নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কোন আদর্শ নাই, আমার কোন দেশ নাই, আমিই আমার আদর্শ, আমার দেহই আমার দেশ

আখাউরা পূলা

আমার কোন আদর্শ নাই, আমার কোন দেশ নাই, আমিই আমার আদর্শ, আমার দেহই আমার দেশ

আখাউরা পূলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসুস্থ শিক্ষাবাবস্থার বাক্তিগত আলোচনা!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০৬

আমাদের প্রায় সবকিছুই “অসুস্থ”।



“শিক্ষা”র প্রধান উদ্দেশ্য কি? না মানুষ করা না, ওটা নিম্ন মাধ্যমিকের একটা উদ্দেশ্য, উচ্চ মাধ্যমিকে এটার কাজ হোল মানুষকে কোন বিশেষ বিষয়ের উপর “শেখানো”, বিষয়টায় কি হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে, দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ ইত্যাদি ব্যাপারগুলো “শেখানো”।

কিন্তু বাস্তবিক ভাবে এটার প্রধান উদ্দেশ্য হয়েছে চাকরির বাবস্থা করা। তাই “শিখে” কোন লাভ নাই! পড়, গিলো, শেষে পরীক্ষা হলে বমি করে সেইরম রেসাল্ট কর।

শিক্ষার মুল উদ্দেশই এখানে বার্থ, কোন বিষয় তার মূল কাজ করতে না পারলে সে বিষয়টা “অসুস্থ”।





অসুস্থতার একটা প্রভাব হোল রেসাল্ট ফবিয়া! এই রেসাল্টের জন্য বের হোল কোচিং।

পড়ালেখা হয়ে গেল সম্পূর্ণ কোচিং নির্ভর। তাই স্কুল কলেজে ক্লাসে পড়াইয়া বা ক্লাসে পইরা লাভ নাই। তাই স্কুল কলেজে পরানোর বাস্তবিক প্রভাব “নাই” হয়ে গেল! মূল উদ্দেশ্য হয়ে গেল পরীক্ষার বাবস্থা করা! স্কুল কলেজ হয়ে গেল “অসুস্থ”।



তারপর প্রভাব হোল “একটা অসুস্থ জেনেরাসন”! আমি যতদূর দেখলাম, অনেক ছাত্র ছাত্রীর প্রতিদিন ৩ কি ৪টা কোচিং আসে! বাসায় টিউটর তো আসেই! অনেকে ১ মাসের মধ্যে পুরো পদার্থবিজ্ঞান শেষ করে ফেলে! এখানে কি সমস্যা? আমাদের সময়কার সিলেবাসের আলোকেই বলি!

১। একটা মানুষ দুপুর পর্যন্ত কলেজ করে, ৩টা কোচিং ধরে ৩x১ ঘণ্টা ধরে বাসায় যেয়ে কোন মানসিক বিস্রাম প্রায় না নিয়া সারাদিনের পড়া পড়তে থাকলে, পড়তে পড়তে রাতে ঘুমানোর সময় ২টা আপ করলে তাকে যদি কেও “অসুস্থ” না বলে তবে সে নিজেই অসুস্থ।

২। ইন্টারে যে পড়া সেটা “পড়ার” জন্য দিনে ৩টা বিষয় ২ বছর ধইরা পড়ার কোন দরকার নাই! এমনে পড়লে A+ পাইতে ২ মাস যথেষ্ট! আর যদি সে “শিখতে” যায় তবে তার চিন্তাভাবনা করার ব্যাপক সময় চাই! দিনে ১টা সাবজেক্ট কয়েক পেইজ পরাই এনাফ, ২ বসর অনেক টাইম!

৩। ১ মাসে পদার্থবিজ্ঞান? পড়া যাবে! কিন্তু “সুস্থ”ভাবে “শিখতে” হইলে সে ১ বছরেও পাড়বে না!

