নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছেড়া পাতার লেখা

জীবনও যখনও শুকায়ে যায় করুণা ধারায় এসো..

বাসার আখন্দ

এ গান যেখানে সত্য সেই খানে বহি চলে ধলেশ্বরী তীরে তমালের ঘন ছায়া আঙিনাতে যে আছে অপেক্ষা করে তার পরনে ঢাকায় শাড়ি কপালে সিঁদুর...............

বাসার আখন্দ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করিতকর্মা ডাক বিভাগ ইন্টারভিউয়ের ৩ দিন পর প্রবেশ পত্র পেলো সনজিব

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:১৪



দৈনিক সকালের খবর, ১১ জুন॥

আবু বাসার আখন্দ, মাগুরা সনজিবের এবারের চাকরিটাও হলো না। এবার সে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব রক্ষক পদে জন্য আবেদন করেছিল। লিখিত পরীক্ষার তারিখ ৭ জুন। অথচ প্রবেশ পত্র তার হাতে এসে পৌঁছালো ১০ জুন সোমবার সকালে। ডাক বিভাগের কল্যাণে এবার সে চাকরি নয় নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকেই বঞ্চিত হয়েছে।

সনজিব মণ্ডল মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার চর শ্রীপুর গ্রামের অনন্ত ম-লের ছেলে। ঢাকার নর্দান ইউনিভারসিটি থেকে এমবিএ পাশ করেছেন ২ বছর আগে। এখনো বেকার। গত দুই বছরে অন্তত ১৫টি প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারভিউ কার্ড পেলেও চাকরি হয়নি। কিন্তু থেমে যাননি তারপরও। প্রতিদিনই কোন না কোন প্রতিষ্ঠানে ঢু মারেন। যদি একটি চাকরি জোটে। দেয়ালে দেয়ালে চাকরির বিজ্ঞাপন পড়েন। যদি পান ভাল একটি চাকরির খবর।

সনজিব মণ্ডলের বড় ভাই শ্রীকান্ত মণ্ডল। শ্রীপুর বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার। বিয়ে করেছেন। নিজের পরিবার রয়েছে। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর ছোট ভাইদের লেখাপড়ার সকল খরচ তাকেই যোগাতে হয়। সনজিবকে ঢাকায় রেখে লেখাপড়া করিয়েছেন। এখন সে মাস্টার্স পাশ করেছে। কিন্তু একটি ভাল চাকরির আশায় ছোট ভাইকে এখনো সেখানেই রেখেছেন। তার খরচও দিতে হয় তাকেই। আশা সনজিবের একটি ভাল চাকরি হলে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু বিধি বাম। করিতকর্মা ডাক বিভাগের কর্তব্য কর্মকেও নিজের ভাগ্য বলে ভাবেন অত্যন্ত সহজ সরল গ্রাম্য ডাক্তার শ্রীকান্ত মণ্ডল।

এ বিষয়ে ডাক্তার শ্রীকান্ত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সকালে পোস্টম্যান মোহতাসিম চিঠিটা দেবার পর খুলে দেখি ইন্টারভিউয়ের তারিখ চলে গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে কার কাছে কার বিরুদ্ধেই বা অভিযোগ দেবো। এতে না জানি আবার কোন বিপদ হয়।

শ্রীকান্ত মণ্ডলের কাছ থেকে খবরটি জানার পর যোগাযোগ করা হয় শ্রীপুর উপজেলা পোস্ট মাস্টার নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ঢাকা থেকে চিঠি আসে সরাসরি যশোর আঞ্চলিক ডাকঘরে। সেখান থেকে মাগুরাতে। ৯ তারিখ যশোর থেকে শ্রীপুর উপজেলা ডাকঘরের পৌছাবার পরেরদিন সনজিব মণ্ডলের বাড়িতে চিঠিটি পৌছে দেয়া হয়েছে। এখানে স্থানীয় ডাকঘরের কোন গাফিলতি নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: শে.হাচিনার ডিজিটালের নমুনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.