিটি সেন্টার ভাড়া করা হলো কিনা, ফটোগ্রাফার যথেষ্ট নামকরা কিনা, কোন পার্লার থেকে সাজানো হবে, কোথায় হানিমুনে যাওয়া হবে আরো কত কী!
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৫
অর্বাচীন পথিক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্য পড়ে আর ও অনেক পুরাতন কথা মনে পড়ে গেল। দফায় ফিট ( অজ্ঞান) হত কন্যা সহ আর ও অনেকে। যদি ও আমার খুব হাসি পেত তখন
ব্যস্ত জীবনে আবেগের মূল্য কোথায় ? আর কাঁদার সময় বা কোথায় ?
শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট| গানগুলো বেশ মজার| এধরনের গান শুনিনি| ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য