কাজেই বিষয়টা হচ্ছে একটা “অসুস্থ” বাবস্থার সাথে তাল মিলানোর জন্য নিজেকেও অসুস্থ করে তোলা!



অনেক তো “শিখা” নিয়া বললাম, তাহলে কি সবার শিখাই উচিৎ? আমি বলবো হ্যাঁ উচিৎ! তবে রেসাল্টও করতে হবে! উদাহরণ হোল BUET। আমাদের সময় ৫ হাজারের মত পরীক্ষা দ্যায় যেখানে A+ পায় ২৫ হাজারের বেশি! BUETএর কিছু করার নাই পরীক্ষা নেয়া ছাড়া, কারন গৎবাঁধা পড়া গিলা ছাত্র দিয়ে প্রকৃত Engineering হবে না, ৫ হাজারের বেশি নেয়ার ক্ষমতাও নাই, বিষয়গুলা হবার কথা ছিল না! কাজেই এইটাও “অসুস্থ”।

তবে “সুস্থ”ভাবে Chance পেতে হলে শিখতে হবে রেসাল্টও করতে হবে!



কিন্তু এইখানেও “অসুস্থ”তা! সেটা হোল “ভর্তি কোচিং”! পুলাপাইন এতো মানসিক শারীরিক চাপ নিয়ে HSC পাস কইরাও শান্তি পায় না! আবার কোচিংএ ঢুকতে হয়, গরুর মত কয়েকটা মাস খাইটা ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়।



আমাদের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “ক” ইউনিটে প্রতি সিটের পিছে ছাত্র ছিল সম্ভবত ৪৮ জন! কাইটা কুইটা ২০ ধরি! তাইলে ১ জন চান্স পাইলে ১৯ জন কই যাবে? শেষ মেস অনেকেই প্রাইভেট যাদের হয়ত খরচ পুষানোর টাকা নাই! তাহলে এতো A+ কেন যেখানে এদের আশানুরূপ যাবার জায়গা নাই? কাজেই এই প্রতিযোগিতা খুব অসুস্থ, আর এই শিক্ষাবাবস্থাও অতিরিক্ত অসুস্থ!



তাহলে আমাদের বাপ মা কেন এমন করে? কেন করবে না?

Canadaর উদাহরণ দেই! যতদূর জানি ওইখানে মানুষ বেশি পরে না। আমাদের এই কলেজ লাইফ পর্যন্তই। তারপর পড়ার দরকার নাই, কারন ওদের কোন অর্থনৈতিক সমস্যা নাই, করমসংথান আছে, দরকার হলে জমি চাষ কর বা দোকান দাও বা ট্যাক্সিই চালাও, খুব সুন্দর জীবন যাবে, কোন অভাব থাকবে না, কেও চাষা ভুষা বলে হেও করবে না।

যেটা আমাদের দেশে সম্ভব না! আমাদের দেশে ট্যাক্সি চালাইয়া অভাব পুরন করসে বলে আমার জানা নাই! তাই আমাদের যথেষ্ট উচু পদে যেতে হবে “অভাব”মুক্ত থাকার জন্য বা যে কারনেই হোক, যেখানে আছে অতি ব্যাপক প্রতিযোগিতা যেহেতু দেশ অর্থনৈতিক সমস্যাযুক্ত আর কর্মক্ষেত্রের ব্যাপক অভাব!

হেল্লিগাই এই অবস্থা!



পরিশেষে এক কথাই, সব অসুস্থ!



এইটা সম্পূর্ণ আমার বাক্তিগত বিশ্লেষণ। আমি এসবে তেমন তথ্য ঘাটাই নাই! আমি কোন বিশ্লেষকও না! শুধু মাত্র বাক্তিগত ধারণা!



আমি নিজেকে অবশ্য অসুস্থ ভাবতে নারাজ!

