নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ সঃ আল্লাহর বান্দা ও রাসূল

মোঃ আল মামুন শাহ্

মোঃ আল মামুন শাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসামে দুর্যোগ এবং আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি!!! (প্রথম পর্ব)

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১২

আলহামদু লিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ

কথায় বলে দুর্যোগে পূর্ব প্রস্তুতি ভালো থাকলে, ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আসামের ' বৈধ নাগরিক তালিকা ' নামের ঝড় আমাদেরকে যে কোন সময় আঘাত করতে পারে। সে হিসেবে আগেভাগে পূর্ব প্রস্তুতি নিলে ক্ষতির সম্ভাবনা কমতে পারে।

আসামে বর্তমানে এন আর সি বা বৈধ নাগরিকপঞ্জিতে প্রায় ৪০ লক্ষ বাংলা ভাষাভাষী লোক বাদ পড়েছে। বর্তমান বিজেপি সরকারের স্বার্থসিদ্ধি অর্থাৎ আসামে বিজেপির ভোট ব্যাংকে স্থায়ী সুবিধা প্রাপ্তির অন্যতম হাতিয়ার এ নাগরিকপঞ্জী। যার ফলে সমস্যা দিনে দিনে কেবলই প্রকট আকার ধারণ করছে।

কিন্তু প্রশ্ন হল এতগুলো মানুষের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিয়ে ভারত সরকার তাদেরকে কি ভারতে বসিয়ে রাখবে? কি গ্যারান্টি আছে যে আজ না হয় দু'বছর পর বা পাঁচ বছর পর ভারত সরকার তাদেরকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করবে না!!

অর্থাৎ এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের মাথা ঘামাতেই হবে। শুধুমাত্র ভারতের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে নিশ্চিন্ত থাকা কোন মতেই ঠিক হবে না।

এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে আসামের অনেক লোক বা তাদের পূর্ব পুরুষেরা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশের এক সময়কার অধিবাসী। তারা আমাদেরই ভাই আমাদেরই বোন। একসময় বাংলাদেশ তাদের আমাদের মতই জায়গা জমি বাড়িঘর ছিল। তারা মোটেও রোহিঙ্গাদের মতো না। তাদেরকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা শুরু করলে আমাদের আবশ্যক দায়িত্ব হয়ে দাঁড়াবে তাদেরকে জায়গা দেয়া।

সুতরাং আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি নিতেই হবে।

পূর্ব প্রস্তুতি সরকারি পর্যায় থেকেই নিতে হবে। কিভাবে প্রস্তুতি নিবে তা নির্ভর করে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। আসামের বাঙালি জনসংখ্যার দিকে সরকার ৩ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতে পারে।
১. কঠোর অবস্থান: ভারত থেকে কোনভাবেই কোন লোককে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
২. নমনীয় ও যৌক্তিক অবস্থান: ভারতকে সমঝোতা ও সতর্ক দুটোই করা। বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে তাদের বোঝানো। এবং একান্ত বাধ্য হলে তাদেরকে গ্রহণ করা
৩. নতজানু নীতি: ভারতের প্রতি নতজানু হয়ে তাদের কথা মতো আসামের লোকদের গ্রহণ করা।

তিনটি অবস্থান ও এ সংক্রান্ত পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আমার বিশ্লেষণ থাকছে আগামী পর্বে।
ছবিসূত্র: google

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৪৮

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: এই ইস্যুতে বেশি তাংফাং করা নরেন্দ্র মুদীর চ্যালাদের প্রথম সারির কয়েকটা চ্যালার নাম দিতে পারবেন?

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১০

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আসামের মুখ্যমন্ত্রীর নিজেই এতে জড়িত। তার ফেলে আসা ছাত্র সংগঠন আসাম নিখিল ছাত্র সংস্থা আশু বিদেশি খেদাও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:০৪

রাকু হাসান বলেছেন:



তাদের জায়গা দেওয়ার কথা বলেছেন । এটা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে ,তবে ৪০ লক্ষ লোকের বোঝা কোন কিছুতেই কম নয়। দেখা যাক কি হয় । ভাল কিছু হোক ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: না ভাই আমি সেরকম কি বলতেছি না। যেখানে 10 লক্ষ লোকের জায়গা দিতে কষ্ট সেখানে 40 লক্ষ তো অনেক দূরের কথা। আমি পরিস্থিতি কথা বলছি। যদি পুশ ব্যাক করে তাহলে আমাদের করণীয় কি সেই ব্যাপারে আমার চিন্তা ভাবনা পেশ করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



