নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুব সাধারণ একজন মানুষ। বিনয়ে বলা সাধারণ নয়, সত্যিকারের সাধারণ। রূঢ় ভাষায় বললে \"গুড ফর নাথিং\"।

বিষাদ সময়

বিষাদ সময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

রহস্যময় কলা

৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৩১




এই কলা শব্দটা আমার কাছে পুরাই বিভ্রান্তিকর। নারীদের কলা বলতে যে ছলাকলা সেটা ভালই বুঝি। সেই ছলাকলা দেখে গলা বাড়ালেই যে ষোলকলা পূর্ণ হয় সেটাও জানা। কিন্তু এই শিল্পকলা, নৃত্যকলা, চিত্রকলা সেগুলো আবার কি! শিল্প, নৃত্য, চিত্র বললে কিছুটা বুঝা যায়। কিন্তু এদের সবার সাথে আবার একটা করে কলা ফ্রি কেন! বুঝে পাই না ১৫০/- ডজনের কলা এতো ফ্রি বিলিয়ে বেড়ায় কি করে।

কালচার্ড হতে কোন এক কালচারাল অনুষ্ঠান দেখতে গেছি। এক নারী মঞ্চ কাঁপিয়ে ঝড়ের মতো তাণ্ডব চালালেন। ভয়ে ভয়ে পাশে থাকা বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম হচ্ছেটা কী? বন্ধু বিরক্ত হয়ে বলল -চুপ থাক! এটা তাণ্ডব নৃত্য। আনকালচার্ড জানি কোথাকার।
যাক তাও বুঝা গেল নৃত্যের সাথে তাণ্ডবের একটা সম্পর্ক আছে। কিন্তু চিত্র বা চিত্রকলা সেটা দেখি পুরাটাই রহস্যময়। কোন এক আর্ট গ্যালারীতে গিয়ে ছবি দেখতে দেখতে কোন এক অপরূপা নারীর পোট্রেট দেখে থমকে গিয়ে -আহা কি সুন্দর, জম্পেশ পেন্টিং বলে উঠতেই পাশ থেকে কারও মন্তব্য "আলকালচার্ড"। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানলাম, চিত্রকলায় এ রকম চিত্রের নাকি কোন মূল্যই নেই। অর্থাৎ ওটা চিত্রই থেকে গেছে কলা হয়ে উঠতে পারেনি। আবার হয়তো কোথাও গিয়ে শ্রীহীন, ভ্রুহীন নারীর পোট্রেট দেখে ছ্যা ছ্যা করতেই সেই একই কথা " আনকালচার্ড"। কেন বাবা আবার আনকালচার্ড হলাম কেন! কারণ ঐ শ্রীহীন, নারীই নাকি বিশ্ব কাঁপানো মোনালিসা। পুরোপুরি পাকা কলা। কলার মধ্যে এত ভয়ঙ্কর অবিচার দেখে কলা রহস্য বোঝার চেষ্টাই বাদ দিলাম।

সবশেষে অনেক আগে শোনা চিত্রকলা বিষয়ক জোকস দিয়ে শেষ করি-
এক আর্ট গ্যালারীতে ধুসর এক ক্যানভাসের নিচে বসে আছেন এক চিত্রশিল্পী। ক্যানভাসে লেখা "গরু ঘাস খাচ্ছিল"। অনেক দর্শকই বাহ বাহ চমৎকার কলা বলে চলে গেলেন।
আমার মতো কোন এক আনকালচার্ড এসে চিত্রশিল্পীকে প্রশ্ন করলো- চিত্রে লেখা "গরু ঘাস খাচ্ছিল"। তা মশাই ঘাস কৈ?
চিত্রশিল্পী- গরু খেয়ে ফেলেছে।
আলকালচার্ড- তা না হয় বুঝলাম, তাহলে গরু কৈ?
চিত্রশিল্পী- ঘাস খেয়ে চলে গেছে। এর জন্যই বলা হয়েছে "খাচ্ছিল"। গরুও নাই, ঘাসও নাই। আনকালচার্ড!!!

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৩

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হাহাহ...

৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০৭

বিষাদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই নয়ন বড়ুয়া। ভাল থাকবেন।

২| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চিত্রকলা বিষয়ক এত ছলাকলা
তাহলে আপনার কলা কৗেশলের বাকী
থাকল কৈ ???

৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৩

বিষাদ সময় বলেছেন: বাকি তো কিছু রয়েই গেল! এই যে আপনার মন্তব্য থেকে কলা কৌশলের আরেক কলা বের হয়ে আসলো। যা ভেবেছিলাম কলা দেখছি তারচেয়েও রহস্যময়।
ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৩:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: রম্য ভালো হয়েছে।

৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪

বিষাদ সময় বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই। আশা করি ভাল আছেন।

৪| ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: নির্ভেজাল বিনোদন!

