নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রিজিকের রহস্যময় ফায়সালা

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী

সত্য ও সুন্দরের পূজারী

আলমগীর হাসান সিদ্দিকী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেসক্লাব থেকে আইইবি ভায়া হাইকোর্ট

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬


হটাত একদিন সাংবাদিকদের সংগঠন প্রেসক্লাব দখল হয়ে গেল। নতুন করে কিছু গাদ্দারদের সাথে নিয়ে আওয়ামী পন্থীরা নতুন কমিটি করে সেটা দখল করে নিলো। আগের যারা ছিল তাদের রুমের তালা ভেঙ্গে সেসব রুমে নতুনরা উঠে গেলো । এই পুরো সিস্টেমে সরকারী সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির কিছু গাদ্দার সাহায্য করেছে যাতে অন্যদের দেখানো যায় এতে সব দলের লোক আছে যদিও প্রেসক্লাব কোন দলীয় জায়গা না। এটা একটা পেশাজীবী সংগঠন। কিন্তু পেশা আর রাজনীতি এখন মাখিয়ে ফেলেছে। সরকারের কিছু চামচ এখন প্রেসক্লাবের হর্তাকর্তা।
প্রেসক্লাব থেকে সামান্য সামনে গেলেই কোর্ট। ওখানে আইনজীবীরা কাজ করে। কিছুদিন আগে ওদের নির্বাচন হলো। ভোটার তালিকার মারপ্যাঁচে ফেলে নাকি অন্যদের হারিয়ে দিয়েছে সরকার সমর্থকরা । ওরা আইনের চর্চা করে কিন্তু নিজেদের ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেনি। নির্বাচনের কিছুদিন পর কেউ একজন রিট করল মহামান্য আদালত ফলাফল স্থগিত করে দিলো।
হাইকোর্ট পার হয়ে সামনে সামান্য একটু গেলেই পাবেন আইইবি। ইঞ্জিনিয়ারদের সংগঠন। ওটার নির্বাচন হল ৩ তারিখ। এখানে অবশ্য ভোটার তালিকা নিয়ে কোন সমস্যা ছিলনা। সমস্যা ছিল ভোট দেয়া নিয়ে। সোহরাওয়ারদি উদ্যানের গেট থেকে আইইবির মুল ভবনের(যার জমিদাতা মাননীয় হাসিনা) সামান্য আগে পর্যন্ত সব জায়গা শুধু সরকার সমর্থক প্রার্থীদের প্যান্ডেল ,অন্যদের কোন প্যান্ডেল চোখে পড়েনি এমনকি আওয়ামীলীগের কিছু বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল তাদেরও কোন প্যান্ডেল ছিল না।
জামায়াত বিএনপি সমর্থক হলুদ প্যানেলের কোন প্রার্থী বা সমর্থককে তাদের কোন প্রচারপত্র নিয়ে দাড়াতে দেয়া হয়নি । কয়েকজন সকালে দাঁড়ালেও ছাত্রলীগের দাপটের মুখে তারা আইইবি চত্তর ত্যাগ করেন । দুপুর পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দিতে পারলেও দুপুরের পর হটাত পাল্টে যায় দৃশ্যপট। আবার আগমন ঘটে কিছু ক্যাডারের । তারা এবার এসে ভোটারদের কাজ কমিয়ে দেন। শুরু করেন ভোটারদের ব্যালট নিয়ে নিজেরা সিল মারা। যেন ভোটারদের কষ্ট লাঘব করতে এসেছে তারা।
এরপর ফলাফল কি হবে তা আর কারো বুঝতে বাকি থাকে না।
যেখানে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের জয়ের ব্যাপারে সন্দেহ ছিল সেখানে তারা সবাইকে অবাক করে রেকর্ড করে সব আসনে জয় লাভ করে নেয়।
আইইবির এই নির্বাচন যেন নৈতিকতার কাছে মেধার পরাজয়।
আইইবি, হাইকোর্ট, প্রেসক্লাব পাশাপাশি দাড়িয়ে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সেই স্মৃতি মনে করে দিচ্ছে ।
হেরে যাক পেশাদারিত্ব , হেরে যাক মেধা , জিতে যাক পেশী শক্তি আর ক্ষমতার দাপট । আগাতে গিয়ে পিছিয়ে যাক প্রিয় বাংলাদেশ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.