![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস সালাতু ওয়াস সালাম আলা রাসুলিল্লাহ
টেবিলের ওপর রাখা এক গ্লাস পানি। এই এক গ্লাস পানি আমাদের কাছে কতটা মূল্যবান? আমাদের কাছে হয়তবা এর তেমন কোন মূল্য নেই। কিন্তু মরুভুমির তপ্ত বালুতে পানির উৎসের অনুসন্ধানে থাকা একজোড়া চোখের কাছে এ এক গ্লাস পানি হিরের চাইতেও দামি। প্রতিদিন আমরা কত গ্লাস পানি পান করি। আমাদের একটু খানি খেয়াল, একটুখানি সদিচ্ছার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রতিদিনকার পানি পান কে হিরার চাইতে দামি কিছুতে পরিনত করতে পারি। হয়তবা মরুভুমিতে পথ হারিয়ে ফেলা তৃষ্ণার্ত এ অসহায় মানুষটির অসহায় অবস্থার থেকেও আরও কোন কঠিন অবস্থায় এটি আমাদের কাজে লাগতে পারে। প্রিয় পাঠকগণ, আমরা যারা মুসলিম আছি, তাদের কাছে পানি পানের মহানবি হযরত মুহাম্মাদ সঃ এর উত্তম আদর্শ রয়েছে। আমাদের একটু সদিচ্ছা থাকলেই আমরা এ সহজ নিয়ম গুলো পালন করতে পারি। কিয়ামতের কঠিন মসিবতের দিনে এই ছোট আমল গুলই হয়তোবা আমাদের বাঁচাতে সাহায্য করবে। হয়তোবা এগুলই মহামূল্যবান মুক্তায় পরিনত হবে।
আর এছাড়া এই সুন্নাত গুলো পালনের সাথে সাথে দুনিয়াবি অনেক উপকার সাধিত হবে। আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করব দুনিয়াবি উপকার গুলো নিয়ে। তার আগে এক নজরে আসুন জেনে নেই সুন্নাত আমলগুলোঃ
১। খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা ও দেখে পান করা।
২। ডান হাতে পানি পান করা
৩। বসে পানি পান করা।
৪। তিন শ্বাসে পানি পান করা। নিঃশ্বাস ফেলার সময় পানপাত্র থেকে মুখ আলাদা রাখা।
৫। পানি পান শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা।
১। খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বললে পরকালের অনেক উপকারের সাথে সাথে দুনিয়াবি উপকার হবে। পানির ভৌত ধর্ম পজিটিভ আবেগ , সুর, প্রার্থনা, শব্দ এসবে পরিবর্তিত হয়। আবার নেগেটিভ আবেগে পরিবর্তিত হয়। অর্থাৎ ভাল শব্দ বা সুরে পানির ভৌত ধর্মে পানির গুনাগুন আরও বেড়ে যায়। মুসলিমরা ১৪০০ বছর ধরে এক আল্লাহর উপর বিশ্বাস করে ও তার নিওমাবলি মেনে চলে বলেই এ সুফল তারা ভোগ করতে পারছে। বিস্তারিত জানতে কষ্টিপাথর বইএর ১১০-১২১ পৃষ্ঠা দেখতে পারেন।
১ম সুন্নাত এর বাকি অংশে অর্থাৎ দেখে খাওয়ার উপকারিতা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবে। কারন দেখে খেলে ময়লা পেটে যাওয়ার আগেই চোখে পড়বে।
২। সকল ভাল কাজের শুরু তো ডান দিক থেকে ই হওয়া উচিত। এছাড়া আমরা মুসলিম রা নির্দিষ্ট কিছু কাজ ডান দিকে এবং কিছু কাজ বামদিকে করি। আর এর মাধ্যমে মস্তিস্কের উভয় অংশ কে আমরা সুপরিকল্পিতভাবে কাজে লাগাই।
৩। বসে পান করার বৈজ্ঞানিক উপকারিতাঃ
ক। আয়ুর্বেদিক বিজ্ঞানের মত: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে পাকস্থলীর দেয়ালে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। কারণ পানি অন্যান্য খাবারে মতো হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় না, খাদ্যনালী দিয়ে সরাসরি পাকস্থলিতে গিয়ে পৌঁছায়। ফলে দাঁড়িয়ে পানি পান করলে পাকস্থলীর দেয়ালের ক্ষতি হয়। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পানি পান করলে পানির কোনো পুষ্টিগুণ শরীরে শোষণ হয় না।
খ। মূত্রথলির ক্ষতি: দাঁড়িয়ে পান করার ফলে পানির প্রবাহ দ্রুত হয়। চাপ বেশি পড়ে। ফলে মূত্রথলিতে শরীরের দূষিত পদার্থ সরাসারি গিয়ে জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যা কিডনি বা বৃক্কের জন্য ক্ষতিকর।
গ। ব্যথা: শারীরিক গড়নকেও প্রভাবিত করতে পারে। কারণ, দাঁড়িয়ে পান করার সময় ওই পানি পুরো শরীরের উপর চাপ প্রয়োগ করে। ফলে হাড়ের জোড়ে ব্যথা হতে পারে।
ঘ। ফুসফুসের জটিলতা: দাঁড়িয়ে পানি পান করলে শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীতে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত হয়। আর এভাবে নিয়মিত পান করলে দীর্ঘমেয়াদে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।(সুত্রঃ Click This Link)
৪। নিঃশ্বাস পাত্রের মধ্যে ফেললে নিঃশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসা জীবাণু পুনরায় আমাদের শরীরে প্রবেশ করার সম্ভবনা থাকে। আমরা এ সুন্নাত পালনের মাধ্যমে এ সম্ভাবনা থেকে দূরে থাকতে পারি।
৫. পানি পান শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলে আল্লাহর শুকুরিয়া প্রকাশের সাথে সাথে পানির পজিটিভ ভৌত পরিবর্তন হয়। এবং পানির গুনাগুন বেড়ে যায়। Dr. Masaru Emoto এর গবেষণার মাধ্যমে পানির পজিটিভ পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারি। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করতে পারেন এই ঠিকানায়ঃ Click This Link
২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১৬
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। প্রথমবার কমেন্ট এবং পোষ্টে প্রথম কমেন্ট এর জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। আপনার সাথে একমত। উৎসাহ জাগাবার জন্য অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আল্লাহ আমাদের মানার তৌফিক দান করুন আমিন।
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২০
আলআমিন১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ।জরুরী একটা বিষয় উপস্হাপন করেছেন।
২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৫
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: স্বাগতম আমার ব্লগে। আশা করি ভাল আছেন। মন্তব্য ও উৎসাহ জাগাবার জন্য অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
৩| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।
২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২০
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: কমেন্ট ও উৎসাহ জাগাবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন।
২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:২২
মোঃ আল মামুন শাহ্ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ কবি ভাই। আমার পক্ষ থেকে প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:১১
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: বিষয়টি আগে জানলে ও আমরা বেশির ভাগ মানুষ তা মানি না । নবীজির সুন্নত বা আল্লাহর ইবাদত প্রতিটিই দুনিয়া বা আখিরাতের আমল । আমাদের প্রত্যককে মানার তৈফিক দান করুক । সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য পানির বিকল্প কিছুই নেই। বিনা প্রয়োজনে পানির অপচয় না করাও ইবাদত।
সুুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।