আমার বাড়ি সিলেটের সীমান্তবর্তি একটি উপজেলায়; আমার বাড়ি থেকে একদিকে আসাম, অপর পাশে মেঘালয় রাজ্য। রাতে কাঁটাতারের বেঁড়ার লাইটের আলোয় পুরো এলাকা আলোকিত থাকে। যতটুকু জানি, আমাদের এলাকার কোন মুসলিম কখনো সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়নি কোনদিন; বিশেষ করে ৭১-এর পরে। তবে অনেক হিন্দু পরিবার ৪৭শে এবং ৭১-এ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন; এখনো এ যাত্রা অব্যাহত আছে। ৯১ এর দিকে আমাদের এলাকার বেশ কয়েটটি গ্রামে হিন্দু পরিবারগুলো আসামে চলে যায়। কেউ তাদের ঠেলে দেয়নি কিংবা সম্পত্তি দখল করেনি। অনেকটা হুজুগে।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৮

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আসলে নাগরিক পুঞ্জিতে একাত্তরের আগে ভারতে যাওয়া অনেক লোক বাদ পড়েছে। সম্ভবত তারা মুসলিম ও বাংলাদেশ হওয়ার কারণে বাদ পড়েছে। তাদের অনেকের দাবি তারা 1971 এর আগেই ভারতে গিয়েছে। কিন্তু পূর্বপুরুষদের অবহেলা র কারণে তারা কোনো কাগজপত্র করেনি। ফলে তারা এখন নাগরিক পুঞ্জে থেকে বাদ পড়েছে। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩২

রাকু হাসান বলেছেন:


@কাওসার চৌধুরী ভাইয়া সুন্দর বলেছেন

৯১ এর দিকে আমাদের এলাকার বেশ কয়েটটি গ্রামে হিন্দু পরিবারগুলো আসামে চলে যায়। কেউ তাদের ঠেলে দেয়নি কিংবা সম্পত্তি দখল করেনি। অনেকটা হুজুগে।----চলে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিশ্চয় হিন্দুহিসাবে নিরাপদ আশ্রয়ে কিন্তু সেটাই আজ হারালো ।

মামুন ভাই ,বুঝতে পারছি । আপনার ভাবনা সুন্দর ।

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: আসলে সমস্যা হিন্দুদের নিয়ে না। বিজেপি সরকার যেভাবেই হোক হিন্দুদের ভারতে রেখে দেবে। কিন্তু বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের কি হবে কিন্তু বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের কি হবে?

৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভারত সরকার যদি ঠলে দেয় তাদের এদেশে ,আওয়ামি সরকার থাকলে অবশ্য জায়গা দিবে তাদের । ভারতের প্রতি আওয়ামি সরকার এমনিতেই দুর্বল

১২ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: সরকারের বর্তমান অবস্থা আমাদেরকে দুবার ভাবতে বাধ্য করছে। সেইজন্যই পূর্ব প্রস্তুতির কথা বলছি। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:০৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

গুরুত্বপূর্ণ লেখা!

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৩

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: মন্তব্য ও উৎসাহ জাগাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৪২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ব্যাপারটা আসলেই স্পর্শকাতর ও ঘোলাটে। মাইগ্রেশন মানবজাতীর মধ্যে অনেক পুরোনো সময় থেকেই দেখা যায়। এটা হবেই, কিন্তু এখন সীমান্ত কড়াকড়ির কারনে কিছুটা রোধ করা গেছে। ওদিকে ভারতের কথা চিন্তা করলে এত বিপুল জন গোষ্ঠি তাদেরকে সুযোগ সুবিধা দেয়াটাও একটা বড় ঝক্কি।

এসব জিনিসের সমাধান শুধুমাত্র কূটনৈতিক পর্যায়েই হওয়া উচিত। আর ভারত বিশাল দেশ এবং এখন একটা পরাশক্তি। আমাদের মতো পুচকে ভঙ্গুর গনতন্ত্রের দেশ তার সাথে লড়ে কিইবা আদায় করতে পারে।

তবে এটা আসলেই একটা আসন্ন বিপর্যয়

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: জি ভাই ঠিক বলেছেন। ভারত আসামে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সুবিধার জন্য মোদি সরকার nrc হাতে নিয়েছে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতির বলি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চিন্তিত মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: অনুচ্চারিত তরঙ্গের জাজিমে শুয়ে আছে মৃত অভিলাষ ।

১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: এত কঠিন কথা বোঝার সাধ্যি এ অধমের নেই। তাই যথাযথ উত্তর দিতে পারলাম না। দয়া করে যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.