নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিজিকের রহস্যময় ফায়সালা

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী

সত্য ও সুন্দরের পূজারী

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলায় যেভাবে শিক্ষক পেটানো শুরু হলো

৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৫৭

বাংলায় যেভাবে শিক্ষক পেটানো শুরু হলো
তিনজন রাজার ছেলে, মিস্ত্রীর ছেলে আর এক কৃষকের ছেলে মিলে অন্য এক কৃষকের জমি থেকে আখ কেটে খাবে , এমন সময় জমির মালিকের ছেলে দেখে ফেলে। কিন্তু সে তো আর তিনজনকে একসাথে শাসন করতে বা ঠ্যাঙ্গানি দিতে পারবে না। তাই অভিনব পদ্ধতি হাতে নিল। কৃষক ও মিস্ত্রীর ছেলেকে নিজেদের দলের অর্থাৎ খেটে খাওয়াদের দলে নিয়ে রাজার ছেলেকে আলাদা দলে দিয়ে ওটাকে দিলো মার। এরপর অন্য কৃষকের ছেলেকে নিজের গোত্রীয় বলে পরিচয় দিয়ে তাকে সাথে নিয়ে মিস্ত্রীর ছেলেকে দিলো মার। সবশেষে কৃষকের ছেলেকে বলল, তুই হারামজাদা কৃষকের ছেলে , তুই ভালো করেই জানিস কত কষ্ট হয় ফসল ফলাতে , তুই কেন আখ কেটে ওদের সাথে খেতে গেলি বলেই মার ......
এখন আসি মূল আলোচনায় ।শিক্ষক বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আমাদের দেশে ছাত্রদের হাতে লাঞ্চিত হচ্ছে বা মার খাচ্ছে অনেক আগে থেকে। রুয়েটে থাকাকালে দেখেছি কিভাবে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বর্তমান রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগ সেক্রেটারির নেতৃত্বে কতিপয় আধা শিক্ষিত যারা প্রাইমারি স্কুলের বারান্দা পার হতে পারেনি , তারা গিয়ে ভিসির রুম ভেঙ্গেছে। কিভাবে রুয়েটেরই ছাত্র হয়ে রুয়েটের একজন বিভাগীয় প্রধানকে অশ্লীলভাবে গালাগালি দিয়েছে। এমনকি সিগারেট খেয়ে ধুয়া ছেড়েছে শিক্ষকের মুখে। এসবই করেছে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে আর এসবের পর্দার আড়ালের কলকাঠি নেড়েছেও কিছু শিক্ষকই ।
এরপর রাবিতে অসংখ্য শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছে, পরীক্ষায় নকল করতে না দেয়ায় শিক্ষককে লাঞ্চিত করেছে রাবি ছাত্রলীগের নেতা।
বুয়েটে জাহাঙ্গির স্যার কিছুদিন আগে হামলার শিকার হলেন, অন্য ভার্সিটির কোন শিক্ষক প্রতিবাদ করলেন না। নিশ্চুপ থাকলো ।
বুয়েটে একদিন কমার্স বিভাগের ছাত্র এসেছিলো। তারাও এসেছিলো সেদিন একজন ভিসির চেয়ার ঠেকাতে। শেষ পর্যন্ত সে চেয়ার রক্ষা করা যায়নি।
মজার একটা তথ্য আছে। বাংলাদেশে প্রথম পেপার স্প্রে পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু করা হয় শিক্ষকদের উপর। সেদিন মারা যায় একজন শিক্ষক, পরে বাড়ি গিয়ে আরো কয়েকজন আত্যহত্যা করে।
অসংখ্য কুকর্মের কয়েকটা তুলে ধরলাম, যার কোনটাতেই কোন স্কুল ,কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নুন্যতম প্রতিবাদ করেনি। যার ফলে একেরপর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সরকার তো বটেই মহামান্য আদালতও এই হামলাকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছে। ক্যাম্পাস প্রদত্ত সাজা বাতিল করে দিয়েছে।
শেষ কথায় আসি । একদিকে ভিসি, যার অবস্থান মহামান্য রাষ্ট্রপতির পরেই, অন্য দিকে সামান্য প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক বা বিভাগীয় প্রধান। ছাত্রলীগ তারাও যেহেতু ছাত্র তারা ভিসির পক্ষ নিয়েছে এতে দোষের কিছু আমি দেখিনা।
সম্মানিত স্যাররা যা দেখালেন--- সামান্য ব্যানার নিয়ে কেন তারা এমন টানাটানি করলো। ওই মুহূর্তে আমি কোন পক্ষকেই সুবিবেচক ভাবতে পারিনি। একজন শিক্ষকের গায়ে ছাত্র হাত দিবে বা তাকে গালি দিবে বা অপমান করবে সেই মুহূর্তে ওই শিক্ষকের কাছে মরে যেতে খুব ইচ্ছা করে। কিন্তু হায় জাফর স্যাররা বুঝলো না । জয় বাংলার বিপরীতে তারাও শক্তি দিয়ে ব্যানার ধরে রাখতে চাইলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছাত্ররা ব্যানার নিয়ে গেলো । ব্যানার দিয়ে দেয়ার মাধ্যমে স্যাররা নিজেদের সম্মান বিসর্জন দিয়ে দিলেন সেই সাথে নিজেদের দাড় করালেন কিছু ব্যর্থ মানুষের কাতারে যারা নিজেদের ছাত্রদের ভদ্রতা বা আদব শেখাতে ব্যর্থ …………………….

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.