শুধু পড়ালেখার ব্যাপারেই কৈ! পরতাম “সরকারী বিজ্ঞান”এ। ব্যাপক আনন্দ, আর ফাকা সময়। ডেইলি কলেজ যাইতাম কিন্তু ক্লাসে না! শেষে বাসায় চিঠি আসে, আপনার ছেলে ঠিকমত ক্লাসে উপস্থিত থাকে না......ব্লা ব্লা ব্লা। দীর্ঘ দিন লুকায়া রাখসিলাম!



কোচিং করতাম ২টা। সপ্তাহে ৩ দিন কইরা ডেইলি ১ টা। তারপর প্রতি কোচিং শেষে সব বন্ধু মিলে তিতুমির কলেজে মাঠে যাউয়া আর কোচিং মাইরা ক্রিকেট খেলা, ভিডিও গেমসের দুকানে ঢুকা, ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরা, আফতাব নগরে বিশাল খোলা জায়গায় ঘাসের উপর শুইয়া সূর্যাস্ত দেখা ইত্যাদি আরও হাজারো বিষয় তো আসেই!



আর ভর্তি কোচিং এ কয়েকমাস যে কি করসি তা না কইলাম! সব কতা ফাস করা বেঠিক!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:৫২

তাজ উদ্দীন সুমন বলেছেন: শিক্ষকেরা এখন ব্যবসায়ী হয়ে গেছেন। আর মা বাবা তার থেকে বেশী অসুস্হ হয়ে গেছেন। ছেলে মেয়ে নামি দামি স্কুলে না পড়লে মা বাবার সম্মান যেন রক্ষা হয় না!!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আখাউরা পূলা বলেছেন: আমার মতে,
(নামে) ভালো স্কুলগুলার একটা ব্যাপার থাকে তা হোল সেখানে অনেক পুলাপাইন কঠোর পরিবার থিকা আসে! পারিবারিক চাপে এমনেই তাদের রেসাল্ট ভালো হয়, ফলে অন্যান্য পুলাপাইনরাও রেসাল্ট ভালো করতে উৎসাহী হয়।
আবার ওইখানে নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে খুব কম আসে। কয়জন মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা মা চায় যে তার ছেলে নিম্নবিত্তের কারো সাথে মিসুক?

আমারেও কিন্তু ক্লাস ১এ (নামে)উন্নত স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ান হইসিল। চাঞ্চ পাইনাই! এজন্নে বেশ কথা শুনলেও আজ নিজেকে এলাকার স্কুলে পরায় খুব ভাগ্যবান মনে হয়!
প্রায় সবাই খুব সাধারণ পরিবারের, জীবনেও নিম্ন উচ্চ বুঝি নাই! পুরা বাড্ডা ধনী গরীব শুধু SSCপাস, শুধু HSCপাস বা BUETএর ছাত্র নির্বিশেষে একটা বন্ধু নেটওয়ার্কে ছড়াইয়া গেছে!

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:



ভালো বলেছেন !

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আখাউরা পূলা বলেছেন: ধইন্নেপাতা :)

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

বলাক০৪ বলেছেন: আমার মেয়েটা আড়াই মাস ধরে পরীক্ষা দিল। পরদিন থেকে ভর্তি কোচিং। কি যে বলব আর কি যে করব, কিচ্ছু ভেবে পাইনা। এসব কি লেখাপড়া না কুস্তি বুঝতে পারছিনা। মন খুব খারাপ লাগে। পোস্টে প্লাস।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২

আখাউরা পূলা বলেছেন: পিলাচের জন্য মেলা ধইন্নাপাতা :)

আমার মতে আপনার কিছু করার নাই। অসুস্থ পরিবেশে টিকে থাকতে হলে নিজেকে অসুস্থ করতেই হবে!

ভাগ্যক্রমে যদি আপনার মেয়ে ডাক্তারি পরে, তাহলে হয়ত তার আরও ৫ ৬ বছর এভাবেই যাবে!

উন্নত দেশে ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রদের আত্মহত্যার হার অনেক বেশি, আমাদের দেশে তা নয়। কারন হয়ত এই চাপে তারা অভস্থ আর পরিবারের প্রতি টান...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.