বাংলাভাষায় কলা শব্দটি সত্যিই খুব রহস্যময়। শিল্প, চিত্র, নৃত্য তো আছেই সাথে ইতিহাস, দর্শন, সমাজবিজ্ঞান, রাষ্ট্টবিজ্ঞান সবই না কি কলা!

ষোলকলা পূর্ণ করার কথা শুনেছি, তবে ইতিহাসে কেউ যদি ৬৪ কলা পূর্ণ করে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে সেটা মোনালিসার আঁকিয়ে ভিঞ্চি সাহেব। শোনা যায় তার এই বিখ্যাত মোনালিসা ছবিটি, যেটা এখন ল্যুভর মিউজিয়ামে কাচে ঢাকা বাক্সে শোভা পায়, সেটি ভিঞ্চির জীবদ্দশাতেই বিখ্যাত হয়েছিল। ভিঞ্চি সাহেব নিজেকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করতেন। তবে তিনি তার আঁকা এই প্রিয় ছবিটি সাথে সাথেই রাখতেন এবং ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর সময় মানুষ কে এই ছবিটি দেখাতে পছন্দ করতেন।

৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

বিষাদ সময় বলেছেন: দেখেন দেখি কলার সংখ্যা আপনি যে বাড়িয়ে দ্বিগুনের বেশি করে দিলেন।
ভিঞ্চি সম্পর্কে কিছু জানা ছিল আর আপনার মন্তব্য থেকে আরও কিছু জানলাম।
তিনি চিত্রশিল্পী, ভা্স্কর, স্থপতি, প্রকৌশলী এমনকি অনেকে তাঁকে দার্শনকিও বলে থাকেন। সেই সাথে এনাটমি, এস্ট্রোনমি এবং এ্যারোনেটিকস নিয়ে তার কিছু পিকিলিয়ার কাজ আছে।
কাজেই তাকে আপনি ৬৪ কলার জাগায় যদি ১২৮ কলা বলেন তাতেও আপত্তি করার মতো কিছু নাই মনে হয়। :)
তথ্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

৫| ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪

শায়মা বলেছেন: কলা কলা শুনে শুনে বড় হলেও সোনাবীজ ভাইয়া আমার নাম দিয়েছিলেন কলাবরিষ্ঠা! এই নাম শুনে তো আমার আক্কেল গুড়ুম। মানে কি ? পরে মানে জেনেছিলাম। তবে আবার ভুলে গেছি। শুধু মনে আছে যে শিল্পকলায় পারদর্শী সেই কলাবরিষ্ঠা মনে হয়। :)

০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

বিষাদ সময় বলেছেন: সোনাবীজ ভাই ভুল কিছু বলেননি। মনে হয় কলার এমন কোন শাখা নাই যেখানে আপনার বিচরণ এবং পদচিহ্ন নাই।
মাঝে মাঝে ভাবি আপনার দিনগুলো কি ১৪৪ ঘন্টার কিনা!!! :)
আগমনে খুশি হলাম। ভাল থাকবেন।

৬| ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১০:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




বিষাদ নিকে এতো ভালো রম্য!
সুপ্ত প্রতিভার কথা জানা ছিলো না।
আরও বেশি এই প্রতিভার প্রকাশ চাই।

০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: হঠাৎ জীবনানন্দের কবিতার একটি চরণ মনে পড়ল,
"......এতদিন কোথায় ছিলেন?"

সুপ্ত প্রতিভার কথা জানা ছিলো না।
মাটির প্রদীপ নিভে যাবার আগে একটু জ্বলে উঠে।

ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৭| ১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। রম্য ভালো লেগেছে। +
কলাই তো মানবের আদি সংস্কৃতি, সৃষ্টির শুরু থেকে আজতক বহমান, ভবিষ্যতেও তা থাকবে। তবে এ কলা ১৫০/- টাকা ডজনের কদলী নয় নিশ্চয়।
প্রথমে কলা, পরে বিজ্ঞান- এ নিয়েই গড়িয়ে চলেছে মানব সভ্যতা। দুটো মোটেই সাংঘর্ষিক নয়। সাংঘর্ষিক হলে ভিঞ্চি সাহেব দুটোকেই একসাথে ধারণ করতে পারতেন না। শ্রাবণধারা এর মন্তব্যের মাধ্যমে ভিঞ্চি সাহেব সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য জানলাম। কথাগুলো শেয়ার করার জন্য তাকে ধন্যবাদ।

১৬ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫

বিষাদ সময় বলেছেন: মন্তব্যটি চোখ এড়িয়ে গেছে। চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.